অনুবাদঃ প্রফুল্ল কুমার পাত্র
…..আদিবাসীদের পােশাক ঢাকা দুটি মেয়ে নাচছে। রেড ইণ্ডিয়ানদের মত সাজ হলেও দেহে রয়েছে শ্বেতাঙ্গদের কমনীয়তা। ওদের স্তন সুডৌল নয়, ব্রেসিয়ার খুললে স্থানচ্যুত হবে।….
….নিক কাটার আনমনে আঙ্গল দিল মিস লিলির বুকে। হাত রেখে অনুভব করল তার বুকের স্পন্দন। লিলি এবার আর বাধা দিল না। তার ঘাড় গুজে দিল নিকের কাধে। বলল অস্ফুটে দারুণ লাগছে। আঃ! কি নরম তুমি। নিক জানে এখন জল নামছে তার দেহের গােপন প্রপাত থেকে।…..লিলি যেন জিভ দিয়ে তার গাল চাটছে। প্রসাধনের সমস্ত গন্ধ ছেয়ে ফেলেছে তাকে। নিক প্রচণ্ড কামুক হয়ে ওঠে। প্রবাদ আছে যে নিক কাটার শুধু মহান ঘাতকই নয়, সময় পেলে সে অনায়াসে হতে পারে রমণ-ক্রিয়ার রাজা। যেমন এখন তার নিপণ আঙ্গল খেলছে লিলির বুকের বৃন্তে তুলেছে ঝড়।….
….সামনের মেয়ে দু’টি এবারে স্ট্রিল করবে। হঠাৎ দেহ থেকে এক এক করে ছুড়ে ফেলে দেবে আবরণ। ধীরে ধীরে উন্মােচিত হবে তাদের শরীর। দর্শকদের মধ্যে কোন চাপা গুঞ্জন হোতারা এখন কোণে কোণে গড়ে তুলেছে শরীরকে একটু সুখ দেবার খেলায় ।
মঞ্চে যা ঘটছে ঘটুক, সেখানে তাদের দৃষ্টি আবদ্ধ নেই। তারা সবাই হতে চাইছে প্রেমিক। লিলি নিককে দীর্ঘতম চুম্বন দিল। জিভ দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে রাখল তার ঠেটি। তারপর গাঢ় স্বরে বললাে-চলাে, বেড়ে যাবাে। নিক জানে যে এখানে তাদের অপেক্ষাতে আছে অনেকগুলাে নিভৃত কেবিন।….এলােমেলাে ফ্রক নিয়ে, আগােছালাে বুকে নিয়ে লিলি চলেছে নিকের হাত ধরে। তাদের লক্ষ্য ঐ কেবিন।……
…..এধরনের সংলাপে নিক সব ভুলে যায়। ওকে দু’হাতে তুলে নিয়ে বিছানায় উঠে পড়ে। ক্রিশ বলে-ও তুমি এতাে অসভ্য না, দাঁড়াও পােষাকটা সরিয়ে রাখি, তুমি না—এক্ষনি যা-তা হয়ে যাবে। ক্রিশ পােষাক খুলে নেয়। কামে অজরিত শরীর নিয়ে নিক ওকে বুকে চাপে। ওর স্তন দুটি নিকের লােমশ শরীরে আগুন জালিয়ে দেয়। ঠিক এইরকম অবস্থায় ক্রিশ খুব আস্তে কানে মুখ রাখে—তুমি আমায় খুব যন্ত্রণা দিচ্ছাে নিক।…..
….মেয়েটির সঙ্গে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করল নিক। সে তাকে বড় একটা ঘরে বসতে বলে, নিজে ভেতরে গেল পােষাক বদলাতে। পিছন থেকে ওকে দেখল। ভিজে পােষাকটা গায়ের সঙ্গে লেপটে থাকায় ওর শরীরের প্রতিটি গােপন ভাজের কারুকাজ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল নিকের চোখের ওপর। ভারি নিতম্ব দুলিয়ে সে হেসে ভেতরে চলে যেতেই নিক তাকাল ঘরের চারদিকে।……
…..মরিয়ম নিককে দেখে অবাক হয়েছিল। তবে সে অবাকের তুলনায় খুশী হয়েছিল আরও বেশী। সে মনে মনে তার উপস্থিতি চাইছিল। ওর শরীর পেতে চাইছিল নিকের উষ্ণ সান্নিধ্য। তাই ও এত খুশী। নিক ওকে প্রথমে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করল খানিক। ও বাধা দিল না। ওর স্তন যুগলে মুখ ঘসতে ঘসতে কামনার ঘন মাদকতায় বলল—কি এবার বিশ্বাস হয়েছ তাে সুন্দরী আমার কথা।…..
….মরিয়ম তার দিকে তাকিয়ে ওর উদ্ধত স্তনযুগলের দিকে তাকাল। কি মদির করা আকর্ষণ। নিক ওর কোমরে হাত রেখে বলল—কি বল, এই মহতে আমার সঙ্গে তুমি রাত কাটাতে পারবে ? রাজি আছ ? তােমার ওই লােভনীয় শরীরটাকে আমার ভীষণ পেতে ইচ্ছে করছে ?
সে নিরুত্তর। নিক ওকে নিজের মধ্যে টেনে নিয়ে বলল—তােমার ওই সুন্দর শরীরটা আমার বড় কামনার। তােমার ঠোঁট, তােমার নিটোল স্তনযুগল-বিশ্বাস কর, আমাকে বড় অস্থির করে তুলছে।…..
…..একজন তার হাত জোড়াকে পিছনে বেধে দিল। অন্যজন তার শরীর থেকে খুলে ফেলল পােষাক। তার নগ্ন শরীরের উপর একটা পুর্ণ তেজস্বী আলােক রেখা এসে পড়েছে। নিক দেখতে পেল একজন পাহারাদার রুনার স্তন যুগলকে কদর্যভাবে মদন করছে। যন্ত্রণায় চিৎকার করছে সে।….