মধুচক্র – শক্তিপদ রাজগুরু

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

….প্রশান্তর সঙ্গেই যায় কোন কাফেতে, নাহয় বারে। ইরা এখন সহজ হয়ে উঠছে । দেখেছে স্বপ্নজালোকিত এই বারের হলে মদের ফোয়ারা ছোটে, ধোয়ায় যেন দমবন্ধ করা পরিবেশ। তারই মাঝে ডায়াসে নাচছে একটি স্বল্পবাসা মেয়ে, তার দেহের সব সম্পদই যে প্রকাশ্যে পুরুষের দরবারে দেখাতে চায় সে।

নির্লজ্জ পুরুষের মনের আদিম কামনার এই নগ্ন প্রকাশ দেখে শিউরে ওঠে ইরা ৷ বলে—চলুন প্রশান্তদা !…..

…..আজ ইরার মনের অতলে ওমনি ঝড়ের আনাগোনা। দুজনে যেন অমনি ঝড়ের মাঝে হারিয়ে গেছে। ইরার বঞ্চিত ব্যর্থ নারী মনে কি বিচিত্র সুর। ঘুম ভাঙ্গে তখন সকাল । এক বিছানাতে শুয়ে আছে তারা। ইরা চমকে ওঠে। প্রশান্ত বলে–টেক্ ইট্‌ ইজি ইরা। চলি—

প্রশান্ত সকালেই বের হয়ে গেছে। ইরার দেহ মনে কি একটা আতঙ্ক, গতরাত্রের সেই ঘটনাগুলো কেমন অনায়াসেই ঘটে গেছে। প্রশান্ত এক অন্যজীবনের স্বাদ এনেছে ইরার মনে।….

…..এর কিছুদিন পর থেকেই ইরাও মডেলিং-এর কাজে নামে। ছ- চারজন শিল্পী, ক্যামেরাম্যানও এসে যায়। দু-চারজন আধুনিকা তরুণীও আসতে থাকে। নানা পোষাকে—এমনকি] পোষাকহীন ন্যুড ছবিও তোলা হতে থাকে।

ইরা ঠিক ভাবতে পারে না। মাঝে মাঝে দেখে প্রশান্ত গাড়িতে করে দু’একজন ভদ্রঘরের বৌ মেয়েদের আনে। ওদিকে ঘরে এসে হাজির হয়, কিছু আধবুড়ো তরুণ দল। হৈ চৈ চলে-মেয়েদের উছল হাসি, মদের গ্লাসের টুং টাং শব্দ ওঠে।

…টাকার লেন-দেনও হয়। আবার ঘণ্টা কয়েক পর ওই রঙ্গিনী — নাগরদের দল যে যার গাড়িতে হাওয়া হয়ে যায়। 

নাহয় মেয়েদের জুয়োর আসর বসে। ইরা যেন কিছুটা বিব্রত বোধ করে। সে বেশ বুঝেছে এখানে মডেলিং-এর নামে দেহ বেশাতির ব্যবসাই যেন চলছে। ক্যামেরায় মডেলের ছবি নয়—নগ্ন মেয়ে-পুরুষের বিশ্রী ভঙ্গীর ব্লু-ফিল্মই তোলা হয় । ওই লোকদের ঠিক সে চেনে নি ।…..

…..অনুপ – এই সুন্দরীর পিছনে এবার একটু ‘ওয়াক’ করো মাঝে মাঝে । অবশ্য লোকসান হবে না, বাঙ্গালী মেয়েদের সৌন্দর্য পিছনের দেহতে। তাই ভ্যাখো কিছু দিন?….

Please follow and like us: