লাভ অ্যান্ড সেক্স অফ এ গুড গার্ল – ন্যান্সি ফ্রাইডে

›› অনুবাদ  ›› সম্পুর্ণ গল্প  ›› ১৮+  

    উৎস  : -পরকীয়া প্রেম – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়  সম্পাদিত

‘নর নারীর প্রেম ভালবাসা আর যৌনতা নিয়ে ন্যান্সি ফ্রাইডে যে গল্প ও প্রবন্ধ লিখেছেন—সেগুলি অনেক তাত্ত্বিক সাহিত্যিকদের কাছে অশ্লীল বলে মনে হয়েছে। কিন্তু মূল্যায়নে ফ্রাইডের গল্পগুলি অবশ্যই কালোত্তীর্ণ। যৌন চেতনায় অনভিজ্ঞ এক যুবতীর কথা নিয়েই এই প্রবন্ধধর্মী গল্পটি।

পূর্ণিমার রাতে যখন পূর্ণ চাঁদের হাট বসে, তরুবীথি ঘেরা সুবাসিত উদ্যানে একা একা ঘুরে বেড়ানোর সময় হঠাৎ অতর্কিতে যদি কোনো যুবক সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ মেয়েকে পিছন থেকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরে কোনো কথা নেই, বার্তা নেই তার মুখটা মেয়েটির মুখের উপর নামিয়ে এনে তার তৃষিত ওষ্ঠদ্বয় মেয়েটির উষ্ণ ওষ্ঠদ্বয়ের উপর চেপে ধরে চুমু খায়, স্ফুরিতক চুম্বনে রক্তবর্ণ করে দেয় তার প্রেমিকার ওষ্ঠ, আর সেই চুম্বনে বৃষ্টি-পড়া কদমের মত কণ্টকিত হয় তার ওষ্ঠদ্বয়, তখন মেয়েটি কি করে বুঝবে যে, সেটা তার যৌন অনুভূতি, আর সেই হবে তার চুম্বনের প্রথম স্মৃতি!তার সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত দেহ ও মনে এই যে এখন এই মুহূর্তে অন্য সব ভাবাবেগ আর সংবেদন থেকে যৌনানুভূতিকে আলাদা করে রাখার প্রয়োজনীয়তা, এরকম কিছুই ঘটেনি এর আগে তার জীবনে। এবং সাহায্যের জন্যে তাকে এভাবে হাহাকারও করতে হয়নি। যৌন উত্তেজনা হলে পুরুষদের মধ্যে একটা লক্ষণ যেমন অত্যন্ত প্রকট হয়ে ওঠে তাদের সেই ভাব প্রকাশ পায় তাদের স্তনবৃন্তের কাঠিন্যলাভের মাধ্যমে। কিন্তু অ্যানির শরীরে সেরকম ভাব কখনো দেখা যায়নি এর আগে। এটা যৌনতা প্রকাশের লক্ষণ, এরকম কোনো ইঙ্গিতও তার দেহ কখনো দেয়নি, এমন কি অপর ভাবাবেগ, রোমান্টিক সাদৃশ্য, এসবের সঙ্গে তার জ্ঞান বা উপলব্ধি বলতে যা বোঝায়, সেরকম কিছুই ছিল না।

যৌন ব্যাপারে অ্যানি ছিল একেবারে অনভিজ্ঞ। নারী ও পুরুষের কি সম্পর্ক, উভয়ের কাছে উভয়ের দেহের প্রয়োজনীয়তা এবং সেই প্রয়োজনের সদ্ব্যবহারে যে এক অনাস্বাদিত সুখানুভূতি জাগে উভয়ের দেহ-মনে এসব কিছুই জানা ছিল না অ্যানির। এর জন্য অবশ্য তাকে নিস্পাপ আখ্যা দিলে বোধ হয় সত্যের অপবাদ হবে, কিংবা প্রকৃতিকে অবমাননা করা হবে এই কারণে যে, সময়ে নারী পুরুষের দেহ-মনে যৌনানুভূতি জাগাটা কোনো সামাজিক অপরাধ নয়, বরং প্রকৃতির নিয়মে তাকে বলা যায় অক্ষম অজ্ঞ কিংবা নিষ্ক্রিয় যা কখনোই কাম্য হতে পারে না। আর যদি কোনো নারী পুরুষের মধ্যে এ ধরনের মনোভাব চলতেই থাকে চিরদিন, তাহলে সষ্টির বিনাশ ঘটবে, নতুন প্রজন্মের জন্ম আর হবে না। একটা পরিবার, একটা জাতির। তথা একটা দেশের অস্তিত্ব তখন বিলুপ্তপ্রায় হয়ে দাঁড়াবে।

