শ্রেষ্ঠ গল্প – বীরেন্দ্র দত্ত

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

তৃণভূমি

….মণিময় এবার অতসীকে স্থির দৃষ্টিতে দেখল। সকালের সেই ক্লান্তি অতসার শরীরের কোথাও নেই। দুটি সন্তান হয়ে গেছে অতসীর, কেউ এই মুহুর্তে ওকে দেখলে তা ভাববেই না। ভারী খোপা করেছে ভিজে চুল জড়িয়ে। এতক্ষণ পরে মণিময়ের লক্ষ্য পড়ল অতসীর শরীর। কোমর থেকে পা পর্যন্ত ঈষৎ ভারী মনে হয়, কিন্তু নাক, মুখ, চোখ, গ্রীবা, বুক, পিঠ এমন পরিমিত স্বাস্থ্যে উজ্জ্বল তাসীর, মণিময় এই প্রথম যেন তা নিঃশব্দে অনুভব করল। বত্রিশ বছরের বিবাহিতার বুঝিব’ আলাদা যৌন আছে। বনশ্রীর বয়স চব্বিশ, দেখলে মনে হবে উনিশ-কুড। কিন্তু এমন স্থির দীপ্তি, চোখে-মুখে যৌবনের আলােয় এমন শান্ত শীতলতা কোনদিন ওর শরীরে দেখেনি মণিময়। তিরিশের ওপরে মেয়েদের বয়স হলে মেয়েরা বুঝি সদ্য-সবুজ-হওয়া গাছের মত সুন্দর হয়। মণিময় নিজের পছন্দ মত একটা উপমা তৈরী করে অঙ্গীর পরিচ্ছন্ন শরীর দেখল।…..

……মণিময় অন্যমনস্ক ছিল। হঠাৎ সচেতন হয়ে অতসীর দিকে তাকাল। অতসীর ডান হাঁটু মোড়া। বাদিকের হাটু মুড়ে মারের ওপর ফেলে রেখেছে। ডানদিকের হাটুর ওপর থুতনি রেখে মাদুরের দিকে তাকিয়ে কিছু ভাবছে। পিঠের ওপর বিকেলের সাধারণ জড়ানাে ভিজে খোপা আধখােলা। বুক থেকে কাপড় সরে গেছে। মণিময় বত্রিশ বছরের বিবাহিত অতসীর গ্রীব, পিঠ, বুক, হাতের ডৌল, ভারী নিতম্ব এক পলক দেখল। বয়স তিরিশের ওপর গেলে, বা বিয়ে হয়ে গেলে বুঝবা মেয়েদের আলাদা সৌন্দর্যে ভয়ঙ্কর এক আকর্ষণশক্তি আসে।….

…..মণিময় ওর সামনে ঝুকে-পড়া অতসীকে দেখল। গলার সরু হারের সঙ্গে লকেটটা বুকের খাজে আটকে আছে। সামনের কাপড় শিথিল হয়ে একপাশে সরে গেল। অতসীর নিশ্বাস-প্রশ্বাসে ভারী বুক উঠছে নামছে। মণিময় সামনে আলােয় মেলে-ধরা হাতের দিকে তাকাল। নরম, কোমল হাত।…..

….অন্ধকার ঘরে জোরে পাখা ঘুরলেও একধরনের অস্বস্তিকর গরম অনুভব করল অতসী। বিছানার ওপর উঠে বসে অসী গায়ের জামা, ব্রা খুলে ফেলল। চুলের গােছাকে খোপা করে বঁধল।…..

জলবিন্দু

….ললিত করুণার কোমরের কাছে পিঠের দিকে ব্লাউজের অনাবৃত অংশটায় কয়েকবার চোখ বুলিয়ে নিল। এক পাশের ঈষৎ অবনত বুকে চকিতে দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিল। তার পরেই চিবুক, খোঁপা, গ্রীবা, মন হাত আর নরম পায়ের পাতা লক্ষ্য করল। এই ভঙ্গিতে দেখা ললিতের যেন প্রতিদিনের গোপন অভ্যেস। ললিত খুশি হল।…..

…..ললিত কয়েক মুহূর্ত করুণাকে দেখেছিল। দুটি সন্তানের মা, দশ বছরের বিবাহিত কোন বাঙ্গালী মেয়ে এমন ব্যায় ধােয় প্রথম কদমফুলের মত সতেজ থাকতে পারে, ওর কল্পনাতেই ছিল না। পােডা ইটের মত রং করুণার । নিটোল স্বাস্থ্য। আটপৌরে খাটো ময়লা একটা শাড়ীর আড়ালে ললিত যেন প্রথম দিনেই করুণার সমস্ত শরীরের ভিতরটা বুঝতে পেরেছিল। এমন নরম চিবুক, টান টান গ্রীবা, চওড়া পিঠ, নিটোল ভারী বুক আর নিতম্ব দেখে তেত্রিশ বছরের ললিত হঠাৎ কেমন আড়ষ্ট, হতবাক হয়ে গিয়েছিল।….

