…..মনসার জন্মবৃত্তান্তটাই অভিনব। শিব যখন কাশীতে এসে বসবাস করছেন, তখন মা চণ্ডী সরযূনদীর তীরে একটা উদ্যান করেছিলেন। শিব তা জানতেন না। মহর্ষি নারদের কাছে খবরটা জেনে গােপনে শিব সেই উদ্যানে গিয়ে হাজির হলেন এটা দেখার জন্য যে, চণ্ডী অভিসারে যান কি না? বসন্ত কাল, মনােরম উদ্যানের সৌন্দর্য দেখে শিব কামমােহিত হয়ে গেলেন। উত্তেজনায় তিনি একটি বেলগাছকে জড়িয়ে ধরলেন। তার বীর্যস্থলন হয়ে গেল। সেই বীর্য তিনি পদ্মপাতার উপর রেখে দিলেন। পদ্মের নাল দিয়ে বীর্য পৌছে গেল পাতালে নাগরাজ বাসুকির মায়ের কাছে। তিনি সেই বীর্য দিয়ে পুতুল বানিয়ে জন্ম দিলেন এক কন্যার। তার নাম হল পদ্মাবতী।……
…..প্রায় দিন দশেক পর দেখা, চায়ের কাপটা হাতে নেওয়ার আগে একবার তিনি স্ত্রীর দিকে তাকালেন। বয়স অনেক দিন আগেই পঞ্চাশ পেরিয়ে গিয়েছে। তবু, এখনও সনকা যথেষ্ট সুন্দরী। ছেলের বউয়েরা পাশে দাঁড়ালেও সেটা বােঝা যায়। গায়ের রঙ এখনও কঁচা হলুদের মতাে, ত্বক টানটান। কোমর পর্যন্ত চুল, পাক ধরেনি। সুডৌল স্তন, সরু কোমর। শরীরে কোথাও এতটুকু মেদ নেই।…..
…..মিনিট পাঁচেক পর দু’জন যখন নদীতে স্নান করতে নামলেন, তখন জোয়ারের জল বাড়তে শুরু করেছে। বার কয়েক ডুব দিতেই শরীরটা জুড়িয়ে গেল তরিতার। মায়ামিতে রােজ সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতেন সুইম স্যুট পরে। ওখানে অত লােকলজ্জার ভয় নেই। কিন্তু দয়াপুরে সেটা সম্ভব না। ট্যুরিস্টদের কারও চোখে পড়ে গেলে নিন্দে করতে পারেন। নদীতে খানিকক্ষণ সাঁতার কাটার পর আরও স্নানসুখ পাওয়ার জন্য গা থেকে ব্লাউজ আর ব্রা খুলে ফেললেন তরিতা। সেগুলাে নদীর পারে রেখে আসার জন্য জল থেকে উঠতেই হঠাৎ তিনি শব্দ শুনতে পেলেন ইঞ্জিনের। সজনেখালির দিক থেকে একটা বড় লঞ্চ এ দিকপানে আসছে। সঙ্গে জলের বড় ঢেউ তুলে। লঞ্চটা যে কারও ব্যক্তিগত, দেখেই তা বােঝা যাচ্ছে। খুব ঝকঝকে, আর সাজানাে গােছানাে। বিদেশে এ রকম লঞ্চ তিনি অনেক দেখেছেন। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত জায়গায় দেখতে পাবেন, তরিতা আশাই করেননি। হঠাৎ তিনি আবিষ্কার করলেন, ঢেউয়ের ধাক্কায় গায়ে জড়িয়ে থাকা আঁচলটা বুক থেকে সরে গিয়েছে। উর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত। চট করে শরীরটাকে তিনি জলের নীচে ডুবিয়ে দিলেন। এমন অস্বস্তিতে আগে কখনও পড়েননি তরিতা।
লঞ্চটা পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে জেমসপুরের দিকে। উপরের ডেক-এ বসে আছেন মধ্যবয়স্ক একটা লােক। ওঁর উন্মুক্ত স্তনের দিকে তাকিয়ে হাসছেন। নির্লজ্জতা দেখে রাগে শরীর জ্বলে উঠল তরিতার। কে এই অসভ্য লােকটা? পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার সময় লঞ্চের নামটা তিনি মনে রাখলেন। এমভি সনকা।…..
…..যুবক বয়সে বারপাঁচেক গাজনের সন্ন্যাসী হয়েছেন চন্দ্রভানু। কিন্তু, একবার একটা বিশ্রী ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তিনি ব্রত নেওয়া বন্ধ করে দেন। নিয়ম হচ্ছে, নীল পুজোর দিন গাঁয়ের বউরা উপােস ভাঙে সন্ন্যাসীদের মাথায় জল ঢেলে। সেই নিয়মটা পালন করার জন্য মন্টুর বউ সত্যবতী বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তাঁকে। সত্যবতী তখন সদ্য বিয়ে হয়ে আসা বউ। শরীরটা একেবারে টাটকা ফুলের মতাে। গায়ে-মাথায় জল ঢেলে গা মুছিয়ে দিচ্ছিল সত্যবতী। সেই সময় ওর নাভি, পাতলা কোমর আর ভরা স্তন দেখে তীব্র কামভাব জাগে চন্দ্রভানুর। সন্ন্যাসীদের অসংযমী হতে নেই। তাতে পাপ হয়।…..
…….কথাটা বলেই স্কচে ফের চুমুক দিলেন চন্দ্রভানু। চোখের সামনে স্পষ্ট তিনি দেখতে পেলেন, লঞ্চের ঢেউয়ে মেয়েটার বুকের আঁচল সরে গিয়েছে। পাকা ডালিমের মতাে দুটো স্তন। দৃশ্যটা চিন্তা করে সারা শরীরে একটা শিরশিরানি অনুভব করলেন চন্দ্রভানু। মন্টু স্বভাব বদলানাের কথা বলছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার ও কথাটা বলেছে। ও কি জানে, বেপরােয়া এই যৌনজীবন শুরু হয়েছিল কার সঙ্গে? সে তাে ওরই বউ সত্যবতী। তার আগে সনকা ছাড়া আর কোনও নারীদেহ তিনি স্পর্শ করেননি। বাঘকে রক্তের স্বাদ দিয়েছিল সত্যবতী। কত রকম ছলাকলা ও জানত! পুরুষ মানুষকে তৃপ্ত করার কায়দাগুলাে ছিল ওর নখদর্পণে। এই বাংলােতেও, কয়েকটা রাত তিনি কাটিয়েছেন সত্যবতীর সঙ্গে।…..
…..পিছনের সিটের ডান দিকে বসে আছে সনকা। মুখ-চোখ ফোলা ফোলা। বােধহয় সারা রাত্তির ধরে কান্নাকাটি করেছে। অন্য সময় গয়নায় ঢাকা ঢাকে বলে ওর শরীরটাই দেখা যায় না। এখন ওর শরীরে একটাও গয়না নেই। রাগের চোটে মনে হয়, খুলে ফেলেছে। সনকার স্তনের খাঁজ দেখে হঠাৎ যৌনতাড়না অনুভব করলেন চন্দ্রভানু। কয়েক সেকেন্ড সেদিকে তাকিয়ে থেকে।….