বিকালে ভোরের ফুল – সমরেশ বসু

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

….আমি টুকুর পাশে পাশে হেঁটে অ্যামবাসার গাড়ির দিকে এগিয়ে চললাম । এখন দেখছি টুকুর বেশভুষা সব অন্যরকম। জলপাই রঙের সিল্ক শাড়ি পরেছে, এবং তার বন্ধনী নাভির নিচে। একই রঙের স্লিভলেস্ জামা, পেট থেকে অনেক ওপরে, যেন তাকাতে ভয় করে ৷ চোখে গঢ়ি করে কাজল মাখা । ওর স্বাভাবিক লাল ওপরে আরো রঙ লেগেছে ! গা থেকে বিদেশী সেন্টের গন্ধ চুল খোলা ।….

…..সত্যি কথা বলতে কী, এখন যেন ওকে অনেকটা রঙ্গিণী যুবতীর মত মনে হচ্ছে। ওর নাভির নিচের শাড়ির বন্ধনী, আঁচলটাকে এমন ভাবে বুকের খানিকটা অংশ ঢেকে কোমরে গুঁজে নিয়েছে, ওর রৌদ্র রঙ পেট এবং সমস্ত মেদহীন নাভিস্থল দেখা যাচ্ছে। কেবল দেখাই যাচ্ছে না, ইংরেজিতে যাকে বলে বেলি ড্যান্স, অনেকটা সেই ভাবেই ওর নাভিস্থলের পেশি বাজনার তালে তালে কাঁপছে। নানান্ অঙ্গভঙ্গিতে ওর কোমর বাহু বুক সবই এই বিশেষ নাচের ছন্দে ওঠানামা করছে। সবাই যে এক রকম নাচছে, তা না, দুই দুই জুটিতে দু’রকম। প্রদীপ নাচছে খুকুর মুখোমুখি, অলক টুকুর সামনে। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে, সব থেকে আকর্ষণীয় অঙ্গভঙ্গি টুকুরই । মাঝে মাঝে দেখছি টুকু ভুরু চোখ এবং ঠোঁটেরও একটু ভঙ্গি করছে, যেটা ওর নাচের মধ্যে এনে দিচ্ছে অন্য একটা নতুন স্বাদ ।

অথচ আমি তো জীবনে অনেক সুন্দরী যুবতীদের এ নাচ নাচতে দেখেছি । আমার মনের অবস্থা তো কখনো এরকম হয়নি। শেষ মুহূর্তের নাচে দেখলাম টুকু বুকের ওপর দু’হাত আড়াআড়ি জড়ো করে, যাকে বলে আর্চ করা সেই রকম বৃত্তকারে বেঁকে গেল ! ওর চুল পিছন দিকে ঝুলে পড়ল। এখন ওর মেদ বর্জিত মসৃণ ফর্সা নাভিস্থলের দিকে চোখ পড়তে আমার যেন বুক কাঁপছে । অলক এর সামনে দাঁড়িয়ে কেবল তালে তালে হাত পা দোলাচ্ছে ।….

Please follow and like us: