নষ্টনারী – দেবকুমার বসু

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

পিতৃভূমিকা

…..যুবক-যুবতীরা চারপাশে ভিড় করে সেই নাচ দেখছে। উল্লাসে চিৎকার করে উঠছে কেউ-কেউ। তারই মধ্যে বছর বাইশ-তেইশের একটি মেয়ে। আপন খেয়ালে আলুথালু বেশে ঢুকে পড়েছে নৃত্যরত ছেলে দুটির কাছাকাছি। তার বাসন্তী রঙের শাড়ির আঁচল গা থেকে খসে গিয়ে মাটিতে লুটচ্ছে। সে দূহাত ওপরে তুলে, হেলেদুলে কাঁধ নাচিয়ে নাচিয়ে ঢাকের তালে তালে তুড়ি দিচ্ছে দু আঙুলে। ধুনুচি নাচিয়ে ছেলেদুটি তার কানের কাছে কিছু বলে সরিয়ে দিতে চাইছে। কিন্তু সে কিছুতেই সরবে না। ঢাকের ছন্দের সঙ্গে নাচের নেশায় সে ঝুঁদ হয়ে আছে। একটি যুবতী ছুটে গিয়ে তার লুষ্ঠিত আঁচল তুলে নিয়ে বুকের মাঝখানে খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করে। সে তাকে ঝক্কা দিয়ে চিৎকার করে ওঠে, এই শালী বেদো খাকি, আমার বুকে হাত দিচ্ছিস কেন রে?…..

…..সুদক্ষিণা প্রচণ্ড টলছে। প্রায় পড়ে যেতে যেতেও পড়ছে না। শাড়ির নিচের দিকটা আর লুটনাে আঁচল ধুলােয় মাখামাখি হয়ে গিয়েছে। ধুনুচি থেকে আগুনের ফুলকি পড়ে শাড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যেই গােল গােল ফুটো হয়ে গিয়েছে। তার উদ্ধত স্তনযুগলের খানিকটা ব্লাউজ ছাপিয়ে ওপরদিকে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। দুটি স্তনের মাঝখানে গভীর খাঁজ দৃশ্যমান।…..

…. সহসা সুদক্ষিণা ওকে প্রায় জাপ্টে ধরল। চিবুকে আলতাে করে ঠোট দুইয়ে বলল, তুই আমার পেয়ারের লােক নােস? তাের যখন দশ বছর বয়েস, তখন থেকে আমি নিজে হাতে তােকে কত কি খাইয়ে দিয়েছি, ভুলে গেলি?

দীপ্তেন্দু পাঁজরার কাছে সুদক্ষিণার নরম স্তনের ছোঁয়া আর চিবুকে ঠোটের স্পর্শে। সামান্য কেঁপে উঠল। ও সুদক্ষিণার বাঁধন ছাড়াবার চেষ্টা করে বলল, তখন আমি অনেক কিছুই বুঝতাম না। কিন্তু এখন আমি বুঝতে পারি, তুমি আর ভাল নেই।….

…..সদক্ষিণা দীপ্তেন্দুর চোখে চোখ রেখে পায়ে পায়ে এগিয়ে এসে দাঁড়াল ওর মুখােমুখি। গায়ে গা ঘেঁষে। ওর ভারি বুক দুটো দীপ্তেন্দুকে স্পর্শ করেছে। চোখ না সরিয়ে বলল, তুই কি সত্যি আমাকে বিয়ে করতে চাস? দীপ্তেন্দু বলল, মুখে না বললে তুমি বুঝতে পার না?’

সদক্ষিণা ধীরে ধীরে ওকে জড়াতে লাগল। বুকে গলায় হাত বুলিয়ে মুখ ঘষতে কামনার আগুন ছড়িয়ে যাচ্ছে দীপ্তেন্দুর সারা শরীরে। সুদক্ষিণা ফিসফিস করে ‘আমার ঠোট দুটো একটু চুষে দে। বলে, পাখির বাচ্চার মতাে ঠোট দুটো সামান করল।
দীপ্তেন্দ দু হাতে সুদক্ষিণার মাথাটা চেপে ধরে শিশুর মতাে ওর ঠোট দুটো চুসতে লাগল। সুদক্ষিণার বুক তখন ওর শরীরের সঙ্গে লেপ্টে গিয়েছে।
কিছুক্ষণ পরে দীপ্তেন্দুর মুখ থেকে নিজেকে মুক্ত করে সুদক্ষিণা বলল, ‘তাের কাছে লুকোব না, অবনী আর রনি দুজনের সঙ্গেই আমি একাধিকবার সহবাস করেছি।
মুহুর্তে দীপ্তেন্দু ছিটকে দূরে সরে গেল। সুদক্ষিণা খিলখিল করে হেসে বলল, “কি হল আমাকে ঘেন্না হচ্ছে নাকি?
দীপ্তেন্দুর কান-মাথা ঝাঁ ঝাঁ করতে লাগল। মুখের ভেতরটা তিতকুটে মনে হল। ও আর। সুদক্ষিণার দিকে তাকাতে পারল না। পিছন ফিরে ঘর থেকে বাইরের দিকে পা বাড়াল।
সুদক্ষিণা গজগজ করে বলে উঠল, শালা, কুত্তা কাহিকা!’….

