রূপান্তরঃ অনীশ দাস অপু
…..বেডরুমে ঢুকে ক্যারেনের শার্টটা একটানে খুলে ফেলল জো। লাফ মেরে বেরিয়ে এলাে ক্যারেনের ভরাট দুই বুক। সেদিকে তাকিয়ে ঠোট চাটল জো। ধাক্কা মেরে ক্যারেনকে বিছানার ওপর ফেলে দিল। ক্যারেন দুহাতে নিজের স্তন আড়াল করে লাথি মারল জোকে। কিন্তু ওর পা খপ করে ধরে ফেলল জো। মুচড়ে দিল। তারপর ঝাপিয়ে পড়ল ক্যারেনের ওপর।….. জো ধারাল দাঁত বের করে কুকুরের মতাে ক্যারেনের উরুতে কামড়ে দিল। ফর্সা চামড়া কেটে বেরিয়ে এলাে রক্ত। ক্যারেন আবার লাথি কষাল। লােকটা এবার পালটা হামলা চালাল। ঘুষি মারল ক্যারেনের দুই উরুর সংযােগ স্থলে। দুনিয়া আঁধার হয়ে এলাে ক্যারেনের। জ্ঞান হারাল।…..
…যুবতীর মাথায় ঘন কালাে চুল, পাতলা ঠোট, টিকালাে নাক, সরু ভ্র, মুখে স্মিত হাসি। চোখের তারা সবুজ, তীক্ষ। যেন বুকের অনেকখানি ভেতর পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছে ও। সরু কোমর, সুডােল, খাড়া বুক। ওল্টানাে তানপুরার মতাে নিতম্ব। গলা থেকে পায়ের গােড়ালি পর্যন্ত এবং হাতের কজি পর্যন্ত আবৃত হালকা গােলাপি রঙের গাউনের মতাে পােষাক । তার ভেতরে সাদা ব্রা ও প্যান্টি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।….কথা বলার সময় এমনভাবে শরীরে ঝাকি দিল মেয়েটি, যেন নড়ে উঠল একটি হীরক খণ্ড। ঠিকরে বেরােলাে যৌবনের আলাে। গাউনের ওপর দিয়ে রেখা এঁকে গেল স্তনের চূড়া।….
…..ক্রিস ঘুরে ক্যারেনের ঠোটে চুমু খেল। ওর হাত ক্যারেনের সারা শরীরে হাতড়ায়। কি যেন খোজে ক্রিস। ক্যারেনকে পিষ্ট করে ফেলতে চাইল ফায়ারপ্লেসের পাশেই।
ক্যারেন ছটফট করে। বলে, ‘অ্যাই কী করছ!’
নিজের শরীরের সমস্ত আবরণ খুলে নিরাবরণ হয়ে গেল ক্রিস। নগ্ন করল ক্যারেনকে। তারপর মাতাল হয়ে গেল। কামনায় লাল ক্যারেনের সারা মুখ । ওর শরীরের ওপর ক্রিস হ্যালােরানের পেশীবহুল শরীর লেপ্টে গেল। সমস্ত শরীর বিদ্ধ হবার ব্যাকুলতায় ডাক দিয়ে ওঠে।….
….লিন্ডা ঘুরে দুহাতে ক্রিসের কোমর জড়িয়ে ধরল। কী উত্তেজক একটা গন্ধ আসছে লিন্ডার শরীর থেকে। তার স্তন ছুঁয়ে গেল ক্রিসের বুক। বসল পাশাপাশি।….লিন্ডা চাঁদের দিকে মুখ ফিরিয়ে দাঁড়ালাে। বুকের ওপর থেকে খুলে দিল জামার বােতাম । গা থেকে খসে পড়ে গেল ডােরাকাটা ফ্রক। মুক্তির আনন্দে নেচে উঠল ওর আলােকিত স্তন। সেই কম্পনের দিকে স্থির, সম্মােহিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল ক্রিস হ্যালােরান। এগােলাে ও। অজগরের নিঃশ্বাসের সঙ্গে যেভাবে এগিয়ে যায় অসহায় শিকার। নিপুণ ভাস্করের মূর্তি যেন লিন্ডা ঢাকা আধ বােজা ঠোট, লাবণ্যে উজ্জ্বল ত্বক। উদ্ধত বক্ষ। গভীর নাভী, মেদহীন তলপেট। উরুতে জ্যোৎস্নার প্রতিফলন। ক্রিস আরও এগিয়ে গেল, লিন্ডার শরীরে চন্দনের ঘ্রাণ।….