….সিগারেট ধরিয়ে ললিত বিছানায় উঠে বসল। বাইরে বেরুবার জন্যে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়াতেই আচমকা করুণাকে দেখল। বারান্দার রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছে। গায়ে কোন জামা নেই। পিঠ খােলা। এমন গভীর গােপন নির্জনতার মধ্যে দাড়িয়ে থেকে করুণা বুঝিবা আরাম ও বিলাসের সুখ ভােগ করে নিচ্ছে। যা গরম ! ললিত করুণার জ্যোৎস্না-বিছানাে বালিয়াড়ির মত উন্মুক্ত নর পিঠের ওপর দষ্টি স্থির রেখে কিছু সময় চুপ করে দাড়িয়ে রইল। ললিত মনে মনে হাসল । একটু আগে যে স্বপ্ন দেখছিল এখনি বলবে নাকি? নিঃশব্দ পায়ে বাইরে বেরিয়ে এল । চমকে দেব করুণাকে? ভাবল ললিত। ডাকল, করুণা।

যেন ভূত দেখে চমকে উঠল করুণ। দ্রুত পিঠ, দু’দিকের বহর খজ, অসতর্ক বুক কাপড় দিয়ে ঢেকে দিল। পিছন ফিরে ললিতকে দেখল।…..

……ললিত অন্যমনস্ক করুণাকে দেখল। গরমে জামা গায়ে রাখে নি। বঙান শাড়িটা পাতলা ঘুমের আলস্যে করুণার শরীরে যেন জড়িয়ে আছে। বুকের ওপর একটা বাতাসে কাপ পাতার ছায়া যেন জ্যোৎস্নার ঝর্ণা বহিয়ে দিয়েছে। ললিতের মনে হ’লকরুণার চিবুক, গ্রীবা, বুক, পিঠ, নিতম্ব—সমস্ত কিছু ভেদ করে যেন ফুলের উড়ন্ত রেণুর মত জ্যোৎস্না করুণাকে ক্রমশ আচ্ছন্ন করছে।

চমক কাটতে না কাটতেই করুণা ওর সামনে একেবারে বুকের কাছে ঘনিষ্ঠ হয়ে দাড়াল।

ললিত করুণার এত কাছে থেকে গাঢ় বিস্ময়-বিমূঢ়তায় যেন নিস্পন্দ হয়ে গেল। করুণার নিশ্বাসের শব্দ, শরীরের সেই গন্ধ পাচ্ছে যেন ! শালুক ফুলপাতা-ডাটার মিশ্রিত গন্ধ ললিতকে তীব্র আকর্ষণ করছে। ললিত চকিতে করুণার সারা শরীর দেখে নিল। চাপা নিশ্বাসে করুণার উন্নত বুক উঠছেনামছে! ললিত যেন করুণার নিটোল নরম বাহুর ওপর সকালের সেই জলবিন্দুগুলি মিহি জ্যোৎস্নায় মাখানাে দেখল। ললিতের সারা শরীরে-মনে যেন মুহুর্তের মধুর অন্যমনস্কতা।……

অসময়

……মালতী ঘাড় গলা মুছতে গিয়ে হঠাৎ নিজের বুকের ওপর দৃষ্টি রাখল। আঁচল ভিজে সপসপ করছে। আজই নতুন কেনা ব্রা-টা পরে এসেছে মালতী। ভিজে কাপড়ের ওপর স্তন, স্তনবৃন্ত স্পষ্ট। দ্রুত অচল দিয়ে ঢাকতে চাইল। কিছুই ঢাকা যাচ্ছে না। মালতী চকিতে সুমিতের দিকে তাকাল। সুমিত অন্যদিকে তাকিয়ে। হঠাৎ মনে হল, এ লােকটা যদি কিছু করে ! নাকি সে রকম নয়? খোপা ভেঙে পড়েছে পিঠে। বেণীটাকে বুকের ওপর টানল। যতটুকু ঢাকা যায়।…..