…..সাতসকালে সুদক্ষিণার আগমনে রনি উল্লাসে ফেটে পড়ল। ঝপাং করে দুহাতে কোলে তুলে নিয়ে চপচপ চুমু খেল ঘন ঘন। তারপরেই সােজা নিয়ে গিয়ে ফেলল বিছানায়। সুদক্ষিণাকে কিছু বলার সুযােগই দিল না রনি। ঝড়ের গতিতে বিবস্ত্র করে শরীর নিংড়ে ভরিয়ে দিল ওকে।…..

…..প্রথম প্রথম কয়েকদিন রনির স্টুডিও-বাড়িতে খারাপ লাগল না সুদক্ষিণার। দীপ্তেন্দুর জন্য মাঝে মাঝে মনটা পুড়তে লাগল। কিন্তু বাচ্চার বাবার সােহাগ আদর আর যৌনতা ওকে সব দিক থেকে ভরিয়ে দিতে লাগল। রনিকে ও জানিয়েছিল, দীপ্তেন্দুর সঙ্গে ওর আদৌ বিয়ে হয়নি।
অতএব ডিভাের্সের কোনাে প্রশ্ন নেই। কিন্তু রনি বিয়ে না করেই একটা পাশবিক যৌনতায় ঘন ঘন মিলিত হতে থাকল সুদক্ষিণার সঙ্গে। ব্যাপারটা সুদক্ষিণার কাছে অস্বাভাবিক মনে হলেও প্রথম দিকে ও খুব একটা গুরুত্ব দিল না। কিন্তু দু সপ্তাহ না কাটতেই একদিন ফেটে পড়ল রনি। সেদিন প্রচণ্ড মদ খেয়ে বাড়ি ফিরেই রক্তচক্ষু পাকিয়ে। রনি হুংকার দিল, অবনী সান্যালের সঙ্গে তােমার যে এত ঢলাঢলি ছিল, তা তাে কোনদিন বলনি!’
সুদক্ষিণা চোখের পাতা ফেলতে ভুলে গেল। ও আঙ্কা আন্তা করে বলল, হ্যা, মানে, বন্ধুত্ব ছিল। আমি ওঁকে শ্রদ্ধা করি।
গর্জে উঠল রনি, শ্রদ্ধা করলেই জামা-কাপড় খুলে তার সঙ্গে শুতে হবে!……

নারীপ্রতিমা

……সুবর্ণা ভালােবেসে বিয়ে করেছিল সৌরভকে। দুজনেই মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ে। শহর কলকাতার সীমানা যেখানে শেষ হয়ে মফস্বলের শুরু, তেমন একটা আধা শহর আধা মফস্বল টাউনের এক পাড়াতেই ওদের ছেলেবেলা কেটেছে। যৌবনের বেদীতে পা রাখবার আগেই মনে মনে ওরা পরস্পরকে পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে ভেবে ফেলেছিল। তখনও পর্যন্ত শারীরিক কামনা-বাসনার বীজ অঙ্কুরিত হয়নি ওদের মধ্যে। সুবর্ণাকে যেমন | প্রকৃত অর্থে সুবর্ণা বলা যায় না, সৌরভও সে অর্থে তখনও পর্যন্ত কোনও সুবাস ছড়াতে পারেনি।

সুবর্ণার বয়স যখন চোদ্দ তখন আর ওর বর্ণ নিয়ে মাথা ঘামাবার প্রয়ােজন ছিল না। সুবর্ণা যদিও কালাে নয় কিন্তু ফর্সাও ওকে বলা যায় না। ওর গায়ের রঙ ঝকঝকে মাজা। যৌবনে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যের দীপ্তির সঙ্গে শরীরের চামড়ারও পরিবর্তন চোখে পড়ে। তখন আর ঝকঝকে নয়, একটা ঝলক হঠাৎ যেন চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। জল-চরা অহঙ্কারী স্বাধীন হংসীর মতাে, শীতের রৌদ্রে লক্লক করে বেড়ে ওঠা লাউডগার মতাে সুবর্ণার পরিবর্তন স্বভাবতই পুরুষের চোখ টানে। সৌরভও ততদিনে তার সুবাস ছড়াতে সুরু করেছে।…..

