কাল-ভৈরবের ঘাট – বিনোদ ঘোষাল

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

…..কালো কুচকুচে দাড়ি-গোঁফ, মাথা জোড়া টাক, পিঠে বুকে ভাল্লুকের মতো গোছাগোছা লোমওলা মুশকো লোকটা বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে। বিশাল চেহারাটা সম্পূর্ণ নগ্ন। তার নীচে চিত হয়ে শুয়ে রয়েছে একজন মহিলা। লোকটার চওড়া হাতের আড়ালে মহিলার মুখটা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু সে গোঙাচ্ছে। আরামে না যন্ত্রণায় বোঝা যাচ্ছে না, আর পুরুষটা বুনো শুয়োরের মতো ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে শব্দ করছে শরীরী সুখে। লোকটা রমণরত। দুলছে। মহিলার শাড়ি, ব্লাউজ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ঘামে জবজবে হয়ে উঠেছে শরীরদুটো।
টিনের দরজাটার শিকল তুলতে আজ ভুলে গিয়েছিল মেয়েটি। লোকটা আজও দুপুরে এসেছিল তীব্র খিদে নিয়ে। এসেই আর সময় দেয়নি। টেনে হিঁচড়ে মুরগির শরীর থেকে পালক ছাড়ানোর মতো করে ছাড়িয়েছিল মেয়েটার শাড়ি, ব্লাউজ, সায়া। তারপর ওর শরীরটাকে চৌকির ওপর ফেলে নিজের গেঞ্জি আর লুঙ্গি খুলে ফেলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।……

…..বিছানায় উদলা গায়ে এক মহিলা শুয়ে রয়েছে। কাল রাতে কালো কার সঙ্গে শুয়েছিল মনে পড়ল না। মুখ ঝুঁকিয়ে দেখল, ওহ কামিনী শুয়ে। বিশ্রী ভঙ্গিতে শুয়ে আছে। এক লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দিতে ইচ্ছে করল কালোর। চিত হয়ে ঘুমোচ্ছে কামিনী। গায়ে চাপানো কম্বলটা সরে গিয়ে ভারি বুকদুটো বেরিয়ে দুইদিকে সামান্য ঝুলে রয়েছে। কামিনীর চেহারা একটু ভারি। কিন্তু শরীরী খেলায় এখনও কালোর অন্য বউদের থেকে অনেক এগিয়ে। কিন্তু সঙ্গমের পর মেয়েছেলে নিয়ে শুতে কালোর একেবারে ভাল লাগে না। কোনওকালেই লাগে না। কিন্তু কামিনী যেহেতু কালোর প্রথম বউ তাই ওকে কিছুটা ছাড় মাঝেমাঝে দিয়ে থাকে।……

……পরিত্যক্ত নবাববাড়িটা হচ্ছে কালোদের আড্ডার জায়গা। এখানে বসেই ও বন্ধুদের সঙ্গে গুলতানি করে। বিড়ি খায়, দিশি মদও চলে মাঝেমাঝে। বয়সোচিত আরও কিছু কুকর্মও করে। আজ সেটাই চলছিল। কালো এবং ওর আরও চারজন বন্ধু ওই ভাঙা বাড়ির আড়ালে দাঁড়িয়ে হস্তমৈথুন করছিল। ওদের সামনে মাটিতে রাখা রয়েছে একটা হিন্দি সিনেমার আধছেঁড়া পোস্টার। পোস্টারে এক স্বল্পবসনা নায়িকার ছবি। পোস্টারটা আজই কালোর গ্রুপের এক বন্ধু নিয়ে এসেছে কোনও এক পাঁচিল থেকে ছিঁড়ে। এবং প্রত্যেকে দেখার পরেই দলগতভাবে এই সিদ্ধান্ত। এমন কীর্তি ওরা এখানে নিয়মিত করে। করতে করতেই দলের একটা ছেলে সাদা শাড়ি পরা নায়িকার দিকে চোখ রেখেই বলে উঠল, মালটা বিধবা হলে কী হবে কেমন বডিতে শাঁস দেখেছিস শালা!
আরেকজন বলল, আরে অল্পবয়সে বিধবা হলে শাঁস বেশি হয়, জানিস না, বলে কালোর দিকে তাকিয়ে খিকখিক করে হাসল ছেলেটা।
কালোর বুঝতে একটুও অসুবিধা হল না যে ইঙ্গিতটা ওর মায়ের দিকেই। ও গায়ে মাখল না।
কী রে কালো ভুল বললাম? এমন ডবকা বডি দেখে আমরা শালা এদিকে হাত মারছি আর ওদিকে আরেকজন আসল ক্ষীর খাচ্ছে।
আরেকজন দাঁত বার করে জিজ্ঞাসা করল, কার কথা বলছিস একটু সোজাই বল না ভাই। আমরাও তাহলে ক্ষীরের সন্ধানে যাই ।…..

…..অস্ত্র থাকলে কি আর পালাতাম হারামিটার গলা ফাঁক করে দিতাম এতক্ষণে। ফুঁসে উঠল মেয়েটা। কালো দেখল মেয়েটার শরীর পুরো সাপের মতো চকচক আর হিলহিল করছে। কথাগুলোও যেন এক একটা ছোবল। শরীর জেগে উঠল কালোর। মেয়েটার ভারি বুক ওঠানামা করছে।…..

…..কালো মুচকি হাসল, বারবার তাকাতে থাকল মেয়েটার বুকের দিকে। শুকনো ঠোঁট চাটল, তারপর এরশাদকে নির্দেশ দিল দোকানে গিয়ে বিয়ের জিনিসপত্র কিনে নিয়ে আসতে।…..

Please follow and like us: