বন্দর সুন্দরী – হিমাদ্রিকিশাের দাশগুপ্ত

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……শুধু নারীরাই নয়, ব্রাহ্মণ ও উচ্চবর্ণের কিছু মানুষেরা উপযুক্ত প্রণামী পেলে নারীদেরও কামতৃষ্ণা মেটায়। তবে সে নারীকে হতে হবে তাঁর সমগােত্রীয়। সম্রাটের আসনে যিনি অধিষ্ঠিত হন তিনি পুরুষ হলেও মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রচলিত কালিকটে। নারীরা সম্পত্তির মালিক হন। তিনিই নির্ধারণ করেন পারিবারিক সম্পত্তির হস্তান্তর কার কাছে। কীভাবে হবে। একজন নারী আইনসম্মতভাবেই তিনজন পুরুষের সঙ্গে সহবাস করতে পারে এবং তা করে থাকে। তবে এক দ্বিপ্রহর থেকে দ্বিতীয় দ্বিপ্রহরের মধ্যে দ্বিতীয় কোনও পুরুষের সঙ্গে মিলন নিষিদ্ধ। পুরুষের মতাে নারীও বহুগামিনী।…..

…..মৎস্যগন্ধা প্রবেশ করল স্নানঘরে। এঘরে দারুকাঠ দিয়ে বাঁধানাে বিশাল এক আয়না আছে। মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত দেখা যায় তাতে। ভিনদেশি এক শ্বেতাঙ্গ বণিক দারুকাঠের এই মুকুর উপহার দিয়েছিল মৎস্যগন্ধাকে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চন্দন লেপনের জন্য প্রতিদিনের মতাে ধীরে ধীরে পােশাক খসাতে শুরু করল মৎস্যগন্ধা। আয়নায় ধরা দিতে লাগল তার প্রতিচ্ছবি। শঙ্খের মতাে উন্নত তার ধবল স্তনযুগল, জামফলের মতাে বাদামি স্তনবৃন্ত, ক্ষীণ কটিদেশের মাঝখানে তৈলকূপের মতাে গভীর নাভি, কদলীকান্ডর মতাে উরু, গােলাপের পাপড়ির ভাঁজের মতাে যােনীদেশ সবকিছুই উন্মুক্ত হয়ে গেল আয়নার সামনে। লােকে বলে এ গণিকালয়ের সেরা সুন্দরী নাকি মৎস্যগন্ধা। সে মনে মনে নিজেও বিশ্বাস করে কথাটা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সে নিজেই অবাক হয়ে যায় নিজের অঙ্গরূপ দেখে। স্নানের আগে প্রত্যেকদিন আয়নার সামনে বেশ কিছুক্ষণ নিজের শরীরটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে মৎস্যগন্ধা। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা তার বৃন্তযুগল কি মৃদু আনত হল, দেহের চামড়ায় কোথাও কুঞ্চন জাগেনি তাে? কোথাও জেগে ওঠেনিতে বাড়তি মেদ? শরীর-ই তাে শ্রেষ্ঠ সম্পদ, মৎস্যগন্ধার মতাে নারীর কাছে। যার টানে পতঙ্গের মতাে ছুটে আছে পুরুষের দল। মৎস্যগন্ধা অবশ্য সবার সঙ্গে পালঙ্কে যায় না। জাহাজের নায়ক, ক্যাপ্টেন বা নগরীর সম্ভ্রান্ত বণিকরা উপযুক্ত কাঞ্চনমূল্য দিলে তবে মৎস্যগন্ধকে পায়। সেক্ষেত্রেও কিছু শর্ত রাখে মৎস্যগন্ধা। তার শরীরে কোথাও সামান্য কোনও ত্রুটি যাতে না হয় তার জন্য সর্বদা সজাগ থাকে। মৎস্যগন্ধা। যে-কারণে বয়স তার তিরিশ হতে চললেও শরীর তার অষ্টাদশী নারীর মতােই।……

…..পালঙ্ক থেকে নেমে চটপট স্নান সেরে নিল মৎস্যগন্ধা। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নবাগতা সেই মেয়েটাকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করল শ্যামা। ভিনদেশী মেয়েটার বয়স বছর কুড়ি হবে। পরনে কাঁচুলি আর ঘাগরা, পায়ে রুপাের মল। গাত্রবর্ণ পরিষ্কার। ক্ষীণ কটি, ভারী নিতম্ব, নাভিকূপ গভীর। চোখমুখও বেশ সুন্দর। কাঁচুলি ঢাকা বুকে বেশ যৌন আবেদন আছে।…..