…..কেননা, তখন ওরা সবে একে অপরকে পেতে শিখেছে। একটি নির্জন জায়গায় দুজনে দুজনকে পেতে চায়। …….দিনে দিনে ওদের পরস্পরের মধ্যে শরীরের চাহিদা বাড়তে লাগল। প্রায় প্রতিদিনই দেখা হওয়াটা একরকম অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠল। নিজেদের মধ্যে ওরা আরও ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করল। ১২ন থেকে শুরু করে শরীরের গােপন জায়গায় হাত রাখাটা প্রায় একটা। অভ্যাসে পরিণত হল। ফলে, পুরােপুরি না পাওয়ার অতৃপ্তি একটু একটু করে ওদের গ্রাস করতে লাগল। এই অতৃপ্তিই একদিন ওদের চোখ খুলে দিল।….

……ছ’মাসের মধ্যে সুবর্ণার জৌলুস লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে গেল। রূপের সঙ্গে স্বাস্থ্যের দীপ্তি আর ঔদ্ধত্য পুরুষের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। সৌরভের সুবাসে সে সুরভিত, ভরা নদীর মতাে পূর্ণ।  প্রথম একটা বছর ওরা খুব টেনে-বুঝে সংসার চালাল। ফ্যামিলি প্ল্যানিং করে বাচ্চা হওয়াটা আটকে রাখল। একবছর পরে ওদের হাতে হাজার বিশেক টাকা জমে গেল।  আরও ছ’মাস পরে ওরা স্বাধীন সঙ্গমে মিলিত হতে শুরু করল । সময় মত তাদের একটি কন্যা হল।…..চার বছরের মাথায় সামান্য অসতর্কতা আর অপ্রতিরােধ্য সঙ্গমসুখের শিকার হল সুবর্ণা। দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হল ও। হিসেব করে দেখল, পাচবছর পূর্ণ হবার আগেই ও আরও একটি সন্তানের জননী হবে।…..

…..

বিছানা করে মশারি টাঙিয়ে সে স্বামীর কাছে এসে পাশে বসে, কঁাধে মুখ রাখে। সেদিন শেষবারের মতন আরও একবার সে নগ্ন হয়, স্বামীর বকের নিচে শোয়। তখন তার মনে হয়—প্রতিদিনের মত এই প্রথম সে প্রকৃত অর্থে নগ্ন হল, দেহের সব পাপড়ি খুলে দিল। সঙ্গমসুখে দুজনেই ক্লান্ত হয়ে ঘুমােয়।

একদিন একটা পরিবর্তন চোখে পড়ল সৌরভের। শুতে যাবার আগে সুবর্ণা ব্রাশ করছে। এতে অবাক হবার কিছু নেই। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই খাবার পর ব্রাশ করে। দাঁতের সুরক্ষার জন্য।

পাশে শুয়ে সৌরভ সুবর্ণার মুখ থেকে হালকা মদের সঙ্গে টুথপেস্টের মিশ্রগন্ধ পেল। ও সুবর্ণাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে গেল। সুবর্ণা ওকে ঠেলে মুখ সরিয়ে নিল। একটু অবাক হল সৌরভ। বলল, কি ব্যাপার তুমি আমাকে-

সুবর্ণার ফুপিয়ে ওঠার শব্দ পেল সৌরভ। ওকে কাছে টানার চেষ্টা করল। মুখ ঘুরিয়ে সুবর্ণা বলল, “প্লিজ, তুমি আমাকে চুমু খাবে না।

বিস্মিত স্বরে সৌরভ জিজ্ঞেস করল, ‘কেন

কেঁদে ফেলল সুবর্ণা। ধরা গলায় বলল, ‘আজ আমায় ওরাল সেক্স করতে হয়েছে।

মানে—…..