….হাত বাড়িয়ে দিল লিন্ডা । সেদিন বলেছিলাম, সময় হয়নি। আজ হয়েছে এসাে। | ক্রিস হ্যালােরানের শীতল শরীরে হঠাৎ বান ডাকল উষ্ণ রক্তের জোয়ার। ঝাপিয়ে পড়ল সে লিন্ডার শরীরের তরঙ্গে।
লিন্ডার শরীরের আগুন লাভা হয়ে উথলে উঠল। | থৈ থৈ মন্থনে, চুম্বনে, পেষণে, ঘর্ষণে নিস্তব্ধ বনভূমির সমস্ত বাঁধন যেন তছনছ করে দিল ক্রিস। ওদের উদ্দাম, নির্লজ্জ মৈথুন দৃশ্য দেখে লজ্জা পেল চাঁদ। তাকে ঢেকে দিল একখণ্ড কালাে মেঘ।…..
….বন্ধ দরজা ঠেলতেই ভেতরে ঘণ্টা বেজে উঠল। পর্দা সরিয়ে বেরিয়ে এলাে লিন্ডা । সারা শরীরে মােজার মতাে এঁটে থাকা পােষাক। শরীরের প্রতিটি ভাজ তাতে আরও প্রকটভাবে ফুটে আছে। ক্রিস লিন্ডার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল।….তানপুরার মতাে নিতম্বে আটলান্টিকের ঢেউ তুলে হেঁটে গেল লিন্ডা । সূচাগ্র স্তন ঝাকি খেল হাঁটার তালে। সেদিকে তাকিয়ে গলার ভেতরটা শুকিয়ে গেল ক্রিসের।…..
….ওর ঠোটে চুমু খেল লিন্ডা । তারপর ওকে শুইয়ে দিল বিছানায় । ‘তােমাকে ভালােবাসি, লিন্ডা। ‘বাজে কথা, ক্রিস। তুমি শুধু আমার শরীরটাকেই ভালােবাস।’ ‘আমি কি চাই, তুমি জানাে। ‘আমার শরীর, তাই তাে।’
চোখ লাল হয়ে গেছে ক্রিসের। শরীর মুচড়ে আসছে, ‘হ্যা, তাই চাই আমি।’
‘বেশ, নাও।’ বলে ক্রিসের পাশে বসে পােষাকটা নিজে হাতে খুলতে যাচ্ছিল লিন্ডা । ক্রিস উঠে বসে জড়িয়ে ধরল ওকে। এক টানে ছিড়ে ফেলল লিন্ডার জামা। চন্দনের ঘ্রাণ লিন্ডার গায়ে। কামনায় শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে স্তনের বোঁটা। উন্মত্ত পশুর মতাে লিন্ডার শরীর তছনছ করে দিতে লাগল ক্রিস। তারপর আর কিছু জানে না। এত আনন্দ, এত পুলক, এত বেদনা। এ তৃষ্ণার কাছে ক্যারেন বিবর্ণ পানি মাত্র, লিন্ডা যেন তীব্র মদিরা।
ক্লান্তিতে শ্রান্তিতে অবসাদে লিন্ডা আর ক্রিস ঘুমিয়ে পড়ল। জাগল যখন, ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।…..
…..নিজের কাপড়গুলাে গুছিয়ে নিয়ে গায়ে চড়াল ক্রিস। বিছানা ছেড়েছে লিন্ডাও। নগ্ন ক্রিস ডাকল, “লিন্ডা। লিন্ডা উবু হয়ে মােমবাতি জ্বালছিল। ওর খাড়া খাড়া স্তনে মােমের আলাে, গা থেকে পিছলে গেছে আলাে। বলল, ‘চুপ। আর কথা নয়। এখন বাড়ি যাও, এক্ষুনি।…..