দহনে বিষ দহনে বড় জ্বালা – কল্লোল সেনগুপ্ত

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……ঘােষণার সঙ্গে সঙ্গে সাদা নাইলনে মােড়া একটি নরম তুলতুলে দেহ মসৃণ ডায়াসে এসে গড়য়ে পড়ল। চোখগুলাে সব চক চক করে উঠল।

অস্পষ্ট অন্ধকারে দেহটি তার চোখ-ঝলসান রূপ নিয়ে আস্তে আস্তে উঠে বসল। তারপর উঠে দাড়াল। একবার বাঁদিকে, আর একবার ডানদিকে ঘুরে, সবশেষে পেছন ফিরে দাড়াল।

হ্যা, মেয়েটার যেমন রূপ, দেহের গঠনও তেমনি আকর্ষণীয়। মনে মনে স্বীকার করল সবাই। হােটেল ক্যারােলিন কথা বেখেছে। ওদের নতুন আবিষ্কারটি সত্যি মােহময়ী ও লাস্যময়ী। তবে কামনার রাণী কি না তা বােঝা যাবে কিছুক্ষণের মধ্যে।

অর্কেস্ট্রার মৃদু স্বরের সঙ্গে গোল্ডী এবার ওর চারধারের উজ্জ্বল আলাের বৃত্তটিকে নিয়ে ডায়াস থেকে নামল। লাস্যময়ী ভঙ্গীতে দর্শকদের দিকে এগিয়ে এল। কখনাে হাত দুটোকে সাপের মত খেলিয়ে, কখনাে নিতম্বের কম্পনে কামনার হিল্লোল এনে, কখনাে বুক দুটোকে ধনুকের মত বেঁকিয়ে সে একজনের কাছ থেকে আর একজনের কাছে ছুটে চলল।

কয়েক জোড়া হাত তখন গােল্ডীর দেহের যবনিকা তোলার জন্য উসখুস করছে।

সবশেষে গোল্ড ওর গোপনীয়তাকে সবার সামনে আস্তে আস্তে মেলে ধরল। বহু দর্শককেই ও এ বিষয়ে সাহায্য করার জন্য সুযােগ দিয়ে ধন্য করল। কারাে তখন পলক ফেলার সময় নেই। তারপর সে নাভির নীচে ত্রিভুজসম ছােট্ট অন্তর্বাস আর তার সমান্তরাল বুকের সামান্যতম আচ্ছাদনটি নিয়ে আবার ডায়াসে উঠল।

ডায়াসের পাশে বসে বেঁটে লোকটির চোখ তখন সেই দেহকে জরীপ করতে ব্যস্ত। একমাত্র এই লােকটির দৃষ্টি উপস্থিত আর সকলের দৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। সেও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল গোষ্ঠীর লােভনীয় দেহটিকে। তবে সব কিছুই সে ওজন করে নিচ্ছিল। গােল্ডীর সুডোল অর্ধনগ্ন বুক দুটোতে উত্তাপ কতটুকু আছে, ওর নাভির চারপাশে নস্যাতা কতটা পিচ্ছিল, ওর সরু কোমর থেকে দীর্ঘ পায়ের পাতা অবধি ছড়ান কামনার সামনে পুরুষ কতক্ষণ দাড়াতে পারে—তাই সে বসে বসে দেখছিল।

সবই দেখল সে। তবে ডায়াসে মেয়েটির অড়িষ্টতা আর মুখে মিথ্যা কামনার ভাব ফোটাবার কষ্টকর প্রয়াসও ধরা পড়ল ওর চোখে। যেটা অন্য কান দর্শকেরই নজরে পড়েনি। 

তার দেখা শেষ হল। গােল্ডরও প্রথম আইটেম শেষ। শেষ পর্যন্ত সে শকদের মধ্যে আলােড়নের একটা ঢেউ বইয়ে অন্দর মহলে পালিয়ে গেল।……

……অবাক হয়ে বিছানার কাছে এসে ওপরের রাগটা সজোরে তুলে ধরল। নীচে লুসি খিলখিল করে হেসে উঠল।

-কাম অন, ডালিও তােমার সঙ্গে শুতে এসেছি আজ। হাত দুটো বাড়িয়ে বলল লুসি। তারপর অলকের বাঁ হাতের ব্যাণ্ডেজের দিকে তাকিয়ে আঁতকে ওঠার ভঙ্গী করল -একি তােমার হাতে কি হয়েছে?

অলক ওর প্রশ্নকে ভ্রুক্ষেপ না করে রুক্ষদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল। ব্রা ও প্যান্টি পরে লুসি ওর বিছানায় শুয়ে আছে। বুঝতে ওর বাকী রইল না, লুসি বােকা চাকরটার সুযােগ নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়েছে। এর আগেও ফ্ল্যাটে ও দু-একবার এসেছে। তবে এভাবে বিছানা-দখল এই প্রথম।

-কি হল? এস, লুসি ওর ফরসা নগ্ন হাত আরাে বাড়িয়ে পাতলা আচ্ছাদনে মােড়া বুক দুটোকে উচু করল।…..

….গোল্ডীর বয়েস কুড়ি থেকে তেইশের ভেতর। মেয়েটি দীর্ঘাঙ্গী। দেহের গঠন অপূর্ব। ওর দীর্ঘ পেলব পা, ভরাট নিতম্ব, কুঁজোর গলার মত সরু কোমর, অলককে সিনেমায় দেখা বিশ্ব সুন্দরীদের কথা মনে কড়িয়ে দিল। গােন্ডীর প্রসাধনহীন তলপেটের ফিকে রক্তের রঙ সারা দেহে ছড়ান। শক্ত কঁচুলীতে বাঁধা সুডৌল দুটো বুক। গােল্ডীর দীর্ঘ মসৃণ হাত ও পায়ের মতই সুন্দর।…..

Please follow and like us:

Leave a Reply