নতুন গল্প ২৫ – বিনোদ ঘোষাল

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

জাতক কাহিনি

…..অনুপম দেখল মঞ্জু উঠে দাঁড়িয়ে দু-হাত পিছনে তুলে টাইট করে খোঁপা বাঁধছে। সবুজ ব্লাউজটার বগলের কাছদুটো গোল হয়ে ভিজে। ভারী বুকদুটো টান খেয়ে আরও উঁচিয়ে উঠেছে। এক মুহূর্তের জন্য অনেকদিন পর গোটা শরীর শিরশিরিয়ে উঠল অনুপমের।…..
…..প্লাস্টিকটার ভিতর থেকে সকালের সেই দলা পাকানো বেডশিটটাকে বার করে অকারণ সাবধানে, যত্নে, আদরে সামনে তুলে ধরল আর ঠিক তখনই হ্যা ট শা ল … লাহ বলে অনুপম উপোসি বেড়ালের মতো থাবা মারল মঞ্জুর বুকে। খামচে ধরে একটানে ফরফর করে ছিঁড়ে ফেলল ব্লাউজ, হলদেটে হয়ে যাওয়া সস্তার সাদা ব্রেসিয়ার। এতক্ষণ ভিতরে ঠেসে গুটিয়ে থাকা মঞ্জুর শামুক রঙের বুকদুটো আচমকা ছাড়া পেয়ে যেন হইহই করে অনুপমের সামনে প্রাণপণ মেলে ধরল নিজেদের। নখ গেঁথে গিয়ে চামড়া উঠে মঞ্জুর দুটো বুকের ঠিক মাঝখানে নিমেষে রক্ত জমে উঠল দেখল অনুপম। অথচ মঞ্জু যেন কিছুই টের পেল না। শুধু চুপ করে স্থির দাঁড়িয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকল অনুপমের দিকে। অসহ্য তাকিয়ে থাকাটা। চাদরটা গুটলি পাকিয়ে মেঝেতে পড়ে রয়েছে।…..

লাস্ট ট্রেনে একটি পরি

…..মেয়েছেলে এতরাত্তির পর্যন্ত … বলে থেমে গিয়ে আরেকটা বিড়ি ধরিয়ে পরিটার ফিগার চোখ দিয়ে মাপতে থাকে খেটো। উস স বুক তো না, পুরো সরবতি লেবু মাইরি। বাইরে থেকে সাইজ যা দেখাচ্ছে বোঝাই যায় ভিতরে হেব্বি রস হবে।….
……আঙুলগুলো কাঠি কাঠি। টান টান করে খোঁপা বাঁধা চল। সবই দেখা যাচ্ছে, কিন্তু সালোয়ারের ওড়নাটা এমনভাবে চাদরের মতো গায়ে জড়িয়ে রেখেছে যে বুকের সাইজটা এখন মাপা যাচ্ছে না। তবে অ্যাদ্দিনের এক্সপিয়েন্স যা বলছে মাল খারাপ হবে না।…..

জ্বালা

….উঁ … সুড়সুড়ি লাগছে’ বলে সুনন্দা ওর বুকের ওপর রাখা আমার হাতটা সরিয়ে নিয়ে নিজের গালের ওপর রাখল। পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়ার সাহস এখনও ওর হয়নি।…..
…..এই মেয়েটার বয়স বোঝা সত্যি কঠিন। দড়ি পাকানো চেহারা। থ্যাবড়ানো বুক। খদ্দের পায়? আমি আর সুনন্দা সুড়সুড় করে পিছনে ঢুকলাম।
আমার পাশেরটার দিকে তাকালাম। শ্যামলা গায়ের রং। লালচে চুল ভিজে সপসপে। চওড়া কপাল, শাড়ির আঁচলের সামনেটা ভিজে সরু হয়ে ধ্যাসড়ানো দুটো বুকের মাঝখানে চলে গেছে। এক আঙুল গভীর নাভি বার করা বিশাল উদোম ভুঁড়ির ওপর আলো পড়ে চিকচিক করে উঠছে।…..
….তারপর চুঁইয়ে চুঁইয়ে হাতটা নামিয়ে আনলাম সামনের দিকে। সুনন্দার জিন্সের প্যান্ট আর সাদা স্লিভলেস শার্ট ভিজে সপসপে। শার্টের ভেতর দিয়ে ব্রা-এর আকৃতি স্পষ্ট। আমি ওর শার্টের প্রথম বোতামে হাত রেখে টুকুস করে বোতামটা খুলে আড়চোখে একবার ডানদিকের মুটকির দিকে তাকালাম। সে বাইরের দিকে উদাসভাবে তাকিয়ে আছে। আমাদের নিয়ে একটুও মাথাব্যথা নেই। আমি আর সময় নষ্ট না করে আমার ভেজা ঠান্ডা হাতটা সরীসৃপের মতো নি:শব্দে চালান করে দিলাম সুনন্দার জামার ভেতর। ও শুধু উঁ করে আলতো একটা আদুরে শব্দ করল। আমি নির্বিকার।…..
….আমার দিকে তাকাল। মেয়েছেলে দুটোর স্ল্যাং-এ ও খুবই বিরক্ত। আমি ঠোঁট বেঁকিয়ে ওদের কথায় পাত্তা না দেওয়ার ইশারা করে আরেকটু চাপ দিলাম। বেশি হয়ে গেল বোধহয়। সুনন্দা উহ করে উঠল। আমার বাঁ হাত এখন সুনন্দার জামার ভেতর কবজি পর্যন্ত ডোবানো। কবজি ডুবিয়ে মাংস খাওয়া যাকে বলে … হ্যা-হ্যাহ … মুটকি আমার হাতের কন্ডিশন দেখেছে নিশ্চয়ই, দেখুক গে।…..
….আমি ওদের কথা শুনতে শুনতেই নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
সুনন্দা ফিসফিস করে বলল অ্যাই দেখছে কিন্তু।
দেখুক।….
….শুনেই মুটকি বেমক্কা ফুঁসে উঠল। দাঁতে দাঁত ঘষে বলল আমার কী ইচ্ছে হয় জানিস, সবকটা ব্যাটাছেলের বুকে অমন দুটো করে তাল বসিয়ে দিই। একবার বুঝুক শালারা জ্বালা কাকে বলে !
সুনন্দার জামার ভেতর ঢোকানো অর্ক সেনগুপ্তর হাত জীবনে প্রথমবার থিরথির করে কেঁপে উঠল। টেনে বার করে নিতে গেলাম, বেরল না। কীসে যেন আটকে গেছে। আচমকা অসহ্য জ্বালা করে উঠল।…..

Please follow and like us: