১ম পর্ব
…….কক্ষের মধ্যে ঢুকে এসেছে একটি কিশোরী। তার সারা শরীরে যেন ঝনঝন করে ঘণ্টা বাজিয়ে যৌবন তার আগমন বার্তা জানাচ্ছে। তার দৃষ্টিতে এখনও বালিকাসুলভ সরল লাবণ্য। নিম্নাঙ্গে একটা হলুদ রঙের পাছাড়া, কচি কলাপাতা রঙের রিয়া দিয়ে বক্ষ বন্ধন করা।…..
……… ভানুমতীর অনুযোগে তিনি অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন। তিনি তাঁর অভিজ্ঞ চোখে কিশোরীটির আপাদমস্তক যাচাই করলেন। এর শরীরের গড়নে ছন্দ আছে, চোখে আছে দুৰ্গতি। এর নীরব ভঙ্গিও যেন কিছু কথা বলে। দু’এক বছরের মধ্যেই এই কিশোরী একটি রমণীরত্ন হয়ে উঠবে। পুরুষদের জয় করার জন্য এরকম রমণীদের কোনও চেষ্টা করতে হয় না, পুরুষরাই সহজে আকৃষ্ট হয়।……..
…….ভানুমতী বললেন, সত্যি করে বলুন তো, ওকে আপনার পছন্দ হয়নি? সেই জন্যই তো ওকে আমি পাছাড়া পরে আসতে বলেছিলাম। দিব্যি মেয়ে। লক্ষ্মী মেয়ে। আমি ওকে আপনার হাতে তুলে দেব, আপনি ওকে নিয়ে আনন্দ করুন। ওই গতরখাগী, আবাগীর বেটী রাজেশ্বরীর কাছে আপনাকে আর যেতে হবে না!…..
……মহারাজ অবিশ্বাসের সুরে বললেন, যাঃ, কী যে বল! কোনও ভদ্রঘরের মেয়েছেলে সব কিছু খুলে-টুলে শিল্পীর সামনে দাঁড়াতে রাজি হবে নাকি? রাজ্যের হেজিপোঁজি লোক আঁকা ছবিতে তাদের শরীর দেখবে? ওদের সমাজ এমন উচ্ছন্নে গেলে ওরা এত দেশ জয় করে কীভাবে?
পঞ্চানন্দ বলল, মহারাজ, পশ্চিম দেশে মানুষের নগ্ন শরীর নিয়ে চিত্র অঙ্কন কিংবা মূর্তি গড়া নিন্দনীয় নয়। তাকে ওরা বলে আর্ট। আমাদের এই ভারতেও হিন্দু আমলে উলঙ্গ মূর্তি গড়া হয়েছে, এমন কত শ্লোক লেখা হয়েছে। পশ্চিম দেশে মডেল ব্যবহার করার বেশ চল আছে, তাতে সামাজিক বাধা নেই। তবে হ্যাঁ, আপনি যে বললেন ভদ্রঘরের মেয়েদের কথা, সব সময় ভদ্রঘরের মেয়েরা সবটা খোলাখুলি করতে রাজি হয় না, তখন তারা বাজার থেকে মাগী ভাড়া করে আনে।
মহারাজ দু’ চক্ষু বিস্ফারিত করে বললেন, ভাড়া পাওয়া যায়? এমন অদ্ভুত কথা জীবনে শুনিনি। এ কি চড়কের মেলায় হাতি-ঘোড়া ভাড়া করা নাকি?
পঞ্চানন্দ বলল, আমি তো কিছুদিন চন্দননগরে ছিলাম। ফরাসিদের কাছে ওদের ছবি আঁকার কথা শুনেছি। সে দেশ ছবির জন্য খুব সুখ্যাত জানেন তো! প্যারিস নগরীতে দলে দলে যুবকেরা ছবি আঁকা শেখে। আঁকার ইস্কুল আছে। সেখানে বারবনিতা কিংবা কোনও চাকরানীকে রোজ হিসেবে টাকা দেয়, মাস্টারের নির্দেশে সেই মাগীরা কখনও কাপড় খুলে শুয়ে থাকে, কখনও দাঁড়ায়, কখনও দেয়ালে হেলান দেয়, ছাত্ররা একসঙ্গে সেই সব ভঙ্গি আঁকা শেখে। এর মধ্যে দোষের কিছু নেই।
মহারাজ বললেন, ওঃ! এ দেশে তো তা সম্ভব নয়।
পঞ্চানন্দ বলল, কেন সম্ভব নয়?
মহারাজ বললেন, আমি কি বাজার থেকে মেয়েছেলে ধরে আনব নাকি?
পঞ্চানন্দ বলল, আপনি ধরে আনবেন কেন? আপনার মুখের কথা কিংবা একটু ইঙ্গিতই তো যথেষ্ট। রাজপুরীতে কি দাসী-চাকরানীর অভাব আছে? মহারাজ, আমি একটি দাসীকে দেখেছি, তার নাম শ্যামা। কী অপূর্ব তার শরীরে গড়ন। নিটোল দুটি বক্ষ যেন কচি বাতাবী লেবু, সিংহিনীর মতন সরু কোমর, তম্বুরার মতন গুরু নিতম্ব, যখন হাঁটে, যেন চলহু কামিনী, গজহু গামিনী। তাকে দেখে আমার অনেকবার মনে হয়েছে।
মহারাজ, ধমক দিয়ে বললেন, চোপ। রাজবাড়ির কোনও দাসীর প্রতি যদি কুদৃষ্টি দাও, তা হলে তোমার গর্দান যাবে! ঘরে তোমার রূপসী বামা রয়েছে, তবু তুমি অন্য নারীর প্রতি লোভ কর, তুমি তো বড় মন্দ লোক হে!……..
…..শ্যামা রয়েছে স্বয়ং মহারাজের সন্নিধানে। অনেকক্ষণ। সে কোনও শান্তিও পায়নি, কেননা তার এবং মহারাজের কথোপকথনও শোনা যাচ্ছে মাঝে মাঝে। প্রহরীরা আরও যা জানাল, তা মহারানীর কানে তোলা যায় না। একজন প্রহরী বন্ধ দরজার চাবির গর্ত দিয়ে দেখেছে যে, শ্যামার অঙ্গে বসন নেই, সে রঙ্গিণীর মতন দাড়িয়ে আছে একটি চেয়ারের হাতল ধরে।……
…..এতকাল হিন্দু বাঙালি স্ত্রীলোকেরা ছিল একবস্ত্রা, অঙ্গে শুধু শাড়ি ছাড়া আর কোনও অন্তর্বাস থাকত না। নারী দেহ শুধু ভোগের জন্য এবং সন্তান উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত, অন্দরমহলে অবরুদ্ধ সেই সব নারীদের জন্য ওইটুকু বস্ত্ৰই তো যথেষ্ট। কিন্তু সত্যেন্দ্রনাথ তাঁর স্ত্রীকে যখন বাইরে নিয়ে এলেন, তখন ওই পোশাক তাঁর কাছে অশ্লীল ও অসভ্য মনে হয়েছিল। তিনি নিজে স্ত্রীর জন্য অন্য পোশাকের পরিকল্পনা করেছেন, জ্ঞানদানন্দিনীও প্রবাসে স্বামীর সঙ্গে ঘুরে ঘুরে, পারসি রমণী ও মেমদের দেখে দেখে সেমিজ, শায়া, পেটিকোটের নতুন সাজসজ্জার প্রচলন করেছেন। ঠাকুর পরিবার ও অন্যান্য অনেক অভিজাত পরিবারের নারীরা এখন জ্ঞানদানন্দিনীর অনুসরণ করে।……
…..নিবিষ্ট হয়ে সঙ্গীত সাধনা করছে নরেন্দ্ৰ, হঠাৎ দরজা ঠেলার শব্দ হল। নরেন্দ্ৰ মেঝেতে বসেছিল, পাশ ফিরে তাকাল। বিপরীত দিকের বাড়ির সেই যুবতী বিধবাটি সর্বনাশিনীর রূপ ধরে চুপি চুপি একেবারে তার ঘরে চলে এসেছে। তার আলুলায়িত চুল, চোখের দৃষ্টিতে আগুন, সর্বশরীরে কামনা।
নরেন্দ্রর সারা শরীরে দপ করে জ্বলে উঠল রাগ। এত সাহস হারামজাদির! নরেন্দ্ৰ প্ৰথমে ভাবল, প্রচণ্ড ধমকে ওকে বিদায় করবে। মেয়েটির দিকে তীব্ৰ চোখে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে তার ক্রোধ রূপান্তরিত হল। সে ভাবল, এই মেয়েটি আসলে কত অসহায়! বিদ্যাসাগর মশাই যতই প্রচুর কষ্ট করে বিধবা বিবাহের আইন পাশ করান, সমাজ তো তা মেনে নেয়নি! দু চারটি বিধবার বিয়ে হয়েছে মাত্র, বাকি সহস্ৰ সহস্ৰ বাল-বিধবারা যে তিমিরে ছিল, এখনও সেই তিমিরে। ওদেরও যে শরীরের ক্ষুধা আছে, সংসার পাতার আকাঙ্খা আছে, সন্তান পালনের সাধ আছে, কে তার মূল্য দেবে। ওর যৌবন যেন হরিণীর মাংস, কিছু কিছু লোকের কাছে লোভের সামগ্ৰী! এই মেয়েটিও হয়তো কখনও সেই লোভের ফাঁদে ধরা দিয়েছে, তাই লাজ-লজ্জা ঘুচে গেছে।……
…..তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে নিজের অর্থব্যয়ে কয়েকটি বিধবার বিয়ে দিলেন, কিন্তু এই আমূল কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজে তাতে সাড়া জেগেছে কতটুকু? কেউ কেউ বেশ মজা পেয়েছে, সংবাদপত্রে নাম ছাপাবার জন্য বিধবা বিবাহে সম্মত হয়, তারপর সেই স্ত্রীর সঙ্গে উপপত্নীর মতন ব্যবহার করে। বিধবা বিবাহ চালু করার প্রচেষ্টায় বিদ্যাসাগরের নিজস্ব ধার জমে গেছে আশি হাজার টাকা!
তারপর তিনি বহু বিবাহ রদ করবার জন্য কলম ধরলেন। হিন্দু সমাজে জড়িয়ে আছে বহুরকম কুপ্ৰথা। কুলীন ব্ৰাহ্মণরা পঞ্চাশ-একশোটা বিবাহ করে অতগুলি মেয়ের সর্বনাশের কারণ হয়। তিনি নিজে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে বহু বিবাহের পরিসংখ্যান জোগাড় করেছেন, তারপর ইংরেজ সরকারের কাছে আর্জি জানালেন যাতে আইন করে এই প্ৰথা বন্ধ করা হয়। আশ্চর্য ব্যাপার, এ দেশের শিক্ষিত মানুষদের কাছ থেকেও তিনি এ ব্যাপারে সমর্থন পেলেন না। অধিকাংশ লোকই তাঁর বিপক্ষে। বহু বিবাহ বন্ধ না হলে যে বিধবার সংখ্যা বাড়তেই থাকবে, তা এঁরা বুঝলেন না। …..
…..বনবিহারিণীর হাতে মদের গেলাস, অভিনয়ের দিনেও দুএক ঢোঁক না খেয়ে সে মঞ্চে নামতে পারে না। বনবিহারিণীর শরীরে যৌবন বিদায় জানাতে চলেছে বলেই সে যৌবনকে আরও প্রকট করে তুলতে চায়। গরমের অজুহাতে সে সেমিজ পরেনি, শরীরে শুধু একটা শাড়ি জড়ানো, আঁচল খসে পড়ছে বার বার।……
…..থিয়েটারের মেয়েরা বারবণিতাদের ঘর থেকে আসে। তাদের প্রত্যেকেরই একজন বাঁধা বাবু থাকে, আবার বেশি টাকার প্রস্তাব এলে বাবু বদলও হয়, এমন কিছু নতুন কথা নয়। নৃত্যগীত পটীয়সী এই সব শয্যাসঙ্গিনী করার জন্য উন্মত্ত হয়ে ওঠে কিছু কিছু ধনী সন্তান। বিনোদিনী যেখানেই অভিনয় করতে গেছে, সেখানেই এমন ঘটছে। একেবার লাহোরে গোপাল সিং নামে এক জমিদার মঞ্চে বিনোদিনীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে প্রায় জোর করেই তাকে উপপত্নী বানাতে চায়। সেবারে গোপনে লাহোর ছেড়ে পালিয়ে আসতে হয়।…..
…..দুটি সংসার চালাবার জন্য বাণীবিনোদ পয়সা উপার্জনের কোনও পন্থাই ছাড়ে না। ভরত একদিন শুনে আশ্চর্য হল যে, পুরুতগিরির একটি উপরি আয়ের পন্থা হল চিঠি চালাচালি করা। অন্তঃপুরের অনেক রমণীই স্বামীসোহাগ বঞ্চিতা, তাদের কারুর কারুর উপপতি থাকে, কোনও কোনও গৃহিণী স্বামীকে লুকিয়ে সোনা-দানার বন্ধকী কারবার করে, বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হচ্ছে পুরুতঠাকুরের মারফত চিঠি বা জিনিসপত্র আদান-প্রদান। কোনও এক মিত্তিরবাড়ির কর্তমশাই প্রায়ই ইয়ার-বক্সিদের নিয়ে বহরমপুরে যান, তিন-চারদিন ফেরেন না, সে বাড়ির তরুণী বধূটি সেই সময় পুরুতের হাতে তার প্রেমিকের কাছে চিঠি পাঠায়, সেই কটি রাত প্রেমিকপ্রবরই কর্তমশাইয়ের খাট দখল করে থাকে।…..
