দ্য স্পাই – পাওলাে কোয়েলহো

›› অনুবাদ  

রূপান্তরঃ ওয়াসি আহমেদ

….আমার জীবনে আসা প্রথম পুরুষ, আমার স্কুলের অধ্যক্ষ, ষােলাে বছর বয়সে যার কাছে আমি ধর্ষিত হই। লােকটা আমাকে তার অফিসে ডেকেছিল। দরজা লক করে হাত রেখেছিল আমার দু’পায়ের মাঝখানে। হস্তমৈথুন শুরু করেছিল সাথে সাথেই। আমি পালাতে চেয়েছিলাম, অনুনয় করে বলেছিলাম, এই সময়ে এই জায়গায় এসব করা ঠিক হবে না। সে আমার কথায় কান দেয়নি। ডেস্কের ওপরে রাখা কাগজের স্তুপকে পাশে সরিয়ে আমাকে উপুড় করে শুইয়ে দিয়েছিল। এক মুহূর্ত দেরী না করে, প্রবেশ করেছিল আমার ভেতর। হঠাৎ ভেতরে ঢুকে কেউ আমাদের দেখে ফেলবে, সে আশঙ্কার কারণেই বােধহয় এত তাড়াহুড়া।…..

….স্থানীয় নারীদের নিয়ে ফুর্তিতে মেতে থাকার অভ্যাসটা কিছুতেই ছাড়তে পারল না। ওর মতে, রতিক্রিয়া এশিয়ান মেয়েদের কাছে নৃত্যকলার মতােই এক শিল্প। ইউরােপীয় কোনও মেয়ের পক্ষে ওদের সাথে পেরে ওঠা সম্ভব নয়। এমন কথা বলতে বিন্দুমাত্র লজ্জা করেনি ওর।….

….আমার ধর্ষিত হবার দৃশ্যটা কল্পনা করে সে পৈশাচিক আনন্দ পেত; ডেস্কের ওপর উপুড় করে শুইয়ে হিংস্রভাবে প্রবেশ করত আমার ভেতর। চিৎকার করে কেঁদে উঠতাম। পাশের ঘর থেকে চাকরদের কানে যেত সে শব্দ, ওরা ভাবত আমার বেশ আনন্দ হচ্ছে।….

….ওরা সবাই নিজেদের নীল রঙে রাঙিয়েছিল; পরণে ছিল লম্বা ঝুলওয়ালা সারঙ্গ,  ওই অঞ্চলের স্থানীয় পােশাক। বুকে জড়ানাে সিল্কের ফিতা আচ্ছাদিত করে রেখেছিল নারীদের স্তন, আর ফুটিয়ে তুলেছিল পুরুষের দৃঢ় পেশীকে….

….ষষ্ঠ স্তর নামিয়ে ফেলার সময় আমি শিবের মূর্তির কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম, চোখেমুখে এমন ভাব ফুটিয়ে তুললাম যেন রতিক্রিয়ার চরম অবস্থায় উপনীত হয়েছি। সুকৌশলে মঞ্চের ওপর লুটিয়ে পড়লাম, তারপর, সরিয়ে ফেললাম সপ্তম এবং সর্বশেষ স্তর।  কয়েক মুহূর্তের জন্য চারপাশ নীরব হয়ে গেল, শায়িত অবস্থায় কারও সাড়া শব্দ পেলাম না আমি। কারও চেহারা দেখতে পাচ্ছি না, তবে অনুভব করছি তারা স্তম্ভিত, হতবাক। এরপর, হঠাৎ নারীকণ্ঠের উল্লাসিত চিৎকার শুনতে পেলাম, ‘শাবাশ।’ আমাকে অবাক করে দিয়ে পুরাে হলঘর ভরা দর্শক একসাথে দাঁড়িয়ে গেল। এক হাতে স্তনযুগল আবৃত করে উঠে দাঁড়ালাম আমি, আরেক হাতে লজ্জাস্থান ঢেকে রাখা। দর্শকদের অভিবাদন জানিয়ে মঞ্চ থেকে বিদায় নিলাম, …….

Please follow and like us:

Leave a Reply