মিটার লােচিন ভেরােভিক – রিচার্ড হুগস

›› অনুবাদ  ›› গল্পের অংশ বিশেষ  

ভাষান্তরঃ শেখর সেনগুপ্ত

…..উত্তরে ধাপে ধাপে আকাশ ছোঁবার বাসনায় গুলিয়ান আলপশ্রেণী, ভয়ঙ্কর শীত যেখানে চিরায়ত। বরফখচিত তরঙ্গায়িত শীর্ষমুখগুলি রাজসিক। শীতাতঙ্কে ম্রিয়মান পাহাড়ী যুবতী কখনােই তার ভরাট স্তন খুলে দেখাতে পারলাে না।…..

…….এখন কোন কাজেই মন নেই, কেবল বিছানায় টান টান শুয়ে উপর পানে মুখ তুলে কি যেন ভাবছে আর ভাবছে। আবছা আবছা ছায়াঘরে সে বুঝি কড়িকাঠ গুণছে, সময় সময় আলতা স্পর্শ করছে নিজের নরম বুক, যেখানে লুকিয়ে আছে লােচিনের উপহার প্রাচীন মুদ্রাটি।…..

….ছােট বেলা একবার সে অনেকদূরের পাহাড়-নদী-বন দেখে এসেছিল; এখন সে ঐগুলিও টপকে টপকে আরাে দূরে পালিয়ে যেতে চায়। এই যে পালাই-পালাই মানসিকতা, এতে তার বুকে ব্যথা, মাথা ঘােরায়, গায়ে তাপ। তাপ বলে তাপ-গােপন বুকের ভাজে, নাভির নীচে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে।……..

…..নত্য কিন্তু জবাব দিলাে না, যদিও বুকে তার ভূমিকম্প শুরু হয়ে গেছে। তখন তার ভরাট স্তনের ভঁজে রাগুসা রিপাব্লিকের বিরাট মুদ্রাটা ঘামে ভিজছে। অনেক কষ্টে সে াতে ঠোট কামড়ে নীরব থাকে।…..

……..মেয়েগুলির স্বাস্থ্য দেখবার মতন। পয়সা দিলে এমন নাচ দেখাবে যে কামনার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে এবং ঐ মেয়েই যাবার সময় পকেট সাফ করে যাবে।…….

………ঝকঝকে গলায় একটি যুবতী মেয়ে গান ধরলে কোমরে হাত রেখে। দুর্বোধ্য কথা, কিন্তু সুরে মাদকতা। কার্বি এবং লােচিন দু’জনই মেয়েটির সর্বাঙ্গ দেখে নিয়ে কেমন শির শির অনুভূতিতে কিছুক্ষণ আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। এত হিমপাতের মধ্যেও মেয়েটির দুই হাঁটু অনাবৃত, ফলতঃ ওর পুরুষ্ট পায়ের ডিম দুটো মূল্যবান কোহিনুর হয়ে ডাকছে। সরু কোমরের ওপর অমন পাহাড়ী বুক এই পাহাড়ী মেয়েগুলিরই থাকে। আর কী ভরাট পাছা।……….

……স্টডিও আলফায় চাপ চাপ জমাট অন্ধকারে বিমর্ষ ও বিব্রত সাইমনের মনে হচ্ছে, সে বুঝি দীর্ঘক্ষণ ধরে একটা অন্ধকার টানেলের মধ্যে আটকে আছে এবং পিছন থেকে কেউ ধাক্কা না দিলে সে আর সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না। আসলে কাল রাতে মুখরা কামুক বউ তাকে একেবারে নিঙড়ে নিয়েছে। মাগীর আবার তুষারপাতের সময় রস বেশি গড়ায়।……..

………সাইমন মর্মে মর্মে জানে, তার হরমােন-শক্তি আর তেমন তেজালাে নয়, তবু সহধর্মিনী খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হাতিয়ে হাতিয়ে, ‘শিব’ জাগাবে, চোখ সরু করে অভাবনীয় অশ্লীল কথা বলতে বলতে স্বয়ং উঠে আসবে, মানীর লালাভরা ঠোট আর দুই চোখে রামধনু রঙের রিঙ দেখতে ছােট ছােট রােমাঞ্চের ঘাই সাইমনও মারতে শুরু করে দেবে.••তখন আর কি ছাই কোন যন্ত্রণা, চিন্তাভাবনা এই সব থাকে! তখন মাখনলার মতন এক গামলা উলঙ্গিনী বৈধ মেয়েমানুষটাকেই জোকান্দা বলে ভাবতে হয়। হু, জেন্দাকাই তার শরীরের ওপর বসে বসে শুয়ে শুয়ে খাবি খাচ্ছে,….বাস্তব আর কল্পনার সীমারেখা পার হয়ে এলােপাথাড়ি মাটি খােদা গর্তের থাস্ থাম্ শব্দ শুনছে সাইমন।…..

………..দুটি পাঞ্জা তার নতমুখকে তুলে ধরলাে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঈষৎ বিস্ফারিত তার ঠোটের ওপর অভাবনীয় উষ্ণতা। থর থর কাঁপতে কাঁপতে নত্য বারেকের জন্য চোখ মেলে দেখলাে, একমাথা কালো চুল তার গালের ওপর; সে স্বয়ং প্রবল তাড়নায় দুই হাত বাড়িয়ে আকর্ষণ করলাে সেই কালো চুলের আধারকে। পুরুষের শারীরিক ঘাম ও গন্ধ যে এত উত্তেজক, নত্যর আগে ধারণা ছিল না। আবার গভীর নেশায় চোখ বুজে এলাে তার। আরাে তীব্র অনুভূতির ঢল নামতেই সে বুঝলাে, যুবকের মাদকতাময় হাত কখন যেন তার ওভারকোটটিকে মুক্তি দিয়ে পিঠের ওপর ওঠা-নামা করছে। আঙ্গুলের ছােট ছােট কামড়ে সে আর শীতার্ত নয়; বরং, দম নিতে কষ্ট হচ্ছে, পুড়ে যাচ্ছে দুই ঠোট। একটা হাত পিঠে ঘােরে, কোমরে নামে, তলপেটে শিহরণ তােলে•••সেই আঙ্গুলগুলি সমবেতভাবে ঘুরতে-ঘুরতে-ঘুরতে বােতামের বাঁধন আলগা করে…নত্য জানে, তার অনাবৃত পিঠে নীলাভ বর্ণ কিছু নােম আছে, আঙ্গুলগুলি সেই জন্মদাপটার ওপর পরিক্রম করছে•••এহে, এখন একেবারে বগলের গহ্বরে এবং•নত্য আর দাড়িয়ে থাকতে অক্ষম, ক্রমশঃ তার বৃত্তাকার স্তনের দুইপাশে আর একটি বৃত্ত পাক খেতে খেতে ছােট হতে হতে চাপ দেয়, আবার প্রসারিত হয়, আবার চাপ দেয়, আবার প্রসারিত এক স্তন থেকে আর এক স্তনে একই প্রক্রিয়া: খয়েরী বোঁটায় কয়েকবারের ঘর্ষণেই নত্য পেরুনিকের প্রতিরােধ-প্রাচীর সম্পূর্ণ চুর্ণ হয়, সে যেন বাহ্যজ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়লাে মিটার লােচিন ভেরােভিকের অপ্রশস্ত বুকের ওপর। সেই তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় সে বুঝতে পারে, তার ঠোট অবশেষে জ্বলন্ত অঙ্গার থেকে মুক্তি পেলো। কিন্তু তার ছােট্ট শরীরকে, যা পুড়ে পুড়ে লালচে, শূন্যে তুলে দোলানো হচ্ছে। এই সময় তলপেটে একটা চিচিনে ব্যথা অনেকদিনের পুরনাে যন্ত্রণা, স্যাতসেতে আবহাওয়া আর বিশ্রী কুয়াশার মধ্যে যখন সে আক্রান্ত হতাে তার মা এই তলপেটে গরম তেল মালিশ করে দিতেন, কখনাে কখনো বাবার শ্যাম্পেনের খালি বােতলে গরম জল ভরে চেপে ধরতেন জায়গাটাতে। এখন গরম জল নেই, গরম তেল নেই ; পরিবর্তে রয়েছে একটি অচেনা গরম শরীর এবং সেই শরীরের টক-মিষ্টি