……কষ্টিপাথরের ছােট্ট এক মূর্তি। মহারানা বুঝতে পারলেন তার উপস্থিতি টের পাননি মীরা। লঘু পদে তিনি গিয়ে দাঁড়ালেন তাঁর সামনে। প্রদীপের একটা মৃদু আভা এসে পড়েছে তার দেহের উধ্বাংশে। অনেক দিন পর কুম্ভ ভালাে করে তাকালেন তাঁর স্ত্রীর মুখের দিকে। ঠিক কত দিন পর এত কাছ থেকে তিনি তাকে দেখছেন তা তিনি নিজেও মনে করতে পারলেন না। এক অদ্ভুত প্রশান্তি যেন ছড়িয়ে আছে মীরার মুখমণ্ডলে। এখনও তার যৌবন পুরােপুরি অতিক্রান্ত হয়নি। কপালের সামনে দু-একটা কেশগুচ্ছ রুপালি বর্ণ ধারণ করেছে মাত্র। মৃদু নিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর উন্নত বক্ষ আস্তে আস্তে ওঠা-নামা করছে। স্খলিত বসনার বুকের ঠিক মাঝখানে টলটল করছে এক বিন্দু ঘাম।….
….শিল্পরসিক কুম্ভ জীবনে বহু ছবি দেখেছেন, কিন্তু এত আশ্চর্য ছবি কোনওদিন দেখেননি। এ যেন ছবি নয়, রক্তমাংসে গড়া জীবন্ত নারীমূর্তি! চিত্রকরের তুলির টানে সিক্ত বসনার দেহের প্রতিটা খাঁজ, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। এমনকী চিবুক, ঘাড়, স্খলিত বক্ষ ও নাভিমূলের গায়ে আঁকা টলমল জলবিন্দুগুলােও যেন এখনই ঝরে পড়বে। তার মুখশ্রীও অদ্ভুত সুন্দর-দীর্ঘল চোখ, টিকালাে নাক আর গােলাপের পাপড়ির মতাে রক্তিম ঠোট। গালে তার পদ্মরাগের আভা। দেহবর্ণ কাঁচা সােনার মতাে। সত্যিই কি কোনও নারী এত সুন্দর হতে পারে?…..
…..সিক্তবসনা ঝুলকুমারী যেন হাজির হয়েছে কুম্ভর শয়নকক্ষে। ছবির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কুম্ভর দেহের ভিতর এক অন্যরকম অনুভূত শুরু হয়। মনে হল ওই গােলাপের মতাে ওষ্ঠ, সিক্ত বস্ত্রের মধ্যে থেকে জেগে ওঠা ভারী স্তনযুগলের চন্দ্রমল্লিকার অস্ফুট কুড়ির মত ক্ষীণ কটিদেশের মধ্যভাগে সুগভীর নাভিমূল, উন্মুক্ত সিক্ত উরু—এ সবই যেন আহ্বান জানাচ্ছে তাঁকে।….