অতনুর নামগন্ধ
…..আমি দেখলাম সােমা অতনুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছে। সােমার শাড়ির আঁচল বুক থেকে গড়িয়ে পড়েছে। অতনুর হাতও সেখানে বেশ খেলা করছে। সােমা এক হাত দিয়ে অতনুর চুল আর অন্য হাত দিয়ে ওর পিঠ খামচে ধরতে চাইছে। একটা মেয়ে একটা ছেলেকে চুমু খেতে শুরু করলে যা যা হয় এরপর ঐ সবকিছুই যে ঘটবে তা স্পষ্ট বােঝা যাচ্ছিল।….
…রাত বাড়ছে। পাশের ঘরে অতনুর চলাফেরার টুকটাক শব্দ হচ্ছে। আমার মনের ভিতরটা পাকিয়ে উঠছে খালি। বিছানায় শুয়ে শুয়েও ঘুম আসছে না। সােমা এখন কাপড় বদলাচ্ছে। ওর শরীরে এখন খালি সায়া আর ব্লাউজ। আস্তে আস্তে ও ব্লাউজের পিছনের হুকগুলাে খুলছে। ঘর প্রায় অন্ধকার। বাইরের স্ট্রিট লাইটের আলাে জানলার ফাক দিয়ে এসে ওর খােলা পিঠের উপর পড়ছে। গােটা পিঠটা এক সমুদ্রতটভূমির মতাে চিকচিক করে উঠছে। আমি যে কখন বিছানা ছেড়ে উঠে পড়েছি আমারই খেয়াল নেই। ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে পিছন থেকে সােমাকে জড়িয়ে ধরতেই ও চমকে উঠল। ওর উন্মুক্ত স্তন যুগল আমার হাতের মুঠোয়। ওর কঁাধের ধার ঘেঁষে আমার খসখসে জিভ নেমে আসছে নীচে। ওর গােটা শরীরটাই সােহাগে কেঁপে কেঁপে উঠছে। আমি ওকে কোলে তুলে নিয়ে ফেললাম বিছানায়। ওর দুচোখ বন্ধ, যা প্রবেশের অনুমতি। এবার আমার নিজের শরীরটাই কেমন গুলিয়ে উঠল। আমি তাে কিছুটা পরীক্ষা করতে চাইছিলাম, যদি আজ দুপুরেই কিছু একটা হয়ে থাকে তবে নিশ্চয় ও রাত্রে রাজি হবে না, কারণ ধরা পড়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ওকে দেখে তাে সেরকম কিছুই মনে হচ্ছে না। আমি কি তবে ভুল দেখলাম?……..
……..আমার শুধু সেদিনের দেখা দৃশ্যটার কথা মনে পড়ছে। সােমাকে আমি এত বছরে না হলেও কয়েকশাে বার আদর করেছি, কিন্তু সেদিন অতনুর সাথে ওকে যেভাবে দেখলাম সেভাবে পাইনি কখনও। সেদিন ওর সারাশরীর যেন শুধু অতনুর নামেই উৎসর্গ করেছিল। অতনুর মুখের মধ্যে বার বার ওর কামার্ত ঠোট জোড়া চেপে ধরছিল। আমি আর ভাবতে চাই না।…….
ছােট পাড়ার ঘটনা
….আমি নিজেকে বাষ্পীভূত করে মিশিয়ে দিলাম দুখণ্ড পাথরের উপর নতজানু সী-গালের যােনি বেয়ে নেমে আসা অমৃতের কুন্ডে তখন নিভে আসা আগুন তার অস্তিত্ব রক্ষা করছে বিলীন হওয়া ছাইয়ের মধ্যে খুঁজছে মানুষের স্বর মানুষের জন্ম তার পবিত্র নাভিকুণ্ড জন্ম কি এখনও বাকি সকলের এই পৃথিবীর কি জন্ম লিখে দিয়েছে নস্ট্রাডুমস পরজন্মের হিসেব কি মিলাতে পেরেছাে হে রতিসর্বজ্ঞ মহীয়সী কতটা জলপূর্ণ হলে কলসি তার বিলাপ শােনাবে না আর কোনােদিন…….
যৌনতা অথবা ঈশ্বরের গল্প
বিদিশা
বিদিশা তার নােংরা পাছাটা আমার হাঁ মুখের সামনে তুলে এনে কিছুটা বেড়ে যাওয়া নখ দিয়ে খুঁটে খুঁটে দেখাতে চাইল তার ফর্সা জিন্স ভেদ করে ‘ঠিক এইখানে ঠিক এইখানে’ ফেঁড়াটা হয়েছে। আমার ব্যাপারটাতে একটু ঘেন্না যে করছিল না তা নয় কিন্তু সেটা বােঝাতে পারলাম না মুখের অভিব্যক্তিতে কারণ বিদিশা তখন আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে ছিল না। আমি হাত দিয়ে দেখতে পারিনি, হাতের উপর আমার কন্ট্রোল নেই কোনাে!
