ভাষান্তরঃ শেখর সেনগুপ্ত
…….বড় জোর উনিশ বৎসর। চমকিত হলাম, ভেতরে ভেতরে কেঁপে উঠলাম। সৌন্দর্যের বিচারে এই মেয়েটিও যে কত অপরূপা, কল্পনা করতে পারবেন না। অফুরন্ত আবেদন তার যৌবন হিল্লোলিত দেহে, গায়ের রং ঝক ঝকে তামাটে ; ছক কেটে কেটে ঈশ্বর তার প্রতিটি অংশ নিখুত ভাবে নির্মাণ করেছেন। বেশ লম্বা, ছিপ ছিপে, আদিবাসী সুলভ ঋজুতা, পাম গাছের নীচে স্থিরবদ্ধ জলাশয়ের মতন তার দুটি চোখ। ঢেউ খেলানাে ঘােরকৃষ্ণ কেশদাম পিঠময় ছড়িয়ে পড়েছে, চুলে বাঁধা আছে সঙ্গতিপূর্ণ একগুচ্ছ বুনাে ফুল। নগ্ন বাহু দুটি যেন পিচ্ছিল সপশরীর, দুটি স্তন পাগল ডমরু, নিতম্ব শূণ্যে-ফুলেওঠা সমুদ্র। কথায় কথায় সে যখন হেসে ওঠে, যে কোন অন্যমনস্ক পুরুষের বুকেও ঝড়ের ডাক।……
…….নেটিভ মেয়ে কোমর দুলিয়ে দুলিয়ে জ্বালানি কাঠ আনে, শস্য সংগ্রহ করে। প্রেম ও সহানুভূতিতে রেডের মন আপ্লুত। ওর মতন পােক্ত গৃহিনী তমাম মার্কিন মুলুক চষে ফেললেও পেতাম না। তদুপরি ও যেন মুহূর্তে মুহূর্তে আরাে সুন্দরী হচ্ছে। ক্ষিপ্র বাদামী শরীরে অবর্ণনীয় স্বপ্নময় যৌবন নামছে, প্রায় সব সময়ই ছােটাছুটি করছে, এমন ছন্দোময় অহঙ্কারী নিতম্বের উত্থান-পতন কেবল এর পক্ষেই সম্ভব। একবার একটা মজা পুকুরের কাদা জলে ওকে জাপটে ধরে ভীষণ কাণ্ড করে ফেলেছিলেন রেড। ও কিন্তু রাগ করে নি,…..