এক জীবনে – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

………পরের সপ্তাহেই ইন্দ্রাণীর ফ্রক পরা বুকে নিজের চোখ দুটো চেপে ধরে ভাস্কর। ইন্দ্রাণী নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে পারেনি। যেন সে কিছুই বুঝতে পারছে না এইভাবে দাঁড়িয়েছিল। যদিও ঝনঝন করছিল তার সারা শরীর। অল্প পরে ভাস্কর যখন তার ঠোটে আঙুল ছুইয়েছিল তখন ইন্দ্রাণী শক্ত করে চেপে রেখেছিল তার ঠোট। কিন্তু ভাস্কর যখন তারপর ইন্দ্রাণীর বুকেই চুমু খেতে শুরু করে তখন ইন্দ্রাণী সেই অসম্ভব ভালােলাগা কিছুতেই অগ্রাহ্য করতে পারেনি। | কয়েকদিন পর, ইন্দ্রাণীর এক মামার বিয়ে হয়েছিল এই বাড়িতে। পাটনা থেকে অনেকে এসেছিল। বিয়ের রাত্রে দোতলার লাইব্রেরী ঘরে ঢালাও বিছানা করে দেওয়া হয়েছিল বাচ্চাদের জন্য। কে আর লক্ষ্য করেছিল যে অন্ধকারের মধ্যে ইন্দ্রাণী আর ভাস্কর পাশাপাশি চলে এসেছিল কিনা। দু’জনে দু’জনের হাত ধরেছিল শক্ত করে, তারপর সেই হাত চলে যায় শরীরের গােপন জায়গায়।……..

…….সেদিন ভাস্কর অনেকদিন বাদে আবার ইন্দ্রাণীকে চুমােয় চুমােয় আচ্ছন্ন করে দিয়েছিল। যেন শেষবার। যেহেতু ভাস্কর সঙ্গে সঙ্গে কাদছিল, তাই ইন্দ্রাণী বাধা দিতে পারেনি। ভাস্কর যখন বুকে মুখ রেখেছে, তখন দরজার কাছে দাঁড়াল মণীশ।……..

Leave a Reply