এমন অনেক মেয়ে আছে, যৌন ব্যাপারটা যার কাছে একেবারে অদ্ভুত, ঘৃণ্য এবং গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। একটি মেয়েকে আমি জানি, বিয়ের জয়েও যে তার স্বামীর সঙ্গে দেহ মিলনে লিপ্ত হওয়া দূরে থাক এমনকি স্বামীর সঙ্গে একই শয্যায় তার সঙ্গি নী হয়নি বিয়ের পর অন্তত দু’মাস পর্যন্ত তো বটেই। যৌনবিদ তথা মনস্তত্ববিদরা বলে থাকেন, স্বামীর সঙ্গে মেয়েটির যৌন সংসর্গে আতঙ্কের প্রধান কারণ হল, তার যৌনজ্ঞানের অভাব। বিয়ের আগে পর্যন্ত সে জানত না নারী-পুরুষ তথা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কি, সে জানত না বিয়েটা নারী ও পুরুষের অবাধ দেহ মিলনের একটা আইনসিদ্ধ ছাড়পত্র, আর সেই ছাড়পত্রের মর্যাদা দেওয়া উচিত প্রতিটি নারী ও পরুষকে। এই জ্ঞান মেয়েটি উপলব্ধি করেছিল এক অদ্ভুত ঘটনার মধ্যে দিয়ে। তার স্বামী ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জঙ্গলের ফরেস্ট অফিসার। বিয়ের ছ’মাস পরে মেয়েটি তার ফরেস্ট অফিসার স্বামীর সঙ্গে তার কর্মক্ষেত্রে চলে যায়। তার স্বামীর বাসস্থান ছিল জঙ্গলসংলগ্ন একটা বাংলোয়। সেখানে এক পূর্ণিমার রাত্রে মেয়েটি তাদের শয়নকক্ষের জানালার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। সেই সময় তাদের বাংলো সংলগ্ন উদ্যানে এক জোড়া হরিণ-হরিণী মৈথুন ক্রিয়ায় লিপ্ত ছিল, তারা তখন সৃষ্টির নেশায় বিভোর। মেয়েটি সেই প্রথম যৌনসংসর্গের দৃশ্য চাক্ষুস করে, আর সেই প্রথম সে বাস্তবে উপলব্ধি করে দেহ-মিলনের প্রয়োজনীয়তা। হরিণ-হরিণীর দেহ-মিলনের সেই দৃশ্য দেখে মেয়েটি তখন তার দেহে এমন এক অদ্ভুত উত্তেজনা এবং জ্বালা অনুভব করে যে সেই মুহূর্তে সে তার স্বামী সংসর্গের তাগিদটা ভয়ঙ্করভাবে অনুভব করতে থাকে। তাই সে তখন একরকম ছুটে তার স্বামীর শয্যাপাশে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার বুকে, এবং কিছুক্ষণ পরেই মেয়েটি তার স্বামীর সঙ্গে স্বেচ্ছায় মিলিত হয়, সেই প্রথম সে মিলনসুখ উপভোগ করে, যা তার কাছে পরম সুখপ্রাপ্তির সামিল বলে মনে হয়। তারপর মিলনে সে আর কখনো তার স্বামীর ইচ্ছার বিরোধিতা করেনি। তারা তখন এক আদর্শ সুখী দম্পতিতে পরিণত হয়। | এক্ষেত্রে সম্ভবত অ্যানি যখন ছোট ছিল, নয় কি দশ বছর বয়স হবে তার, সেই। সময় একদিন তার দুই উরুর সন্ধিস্থলে তার বালিশটা চেপে ধরতেই এক রোমান্টিকর অনুভূতি জেগে উঠেছিল তার দেহের প্রতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে তার মনে হয়েছিল তার উরু সন্ধিস্থল থেকে যেন আগুনের স্ফুলিঙ্গ বেরিয়ে আসছে, যে আগুন তার পক্ষে একা নেভান সম্ভব নয়, তার তখন একজন পুরুষ সঙ্গী চাই, যে তার দেহের আগুন নিভিয়ে দিতে পারবে। এই উদ্ভট কল্পনা প্রায়শই মেয়েদের মনে যখন জাগে তখন তাদের বয়স খুবই কম। খারাপ পাইরেটের মতোই সেই কল্পনা তাদের নিস্পাপ মনটা দখল করে নেয়, আবার এমন কিছু বদ লোক আছে যাদের এমন কিছু কিছু কল্পনা আছে যা নিষিদ্ধ, যা মেয়েদের দেহ-মন কলুষিত করে দিতে পারে, অপবিত্র করে দিতে পারে, সেসব অনুভূতিগুলোই ফুলিয়ে ফাপিয়ে বিজ্ঞাপিত করে থাকে। তবে তাই বলে এ ধরনের অনুভূতিগুলোকে কেউই যৌন বা কামজ বলে ভাবে না। কেউ ভাবে না মাত্র ন’বছর বয়সের মেয়ের মনে কাম ভাব জেগে উঠতে পারে। ভগবান করুন, একটি চার বছর বালিকার মধ্যেও আবার প্রথম যৌন অনুভূতি সক্রিয় হয়ে ওঠার কথাটা যেন সত্যি না হয়, মিথ্যে বলেই উড়িয়ে দেওয়া যায়। তবুও এটা একটা ঘটনা, সেই সব বালিকাদের অভিভাবকদের বড় ভাবনা, বড় দুশ্চিন্তা।

