অনুবাদঃ অবনী সাহা
উৎসঃ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আদি-রসের গল্প
সম্পাদনাঃ সুকান্ত সেনগুপ্ত
[সেইকাকুর উপন্যাস দ্য লাইফ অফ অ্যান অ্যামেরাস ওম্যান প্রকাশিত হয় ১৬৮৬ খ্রীষ্টাব্দে। নায়িকা একজন প্রাক্তনবারবণিতা। প্রথম জীবনের কাহিনী বিশদভাবে বর্ণনা করে সে খদ্দেরদের আপ্যায়িত করতাে। আলােচ্য অংশটি ঐ উপন্যাস থেকে নেওয়া একটি লম্পটের পােষাকের মধ্যে প্রাপ্ত ছবি শীর্ষক কাহিনী।]
মেয়েদের পােষাক সেলাই করার প্রচলন হয় আমাদের ছেচল্লিশতম শাসনকর্তা রাণী কোকেনের রাজত্বকালে। তার আমলেই ইয়ামাটো নামক জায়গাটিতে সবচেয়ে সুচারুভাবে সেলাইয়ের কাজ সম্পন্ন হতাে। অভিজাতদের জন্য সিল্কের পােষাক সেলাইয়ের আগে গুণে নেওয়া হতাে কতগুলাে সুচি ব্যবহার করা হবে। আর কাজ শেষ হলে আবার সুচিগুলাে গােণা হতাে। প্রতিক্ষেত্রেই যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হতাে। প্রত্যেকের দেহশুদ্ধির দরকার হতাে এবং মহিলাদের মধ্যে যাদের মাসিক শারীরিক অসস্তি থাকতাে, তাদের সেলাই ঘরে ডুকতে দেওয়া হতাে না।
আমার জীবনে এক সময় আমি সেলাই কাজে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছিলাম এবং আমি মেয়েদরজীর কাজ নিয়েছিলাম। আমি তখন শান্ত এবং ধর্মজীবন যাপন করতাম। আমার মন যৌনচিন্তা থেকে মুক্ত ছিলাে। তার বদলে আমি দক্ষিণের জানালার বাইরে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মন ভরিয়ে আনন্দ পেতাম। আমার সঙ্গিনী মেয়েদরজী সবাই মিলে আমাদের রােজগারের টাকা এক করে মাঝে মধ্যে ভালমন্দ খেতুম। আমাদের সঙ্গী বলতে আমরা সব মেয়েরা। সুতরাং আমরা নিস্পাপ ছিলাম। মেঘহীন আকাশের চাদ আমাদের জীবনকে বিড়ম্বিত না করে পাহাড়ের পেছনে অস্ত যেতাে। সত্য সত্যই এই অবস্থাটা বৌদ্ধবাদের মতে, নিত্যতা, স্বর্গসুখ, বাস্তবসত্তা ও পবিত্রতার মিশ্রণ।
আমি এই শান্তিপণ অবস্থায় কাটাতে ছিলাম। একদিন এক যুবক ভুস্বামীর একটি চিত্রের সাদা সিকের মােড়ক সেলাইয়ের দায়িত্ব পড়লাে আমার উপর। শিল্পীকে জানিনে কিন্তু তিনি অপুর্ব দক্ষতার সঙ্গে একটি পুরুষ ও একটি রমণীর মিলনরত অবস্থায় ছবি একেছেন। আমি তাদের নগ্ন দেহ এবং বিশেষ করে শায়িতা রমণীটির উন্মুক্ত গঠন সৌন্দর্য দেখে বিমুগ্ধ হলাম। রমণীটির পায়ের গােড়ালি উদ্ধে শাশ্বত আর তার পায়ের আঙ্গুল পেছনে হেলানো। আমার বিশবাস হচ্ছিলাে না, এই অঙ্কন কার্যটি নিছক কালী দিয়ে অাকা। আমি যেন এই প্রণয়ীযুগলের প্রেমগুঞ্জন তাদের নিথর ওষ্ঠে শুনতে পেলাম। আমার বুদ্ধিসুদ্বি সব গুলিয়ে গেলাে। আমি আমার কাজের বাক্সের উপর হমড়ি খেয়ে পড়লাম। আমার মাথা ঘুরতে লাগলাে। আর তখনই একটা পুরুষ মানুষের জন্য আকাক্ষা জাগলাে আমার মধ্যে—আর তা এত তীব্রভাবে যে বাস্তবিকই সব সেলাইয়ের চিন্তা মন থেকে উবে গেলো। আমি আর আঙ্গুলের টোপর বা সুতাের লাটাইতে হাত দিতে পারলাম না।
আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে দিবাস্বপ্নে উবে গেলাম। আমার মনে হলাে, একা একা বিছানায় শােয়া সত্যিই খুব কষ্টকর। আঃ, আমার সেই দিনগুলাে যদি ফিরে পেতাম। যখন আমার অতীত সুখের কাহিনীগুলাের কথা মনে পড়ে, তখন আমার মন অবসাদে ভরে ওঠে।
এমনও হয়ে থাকতে পারে আমি সেই সুখের দিনগুলােতে যখন কাঁদতাম তা ছিলো সত্যি, আর যখন হাসতাম, সে হাসি ছিলাে কৃত্রিম। সত্য হােক আর মিথ্যে হােক, আমি যাদের অন্তর দিয়ে ভালবাসতাম,তাদের জন্যই এসব করতাম। আমি আবেগ প্রবণ হওয়ায় আমার বন্ধুদের আনন্দ ভালােবাসা ও খাবার দিয়ে ভরপুর করে রাখতাম। আমি তাদের কোমল প্রবৃত্তিগুলো জাগিয়ে রাখতাম। এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী থেকে শীঘ্র চলে যেতে উদ্বুদ্ধ করতাম। এখন আমার মনে হয়, এটা খুব নিষ্ঠূর কাজ।
আমি যাদের সঙ্গ লাভ করেছি, তাদের সংখ্যা অগন্তি। আমি জানি, এমন মেয়েও এই পথিবীতে আছে, সারাজীবনে যে একটীর বেশী পুরুষের সঙ্গ লাভ করেনি। এমন কি সে স্বামী পরিত্যক্তা হলেও নতুন সঙ্গী খোঁজে না, অথবা তাদের স্বামী মারা গেলে, পবিত্র ব্রত অবলম্বন করে তাদের সতীত্ব রক্ষা করে। তাদের স্বামী মারা যাবার পর কৃচ্ছসাধন করে। আমি আমার কথা ভেবে তীব্র অনুশােচনা অনুভব করি। আমি স্থির করলাম, একদিন যেমন অসংখ্য পুরুষ সঙ্গ আমি উপভােগ করেছি, এবার থেকে আমি আমার এই উচ্ছল প্রকৃতি বশে আনবো।
ইতিমধ্যে রাত পহিয়ে এলো। আমার সঙ্গিনী মেয়েদরজীরা যারা আমার পাশে ঘুমচ্ছিলাে, উঠে পড়লো। বিছানাপত্তর গুটিয়ে তাকের উপর রাখলাে। আমি ব্রেকফাস্টের জন্য অধৈর্ষভাবে অপেক্ষা করতে লাগলাম। তা শেষ হলে আমি একটু জলত অঙ্গারের জন্য, অঙ্গার পাত্রের খোঁজ করলাম। তা দিয়ে আমার পাইপ ধরিয়ে, টান দিলাম। কেউ আমাকে লক্ষ্য করছে না ভেবে, আমি আমার আলুলায়িত চুল দ্রুত বাঁধলাম। আমার খোঁপা বাধায় ভুল হলো, কিন্তু খেয়াল করলাম না। কাগজের ফিতে দিয়ে তা বেধে নিলাম। চুলের জল ঝাড়ার ভঙ্গী করে, এবার জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। দেখি একটা লোেক বাইরে দাঁড়িয়ে। চাউনি দেখে মনে হলাে, লােকটা এই লম্বা বাড়ীটায় বাস করা সেনা বিভাগের কোন ব্যক্তির ফাইফরমাস খাটা চাকর। দেখে মনে হয় সে সকালের বাজার সারতে গিয়েছিলাে। সঙ্গের বাকেটে কয়েকটা শিবা মাছ। ঐ হাতেই এক বােতল ভিনিগার ও কয়েকটা পলতে, অন্য হাতে তার আটপৌরে ঘন নীল রঙের কাপড় তুলে তার যৌনাঙ্গ উন্মুক্ত করে ( নিশ্চয়ই ভাবছে কেউ তাকে লক্ষ্য করছে না) প্রাকৃতিক ক্রিয়া সম্পাদন করছে। সেই জল স্রোতটি অটোয়ার জলপ্রপাতের মতাে তীব্র। সেই স্রোতে নুড়ি পাথরগুলাে গড়িয়ে গর্তে পড়ছিলো। মনে হচ্ছিলাে লোকটা কঠিন মৃত্তিকায় একটা অতল গহর সৃষ্টি করতে পারে। হায় হতভাগ্য, তার দিকে তাকিয়ে আমি ভাবলাম, তােমার ঐ বর্শাটা সিমাবারার কীয়েটোর যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে লাগবে না।
এই ধারণাটা আমার গ্রাম্য বলেই মনে হলাে। এর কোন মহৎ উদ্দেশ্য নেই। আমি দীর্ঘক্ষণ এ দৃশ্য সহ্য করতে পারলাম না। | আমার বর্তমান চাকুরী আমার কাছে বিরক্তিকর বলে মনে হলাে। আমার চাকুরীর মেয়াদ শেষ হবার আগেই আমি অসুস্থতার ভাণ করে, আমায় মনিবের কাছ থেকে ছুটি নিলাম।