নষ্টনারী

…..সেদিন ছুটির পর পিকের গাড়িতে ও চালক আর আমি সহচরী। আমাদের গন্তব্য ডায়মন্ডহারবার। ফাকা রাস্তায় ও আমাকে কোলের কাছে টেনে নিয়ে ঠোট এঁটো করে দিল। আমার পরনে ছিল স্কার্ট-ব্লাউজ। ও উত্তেজিত হয়ে আমাকে কাছে টানতে চাইছিল।

আমার মনে হচ্ছিল, যে-কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিন চারবার টাল খেয়েছে গাড়িটা। আমি কপট রাগ দেখিয়ে ওকে বলেছিলাম, পিকে, এরকম করলে আমি কিন্তু নেমে যাব। তােমাকে সবকিছু দেবার জন্যেই তাে আমাদের যাত্রা। কিছু না-পেয়েই তুমি আত্মহত্যা করতে চাও নাকি! | বাধ্য ছেলের মতন শান্ত হয়েছিল ও। ডায়মন্ডহারবার পর্যন্ত যাবার ধৈর্য ছিল না পিকের। ভাসায় একটা রিসর্টে ঢুকে পড়লাম আমরা। পূর্বরাগ বা শৃঙ্গারের কোনও প্রশ্নই ওঠেনি। সঙ্গমের আনন্দ নয়—বিরক্ত বােধ করেছিলাম আমি। কলকাতায় ফিরতে ফিরতে রাত দশটা হয়ে গেল।

প্রথম দিকে সপ্তাহে কখনও দুদিন, কখনও তিনদিন আমাদের অভিসার অব্যাহত ছিল। তিন চার মাস পরে ব্যবধান একটু একটু করে বাড়তে থাকে। কিন্তু গত বিশ বছরে রতিলীলা বন্ধ হয়নি। অবশ্য একথা ঠিক-পিকে ছাড়া আরও পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছি আমি। ছাব্বিশ বছর বয়সেই পিকের বাবা প্রশান্তকুমার সেনগুপ্তর অঙ্কশায়িনী হয়েছিলাম।  ইনিও ‘পিকে’ বলেই খ্যাত। তখন সিনিয়র পিকের বয়েস চুয়ান্ন। চুয়ান্ন। জানে না, গােপনে দুজনের সঙ্গেই আমি মিলিত হই।…..

…..কালবিলম্ব না করে পরের দিনই সিনিয়র পিকে আমার সঙ্গে ফোনে যােগাযােগ করলেন ব্যাঙ্কে। একটা গাড়ির নম্বর জানিয়ে বললেন, পাঁচটার সময় গাড়িটা ব্যাঙ্কের উল্টোদিকে আমার জন্য অপেক্ষা করবে। ড্রাইভার আমাকে নিয়ে যথাস্থানে পৌঁছে দেবে।

মর্দেশ মতাে ছুটির পর আমি গাড়িতে উঠে বসলাম। রাসেল স্ট্রটের একটি বহুতল বাড়ির দশতলায় সুসজ্জিত ফ্ল্যাটে ড্রাইভার আমাকে পৌঁছে দিল। সিনিয়র পিকে আমার জন্য সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। আমি ঢুকে দরজা বন্ধ করতেই উনি আমাকে সবেগে বুকে চেপে ধরে আশ্লেষে চুম্বন করলেন। ওঁর শরীর থেকে একটা সৌরভ ছড়াচ্ছিল—সেটা আমার নাকে যাবার সঙ্গে সঙ্গে আমি উত্তেজিত বােধ করলাম। উনি আমাকে বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হতে বললেন।

বাথরুমে যাবার আগে উনি ওয়্যারড্রোব খুলে একটা স্বচ্ছ নাইটি আর একটা বডি-স্প্রে দিলেন আমার হাতে। বললেন, নাইটিটা পরার আগে সারা শরীরে যেন ওটা স্প্রে করে নিই।

আমি বাথরুমে ঢুকে পরােপরি নগ্ন হয়ে যাওয়ার খুলে দিলাম। সুগন্ধি সাবান মেখে স্নান সেরে শরীর মুছে বডি-স্প্রে লাগালাম। এই গন্ধটার মধ্যেও এমন কিছু আছে, যা কামভাব জাগায়। কালাে ব্রা আর প্যান্টি পরে স্বচ্ছ নাইটিটা চাপালাম। নাইটির কাধ পুরাে। খােলা। দু কাঁধে বাঁধা দুটো নাইলনের সুতাের ওপর নাইটিটা ঝুলে রইল। | বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলাম, সিনিয়র পিকে খালি গায়ে একটি শর্টস্ পরে সােফায় বসে আছেন। ওঁর সামনে সেন্টার টেবিলে দুটি কাচের গ্লাস, স্কচের বােতল, আইস-বক্স। আমাকে কাছে ডেকে ওঁর বাঁ পাশে বসালেন। ওঁর সারা শরীর থেকে যে-গন্ধটা বেরুচ্ছিল, সেটা কেমন যেন অবশ করে দেয়।…..