কোনো মেয়ে কি ভাবছে, কি অনুভব করছে নিজের কাছেই তার কোনো ভাষা নেই বর্ণনা দেওয়ার মতো, তবুও সেই সব নোংরা কথাগুলো জানতে চায় না সে, কারণ ইতিমধ্যেই ভালো মেয়ে হিসাবে সুখ্যাতি পেয়েছে সে তার অভিভাবকদের কাছ থেকে। কিশোর বয়সেই সব মেয়েদেরই বিশ্বাস, সব রকমের বেদন, সংবেদন, ভালোবাসার মাধ্যমে সারতে হবে। তবে দেহকে বাদ দিয়ে কোনো ভালোবাসাই যে পূর্ণতা লাভ করতে পারে না, সেটা জানতে তাকে অপেক্ষা করতে হবে প্রাপ্তবয়স্ক প্রাপ্তি পর্যন্ত, যৌবনের পূর্ণতাই তাকে তার দেহ ও মনের সঠিক পথের নিশানা দিয়ে দেবে।

এখন দেখা যাক ছেলেটি কোনো মেয়েকে চুমু খেলে তার কি প্রতিক্রিয়া হয়। ছেলেটি মেয়েটির মনে এই সব মনোভাব জাগিয়ে তোলে তার নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে যা সে রপ্ত করেছিল যৌন উত্তেজক গানের কথা আর সুর থেকে। রোমান্টিক উপন্যাসের পরিচ্ছদ থেকে, ছায়াছবির প্রেমের দৃশ্য থেকে। ছেলেরা যখন বহির্জগতে বেরিয়ে নানান ভালোমন্দ লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করতে গিয়ে সৎ মানুষের গুণগুলো আহরণ করে সৎসাহসী এবং স্বাধীন হওয়ার শিক্ষালাভ করতে থাকে, তখন মেয়েরা অন্দরমহলে থেকে একসাথে থাকার অভ্যাসকরা অন্য মেয়েদের সঙ্গে নাচ করা, নিজেদের মধ্যে উষ্ণ আলিঙ্গনে আবদ্ধ হওয়া, কি করে পুরুষদের কাছ থেকে দূরে থেকে দেহের পবিত্র বজায় রাখা, এসব অভ্যাসগুলো রপ্ত করতে ব্যস্ত থাকা।এ ধরনের নিচ্ছিদ্র বন্ধুত্বের ফলে মেয়েরা বহুর মধ্যে একতা রক্ষা করে চলতে দেখে যেমন তারা তাদের মায়ের সঙ্গে এক হয়ে থাকে, আর এই ভাবটা জিইয়ে রাখার জন্যে তারা বারবার নিজেদের মধ্যে অভ্যাস করে নিতে থাকে যতক্ষণ না ছেলেরা তাদের গ্রহণ করার জন্যে নিজেদেরকে প্রস্তুত করে তোলে। আর যদি এই সব ভালো ভালো বন্ধুত্বের মধ্যে একটিওতালগোল পাকিয়ে যায় কিংবা ভণ্ডুল হয়ে যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে বিশ্বাসভঙ্গের বেদনা কোনো মায়ের পরিত্যক্ত শিশুর বেদনারই সামিল বলা যায়।

