ডোন্ট লেট গাে – হারল্যান কোবেন

›› অনুবাদ  

রূপান্তরঃ সায়েম সােলায়মান

….কালাে আঁটসাঁট কাপড় পরেছে ডেইজি, ওটার গলা বেশ গভীর। কাউকে দর্শনশাস্ত্র শেখাতে হলে ও-রকম কাপড় যথেষ্ট, আলাদাভাবে শিক্ষকের দরকার হয় না।….

…..অলস পায়ে হাঁটছে ডেইজি। টের পাচ্ছে, ওর উন্মুক্ত স্তনভাজে আর দুই পায়ে যেন কেঁচোর মতাে কিলবিল করছে বারের পুরুষ-খদ্দেরদের দৃষ্টি। বারের শেষপ্রান্তে গিয়ে, বয়স্ক ওই লােকের পাশে একটা টুলে বসে পড়ল সে।….

…..ঘাড় ঘুরাল মিলার, তাকিয়ে আছে মেয়েটার চোখের দিকে। অপেক্ষা করছে ডেইজি-ওর গলা বেয়ে লাে-কাট জামার বুকে নামবে মিলারের দৃষ্টি, আর দশজন যা দেখে তা দেখবে। পুরুষদের একতরফাভাবে দোষ দিয়ে লাভ নেই, অনেক মহিলাও একই কাজ করে। কিন্তু ডেইজির স্তনভাজের দিকে তাকাল না মিলার, বরং এখনও তাকিয়ে আছে চোখে-চোখে।….

….‘তােমার সঙ্গে এখানে কিছুক্ষণ বসে থাকলে কিছু মনে করবে?’ বলল ডেইজি, একটুখানি ঝুঁকল সামনের দিকে, আরেকটু উন্মুক্ত করার চেষ্টা করল ওর স্তনভাজ। ….

…..লাফিয়ে টুল থেকে নামল ডেইজি, জামার নিচে আন্দোলিত হলাে ওর স্তন দুটো। তা হলে থাক, আমি বরং হেঁটেই ফিরবাে।’….

….বেশিরভাগ টার্গেট ফোঁপাতে থাকে। দু’-একজন একহাতে স্টিয়ারিং ধরে রেখে অন্য হাতটা ঢুকিয়ে দিয়েছিল ডেইজির জামার ভিতরে, কিন্তু পুলিশের গাড়ি দেখামাত্র কেঁদে ফেলেছিল স্কুলের বাচ্চাদের মতাে।….

….একটা মহিলার ফিসফিসানি শােনা গেল এমন সময়…খুব সম্ভব সে-ই ধরে রেখেছে স্মার্ট ফোনটা…‘বিকৃত রুচির ওই নােংরা লোেকটা জামাকাপড় খুলে নিজের সবকিছু দেখাচ্ছে আমার মেয়েকে!

চট করে তাকালাম অগির দিকে। তার চেহারায় নির্বিকার ভাব। আবার তাকালাম ভিডিও’র দিকে। এবার অনেক বেশি কাঁপছে ভিডিওটা, উপরে-নিচে দুলছে—খুব সম্ভব হ্যাঙ্কের দিকে হাঁটা ধরেছে ওই মহিলা।

‘এখানে কী করছ তুমি?’ চিৎকার করে বলল মহিলাটা।
মহিলাকে এতক্ষণে দেখতে পেল হ্যাঙ্ক। বড় বড় হয়ে গেছে ওর চোখ।

‘জামাকাপড় খুলে কেন নিজের সবকিছু দেখাচ্ছ ছােট ছােট বাচ্চাদের?…..

……বাথরুমে গিয়ে ঢুকল মােরা, গােসল করল। টেরি ক্লথের একটা রােব পরে বের হলাে বাথরুম থেকে, চুল পেঁচিয়ে রেখেছে টাওয়েল দিয়ে। লাইট নিভিয়ে রেখেছিলাম আমরা, জানালা খুলে সরিয়ে দিয়েছিলাম পর্দা; বাথরুম থেকে যখন বের হলাে সে, পূর্ণিমার আলাে গিয়ে পড়ল ওর উপর। আরও একবার থমকে গেলাম আমি। এত সুন্দর কোনাে দৃশ্য…এত সুন্দর কোনাে মেয়ে কখনও দেখেছি কি না, মনে করতে পারলাম না।

বাথরুমে গেলাম আমিও। জামাকাপড় ছেড়ে গােসল সেরে নিলাম। কোমরে একটা টাওয়েল পেঁচিয়ে বের হলাম বাথরুম থেকে। বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আছে মােরা। তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আর আমি তাকিয়ে আছি মােরার দিকে।

কেউ কিছু বলে দিল আমাদেরকে। আমরা জানি এখন কী করতে হবে আমাদেরকে। এখানে ভনিতার কিছু নেই, প্রণয়প্রার্থনার কিছু নেই। আমাদের দু’জনেরই দেহ-মনে পনেরাে বছরের প্রেমক্ষুধা। | এগিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম মােরাকে। পাগলের মতাে চুমু খাচ্ছি। সে-ও পাগলের মতাে চুমু খাচ্ছে আমাকে, বার বার ওর জিভটা ঢুকিয়ে দিচ্ছে আমার মুখের ভিতরে। হ্যাচকা একটানে আমার টাওয়েল খুলে ফেলল সে। আর আমি খুলে ফেললাম ওর রােব। | সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পর ধপাস করে আছড়ে পড়লাম আমরা বিছানায়। আমার বুকের উপর মাথা রাখল মােরা, একটা হাত রেখেছে। আমার পেটের উপর। আমরা কেউই কিছু বলছি না। আমি তাকিয়ে আছি ঘরের ছাদের দিকে। আর মােরা তাকিয়ে আছে একদিকের দেয়ালের দিকে।…..

Leave a Reply