আমি হােঙ্গোর সিক্সথ ডিস্ট্রিক্টের দুরের গলি পথের এক বাড়ীতে উঠলাম। গলির প্রবেশ পথের থামে আমি একটা প্ল্যাকার্ড সেটে দিলাম। তাতে লেখা, এই গলির মেয়েদরজী যে কোন ধরণের সেলাই করতে পারে।
আমার এখন শুধু এক চিন্তা, আমার ঘরে কোন পুরুষকে আপ্যায়ন করা। কিন্তু তার বদলে, আমার ভাগ্যে কিছু নিস্কর্মা বুড়ি জুটতে লাগলো। তারা আজকালকার সেলাই ফোড়াই সম্পর্কে আমাকে বক বক করিয়ে মারলো। যখন তারা আমাকে তাদের পােষাক সেলাই করার অডার দিলাে, আমি যা তা ভাবে তা করে দিলাম। আঃ, সেটাকে এখনও আমার খুবই খারাপ আচরণ বলে মনে হয়।
দিনরাত আমি কুচিন্তায় মগ্ন থাকতাম। কিন্তু প্রকাশ্যে এ সব বলা আমার পক্ষে কষ্টকর ছিলো। একদিন আমার মাথায় একটা মতলব খেলে গেলাে। আমি আমার ব্যাগ বইবার জন্য একটি ঝিকে সঙ্গে নিয়ে মটোম্যাচি রওনা হলাম। সেখানে পৌছে আমি ইচিগাে-ইয়া নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানে গেলাম। এই কর্মচারীরা আমি আগে যেখানে কাজ করতাম, সেখানে যেতাে।
আমি জানালাম, আমি আমার চাকরী ছেড়ে দিয়েছি। এখন আমি নিজেই নিজের পেট চালাই। অবশ্য তা দিয়ে একটা বেড়ালেরও চলেনা। আমার একদিকের প্রতিবেশীরা সব সময়ই বাইরে থাকে। অন্য দিকে থাকে এক সত্তর বছরের বুড়ো মেয়েছেলে। সে কোন ঝগড়া ঝাটে যায় না। বাড়ীর সামনে কোন জনপ্রাণী নেই। থাকার মধ্যে একটা ঝােপ। মহাশয়গণ যদি আপনাদের কারও শহরের ঐ প্রান্তে কোন কাজ থাকে, তাহলে আমার ওখানে একটু বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না।
একথা বলে, আমি সিকের তৈরী লাল রঙের একটা সুন্দর কিমাননাও রেশমের কোমর বন্ধনী নিয়ে বাইরে এলম। ইচিগাে-ইয়াতে কড়া নিয়ম ছিলাে, ধারে খুচরাে জিনিস বিক্রী হতাে না। কিন্তু দোকানের ছােকরা কর্মচারীরা আমাকে দেখে এমন অভিভূত হয়ে গেলাে, যে আমাকে ফেরাতে পারলাে না। দাম না দিয়েই আমি চলে এলাম।
নবম চান্দ্র মাসের অষ্টম দিনে, দোকানের মালিক তাঁর কর্মচারীদের বকেয়া আদায় করতে আদেশ করলেন। দোকানে পনেরাে জন কর্মচারীর প্রায় সবাই এ দায় এড়িয়ে গেলাে। তাদের মধ্যে একজন অপেক্ষাকৃত বয়স্ক কর্মচারী, যে নাকি ভালবাসা, কোমলতার ধার ধারেনা, সব সময় লাভ ক্ষতির চিন্তা করেন, মালিক যাকে সাদা ইদুর বলে ঠাট্টা করেন, অন্য কর্মচারীদের আপত্তির কথা অধৈর্যের সঙ্গে শুনে বললাে, ঐ মেয়েছেলের কাছ থেকে পাওনা আদায়ের ব্যাপারটা আমার উপর ছেড়ে দিন। যদি সে দেনা না মেটায়, আমি তার মাথাটি কেটে নিয়ে আসবাে দেখবেন।
তাকে ঠকাবার উপায় ছিলো না। সে তক্ষুণি আমার বাড়ীর দিকে রওনা দিলাে। বাড়ীতে পৌছে সে আমাকে কর্কশ ভাষায় গাল দিতে থাকলাে, কিন্তু আমি চুপ করে তা শুনলাম। বললাম, মশাই, এই সামান্য ব্যাপারে কষ্ট করে এখানে আসতে হওয়ার জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন।
সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার হালকা পাটলবর্ণের কিমানােটা গা থেকে খুলে ফেলে বললাম, দেখুন মশায়, এটা হাল ফ্যাসনে রঙ করা। আর মাত্র কাল ও আজ এই দুদিন মাত্র আমার গায়ে উঠেছে এটা। আর এই নিন আমার রেশমী কোমর বন্ধনী আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি দুঃখিত। বলতে বলতে পােষাকটি তাকে দিয়ে বললাম, এই মুহুর্তে আমার কাছে পয়সা নেই, আপনি এটাই নিন।
আমি যখন তার সামনে দাড়িয়ে, আমার চোখ তখন জলে চকচক করছিলাে। আর আমার পরণে লাল রঙের সায়াটি ছাড়া আমি সম্পূর্ণ নগ্ন। সে যখন আমার মনােরম, দুগ্ধধবল, মেদহীন দেহ বল্লবীটি দেখলো, যাতে একটি তিলের চিণ্হ পর্যন্ত নেই, তখন সেই শক্ত লােকটা আসপ পাতার মতাে থরথর করে কাপতে লাগলাে।
সে বললাে, “তুমি কি ভাবেছে, তােমার পােষাকগুলাে থেকে তােমাকে বঞ্চিত করবাে? তােমার ঠাণ্ডা লেগে যাবে।
ও আমাকে কিমানােটা পরে ফেলতে বললো। তখন সে সম্পুর্ণ আমার হাতের মুঠোয় এসে গেছে।
তার গায়ে ঠেস দিয়ে আমি বললাম, “তুমি একজন স্নেহশীল মানুষ।
সম্পুর্ণ অভিভূত হয়ে সে তার ছােকরা অনচের কিউরােকু-কে ডেকে, বাটা খুলতে হকুম করলাে। তারপর তা থেকে একটা পাের টাকা নিয়ে বললাে। ‘আমি এটা তােমাকে দিচ্ছি, তুমি সিতয়াদোরী’ যাও। ইট সিয়ারার দিকে নজর রাখাে। তােমার তাড়াতাড়ি ফেরার দরকার নেই।
উত্তেজনায় ছােরার বুকে ওঠানামা করতে লাগলাে। তার মুখে উদ্ভাসিত হয়ে উঠলাে। সে কিছুতেই একটা বিশ্বাস করতে পারছিলাে না। ফলে বেশ কিছুক্ষণ সে উত্তর দিতে পারতো না। শেষ পর্যন্ত সে বুঝলো। সে ভাবলাে ও বুঝেছি, আমি যখন পথে থাকবাে, উনি তখন এই ছুড়িটার সঙ্গে মজা লুটবেন। ঐসঙ্গে ছােকরার মাথায় একটা মতলব এলে, যাক হাড়কেল্পণ এ মনিবের কাছ থেকে বেশ কিছু বাগাবার একটা দুষ্প্রাপ্য মওকা পাওয়া গেছে।
সে বললাে, “কিন্তু কত, আমি এই সুতির পােষাক পরে ঐ বাসায় নজর রাখতে যেতে পারবো না, তা বলে দিচ্ছি।
কর্তা বললেন, সে তাে ঠিকই।
তারপর তাকে একটা চওড়া হিনু সিল্কের কাপড় দিলেন। আর ছােকরা তা সেলাই করে নেবার অপেক্ষা না করে, গায়ে পেচিয়ে তাড়াতাড়ি কেটে পড়লাে।
ছােকরাটা চলে গেল, আমি দরজায় হড়কা লাগিয়ে দিলাম। খড়ের টুপি দিয়ে জানালার ফোকর বন্ধ করে দিলাম। তারপর কোন দালালের সাহায্য ছাড়াই, আমরা দুজনের মিলনের চুক্তি সম্পাদন করলাম।
একবার আত্মসমর্পণের পরই আমার করণিক মহাশয়, তার মন থেকে লাভের লােভ ঝেড়ে ফেললেন। তারপর নিজেকে সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেললেন। একজন উৎসাহী যুবকের এই বােকামী ক্ষমা করা যায় না। তার কর্মস্থলে গােলমাল শুরু হলাে। শীগগিরই তাকে বরখাস্ত করে, কিয়ােটো যাবার নির্দেশ দেওয়া হলো।
এই সময় থেকে আমি নামেই মেয়ে দরজী রইলাম। আসলে আমি এখানে সেখানে মজা লুটতে লাগলাম। দর্শনী প্রতিদিন এক সবগম। যদিও আমার কাজের যন্ত্রপাতির বাটি নিয়ে আমার ঝি আমার সঙ্গে যেতাে, কিন্তু আমি আসলে অন্য ধরণের কাজ করতাম। যা আমার জীবিকা নির্বাহের জন্য করতে বাধ্য হতাম। কারণ যে ব্যক্তি বলতে পারেন, যে সততা দিয়ে এখন আমি স্বাভাবিক ভাবে সেলাই কাজ চালাই, তা দিয়ে পাছাড় কাপড় সেলাই চলে না।