গন্ধ। নত্যর ইচ্ছে হলাে, এই অপরিচিত কঠিন শরীরটাকে তলপেটে চেপে ধরে থাকতে। কিন্তু এখন তার তাে কিছু করবার নেই, ও-ই যা ইচ্ছে করছে, করুক তাকে নিয়ে। দোল খেতে খেতে নত্য বুঝলাে, তাকে নামিয়ে রাখা হলাে সেই নরম লাল সােফাটার ওপর। শরীরের উর্ধাংশে তাে কোন আবরণই রাখতে দেয়নি ক্ষুধার্তটা—কপাল থেকে নাভির ওপর অব্দি বীটফলের টাটকা স্যালাডের মতন টকটকে, ব্যতিক্রম কেবল ছবির মতন ধবধবে স্তন দুটি, যা সে নিজেরই দুই হাতের থাবায় ঢেকে রেখে পাশ ফিরবার চেষ্টা করে নত্য। প্লিজ, ভােট ফিল ডিজি, জোন্ট বি ডিজি’…বিড় বিড় করতে করতে আবার সেই চুম্বনের ঝড়। এবারের চুম্বন আর বলিষ্ঠ, আরাে আগ্রাসী, তার বরবৰ্ণিনী শরীরকে কেবলমাত্র ঠোট দিয়ে শুষে নেবে বােধহয়। দুই স্তনের ওপর দুটো অনাবৃত চুল্লী দাউ দাউ করে জ্বলছে। খুব চাপ এবং খুব ব্যথা, নত্য তার দুই হাত নামিয়ে আনতে বাধ্য হলাে, ক্রমে আর কিছু করাই সম্ভব নয়, নিজেরই অজান্তে মুখ দিয়ে একটা বিচিত্র গােঙানি তুলতে তুলতে দুই হাত ঢুকিয়ে দেয় সােচিনের তুষার ভেজা চুলের মধ্যে, মুঠোতে পাকিয়ে সেই চুল টানতে থাকে, আবার একবার তার একটা হাত ফস্কে নিয়ে লাগে লােচিনের কোমরে, এবারও অনিয়ন্ত্রিত হাত লােচিনের কোমরের আরাে নীচে গিয়ে দারুণ হিংস্র হয়ে ওঠে। যন্ত্রণাদায়ক সুখকর বিস্ময়ে কঁকিয়ে উঠলো। লােচিন। সঙ্গে সঙ্গে সে সকৃতজ্ঞভাবে আরাে চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে যাবার জন্য তৎপর হয়ে উঠলাে। আসলে নত্যর শরীর আর নত্যর নিয়ন্ত্রণে নেই। সে নিজেই অনুভব করছে, লাভা স্রোতের দমকে তার হাঁটু ও কোমর সমুদ্রের ঢেউ-এর মতন ওঠা-নামায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়তে চায়। বুকের যন্ত্রণা এই বাহ। শরীরের একেবারে ভেতর থেকে যে চঞ্চলতা ও মাতলামি ঝুড়ি ঝুড়ি বের হয়ে আসতে চাইছে, তাকে চাপা দেবার কোন ক্ষমতা বা, কৌশলই নত্যর আয়ত্তে নেই। লােচিনের হাত আজ সব’রকম সুবিধা আদায় করে নেবেই। অসহায় নত্যর হুস হলাে, তার স্কার্টের হুকগুলােকে আলগা করা হচ্ছে, সম্ভবত একটা বােমও ছিড়ে গেল—উঃ! এটাই এখন প্রধান অনুভুতি, এখানেই সমস্ত প্রতীক্ষা কেন্দ্রীভূত! স্কার্ট, হায় স্কার্টটা, যা কোনদিন আলােতে বা, অন্ধকারে সম্ভব হয় নি, তাই ঘটছে – স্কার্টটা জীবন্ত হয়ে যেন প্রচণ্ড অভিমানে ছেড়ে যাচ্ছে তাকে—নাভিপদ্ম ছাড়িয়ে কোমর, কোমর ছাড়িয়ে জঘয়, তারপর একেকারে হাঁটুর গাঁট অতিক্রম করে গােড়ালিকে ছুয়ে হারিয়ে গেল। সিলেফেনের পাতলা জাঙ্গিয়াটায় যখন হ্যাচকা টান লাগলাে, নত্য আর একবার চোখ না মেলে পারলাে না। বিস্ফারিত দৃষ্টিতে সে দেখলো, দুনিয়ার বিপুলতম লজ্জা, সুখ ও সম্ভাবনার দৃশ্য ! যুবকের রােমশ দাবনার মধ্যবর্তী বাদামী পাথরে দগদগে রক্তচক্ষু মুহূর্ত কয়েক শূন্যে আন্দোলিত হয়ে অনিবার্য নিষ্ঠুরতায় নেমে আসছে তার কুমারী সঙ্কয়ে। পরক্ষণে সেই ধাতবখণ্ডে নিহত হবার যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠলাে নত্য।…..