২য় পর্ব
…..বালগঙ্গাধর উচ্চ শিক্ষিত মানুষ, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাঁর বেশ কিছু মতামত অত্যন্ত সংস্কারাচ্ছন্ন ও প্রাচীনপন্থী। মহারাষ্ট্রে পাশ্চাত্য ধারায় শিক্ষা বিস্তারে তিনি অগ্রণী অথচ বিধবাবিবাহের বিরোধী। জাতি-ভেদ প্রথার সমর্থক। এই কিছুদিন আগে সহবাস-সম্মতি আইন নিয়ে কত হইচই হয়ে গেল তাতেও এর ভূমিকা ছিল বিচিত্র! বাল্যবিবাহ প্রথার দরুন পাঁচ ই বছর বয়েসের মেয়েদের ওপর স্বামীরা ধর্ষণ করে, ভয়ে ও যন্ত্রণায় কত বালিকা মারাই যায়, এতকাল তা গোপনই থাকত, এখন সংবাদপত্রে সে রকম কিছু কিছু ঘটনা মুদ্রিত হয় প্রায়ই। সেইজন্য ইংরেজ সরকার একটা আইন প্রণয়ন করতে চাইলেন। বিবাহ যে-বয়েসেই হোক, স্ত্রীর বয়স বারো বছর পূর্ণ হবার আগে কোনও স্বামী তার সঙ্গে সহবাস করতে পারবে না। বারো বছরের কম বয়েসী বধুর সঙ্গে কোনও স্বামী জোর করে মিলিত হতে চাইলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। বিবাহ একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সে ব্যাপারে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করতে ইংরেজ সরকার সাহস পায় না। কিন্তু যেখানে বালিকাদের ওপর ধর্ষণে প্রাণনাশের সম্ভাবনা, সেখানে তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়াই তো সঙ্গত। দেশের অধিকাংশ শিক্ষিত, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই এই আইনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন, কিন্তু মহারাষ্ট্রের এই বিশিষ্ট ব্যক্তিটি তীব্র ভাষায় এর প্রতিবাদ করে গেছেন।……
…..চুনাবে ভৃগু একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলল। একজন রমণীকে অনেকক্ষণ একা একা দেখে সে ধারণা করে নিয়েছিল, ওর সঙ্গে বুঝি কোনও পুরুষ সঙ্গী নেই। ভৃগুর চেহারাটি রমণী-মোহন, সে দৃষ্টি তরল করে বেশ মিটিমিটি হাসি দিতে পারে। অনেক স্ত্রীলোকই তার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকায়, দৃষ্টি ফেরাতে চায় না। তীর্থস্থানগুলিতে নারী-হরণ বা ব্যাভিচার এমন কিছুই অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। অনেক বাঁজা রমণী দেবতার আশীর্বাদের বদলে পরপুরুষ দ্বারা স্পর্শিত হয়ে সন্তানবতী অবস্থায় ঘরে ফেলে। ভৃগু অত্যুৎসাহী হয়ে সেই রাজস্থানী রমণীটিকে নিভৃতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, হঠাৎ যমদূতের মতন যেন মাটি খুঁড়ে এক পুরুষের উদয় হল। সে ওই রমণীটির স্বামী।……
….তাকে বাধা দিয়ে মহেন্দ্রলাল গর্জে উঠলেন, এসব পুজোফুজোর মূল তত্ত্বটাই তো ভন্ডামি! কতকগুলো তান্ত্রিক নিজেদের ভোগ-লালসা মেটালার জন্য একটা ল্যাংটা মাগির মূর্তি গড়েছে, তার সঙ্গে যতরাজ্যের বামাচার, মদের ছড়াছড়ি, বলি দেওয়া পাঁঠার মাংসের ভোজ, এইগুলোকেই শুদ্ধ করার জন্য বড় বড় তত্ত্বের বুলি কপচানো হয়েছে, সব ভণ্ডামি! ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয়—…..
…..সব নাটকেই নাচ-গান থাকবেই। পৌরাণিক বা ভক্তিমূলক বা দেশাত্মবোধক নাটক, যেখানে নায়িকার পক্ষে চটুল নাচ বা গান একেবারেই মানায় না, সেখানেও সখীদের দৃশ্য থাকে। কিংবা এক খল, লম্পটের চরিত্র আমদানি করা হয়, সে জোর করে মেয়েদের নাচায়, সে সব দৃশ্যে নর্তকীদের নিতম্বের আন্দোলন বেড়ে যায়, বক্ষের আঁচল খসে পড়ে বারবার। ভরতের মনে হল, বাঈজিদের বাড়িতে এই ধরনের নাচ দেখতে যেতে অনেক পয়সা লাগে, অনেক সাধারণ মানুষের পক্ষেই তা সম্ভব নয়, যদিও বাসনা বা লোভ থাকে। থিয়েটারের মালিকরা সেই জন্যই সব নাটকে এ রকম একটা দৃশ্য ঢুকিয়ে দেয়। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটে।…..