সার্প অবজেক্টস – গিলিয়ান ফ্লিন

›› অনুবাদ  

রূপান্তর: প্রান্ত ঘোষ দস্তিদার

….“এখানে কি চাই?” প্রশ্নটা ভেসে এল বসে থাকা দলের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটার কণ্ঠ থেকে। ওর লাল হয়ে যাওয়া চেহারাটা সদ্য কৈশোরে পা রাখা মেয়ের মতো গোলগাল, চুলগুলো ফিতে দিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বাঁধা। আর ওর উন্নত বুক ঠিক যেন প্রাপ্তবয়স্কদের মতো গর্বিত ভঙ্গিতে মাথা তুলে রয়েছে। শারীরিক গঠনে বেশ সৌভাগ্যবতী বটে।…..

…..’ওর গলা সবথেকে বেশি চড়া, তাই ও আমাদের নেতা,” একটা বেঁটেখাটো লালচুলো মেয়ে ফ্যাসফ্যাসে গলায় ঘোষণা দিলো ।
“আর ওর বুকও সবথেকে বড়,” বলল দ্বিতীয় মেয়েটা, ওর চুলের রঙ স্বর্ণালি । হলদেটে গোলাপি চুলের মেয়েটা অ্যামার বাম স্তনে টিপে বলল, “এর অর্ধেক আসল, আর অর্ধেকটা প্যাড বসিয়ে বাড়ানো ।….

…..জ্যাকি ওর হাতের রুটিটা সসে ডুবিয়ে মুখে পুরে বলল, “আমার মতামত তো সবাই জানে । ঐযে মরা মেয়েটার বাপ, বব ন্যাশ। বড্ড কামুক ব্যাটা, ওর দোকানে গেলেই আমার বুকের দিকে তাকিয়ে থাকে।
‘তোমার বুক বলে কিছু আছে নাকি!” আমাকে কনুই দিয়ে ঠেলে জ্যাকিকে ব্যাঙ করল অ্যানাবেল।…..

…..“একবার, এইটের একটা মেয়ে মদ গিলে মাতাল হয়ে গিয়েছিলো স্কুল পার্টিতে, আর সেখানেই ফুটবল টিমের চারপাঁচ জনের সাথে দৈহিক মিলন ঘটে ওর। বলতে পারেন, ওরা মেয়েটাকে নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছিল। এটাকে কি কোনও তথ্য বলা যায়?”…..

…..সিনিয়র এক খেলোয়াড় আমাকে বগলদাবা করে নিয়ে গিয়েছিলো বনের ওদিকটায়। আমি তাকে সন্তুষ্ট করার আগে উপহারে চুমু দিতে নারাজ ছিল লোকটা। আর কাজ শেষ হতেও চুমুটা দেয়নি ও, আমার নোংরা মুখের ছুতো দেখিয়ে। এসব ছেলেমানুষি ভালোবাসা। ……

…..ঘটনাটা সেই ঝড়ো রাতের কয়েকদিন পরের, যে রাতে চারজন ফুটবল খেলোয়াড়ের সাথে দৈহিক মিলন হয়েছিল আমার। যেটা শুনে রিচার্ড ধর্ষণ বলে দাবি করেছে। তখন সবে ক্লাস এইট, চারজন ছেলের সাথে আমি একা; সেসময় যে অভিযান হয়েছিলো তা গত দশ বছরের ঘটনাগুলো জোড়া দিলেও হবেনা। আর তারই নিদর্শনস্বরূপ শরীরের এক খাঁজে লেখা হয়েছে কিছু শব্দ, ব্লেডের খোঁচায় ।…..

…..গাড়িটার পেছনে লেগেছে অ্যামা আর ওর বাহিনী। অ্যামা ড্রাইভারের জানালা ধরে ঝুঁকে পড়েছে, যেন নিজের শরীর দেখিয়ে জ্বালাতে চাইছে ড্রাইভার ছেলেটাকে। ছেলেটার দীর্ঘ ধুলোটে স্বর্ণকেশ, ঠিক যেন গাড়িটার সাথে মানানসই। অন্য মেয়েগুলো অ্যামার পেছনেই, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে, আর সবথেকে লম্বা মেয়েটা ঝুঁকে নিজের পেছন প্রদর্শনী করছে জুতোর ফিতে বাঁধার ছলে । ভালো কৌশল!
মেয়েগুলো আমাদের দিকে সরে এলো, অ্যামা পাগলের ধোঁয়া সরানর চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো। ….. দীর্ঘাঙ্গী জোডেস ছাড়া আর সবাই মোটামুটি উন্নত স্বাস্থ্যের অধিকারী, এই বয়সেই। বোঝাই যায় গড়ায় গন্ডায় দুধ, গরু আর শুয়োরের মাংসের পুষ্টি জমা হয়েছে ওদের ভেতর।…

…..অ্যামা বসে আছে, জনের দিকে তাকিয়ে তেল ঘসছে কাঁধে, বুকে, বিকিনির মধ্যে দিয়ে হাত পুরে । আর জনকে দেখছে। জনের কোনও ভাবলেশ নেই, ওর ভঙ্গিটা কোনও বাচ্চার টানা ছয় ঘণ্টা টিভি দেখার পরের অবস্থার মতো। যত উত্তেজক ভাবে অ্যামা তেল ঘসছে তত কম আগ্রহ দেখা যাচ্ছে ওর ভেতর। অ্যামার বিকিনির একটা ধার সরে (ভতরের কিছুটা দৃশ্যমান হল সহসা। মাত্র তের বছর মেয়েটার, তবুও তারিফ করতে হল ওর। ….

…..আমি দুঃখ পেলে নিজেকে আঘাত দিই, কিন্তু অ্যামা আঘাত করে অন্যকে। আমি কারও মনোযোগ টানতে চাই, নিজেকে সঁপে দেই তার হাতে, আর অ্যামার আবেদন আগ্রাসী। লম্বা ছিপছিপে পা, সরু কোমর, রিনরিনে কণ্ঠ এই সবগুলোকে বন্দুকের মতো তাক করে ও। আর আহবান জানায়- এসো, সন্তুষ্ট করো আমায় ।…..

….“ভালো লেগেছিল?”
সম্মতিতে মাথা নাড়লাম আমি। ভালো লাগার ব্যাপারটা তিন নম্বর ছেলেটার আগে পর্যন্ত বুঝিনি।
“আমার সাথে চলবে? এখন?” ফিসফিসিয়ে বলল রিচার্ড।
আমি সম্মতি দিতেই ব্যস্ত হয়ে পড়লো ও ।
“দাঁড়াও, ধৈর্য ধর। আমার কথা শোন,” থাকুক, আমার এভাবেই ভালো লাগে।”
“না, আমি ছুঁতে চাই তোমায় ।”
“আমার কথা শোন, বাবু ।”
জামাটা প্যান্টটা সামান্য নিচে নামালাম, শরীর ঢাকা রইলো শার্টেই, আদুরে চুমুতে ব্যস্ত রাখলাম ওকে। তারপর ওকে নিয়ে এলাম আমার ভেতরে, পোশাক পড়েই মিলিত হলাম আমরা। কয়েকটা শব্দ জ্বলে উঠলো শরীরের ভেতর, গত দশ বছরে এটাই প্রথম। ওর গুঞ্জন আমার শরীরের শব্দগুলোর থেকে তীব্রতর হল ক্রমশ, আর তারপরেই উপভোগ করলাম পুরোপুরি। মধুর অনুভূতি ছড়িয়ে পড়লো সমস্ত শরীরে।……