…..আমি বললাম, আমি চাই না, আমার জীবনে তৃতীয় পুরুষ আসুক।

উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে ঠোটে ঠোট চেপে ধরলেন। ঠিক ত্রিশ বছরের বলিষ্ঠ যুবকের মতন আমার গােটা শরীরটা তুলে নিলেন পাঁজাকোলা করে। সটান হেঁটে বেডরুমের খাটে এনে শুইয়ে দিলেন আমাকে। পূর্বরাগে, শৃঙ্গারে অগ্নিগর্ভ করে তুললেন আমাকে। কামনার আগুন উনি যেমন জ্বালাতে পারেন, নেভাতেও ওঁর জুড়ি নেই।।

যে সঙ্গম-সুখ সিনিয়র পিকে আমাকে দিয়েছিলেন, আজও বাহাত্তর বছর বয়সে তার সেই দক্ষতা বর্তমান। সিনিয়র পিকের মতন যৌন সুখ আমাকে আর কেউ দিতে পারেনি। রাসেল স্ট্রীটের ওই ফ্ল্যাটটা ওঁর অফিসের গেস্ট হাউস। সিনিয়র পিকে অনেকদিন হল অবসর নিয়েছেন। কিন্তু এখনও আমরা ওই গেস্ট হাউসেই মিলিত হই নিয়মিত।

জুনিয়র পিকের বয়েস এখন আটচল্লিশ। কুড়ি বছর ধরে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক আজও অবিচ্ছেদ্য। সম্প্রতি তার পচিশ বছরের ছেলে প্রণয়কুমার সেনগুপ্ত, মাস্টার পিকের সঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।…..

…..মাদী মাকড়সার মতন সেদিন মাস্টার পিকে-কে আমি গ্রাস করে ফেলি। জানতাম, সেদিন বাড়ি ফেরা হবে না। আনাড়ি মাস্টার পিকে-কে সারারাত তালিম দিলাম।

পুরী থেকে বাড়ির লােকজন না-ফেরা পর্যন্ত প্রতিদিন রাত কাটালাম মাস্টার পিকের সঙ্গে। সঙ্গমের নেশায় মেতে উঠল মাস্টার পিকে। ওকে বলেছিলাম, তােমার সঙ্গে আমার যা হল তা পুরােপুরি গােপন রাখবে। আর, কী-পার্সটা আমি যথাস্থানে রেখে দিতে চাই। আমি যে এ-বাড়িতে এসেছিলাম সেকথা কাউকে না বলাই ভালাে। তুমি আমার সঙ্গে ফোনে যােগাযােগ রাখবে।……

….মহা ঝামেলায় পড়লাম। তিন প্রজন্মের পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী আমি। তারা পরস্পর কেউ জানে না এই গােপন সম্পর্কের কথা। আমি নিয়মিত পিতা পুত্র ও পৌত্রের  সঙ্গে যথেচ্ছ যৌনাচার চালিয়ে যাচ্ছি। পৌত্র বেঁকে বসেছে বিয়ের সিদ্ধান্তে সে অটল। সে জানে না, তার বাবা এবং দাদু আমার শরীরে দীর্ঘদিন ধরে শরীরপাত করে  আসছে।….

……সিনিয়র পিকে বুঝে গিয়েছেন, তাঁর শয্যাসঙ্গিনী তারই পৌত্রবধু হতে চলেছে—আর জুনিয়রও জানল, তার বিশ বছরের গােপন সম্পর্কের নারী তারই পুত্রবধূ হবে। তবু একটা বিরাট সান্ত্বনা—এরা কেউই জানল না, আমি সেই নারী, যে তিন প্রজন্মের গােপন কীর্তির “সাক্ষী। এক নষ্টনারী। যার অন্ধকার জীবনে আলাের রেখা ফুটতে শুরু করেছে।

Leave a Reply