এই বিশ্বাস ভঙ্গতা স্বাবলম্বনে বহু প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যাপারে তেমন কোনো উপকার করতে পারেনা।বরং পতনই ডেকে আনে তাদের জীবনে। মেয়েরা তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত ধ্যান ধারণার বাইরে কতটুকুই বা জানে? তারা তাদের সারাটা জীবন ধরে একসঙ্গে থাকা, ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার জন্যেই শুধু প্রশংসিত হয়ে থাকে, কিন্তু সেই সব স্থিতবস্তা বজায় রাখতে গিয়ে তাদের যে কি পরিমাণ আত্মবলি দিতে হয় সেটা ঘুণাক্ষরেও কেউ ভেবে দেখার প্রয়োজন মনে করে না।

তাই তারা পূর্ণ চাঁদের হাটে নিজেদেরকে একসাথে সামিল করেছে আজ। ছেলে এবং মেয়েটি ছেলেটিকে দেখে মনে হয়, বেচারা নিরীহ নিস্পাপ, তার সম্পর্কে ‘মেয়েটির ধারণা এই রকমই।এবং এরকম একটা ভালো ধারণা করে নিয়েই সে তাকে স্পর্শ করে,চুমু খায়, সুখ অনুভব করে। এখন দেখতে হবে যুবকরা এইসব মেয়েদের কতটুকুই বা জানে? তার একটা হাত তখন মেয়েটির কোমর বেষ্টিত এবং আর অন্য হাতটি তখন মেয়েটির দুই উরুর সন্ধিস্থল ছুঁই ছুঁই। মেয়েটি আশৈশব যে পবিত্র ভাবধারায় বড় হয়ে উঠেছে, তার কাছে ছেলেটির এমন এক বিসদৃশ ব্যবহার যেন তার কাছে বিনামেঘে বজ্রাঘাতের সামিল। তাই সে সঙ্গে সঙ্গে ফুঁসে ওঠে। মেয়েটি তখন ক্রুদ্ধ স্বরে ছেলেটিকে তিরস্কার করে বলে, সে এক জঘন্য চরিত্রের ছেলে। মেয়েটি কেঁদে ফেলে। ছেলেটি কি করে তাকে বাজারি মেয়ে ভাবল? এতদিন সে ভালো মেয়ে হওয়ার সব রকম নিয়ম-নিষ্ঠ পালন করে এসেছে, তার সেই প্রাপ্য মর্যাদা দেবে না ছেলেটি? ছেলেটি তার এই সব ভালো ভালো কাজের পুরস্কার হওয়ার কথা, তাকে এভাবে নির্যাতন করার কথা নয়। তাছাড়া, তাছাড়া মেয়েটি তার বাহুবন্ধনে আবদ্ধ থাকার সময় যে রোমান্টিক ভাব অনুভব করেছিল, অপর হাত দিয়ে সেটা সে ধ্বংস করে দিয়েছে। | ছেলেটি তার ওপর যে অন্যায় ব্যবহার করেছে, তার খেসারত তাকে দিতেই হবে। যদি ছেলেটি আবার তার হাত মেয়েটির গায়ে দিতে চায়, তাহলে সেটা হবে তার শর্তে। কোনো ছেলের সঙ্গে কোনো মেয়ের বন্ধুত্ব স্থাপন করার ক্ষেত্রে মেয়েটির প্রথম শিক্ষাই হল তাকে আভাস দেওয়া এই বলে যে, যৌনভাবটাকে সময় মতো ব্যবহার করার আগে পর্যন্ত প্রশমিত করে রাখা। এর জন্যে যদি ছেলেটির মনক্ষুন্ন হয় তাহলে সে নাচার।

আরতার পক্ষে, ছেলেটি এবার মেয়েটির ওপর ভার দেয়, সেস্থির করুক তাদের মধ্যে কোনো সেক্স হবে কি হবে না। মেয়েটি এর আগে যে ভাবে ছেলেটির ওপর তার ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল, সে কথাটা মেয়েটিকে মনে করিয়ে দিতে চাইল সে। ছেলেটিও তাকে এও জানিয়ে দেয় যে, মেয়েটিকে এখনও চায় সে। ভালোবাসার দরাদরি তাকে এমন বিরক্ত হয়ে যে করতে হবে ভাবতেই পারেনি ছেলেটি। তাই এভাবেই না বলা শর্তে তাদের ভালোবাসার ভিত এভাবেই রচিত হল। অতএব নারী ও পুরুষের মধ্যে এভাবেই যুদ্ধের সূত্রপাত।