পরে মনে হল এভাবে বিষয়টা খােলসা না করলেও পারত ও, যদিও কিছুটা আমিই দায়ী, কারণ বড্ড বেশি আমুদে হয়ে পড়েছিলাম ক’দিন। ও যে ‘সত্যি সত্যি শরীরে ব্যাথা বারবার বলছে তা আমার ঠিক বিশ্বাস হয়নি। আমি ওর পাছার ওঠা নামার চেয়ে বেশি মন দিলাম ফর্সা জিন্সটাতে, যেটা সম্ভবত গত বছর কিনেছে, কারণ সে বছর ওর কোমরের সাইজ বেশ কম ছিল আর ওটা সে পড়তে পারেনি, এবছর পরার জন্য তুলে রাখায় জিন্সটা। আমার চোখে নতুনের মতাে ঠেকল। ওকি জানত যে একবছরে ওর কোমরের সাইজ এতটা বেড়ে যাবে!…..
বিদিশার সাথে কিছুটা সময়
…..বিদিশা এখন আমার বিছানার পাশ থেকে উঠে গেছে। একে একে সালােয়ার, জিন্স ও প্যান্টি খুলে রাখছে। ও প্যান্টিটা ঝুলিয়ে রাখল এই ঘরটার দেওয়ালের একমাত্র জংধরা ওয়াল হ্যাঙ্গারটাতে যেখানে কিছুদিন আগেও আমি আমার জাঙ্গিয়া রাখতাম। এখন আর রাখি না কারণ আমি জাঙ্গিয়া পরা ছেড়ে দিয়েছি। বিদিশার শরীর এখনও পুরােপুরি নগ্নতায় ভরে ওঠেনি। আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না—ওহ ভগবান!…..
…….এখন ওকে মানসচোখে দেখা ছাড়া আর কোনাে উপায় নেই। আমি দেখছি…বিদিশা এবার দুহাত উপরে তুলে প্রথমে ওর নীল রঙা টেপ জামাটা খুলছে, এরপর ধীরে ধীরে ব্রা-টা খােলার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আমার দিকে পিছন ফিরে এগিয়ে আসছে। কিন্তু আমি মােটেও সেদিকে খেয়াল না করে তাকিয়ে আছি ওর নগ্ন পাছা জোড়ার দিকে, থলথলে মাংস যেখানে নড়ে চড়ে বেড়াচ্ছে একতাল নরম এঁটেল মাটির মতাে। যাকে নিয়ে যেমন খুশি খেলা যায়, যা খুশি বানানাে যায় আবার নিমেষে চটকে চুরমার করাও যায়। আমার হাতজোড়া এগিয়ে যাচ্ছে, নিশপিশ করছে, ওর কোমড় ধরে আমি এখনই ঝুলে পড়তে চাই। ও আমার হাত দুটোকে নিষ্ক্রিয় করে নিজে নিজেই ব্রাটা খুলতে সক্ষম হয়ে ঘুরে দাঁড়ায় আমার দিকে। ওর বুক দুটোকে নিটোল বলা যায় না, সেই নিটোলত্ব ধরে রাখার মতাে ইলাস্টিসিটি ওদের অনেকদিন আগেই নষ্ট হয়েছে। তবুও আমি ওকে দেখতে থাকি, যেন শেষবার, এটাই শেষবার।…
…..আমি উঠে গিয়ে রান্নাঘরে ওর পিছন থেকে ওকে জাপটে ধরি। ও বাধা দেয় না। পাতলা নাইটি ভেদ করে ওর গােটা শরীর আমার শরীরের সাথে লেপটে থাকে। আমরা দুজনেই চুপচাপ।…..
আমার সাথে বিদিশার সম্পর্কটা যেরকম
…….কফিশপের ঠান্ডা বাতাসে আমার মনপ্রাণ জুড়িয়ে এলে দেখলাম অন্ধকার নামছে ছােট্ট টেবিলটায়, মাথার উপর থেকে একটা আলাে, শুধু বিদিশার মুখকে রঙিন আর মায়াবি করে তুলেছে। আমি ওর মুখ দেখলাম, ঘাড় দেখলাম, তারপর বুক, হাত, পা, টেবিলের এধারে বসে আর যা যা দেখা যায় সব দেখলাম। ওর বুক দুটো হালকা সালােয়ারের বাধা ভেদ করে বেরিয়ে আসছে।….
……বিদিশা সােফার উল্টোদিকে একটু ঘুরে গিয়ে টাকাপয়সাগুলােতে খচমচ শব্দ তুলে ওর বুকের ভিতর ঢুকিয়ে নিয়ে আমার দিকে ঘুরলে আমার হাসি পেয়ে যায় এবং তা চেপে রেখেই বলি, আচ্ছা এবার আমি দেখি ওগুলাে কীভাবে বার করা যায়!
ও ‘না-না’ করে কিছুটা সরে যেতে চেয়ে ব্যর্থ হয়, কেননা আমি ততক্ষণে ওকে আষ্ঠেপৃষ্টে জড়িয়ে ফেলেছি। আমার হাত ওর বুকের মাঝের ব্লাউজের টাইট ফাক গলিয়ে বেশ কিছুটা ভেতরে ঢুকে গেছে। এবং সেখানে পয়সার বদলে খেলা করছে বিদিশার নরম স্তন, বাদামি বোঁটা। এরপর দ্রুত অভ্যস্থ হাতে ওর ব্লাউজের বােতামগুলাে এক এক করে খুলতে খুলতে ওকে মেঝেতে শুইয়ে নিই। আমার ওপর হাত ততক্ষণে নেমে গেছে ওর গােলাপি প্যান্টির অন্দরে।….