পাতালজাতক – রূপক সাহা

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……আমি অনেকদিন দেখেছি বুলুদিকে জড়িয়ে ধরে রনিদা চুমু খাচ্ছে। বাড়িতে বেশির ভাগ সময় বুলুদি স্কার্ট-ব্লাউজ পরে থাকত। এমনও দেখেছি ব্লাউজের বােতাম পটাপট খুলে বুলুদি স্তন বের করে রনিদার মুখের সামনে তুলে দিচ্ছে। আর রনিদা পাগলের মতাে মুখ ঘষছে সেই স্তনে। দুজনের মধ্যে তখন এমন ঘনিষ্ঠতা, একদিন ছাদে ঘুড়ি উড়িয়ে নীচে নামার সময় দেখি, বাথরুমের দরজাটা খােলা। টুল পেতে বসে আছে রনিদা। ভেতরে বুলুদি গায়ে সাবান মাখছে। বিস্ফারিত চোখে বুলুদির নগ্ন শরীরটা সেদিন দেখেছিলাম। তারপর থেকে বহুদিন দৃশ্যটা আমাকে উত্তেজিত করেছে।…..

……বিকেলবেলায় ফিরে ছাদের দিকে যাচ্ছি, হঠাৎ দোতলার ঘরে শুনতে পেলাম বুলুদির গলা, “আসল কাজটা করার সাহস নেই। তােমার শুধু চুমু খাওয়া। যাও তাে, তােমার ঠোঁটে ঠোঁট ঘষতে আমার ভাল লাগে না।”

রনিদা ফিসফিস করে বলেছিল, “কেউ এসে পড়লে?”

“কে আবার আসবে? বাড়ি ফাঁকা। আজও পারলে না? তুমি পুরুষ মানুষ কি না, এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে।”……

….আমার হাত ধরে ঝুলন উঠে বসার চেষ্টা করল। কিন্তু পারল না। ধরে ধরে ওকে সিড়ি দিয়ে নামানাে যাবে না। তাই পাঁজাকোলা করে তুলে নিলাম। রাতে ম্যাক্সি পরে শুয়েছিল। ওকে কোলে তুলে নিতেই ঝুলন দু’হাত দিয়ে আমার গলা জড়িয়ে ধরল। নরম তুলতুলে একটা শরীর আমার কোলে। পূর্ণযৌবনা একটা মেয়ে। আমার সারা শরীর শিরশির করে উঠল। ওর গাল আমার গলা স্পর্শ করে আছে। ওর শরীরের উত্তাপ আমি টের পাচ্ছি। হঠাৎ ওই তাপপ্রবাহ আমাকে একটু নতুন অভিজ্ঞতা দিল।…..

…..পাশ ফিরে ঝুলন ঠকঠক করে কাঁপছে। দু’হাত বুকের কাছে জড়াে করা। পায়ের দিকে ম্যাক্সিটা অনেকখানি উঠে এসেছে। উরুর অনেকটাই দেখা যাচ্ছে। হা করে সেদিকে তাকিয়ে রইলাম। ঝুলনের গায়ের রং কালাে। কিন্তু এই প্রথম লক্ষ করলাম, ওর ফিগারটা অসাধারণ। কোমরের কাছে ঢাল নেমেই চমৎকার উঠে এসেছে। কতই বা বয়স হবে? সতেরাে-আঠারাে। হঠাৎ ও যেন কেমন বড় হয়ে গেছে।….

…..“গুল মারছিস? রাস্কেল কোথাকার?” বলেই খপ করে আমার হাতটা চেপে ধরল রনিদা, “ভাবছিস, গুল মেরে তুই বুলুদিকে বাঁচাবি। তাের সঙ্গে তাের বুলুদির সম্পর্কটা আমি জানি না ভেবেছিস, তাই না? বুলু কেন আমাকে সেদিন বলেছিল, তােমার থেকে অর্কর পেনিসটা অনেক বড়? তােদের দুজনকেই আমি ছাড়ব না। এই দ্যাখ, রিভলবারটা সঙ্গে নিয়ে ঘুরছি।”….

……চোখ খুলে দেখলাম, সােফায় ঝুঁকে রয়েছে ঝুলন। পরনে বাসন্তী রঙের শাড়ি ব্লাউজের ফাঁক দিয়ে ওর স্তনের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে। ওর ঠোঁট দুটো আমার মুখের সামনে। ওর শরীর থেকে মিষ্টি একটা গন্ধ ভেসে আসছে। অসম্ভব সুন্দর লাগছে ওকে দেখতে। ওর চোখে চোখ রেখে বলতে চাইলাম, “ঝুলন, বুলুদি এখন কোথায় রে?” বলে ফেললাম, “তুই এত কেন সুন্দর রে।”…..

…..পিঙ্কির মা একবার আমার দিকে তাকিয়েই আবার খাওয়ায় মন দিলেন। নাভির নীচে শাড়ি পরেছেন। হঠাৎ সেদিকে চোখ চলে গেল। মসৃণ ত্বক ঢাল খেয়ে নীচের দিকে নেমে গেছে। একেবারে মেদহীন। একেকজন এত সুন্দর ফিগারটা রাখেন কী করে? আড়চোখে আরেকবার নাভির দিকে তাকালাম। আমার নিজের শরীরেই বিদ্যুৎ খেলে গেল। সঙ্গে সঙ্গে চোখটা সরিয়ে নিলাম। মনে একটা বিচ্ছিরি চিন্তা আসছে। সেটা মদ্যপানের জের কি না, বুঝতে পারলাম না।……পিঙ্কির মা হেঁটে যাচ্ছিল। সেদিকে যঁ করে তাকিয়ে রইলাম। পিঠের অনেকটাই দেখা যাচ্ছে। কোমরের একটা ভাঁজও। চলার ছন্দে নিতম্ব নাচছে।….

……দরজার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে ঝুলন বলল কথাটা। শাড়ি ছেড়ে পাতলা একটা ম্যাক্সি পরে এসেছে। আবছা আলােয় ওর শরীরের চড়াই-উতরাই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ওর দিকে তাকিয়ে আমি যেন পিঙ্কির মাকে দেখতে পেলাম। হঠাৎই শরীরের ভেতর উত্তেজনা।…..

…..ঝুলনের কোলে মাথা রেখে আমি শুয়ে পড়লাম। চুলের মাঝে আঙুল দিয়ে বিলি কাটতে কাটতে ও বলল, “তােমাকে ডাকলে তুমি যেতে? একটা সময় তাে তুমি সহ্যই করতে পারতে না আমাকে।”

সামান্য বুকে ও আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ওর গলার লকেটটা আমার চোখের সামনে দোল খাচ্ছে। ভারী দুটি স্তন ইচ্ছে করলেই আমি ছুঁয়ে দেখতে পারি। ওর বুক থেকে মিষ্টি একটা গন্ধ ভেসে আসছে। সেই গন্ধটাই আমাকে পাগল করে দিল। কোনও উত্তর না দিয়ে, দু হাত বাড়িয়ে ওকে বুকের ওপর টেনে আনলাম। আহ, আমার সারা শরীরে তীব্র একটা সুখ খেলে বেড়াতে লাগল। যেন এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষা করছিল ঝুলন। পা দুটো টানটান করে, উপুড় হয়ে আমার বুকের ওপর ও উঠে এল। তারপর ফিসফিস করে জানতে চাইল, “বলাে অর্কদা, কেন তুমি কিছু বলছ না?” | ফিসফিস করে বলা কথাগুলােই আমার সারা শরীরে আগুন ধরিয়ে দিল। ওর ঠোঁটে আঙুল ছুঁইয়ে, কেমন যেন ঘাের লাগা মানুষের মতাে বললাম, “তােকে আজ কেন এত সুন্দর লাগছে রে ঝুলন?” | আঙুলটা সরিয়ে দিয়ে ও বলল, “তােমাকেও অন্যরকম লাগছে গাে। কলরীর থেকে খালি গায়ে তুমি যখন বেরলে, তখনই মনে হল, তােমার বুকে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ি। আর থাকতে পারলাম না অর্কদা। তােমার কাছে ছুটে এলাম।”

দু’ হাত দিয়ে আলতাে করে ওর মুখটা টেনে আনলাম। ওর ঠোঁট দুটো ফাঁক হয়ে আছে। চোখ বােজা। দেখেই মনে হল, আমাকে আজ সব কিছু দিতে এসেছে ঝুলন। ঠোঁটে প্রথম চুমুটা দিতেই ও কেঁপে উঠল। সেই কম্পন ছড়িয়ে গেল আমার শরীরেও | জীবনে এই প্রথম কোনও মেয়েকে আমি চুমু খেলাম। ভাল লাগার তীব্র স্বাদ আমার তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে ছড়িয়ে গেল। ঝড়ের গতিতে ওর মুখের সর্বত্র চুমু খেতে খেতে আমি বললাম, “আয় ঝুলন, আজ আমরা রেখাদের মতাে হয়ে যাই।”

লজ্জায় দু হাতে মুখটা টেকে রয়েছে ঝুলন, ফিসফিস করে বলল, “আমি পারব না। আমার শরীর কাঁপছে।”

চাঁদের আলাে ওর শরীর থেকে ঠিকরে বেরচ্ছে। কালাে পাথরে খােদাই করা একটা মূর্তি বলে মনে হচ্ছে ওকে। ধীরে ধীরে ওকে শুইয়ে দিলাম। আমার রক্তে তুফান উঠল। ওর তপ্ত প্রশ্বাস আমার সারা শরীরে জ্বালা ধরিয়ে দিল।…..

….সেদিন পূর্ণিমার রাতে ঝুলন আমাকে আশ্চর্য জগতের সন্ধান দিয়েছে। যখনই বাড়ি ফিরি কেন, ওকে দেখলেই ইদানীং আমার শরীরের খিদেটা চাগাড় দিয়ে ওঠে। বুলুদি বাড়িতে থাকলে অবশ্য ও আমার ধারেকাছে আসে না। আগে ওর মধ্যে এই সাবধানতা দেখতাম না। এখন বুলুদি হলদিয়ায় যাওয়ার কথা তুললেই ঝুলনের চোখ-মুখ ঝকমক করে ওঠে। ফোনে কায়দা করে কথাটা আমাকে জানিয়ে দেয়। রাসবিহারীর মােড় একটা ওষুধের দোকান থেকে সেদিন আমি কনডােম কিনে রাখি। রাতটা আমার একতলার ঘরেই ঝুলন কাটিয়ে দেয়।…..

……কাল রাতে বিছানায় শুয়ে স্টার মুভিজ চ্যানেলে র্যাম্বাে থ্রি দেখছিলাম। হলদিয়া থেকে বুলুদি ফেরেনি। দিবাকরদাও বাঙ্গালােরে। ঝুলনের প্রতীক্ষাতেই ছিলাম। হঠাৎ সদর দরজায় তালা দিয়ে এসে ও আমার পাশে শুয়ে ফিসফিস করে বলল, “অর্কদা, কী এসব মারপিট দেখছ? কেবল চ্যানেলটা দাও। একটা ভাল জিনিস দেখতে পাবে।”

কথাটা বলেই পাশে রাখা রিমােট কন্ট্রোলটা তুলে নিয়ে ও সুইচ টিপতে লাগল। কেল চ্যানেলে ছবি দেখে আমি অবাক। ঝুলন সাউন্ড কমিয়ে দিয়ে বলল, “প্রতি শনিবার রাতে এইসব ফিল্ম দেখায়। আমি জানতাম না। আমাকে রেখাই বলল। ভাটপাড়ায় দেখতে পায় বলে প্রতি শনিবার ওর বর চেতলায় চলে আসছে।”

পর্দায় যৌনমিলনের ছবি দেখতে দেখতে আমি উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলাম। ঝুলনের বুকে হাত দিতে দিতেই ও বলেছিল, “আঃ, সবুর করাে না। ফিল্মটা আগে শেষ হতে দাও।” ফিল্মটা শেষ হওয়ার পরই ওর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। “আজ কিন্তু আমার ফ্রি ডেট।” থমকে গিয়ে বলেছিলাম, “তার মানে?”

ও তখন আমাকে ঋতুচক্রের নিয়মটা বুঝিয়ে দিয়েছিল। তার মানে, সাবধান হওয়ার দরকার নেই। “পাঁচটা দিন আমার ফ্রি ডেট, বুঝলে? প্রত্যেক মাসে এই ক’টা দিন যদি দিদিভাই না থাকে, তা হলে কী মজা হবে বলাে তাে? “তুই এত সব কার কাছ থেকে জানলি?” 

“রেখা বলেছে। ও আমাকে সব বলে, জানো। ডেটের গােলমালেই তাে ও এবার বেঁধে গেল। না হলে বাচ্চা এখনই দুজন চায়নি।”…..

…..কথাটা বােধহয় শুনতে পেয়েছিল পায়েল। আমি কিছু বলার আগেই দুটো পেপার কাপে ও পেপসি এনে দিল। দাঁড়াননা পাখার হাওয়ায় আঁচল উড়ছে। শরীরের সব খাঁজগুলাে বাঝা যাচ্ছে। ওর বুকের দিকে চোখ যেতেই হঠাৎ আমার শিরায় শিরায় দাপাদাপি শুরু হয়ে গেল। আগামী সাত-আটটা দিন বাড়িতে আর কেউ থাকবে না। ঝুলন একা আমার। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বােধহয় ও কিছু আন্দাজ করেছে। চোখের ইশারায় ও আমাকে শাসন করল। পায়েল আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সেটা লক্ষ করেই, নিজেকে সামলে বললাম, “হ্যাঁ রে, বুলুদিরা গেছে?”

ঘরে এনে ওকে আমি বিছানায় শুইয়ে দিলাম। তারপর বললাম, “চুপ করে শুয়ে থাক। আমি দশ মিনিটের মধ্যে স্নানটা করে আসছি।” বুক থেকে আঁচল সরে গেছে। সেদিকে আমাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ঝুলন বলল, “লােভী কোথাকার। একটু সুযােগ পেলেই হল, তাই না?” বলেই তাড়াতাড়ি ও আঁচল দিয়ে বুক ঢাকল।……

……মাথায় জল ঢালতে ঢালতে হঠাৎই কথাটা মনে হল। সব মেয়ে সব পুরুষকে তা হলে সমানভাবে আকর্ষণ করতে পারে না। যেমন জুই। ওর শরীর সম্পর্কে আমার কোনও আগ্রহই কোনও দিন জাগেনি। সেদিন ছাদ থেকে যখন ও নেমে আসছিল, তখন বাঁকের মুখে ঘুরে কথা বলতে গিয়ে হঠাৎই ওর বুকে আমার কাঁধ স্পর্শ করেছিল। আমার তখন কিছুই মনে হয়নি। অথচ এখন যা অবস্থা, ঝুলনকে ওই পরিস্থিতিতে পেলে আমি ছেড়ে দিতাম না। ওর ঠোঁটটা চুষে খেয়ে ফেলতাম। ঝুলনও নিজেকে সামলাতে পারত বলে মনে হয় না। কেন শরীরে শরীরে এমন পার্থক্য হয়, রহস্য।…..

….ঝুলন এসে আমার গা ঘেঁষে দাঁড়াল। সঙ্গে সঙ্গে ওকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে শুরু করলাম। প্রথম ঝাপটা সামলে নিজেকে ছাড়ানাের চেষ্টা করে ঝুলন বলল, “তুমি কী গাে। এই বদমাইশি করার জন্য আমাকে ডাকলে? এ সব করার এটা সময় হল ? উ তােমাকে নিয়ে আমি কী করব বলাে তাে?”

“যখন চাইব, তখন সাড়া দিবি।” “দেওয়াচ্ছি। এখন ছাড়াে তাে। তােমার খিদে পেয়েছে।”

“না ছাড়ব না। আগে শরীরের খিদেটা তাে মেটাই। তারপর টোস্ট-ওমলেট।” কথাটা বলতে বলতেই আমি ওর বুকের খাঁজে মুখটা ডুবিয়ে দিলাম। এক হাতে ওর সরু কোমরটা জড়িয়ে ধরেছি। ওর বুকে আমার হাতটা খেলা করতে লাগল। হাতটা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল বটে ঝুলন, কিন্তু ক্রমেই দুর্বল হয়ে গেল সেই চেষ্টা। তারপর ফিসফিস করে বলল, “বিছানায় চলাে।” | আমি এখন কিছুটা অভিজ্ঞ হয়েছি। এই সময়টায় ওর নড়াচড়ায় বুঝতে পারি, কী চাইছে। শরীরের কোন অংশ স্পর্শ করলে ও শীৎকার করে ওঠে। আঙুলের স্পর্শে ঝুলন কেঁপে কেঁপে উঠতে লাগল। চোখ বুজে সুখ নিচ্ছে ঝুলন। ঠোঁট দুটো ওর ফাঁক হয়ে আছে। দু’হাত দিয়ে আমাকে বুকের উপর টেনে এনে, ঝুলুন বলল, “অর্কদা সারাজীবন এমন করে আমাকে ভালবাসবে তাে?” ; ওর ঠোঁট দুটোয় চুমু খাওয়ার ফাঁকে বললাম, “হ্যাঁ, বাসব।”

আমার পিঠটা ও দু’হাতে আঁকড়ে ধরেছে। হঠাৎ চোখ মেলে আমাকে বলল, “আমাকে তুমি বিয়ে করবে তাে অর্কদা? তােমাকে তাে সবই আমি দিয়ে দিলাম।”

দু’হাতে ওর মুখটা তুলে ধরে বললাম, “তাের কোনও সন্দেহ আছে?” “না। তা নেই। কিন্তু মাঝে মধ্যে খুব ভয় হয়।”

ওর কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম, “কাল সকালেই বাবাকে চিঠি লিখব। আপনার ছেলে একজনকে পছন্দ করে ফেলেছে। যত শিগগির সম্ভব, বিয়ের ব্যবস্থা করুন। ব্যস, হল ততা। এ বার তুই একটু আমাকে আদর কর।” | সঙ্গে সঙ্গে ওর শরীরটা মন্থন করতে লাগলাম। চোখ বুজে, মুখে তৃপ্তির শব্দ করতে করতে ও তা উপভােগ করতে লাগল। নিষ্পেষিত হতে হতে ওর ঠোঁটটা ফুলে গেছে। তা দেখে আমার শরীরের সব রক্ত প্রবাহ যেন একটা বিন্দুর দিকে ছুটে গেল। তীব্র সুখানুভূতিতে আমি দু’তিনবার কেঁপে উঠলাম।

বিস্ফারিত চোখে ঝুলন আমার দিকে তাকাল। তারপর আমাকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে বলল, “আজ তুমি এ কী করলে অর্কদা? নিজেকে সামলাতে পারলে না? কী হবে, যদি কিছু হয়ে যায়?”

বিছানায় ও উঠে বসেছে। ওকে অসাধারণ লাগছে। বললাম, “আজ বীজ পুঁতে দিলাম। যাতে আমাকে কোনওদিন ছেড়ে যেতে না পারিস।”……

……খামের ভেতরে গােটা দশ বারাে রঙিন ছবি। প্রথম ছবিটা দেখেই আমি চমকে উঠলাম। খাটের উপর শুয়ে আছে মিতা বউদি। ইন্দ্রদা চুমু খাওয়ার জন্য মুখটা নামিয়ে আনছে। পরের ছবিটায় বউদির উর্ধ্বাঙ্গে কিছু নেই। স্তনে মুখ ঘষছে ইদা। সুজয়দার দিকে তাকাতেই যন্ত্রণাভরা গলায় বলল, “অবাক হােস না। অন্য ছবিগুলাে দ্যাখ। তা হলেই বুঝতে পারবি, তাের ইন্দ্রদা কী প্রকৃতির জানােয়ার ছিল।”…..

Please follow and like us:

Leave a Reply