কামাদি কুসুম সকলে – হর্ষ দত্ত

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

…..সেখানে সহদেবের যুবতী শ্যালিকা দাঁড়াইয়া আছে। সহদেবের স্ত্রী সম্প্রতি গর্ভবতী হইয়া পিত্রালয়ে আছে। সে তাহার ভগিনীকে আজিকার মৃত্যু-উৎসবে তাহার প্রতিনিধি করিয়া পাঠাইয়া দিয়াছে। যুবতীটি এমনভাবে দণ্ডায়মান যে তাহার পীনন্নোত স্তনের ডৌল সুস্পষ্ট আকারে প্রতিভাত। তাহার নাভিপদ্ম হইতে স্তনদ্বয় পর্যন্ত উদরের অনাবৃত অংশ, অঙ্গবস্ত্র সরিয়া যাওয়ায়, লােভন হইয়া উঠিয়াছে। যুবতীর ভ্রূক্ষেপ নাই। সম্ভবত সে তাহার এই কামােদ্রেক রূপবিভঙ্গ সম্বন্ধে অবহিত নহে। অর্জুনের নিকট নারীদেহ নতুন নহে। তাহার স্ত্রী রহিয়াছে। নগ্ন সৌন্দর্যের ভয়ংকরতা সম্বন্ধে তাহার অভিজ্ঞতা যথেষ্ট। তথাপি তাহার দৃষ্টি পতঙ্গের ন্যায় বহি সমীপে ধাবমান। এখন মাতৃশােকে তাহার চিত্ত বাহির হইতে পারিতেছে না। পলাইয়া যাইবারও ক্ষমতা নাই। অর্জুন নিজের কাছে পরাজিত হইয়া দাঁড়াইয়া রহিল। বাল্যবন্ধুটি হঠাৎ বলিয়া বসিল, হ্যা রে, তাের বৌয়ের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলি না। অর্জন যেন বাঁচিয়া গেল। রমাকে ডাকিয়া আনিয়া চক্ষের সম্মুখে দাঁড় করাইল। মামুলি কথাবার্তার অবকাশে অর্জুন পুনরায় অনুভব করিল, রমার দেহখানি তাহার সম্মুখে যে প্রাচীর সৃষ্টি করিয়াছে, তাহা উলঙঘন করিয়া আঁখিপাখি দরজার নিকটে যাইবার জন্য ব্যাকুল হইতেছে। অর্জুন শত চেষ্টা করিয়াও নিজেকে দমন করিতে পারিল না। কৌশলের আশ্রয় লইয়া দ্রষ্টব্য স্থলে তাকাইল। ততক্ষণে যুবতীটি সেখান হইতে অন্য কোথাও সরিয়া গিয়াছে।…..

Leave a Reply