ডেজার্ট রয়েল – জীন পি স্যাসন

›› অনুবাদ  

অনুবাদঃ সা’দউল্লাহ

..….একটি লাজুক প্রকৃতির সুন্দরী অল্প বয়স্কা বালিকা চোখভরা জল নিয়ে আমার বাহু স্পর্শ করলাে। বললাে –আপনাকে অবশ্যই আমাকে সাথে নিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি আমার কাহিনী শােনেন, আমাকে ফেলে যেতে পারবে না।

চুপ করে থাকলাম। আমার মৌনতা দেখে সে সাহস  েবললাে—আমি লাওসে এক বড় পরিবারের মেয়ে। আমার পরিবার খাদ্যের অভাবে উপবাস করছিল। যখন ব্যাংককের দু’জন দালাল আমায় কিবোৰতে চাইল। অর্থের বদলে আমার বাবা-মায়ের আপত্তি রইলাে না। আরে দুজন মেয়ের সাথে আমাকে শৃঙ্খলিত করা হয়—তারপর ব্যাংককে এক ওয়ারহাউসে আমাদের রাখা হয়। আমাদের জোর করে নগ্ন করা হয় তারপর্ব একদল লােকের সম্মুখে উলঙ্গ অবস্থায় একটা উঁচু প্লাটফর্মের উপর দাঁড় করানাে হয়—তারপর নিলাম শুরু হয়। অন্য দু’জনকে এক বেশ্যালয়ের মালিক কিনে নেয়। আর আমাকে কিনে নেয় আরবের এক লাল। এইভাবে আজ আমি এখন এই হারেমে বনি: পমমের নগ্ন কামনার শিকার। তাই দয়া করে আমাকে ফেলে যাবেন না।…..

…..এক দর্শনীয় বালিকা—আরবের মনে হল—আমার কাছে এগিয়ে এলাে। বলল—ম্যাম, আমাদের সাহায্য করুন। আমাদের মাস্টার বড় নিষ্ঠুর। তিনি এবং তার চার পুত্র প্রতিদিন এখানে এসে আমাদের নির্যাতন করে। কোন দিন সাথে নিয়ে আসে অন্য সব অসৎ চরিত্রের লােক।….

…….বিক্ষিপ্ত চিন্তায় আমি অভিভূত হলাম। হে আল্লাহ, আমাদের কী দেশ তুমি দিয়েছে। আর এই দেশই ইসলামের জন্মভূমি। কী নির্মম পরিহাস এই শান্তিময় ধর্মের জন্মস্থানে অত্যাচারী, নির্মম, নিষ্ঠুর মানুষদের তুমি জন্ম দিয়েছ, দিয়েছ অঢেল অর্থ, শুধু অসহায় মেয়েদের, বালিকাদের উপর অত্যাচার করতে। আমরা এত সম্পদশালী যে, আমরা এই সম্পদ দিয়ে অসহায় নারী ও পশুপক্ষীদের বাসস্থান করে দিতে পারি, পারি আমাদের ছেলেমেয়েদের সান্ত্বনা দিতে। কিন্তু আমরা নৈতিকভাবে করাপ্ট-দুর্নীতিবাজ, শুধু অসহায় দরিদ্র ঘরের মেয়েদের সেই অর্থে ক্রয় করে বন্দি করে রাখি আমাদের এখানকার পুরুষদের বিকৃত যৌনাচারের জন্য—যেখানে পিতা-পুত্র এই জিন্দাখানায় বন্দিবালিকাদের ধর্ষণ কূরে-এই পবিত্র ভূমে, ইসলামের সূতিকাগারে। আর এই সব দুষ্কর্ম আইনসিদ্ধ, ইসলামি আইনসিদ্ধ। এখানে এমন আইন নেই যা দিয়ে এই নীতি বিগহিত জীবনযাপনের বিরুদ্ধে লড়তে পারা যায়, অসহায় নির্যাতিত নাবালিকা মেয়েদের মুক্তি দেয়া যায় । আমার দেশ ও দেশবাসীর এই নির্লজ্জ আচরণ মনে করে ক্ষোভে অপমানে আমার দেহ তপ্ত হয়ে গেল। আক্ষেপ হল আমি বিদ্রোহী হতে পারলাম না।…….

……হুশার জীবনে বিপর্যয় নিয়ে এল তার এই সাঁতারের প্রতি ভালবাসা, নিজেদের সুইমিং পুলে কস্টিউম পরে সাঁতার কাটত এবং তার অপূর্ব দেহবল্লরী বিকিনিতে ফুটে উঠত। হুশরাদের বাড়ি ছিল একতলা বাংলাে প্যাটার্ন। তাদের প্রতিবেশীদের বাড়িগুলাে মাল্টিস্টোরেড । ঐ বাড়িতেই তিন তলায় এক মৌলবাদীর বাসা ছিল। তিন তলা থেকে জানালা দিয়ে হুশার সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা দেখা যেতাে। একদিন ঐ বাড়ির বড় ছেলের নজরে হুশার বিকিনি পরা দেহ ছেলেটিকে উন্মত্ত করে। এই তরুণটির নাম ছিল ফাদী। সে সৌদি আরবের এক ধর্মীয় স্কুলের ছাত্র। স্কুলের পড়ালেখা শেষ করে সৌদি আরবের ধর্মীয় পুলিশে মােতাওয়া হওয়ার ইচ্ছা ছিল। হুশার বিকিনি পরা দেহ তাকে এমনিভাবে আকৃষ্ট করল যে সে তার ঐ দেহের ফটো তােলার জন্য এক লম্বা লেন্সের ক্যামেরা কিনে ফেলল।

ক্যামেরা কিনার পর তার জানালা থেকে লুকিয়ে সে হুশার বিকিনি পরা দেহের ছবি তুলতে লাগল। একদিন হুশা সুইমিং পুল থেকে উঠে পুলের তীরে দাঁড়াতেই তার বিকিনির স্ট্রাপ হঠাৎ আলগা হয়ে খুলে গেল, ফলে তার পুরো বক্ষদেশ উন্মুক্ত হওয়ায় ফাদী ঐ অবস্থায় হুশার কয়েকটি ছবি তুলে নিল।…..

……আমরা আরাে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে গাঢ় আলিঙ্গনের পর নিজ নিজ বেডরুমে চলে গেলাম। অল্পক্ষণের মধ্যেই করিম একমুখ হাসি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করল। আমি ছুটে গিয়ে করিমকে টেনে বুকে জড়িয়ে ধরলাম। আমার আলিঙ্গনের চাপে করিম হোঁচট খেয়ে আমাকে নিয়েই বিছানায় গড়িয়ে পড়ল।

করিম তার কথা বলতে গেল কিন্তু আমি তার ঠোটে, নাকে, চোখে, পাগলের মত চুমু খেতে লাগলাম—করিম কী যেন বলতে গেল—সুলতানা আমি।

কিন্তু আমি তাকে আর সে সুযােগ দিলাম না। আমার আবেগভরা চুমােয় চুমােয় দু’জনেই ভুলে গেলাম আলােচনার বিষয়। জড়িয়ে পড়লাম এক অপূর্ব প্রেমভরা সুখকর সঙ্গমে।……

Leave a Reply