………কিছুক্ষণের মধ্যেই তৈরি হয়ে নীচে নেমে এল মৎস্যগন্ধা। অন্য খদ্দেরদের সঙ্গে সে দেখতে পেল পর্তুগিজ নাবিকদের একটা বেশ বড় দলকে। খবরটা তাকে ঠিকই জানিয়ে গেছিল এস্তাদিও। জনাকুড়ি পর্তুগিজ নাবিক। তিন ধরনের মেয়েদের পছন্দ করল তারা। জেপাং নারী, মােম্বাসা কৃষ্ণাঙ্গ নারী, আর কেউ কেউ বেছে নিল নবাগত মেয়েদের। নতুন নাবিকদের থেকে পয়সা আগাম গুনে গেঁথে নিয়ে মেয়েদের সঙ্গে নির্দিষ্ট কুঠুরির মতাে সার সার ঘরগুলােতে ঢুকিয়ে দিল মৎস্যগন্ধা। তার আগে অবশ্য নবাগত নাবিকদের জানিয়ে দিল যে নারীদের সঙ্গে কোনও বিকৃত পীড়াদায়ক যৌন সংস্রব করা চলবে না। কোনও অভিযােগ এর সম্বন্ধে এলে সেই নাবিককে আর গণিকালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কারণ ভিনদেশি অনেক নাবিকের মধ্যে যন্ত্রণাদায়ক পায়ুসঙ্গমের প্রবণতা থাকে। আর তা সহ্য করতে না পেরে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই এই সাবধানবাণী, পর্তুগিজ নাবিকদের প্রতি।…..

…..হুরী বলল, না, নিজে দেখিনি। সুলতানের হারেমে ছিল এমন একজনের মুখে গল্প শুনেছি। সুলতানদের খাস হারেমে কি সব মেয়ে প্রবেশ করতে পারে? কুমারী মেয়ে ছাড়া কাউকে গ্রহণ করেন না সুলতান। আমার মায়ের শয়তান প্রেমিক তাে আমারও কুমারীত্ব নষ্ট করে দিয়েছিল। যত সুন্দরী মেয়েই হােক না কেন, সুলতানের সামনে তাকে হাজির করাবার আগে তার কুমারীত্ব পরীক্ষা করে বৃহন্নলারা। পদ্ধতিটা খুব ভয়ঙ্কর। মাথায় রক্ত উঠে মৃত্যুও হয় অনেকের।

“সে কেমন পদ্ধতি? জানতে চাইল মৎস্যগন্ধা। অনেক সময় মৎস্যগন্ধাকে জেনে নিতে হয় তার গণিকালয়ে আসা নবাগতা মেয়েটি কুমারী কিনা।

মৎস্যগন্ধার কথা শুনে হুরী একটু ইতস্তত করে বলল, ‘মেয়েদের দু পা দুপাশে ফাঁক করে দড়ি বেঁধে মাথা মাটির দিকে করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তারপর যােনিতে তৈল সিঞ্চন করে সুতাে-বাঁধা একটা স্বর্ণগােলক স্থাপন করা হয় সেখানে। তৈল সিক্ত পিচ্ছিল যােনিগহ্বরে ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে থাকে সেই গােলক। দীর্ঘক্ষণ এভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয় সেই মেয়েকে। তারপর সুতায় টান দিয়ে সে-গােলক বের করে আনলে বােঝা যায়। ওই গােলক যােনিগহ্বরে কত দূর প্রবেশ করেছিল। আর তা দেখেই অভিজ্ঞরা বুঝতে পারে যে, ইতিপূর্বে মেয়েটার কুমারীত্ব নষ্ট হয়েছে কিনা।…..

