……নয়-দশ বছর থেকে তেরাে-চোদ্দো বছর পর্যন্ত বালকেরা সমবয়েসি মেয়েদের একেবারে | পাত্তা দেয় না। কারণ তখনও পর্যন্ত ছেলে ও মেয়েদের শারীরিক গড়নের তফাত থাকে না বিশেষ। অন্তত বছর দশেকের বড় রমণীরা তাদের চোখে পরিপূর্ণ নারী। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, পঞ্চদশীরা পূর্ণিমায় পৌঁছায়। আমার মনে হয় আরও কয়েক বছর বেশি সময় লাগে। বিংশতি বর্ষ পার হবার পরই সাধারণত মেয়েদের স্তনােগম সম্পূর্ণ হয়, চওড়া হয় উরুদ্বয়, গমন ভঙ্গি বদলায়। দশ-এগারাে বছরের ছেলেদের চোখে সেটাই নারীত্ব, তাদের প্রতি মুগ্ধতার দৃষ্টি থেকেই বালকেরা এক সময় কৈশােরের খােলস ভেঙে বেরিয়ে আসে। বাইশ-তেইশ বছরের কিংবা তারও বেশি বয়সের রমণীরা দশ-বারাে বছরের ছেলেদের মানুষ বলেই গণ্য করে না। কিন্তু সেই সব ছেলেরা যে তাদের কী চোখে দেখে তা তারা কোনওদিনই জানতে পারে না।…..