ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প – শহীদুল জহির

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

আমাদের বকুল

…..তখন বকুল এবং আমির হােসেনকে বাড়িতে রেখে আকালু গ্রামের ভেতর ফাতেমাকে খোজে; হয়তাে সে কারাে চেঁকি ঘরে কাজ করে, হয়তাে তার প্রবল নিতম্ব দুলিয়ে মিঞাবাড়িতে ধান ভানে অথবা চিড়া কোটে। কিন্তু সুহাসিনীর কোনাে পেঁকিঘরে ফাতেমাকে পাওয়া যায় না।…..

…..স্বামীর বাড়ি আসার পর ফাতেমা দ্রুত ঘােমটার ভেতর থেকে বের হয়ে আসে, সংসারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ার পর থেকে তার ভরাট স্তন, বিস্তৃত নিতম্ব এবং মােটা পায়ের গােছা প্রকাশিত হয়; গ্রামের লােকেরা চলতে ফিরতে দেখে, তারা বলে, ক্যারে আকালু, এমন বউ বিয়া কইরলি, এমন ধামার নাহাল তর বউয়ের শরীল!…..

…..ফাতেমা হারিয়ে যাওয়ার পর গ্রামের কৃষকেরা প্রতিদিন আকালুকে মাঠে পায়; তাদের আকালুর বউয়ের শরীরের কথা মনে পড়ে, এবং ফাতেমার শরীরের কথা মনে হলে তাদের আকালুর শ্বশুরের দেয়া কাজলা গাইয়ের কথা মনে হয়; এই গাভীটির পিছন দিকে তাকালে তাদের মনে হতাে যে, তাদের অজু নষ্ট হয়ে যাবে; এবং এই গাভীটির কথায় তাদের ফাতেমার কথা মনে পড়ে, সবল এবং অপরিমিত যৌবনবতী ছিল এই নারী; এবং এই নারীর সঙ্গে তার বাপের বাড়ির কাজলা গরুর এক সম্পর্ক ছিল।……

…..গ্রামের লােকেরা যখন বলে, তর ম্যায়াটা তর হারায়া যাওয়া বউয়ের নাহাল হইছেরে আকালু, তখন বকুল হয়তাে ব্যাপারটা বােঝে অথবা কিছু বােঝে না; কিন্তু সে রান্না ঘরে মাচানের উপর যখন শােয় শাড়িতে তার শরীর ঢাকা পড়ে না, সে যখন গােসল করার সময় গা মাজে তার করতলের ভেতর তার নিজের কালাে দেহের বিস্ময় ক্রমান্বয়ে প্রকাশিত হয়।…..

Please follow and like us:

Leave a Reply