…..বাইরে সূর্য অস্ত যেতে বসেছে। কোনও এক জাহাজ যেন বন্দর ছেড়ে সমুদ্রে যাত্রা শুরুর আগে ঘন ঘন শঙ্খ বাজাচ্ছে। কিন্তু বন্দর ছাড়ার, সমুদ্রের দিকে ভেসে পড়ার সেই আহ্বান আর যেন কানে পৌঁছােল না এস্তাদিওর। তার ঠোঁটে তখন মৎস্যগন্ধার গােলাপঠোঁটের উষ্ণ স্পর্শ। নাবিকের কাছে সমুদ্রের আহ্বানের থেকেও অনেক বেশি গাঢ় সেই আদিম আহ্বান। ধীরে-ধীরে শরীর থেকে পােশাক খসিয়ে চুড়ান্ত মিলনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে শুরু করল মৎস্যগন্ধা। না, এ কোনও গণিকার তার খদ্দেরের কাছে নিজেকে সমর্পণ নয়, আর তাকে সমর্পণ বলেও না। এতদিন মৎস্যগন্ধা যেসব পুরুষের সঙ্গে শুয়েছে সেসব ছিল নিছকই শরীরী মিলন, কোনও আবেগ বা ভালােবাসার স্পর্শ ছিল না তাতে। এই প্রথম নিজেকে কোনও পুরুষের কাছে সত্যি সমর্পণ করল মৎস্যগন্ধা। পয়সার বিনিময়ে নয়, ভালােবাসার বিনিময়ে। শরীর ও মনের এক আশ্চর্য তৃপ্তি অনুভব করতে পারছে মৎস্যগন্ধা। মৎস্যগন্ধার শরীর উন্মােচিত হল এস্তাদিওর সামনে। সে শরীরে কোনও ক্লেদ নেই, পাপ নেই। মৎস্যগন্ধার শরীরের প্রতিটা রােমকূপ, প্রতিটা রন্ধ্র যেন এস্তাদিওর স্পর্শ পাবার জন্য উন্মুখ। নাবিকের পােশাক খসিয়ে ফেলল এস্তাদিও। তার ঠেটি মৎস্যগন্ধার ঠোঁট ছুঁয়ে নামতে শুরু করল তার গলায়, বুকের মাঝে, দু-পাশে পদ্মের মতাে প্রস্ফুটিত দুই স্তনে, তারপর আরও নীচে গভীর নাভিকুপে। সেখানে কিছুক্ষণ থেমে তারপর আরও নীচে।

সূর্য ডুবে গেল, অন্ধকার নামল। তারপর চাঁদ উঠল এক সময়। খােলা জানলা দিয়ে সেই চাঁদের আলাে এসে ছড়িয়ে পড়ল পালঙ্কে, আলিঙ্গনরত এস্তাদিও আর মৎস্যগন্ধার নগ্ন শরীরে। যেন মিথুনরত পৃথিবীর প্রথম নারী-পুরুষ তারা।……

……বেশ কিছুটা সময় কেটে গেল। তারপর মৎস্যগন্ধা মদের পাত্রটা কোহেলের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, “বেশ গরম লাগছে এখানে। হাওয়া-বাতাস নেই।’ কথাগুলাে বলে মৎস্যগন্ধা হঠাই গরম লাগার ভান করে ওড়নাটা সরিয়ে নিল। উন্মুক্ত হয়ে গেল তার শরীরে সামনের বহিঃ আবরণ। কোহেলের চোখে ধরা দিল মৎস্যগন্ধার আঁটসাঁট বক্ষআবরণীর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসা দুই শুভ্র স্ফীত স্তনের মাঝে গিরিখাদের মতাে ঘন সন্নিবিষ্ট, তরমুজের ফালির মতাে বক্ষ বিভাজিকা, মেদহীন সরু কোমরের ঠিক মাঝখানে রুপাের কাঁচা টাকার মতাে সুগভীর নাভি। সেদিকে চেয়ে ঘাের লেগে গেল কোহোের। দ্বিতীয় পাত্রটাও দ্রুত গলধঃকরণ করে নিলেন ক্যাপ্টেন কোহেলাে। আগে ক্যাপ্টেন পেরাের সঙ্গে বসে বেশ কয়েক পাত্র মদ্যপান করেছেন। আরও দু-পাত্র মদ্যপানের পর মৎস্যগন্ধার অর্ধ উন্মুক্ত শরীরের দিকে তাকিয়ে কেমন যেন ধাঁধা লাগতে লাগল ক্যাপ্টেন কোহেলের।…..