যদিকখনো মেয়েটি উপলব্ধি করে, যৌনতার অধিকার তার আছে, যৌবনপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তার দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এমন কী প্রতিটি লোমকূপে যৌনতার প্রকাশ ঘটেছে, যা তার প্রেমিকের কাছে আকর্ষণীয় এবং প্রকৃতির নিয়মে সেটাই কাম্য এই কারণে যে, যৌনক্রিয়া এক নারী কিংবা একা পুরুষের শত চেষ্টাকৈও সম্পন্ন করা সম্ভব নয়, সেটা করতে হয় যৌথভাবে উভয়ের সম্মতিতেই। তার এই নবলব্ধ উপলব্ধির পরেও কি মেয়েটির মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয়? হস্তমৈথুন সব কিছুর সমাধান করতে পারে না। তাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হল, ভালোবাসা থেকে যৌনভাবটাকে কখনোই আলাদা করে রাখা উচিত নয়, প্রেম ও যৌন এ দুটি একে অপরের পরিপূরক, তাই এ দুটিকে এক সাথে নিয়েই ঘর করতে হয়। মেলামেশা করতে হয় প্রতিটি নারী পুরুষকে।

মেয়েদের মেয়েবেলার ভাবধারা অন্যরকম থাকে, মায়ের শিক্ষায় অন্য ভাবে তারা নিজেদেরকে গড়ে তোলে। মায়ের শিক্ষা হল, সবসময় নিজের দেহটাকে পবিত্র রাখার চেষ্টা করবে, কুমারীত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করবে, পুরুষের প্রলোভন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবে। ঠিক আছে, এই মেয়েবেলা পর্যন্ত, কৈশোর বয়স পর্যন্ত। কিন্তু কৈশোর পেরিয়ে যখন সে যৌবনে পা দেবে, তখন সেক্স সম্পর্কে তার শিক্ষা, ধ্যান ধারণা সব বদলে দিতে হবে। তখন তার মায়ের উচিত তাকে বোঝান, এরপর থেকে হস্তমৈথুনে তার রতিতৃপ্তি লাভের প্রয়োজন আর নেই, এখন তাকে সরাসরি তার মনের মতো পুরুষের সঙ্গে দেহমিলনে লিপ্ত হয়ে যৌনসুখের সন্ধান করা উচিত। এখন তাকে প্রকৃত ভালোবাসার পাত্রের সন্ধান করতে হবে, তার সঙ্গে প্রেম করতে হবে, তাকে জানতে হবে, তার মধ্যে জেগে উঠবে যৌনভাব, এবং তার দেহেরও প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে যৌনতার প্রকাশ প্রকট হয়ে উঠবে, যেমন মেয়েটি তখন তার স্তনে তার প্রেমিকের চাপ আকাঙ্খ করবে, প্রেমিকের চুম্বনে সে তার ওষ্ঠদ্বয় রক্তবর্ণ করে তুলতে চাইবে, পুরুষ কৌমার্য হরণ করতে হত তাকে। আর এভাবেই সে উদগ্র সঙ্গমেচ্ছ করে তুলতে পারবে নিজেকে। কৈশোরে সে তার মায়ের কাছে সেক্স থেকে দূরে থাকার শিক্ষাটা এখন বদলাতে হবে, নিজেই নিজেকে সেক্স সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে, এবং হস্তমৈথুনের প্রয়োজনীয়তা ভুলে যেতে হবে তাকে। নিজেকেই যৌন জীবনে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে, তা না হলে তার বিবাহিত জীবন সুখের হবে না, অসময়ে অপমৃত্যু ঘটতে বাধ্য। তবে এক্ষেত্রে ছেলেদেরও একটা ভূমিকা আছে। দায়িত্ব আছে মেয়েটিকে যৌনসুখী করে তোলার, তাকে যৌন জীবনে নিয়ে আসা। তবে ছেলেটির সর্বপ্রথম কাজ হবে তাকে ভালোবাসতে হবে, তার গভীর ভালোবাসা দিয়ে মেয়েটিকে বোঝাতে হবে ভালোবাসা আর সেক্স এ দুয়ের সম্পর্ক ঠিক স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মতো। কোনোটাকেই বাদ দেওয়া যায় না জীবন থেকে। আর তাতেই সাফল্য পাবে সে, মেয়েটিকে তার সঙ্গে যৌন মিলনে রাজি করাতে পারবে।

Leave a Reply