……হাসির দমকে মালতী এমন মাতাল কেন ? মালতীর লাল সােয়েটারে বােতাম নেই। ভিজে কাপড়ের গভীরে দুই স্তনে বুঝি সােয়েটারের লাল রঙ চুইয়ে চুইয়ে লেপ্টে গেছে কখন! মলিতী মুহূর্তের খেলায় এমন জয়ীর মত হাসছে? সুমত হঠাৎ চাপা ঠাণ্ডায় শিহরিত হল। চকিতে মালতীর ঠোটে ঠোট চেপে ধরল। দেয়ালে হেলান-দেওয়া মালতীর ক্ষীণ কটি সুমিতের বা হাতের আকর্ষণে ঝুলছে। মালতী শক্ত হাতে ধরেছে সুমিতের চওড়া পিঠ। দম বন্ধ হয়ে আসছে মালতীর। মালতীর যেন মনে হল, তা হােক। সঙ্গে সঙ্গে একটু আগে দেখা ব্যাঙ-ধরা সাপটাকে যেন মনে পড়ল। স্থির নুয়ে থেকে সাপটা যেমন করে খুব আস্তে আস্তে লেজ নাড়ছিল, মালতী জানে না কখন ওর বুকের

ওপর পড়ে থাকা বেণীটাকে সুমিত ডান হাতে ধরে ওদের ভয়ংকর শক্ত হয়ে লেগে থাকা দুই ঠোটের মাঝখানে জড়িয়ে দিচ্ছে। ওরা বুঝি চারপাশের বৃষ্টির অফুরন্ত শব্দে ঢাকা কোন কঠিন দ্বীপে আদিমকাল থেকে দাড়িয়ে থাকা একজনই !…….

মধ্যদুপুর

…….কথা বলতে বলতে নীরাদি এক সময় ছটফট করে উঠল। উঃ কি গরম। হাতপাখাটা নিল। জোরে জোরে বাতাস করতে করতে বলল, এই ছেলেটা, পিঠের বােতামটা খুলে দে তাে।

সত্যই গরম লাগছিল টিপুরও , উঠে বসে উপুড় হয়ে টান টান শুয়ে-থাকা নীরাদির পিঠের দিকে জামার বােতাম সব খুলে দিল। ময়লা ব্রা চওড়া পিঠে ব্যাণ্ডেজ বাধার মত আটকে আছে।

মাঝখানের ক্লিপটা খুলতে পারবি? টিপু কিছু জানত না। কোনটা?

“ওই যে ক্লিপের মত আটকে আছে যেটা ! ঠিক মাঝখানটায় ! দেখতে পাচ্ছিস?

‘খুলছি। টিপু শক্ত হয়ে বসে থাকা হুকটা টানতে লাগল । খেলা পেয়ে গেছে টিপু।

নীরাদি বুক চেপে উপুড় হয়ে শুয়ে অফুরন্ত হাসছে। টিপুর ততই হুক খােলার খেলায় ঝোক চেপে যাচ্ছে। একসময়ে নীরাদির হাসির দমকে আর টিপুর টানাটানির মধ্যে ব্রা ছিটকে খুলে গেল। নীরাদি দেখতে ভাল নয়, লম্বা চোয়াড়ে মুখ, কিন্তু পিঠে বেশ মাংস।

একটু হাত বুলিয়ে দে তাে টিপু, যা গরম। একটু থেমে বলল, “তাের গরম লাগছে না রে? টিপু হাত বুলাতে লাগল। হু, খুব গরম। “উহ, ভীষণ কুটকুট করছে রে টিপু। একটু চুলকে দিবি? ‘কোনখানটায়?

‘ডান দিকে হাতের গােড়ায়, কাধের ঠিক নীচে। হ্যা, আর একটু, আর একটু সরে, একটু ওপরে ওইখানটায়। হ্যা, আহ। নীরাদির খুব ভাল লাগছে।

টিপু হঠাৎ বলল, ‘নীরাদি, এখানে একটা লাল মত কি হয়েছে! ‘ওইটাই তাে, দে তাে জোরে জোরে চুলকে। টিপু চুলকোতে লাগল। ‘দুর, তাের হাতে একটুও নখ নেই। দেখি।…..

…..‘দুর, তাের তাে আঙুলে নখ নেই, কি কুটকুট করছে! ওই লাল জায়গাটা একটু কামড়ে দে তাে টিপু। দু’তিনবার জোরে কামড়ালেই ঠিক হয়ে যাবে।

‘সত্যি দেব ? টিপু অবাক হয়ে দেখছে নীরাদিকে। লাগলে আমি কিন্তু জানি না। হি হি করে টিপু হাসছে তখনাে।

‘দে-না, তুই কামড়ালে কি আর মাংস ছিড়ে যাবে ? দে।’ বলেই নীরাদি উপুড় হয়ে শুলাে। দু’টো হাত দুপাশে ছড়ানাে। জমানো খেলা পেয়ে গেছে টিপু। পিঠের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে নীরাদির লাল জায়গাটা কামড়াতে লাগল। আস্তে আস্তে টিপু কেমন পাউডারের গন্ধ পাচ্ছে নীরাদির নরম চামড়া থেকে। নীচে কোমরের দিকে কুটকুট করছে টিপু, একটু কামড়ে দে। টিপু নীচের দিকে পিঠে কামড়াল কয়েকবার। এপাশটায় এখানে, ওদিকটায় একটু।” করতে করতে নীরাদি কখন চিত হয়ে শুয়ে পড়েছে।