…..ক্যাপ্টেন কোহেলের কেবিনে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল মৎস্যগন্ধা। কেঠো পালঙ্কের ওপর গিয়ে বসলেন কোহেলাে। ঘাের কাটছে না তার। মৎস্যগন্ধা তার সামনে গিয়ে জড়িয়ে ধরল তার গলা। কোহেলের চোখের সামনে জেগে উঠল মৎস্যগন্ধার শঙ্খের মতাে স্তন, গভীর স্তনবিভাজিকা। কোমরের ঠিক মাঝখানে জেগে থাকা নাভিকূপ। কদলীবৃক্ষের মতাে উরুদুটো স্পর্শ করে আছে কোহেলাের হাঁটু।…..

…..কোহেলাে এবার কুমিরের চামড়ার মতাে খসখসে হাত দিয়ে মৎস্যগন্ধার নিতম্ব স্পর্শ করলেন। মৎস্যগন্ধা মনে মনে শিউরে উঠলেও আরও ঘনিষ্ঠভাবে কোহেলােকে জড়িয়ে ধরে বলল, “চলাে, এই সিন্দুকটা নিয়ে আমরা পালিয়ে যাই। এস্তাদিওকে আমরা এখন মারব না। দ্বিতীয় সিন্দুকটা উদ্ধার করার পর আমরা তাকে শেষ করব।….

……তােমার মতাে পুরুষকেই আমার দরকার। যে আমার দেহকে তৃপ্ত করতে পারবে, ভবিষ্যতে আমাকে রক্ষা করতে পারবে।’—এই বলে মৎস্যগন্ধা ধারালাে ছুরির একটানে তার বক্ষবন্ধনীর ফাঁসটা কেটে দিয়ে ছুরিটা ছুঁড়ে ফেলল ঘরের এক কোণে। আর অবিশ্বাসের কোনও কারণ নেই এখন। কোহেলাের চোখের সামনে জেগে আছে মৎস্যগন্ধার শঙ্খের মতাে স্তনযুগল। চেরিফলের মতাে স্তনবৃন্ত থেকে যেন চুইয়ে পড়ছে মােমের আলাে। কোহেলের পক্ষে এবার আর নিজেকে ধরে রাখা সম্ভব হল না। মৎস্যগন্ধাকে জাপ্টে ধরে সে পালঙ্কে পেড়ে ফেলল।

কোহেলাে বন্যজন্তুর মতাে ছিড়েখুঁড়ে খেতে শুরু করল মৎস্যগন্ধার নরম শরীরটাকে। মৎস্যগন্ধার দেহের প্রতিটা গহ্বর স্পর্শ করছে কোহেলাের খসখসে হাত, শ্বাপদের জিভের মতাে খসখসে ধারালাে জিভ। অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে সারা শরীরে, কিন্তু তার মধ্যেই মৎস্যগন্ধা বলে যেতে লাগল, ‘এ সবই তােমার হতে পারে। ভাস্কোর সঙ্গে থেকে তুমি জীবনে কী পাবে সামান্য পদমর্যাদা আর পরাধীনতা ছাড়া? শুধু মাত্র ওই একটা। পেটিকাতেই যা আছে তা দিয়ে তুমি একটা নৌবহর কিনতে পারাে। অথবা কোনও দেশে গিয়ে ভাস্কোর থেকে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন কাটাতে পারাে। এই পেটিকা তুমি ভাস্কোর হাতে তুলে দিয়ে কী পাবে? হয়তাে সামান্য কিছু অনুকম্পা। তুমি কি এই দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন জীবনে ফিরে যেতে চাও না?

মৎস্যগন্ধার কথাগুলাে যেন ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে লাগল সম্ভোগরত কোহেলের মনের গভীরে। সত্যিই তাে! এই নারীদেহ, এই রাজ ঐশ্বর্যর থেকে বেশি কিছু ভাস্কো দিতে পারবে না তাকে।

দীর্ঘক্ষণ পর সম্ভোগপর্ব শেষ হল কোহেলের। উঠে বসলেন কোহেলাে। উঠে বসল মৎস্যগন্ধাও। তার সারাদেহ তখন ক্ষতবিক্ষত। রক্তধারা বইছে যােনিপথ বেয়ে। কিন্তু প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যেও মুখে হাসি ফুটিয়ে মৎস্যগন্ধা কোহেলাের গলা জড়িয়ে বলল, “তবে আমরা যাচ্ছি তাে?……

Please follow and like us:

Leave a Reply