…….বাইরে হিমে তুষারে মাখামাখি দাতে দাত চেপে সবটুকুই কল্পনা করে নিতে পারলাে জোকান্দ। একবার সে নত্যর তীক্ষ্ণ গােঙানিও শুনতে পেয়েছিল। একে ঠিক ঈর্ষা বলা যায় কিনা, জানিনা, তবে নতর ঐ কাতর-ধ্বনি জেন্দাকার ভেতর এক ধরণের অদ্ভুত ধারালো পরিতৃপ্তি এনেছিল। গ্রাম্য বনেদী মেয়েকে এইভাবে জবাই হতে দেখলে, জেন্দাকার নিঃশ্বাস প্রশ্বাস অনেক দ্রুততর হয়ে ওঠে এবং তখন সে নিজেকে ভাগ্যহীন মনে করে না।…….

……..ভেতর থেকে ভেসে আসা ধ্বস্তাধ্বস্তির শব্দ থেমে যাবার পর আর কোন আওয়াজ নেই। নত্যর তুলনায় ছােকরাটি যে অনেক বেশী। পারঙ্গম, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহই নেই। এখন নিশ্চয় সঙ্গিনীকে সময় দিচ্ছে, এই আকস্মিক প্রচণ্ড শারীরিক আলােড়নের পর নিজেকে একটু থিতিয়ে নিতে। আচ্ছা, কান পাতলে ফিস ফিস কথা বলবার শব্দ শােনা যাচ্ছে বটে। নত্য তবে স্বাদ পূর্ণমাত্রায় নিয়েছে এবং এখন ঐ ছােকরাকে ছেড়ে এক মুহূর্তও থাকতে চাইবে না। জেন্দাকা জানে, কমবয়সী মেয়েরা একবার বিছানার স্বাদ পেয়ে গেলে কামুক কুকুরেরও অধম হয়।

জোকান্দ কপাটে দু’বার টোকা দিতেই ভেতর থেকে লােচিনের মিষ্টি আহ্বান ভেসে আসে : আসতে আজ্ঞা হয়, জোকা দেবী।

ভেতরে ঢুকে যা দেখবে আশা করেছিল জোকা, তাই দেখতে পেলাে। চুলগুলি এখনাে এলােমেলো অবস্থায় থাকলেও মিটার লােচিন মােটামুটি স্বাভাবিক। কিন্তু নত্য ? বেচারি যেন কেমন উভ্রান্ত, এখনাে খামচে ধরে আছে লােচিনের একখানা হাত।……

……..হু, ঐ তাে বাথরুমের দরজায় ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে মিটি মিটি হাসছে। সেই পরিপুষ্ট যাযাবর মেয়েটা, প্রথম দিন ভবঘুরেদের শিবিরে রিলিফের গুড়োদুধ বিলাতে গিয়ে যার অদ্ভুত নিরেট যৌবন দেখে কার্বি ও লােচিন শির শির যৌন অনুভূতিতে কেঁপে উঠেছিল। নােংরা স্কার্ট, ময়লাজমাট দলাপাকানাে লাল চুল, বঁ দিকের কণ্ঠায় লেগে আছে খানিকটা পােড়া সিগ্রেটের ছাই, কালাে চোখের নীচে অনেক কালি, কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে উদ্ধত ওর বিশাল বুক এবং স্বৈরিনী স্পর্ধায় ছড়িয়ে থাকা ওর মােটা মােটা দুই লােমশ পা।………

Leave a Reply