‘দ্যাখ তত টিপু, নীরাদি কণ্ঠনালীর নীচে একটা জায়গা দেখাল। কণ্ঠার হাড়ের কাছে সত্যিই একটা লাল ঈষৎ ফোলা অংশ। এখানটায় একটু কামড়ে ধর। বেশ জোরে।

খােলা বুক নীরাদির। টিপু উপুড় হয়ে কার কাছে কামড়ে ধরল। নীরাদির কথামতাে জোরে জোরে বারকয়েক। তারপর কখন যেন সামনেটায় নীরাদি চুলকে দেবার মত কামড়াতে বলেছে। টিপু এক এক করে তাই করেছে। এক সময়ে টিপু স্থির। নীদিও। নীরাদির বুকের মধ্যে মুখ রেখে টিপু যেন কথন ওর দু’মাসের ঘুমন্ত ছােট ভাইয়ের মায়ের বুকে মুখ রেখে ঠোট নাড়ার মত নীরব খেলায় ডুবে গেছে।…..

…..টিপু হাসতে হাসতে নীরাকে নিস্পলক দেখছে। নীরা এমন দুপুরের গরমে জামা পরেনি। বুকে পিঠে একটা ব্রা টাইট হয়ে বসে আছে। পিঠের ওপর শাড়ির আঁচল জড়ান। টিপু দেখছে। কত দিনের পরিচিত নীয়াদি । নীরাদির সব কিছু জানে টিপু। তবু আজকের নীরদিকে যেন নতুন লাগছে । নীরাদি স্কুলের চাকরীর জন্যে কলকাতা থেকে এক বছর বাইরে কি একটা পড়তে গিয়েছিল। এই কিছুদিন হল ফিরে স্কুলে জয়েন করেছে। সেখানেই স্বদেশদার সঙ্গে আলাপ, বন্ধুত্ব। আর সেখান থেকেই নীরাদি বেশ মােটা হয়ে এসেছে। বুক, পিঠ, ঘাড়, দু’হাতের কনুই মণ ভারী।

টিপু একভাবে তাকিয়ে আছে। নীরা ওর দিকে পিছন ফিরে তখনাে ঘরের দু-একটা টুকিটাকি কাজ সারছে। গলায় গানের সুর । নীরাদি লম্বা। কোমর থেকে নীচের পায়ের পাতা পর্যন্ত টান-টান। শাড়ির সীমার ওপর দিয়ে তলপেটের কাছে একটা খাজ স্পষ্ট চোখে পড়ে। কিছুক্ষণ ওদিকে তাকিয়ে থাকলে কেমন শির শির করে টিপুর ভিতরটা। গলাটা সরু ল, সারস পাখির মত, কণ্ঠা কাছটা মাংসল নরম, যুবতী মুরগীর মত। চমকে উঠল টিপু নিজের মধ্যে।……

অভিজ্ঞান

…..দু’পা সামনে ফেলতেই সুপ্রিয় আড়ষ্ট হয়ে যায়। নয়ন। এবার ওর বাহ ধরেছে কেন অন্য কোন কারণে ? হঠাৎ সুপ্রিয় অনুভব করে ওর বাহুর ওপর নয়নার বুকের চাপ। নয়না ওর অনেক ঘন হয়ে ওর পদক্ষেপ সামলায়। কিন্তু সারা শরীর জুড়ে নয়নার বুকের এত তাপ সে পায় কেন ? নয়না কোন শব্দ করছে না। বাহু পিঠ জুড়ে নয়নার স্তনাগ্র একটানা কি এক খেলায় মাতে। এত কুৎসিৎ কেন এই | খেলা ? সুপ্রিয় বিরক্ত হয় । ঘৃণা প্রবল হয়ে ওঠে ভিতরে।…..

লখিন্দরের ভেলা

…..লাজুক মেয়েটা। ঠিক এইরকম ফ্রক-পরা, কালাে, ঢ্যাঙা চেহারা ছিল মেয়েটার। মুখটা তেমন দেখতে ভাল ছিল না, তবে মুখরা ছিল। একবার কথা আরম্ভ করলে থামত না। পাতলা শরীরে বুকের গড়ন, কোমর দেখতে বেশ ছিল।….

…..এদিক-ওদিক তাকিয়ে জাপটে ধরল উমাকে আচমকা। চুমু খাওয়ার জন্যে কামড়ে ধরল উমার ঠোট। আর অমন সুন্দর বুক একেবারে তছনছ করে দিল দুলভ। দুলভ আগে বুঝতেই পারে নি উমার ফ্রকের নীচে আর কোন কিছুই নেই।…..

Leave a Reply