পক্ষীরাজ ও উর্বশী – দেবকুমার বসু

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…….ও আমার বাঁদিকে বসেছে। বাঁ হাতটা সােফার ওপরে তুলে দিয়ে আমি ওর দিকে সামান্য ঘুরে বসলাম। টিভি-র খবর আমার কাছে তুচ্ছ। আমি যেখানে যা বাজি লাগাবার লাগিয়ে দিয়েছি। এখন মেয়েটিই আমার কাছে মুখ্য। যা দারুণ দেখতে! কী অসাধারণ বাঁধা যৌবন! রূপ আর যৌবন যেন রেষারেষি করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে একই জায়গায়। মেয়েটির স্বচ্ছ সিনথেটিক শাড়ি ভেদ করে আমার দৃষ্টি পৌঁছেছে ওর অনাবৃত জায়গাগুলােয়। ও বগলকাটা জামা পরেনি। যাকে বলে গুণ্ডা-হাতা, চার আঙুল উর্ধ্ববাহু ঢাকা ব্লাউজ, ছােট ঝুল—ফলে, স্তনের নিচে থেকে পেটের অনেকটা অংশ প্রকট দৃশ্যমান। চাপা ফুলের মত গায়ের রঙ। স্টেপকাট চুল ভয়ঙ্কর অবাধ্য হয়ে মুখের অর্ধেকটা ঢেকে দিতে চাইছে। খােলা কঁধ থেকে পিঠের প্রায় অর্ধেকটা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়, ঠিক যেন সাদা তুষারে সূর্যের কিরণ।……..

……..বাড়িটা বড়জোর চারকাঠার ওপর। বাড়ির ডানদিকে আরও একটা গ্যারাজ ও আউটহাউস। বাকি খােলা জমিটা পুরােটাই বাগান। যেমন সিজন, তেমন ফুলের বাহার। কাজের লােকজন, মালি, ড্রাইভার—প্রত্যেকের জন্যে আউটহাউসে থাকবার আলাদা ব্যবস্থা। ওপরের দুটো বেডরুমে আমার দুই বউ থাকে। পালা করে একেক দিন একেক জনের কাছে থাকি। কখনও কখনও দুই বউ নিয়ে একঘরেও থেকে যাই। দুই বউ সহােদরা। এক বছরের পিঠোপিঠি। একজন যদি রবিনা ট্যান্ডন, অপরজন শিল্পা শেঠী। দুটোই রূপের খনি। চোখ ধাঁধানাে রূপ, দেহের প্রতি খাজে খাঁজে যৌবনের হিল্লোল। দুই বউ দুই সখী। কেউ কাউকে হিংসে করে না। বিলাস বৈভবের প্রাচুর্যে দুজনেই কিছুটা অহঙ্কারী। কিন্তু দুজনেই পতির সেবিকা।……..

……বুলু বলল, না না, সে পরে হবে’খন। আগে একটু তৃষ্ণা মেটাই।– বলেই ও ইভিনার বগলের তলা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দুহাতে ওকে বুকে চেপে ধরে একটা লম্বা চুম্বন করল।…..

…..‘আমি সুজাতা”, বলে বসলেন আমার মুখখামুখি। আমি নমস্কার বিনিময় করে মন্ত্রমুগ্ধের মতাে তাকিয়ে রইলাম ওঁর দিকে। এই বয়সে রূপের এতাে ঝলক চকিতে চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। ঢল নামা যৌবনের উচ্ছলতা ভাসিয়ে নিয়ে যায় মুহূর্তে। দেহের প্রতিটি ভঁজে খাঁজে বক্রতায় লাবণ্যচঞ্চল যৌন আবেদন। এতাে কাছ থেকে এই নারীকে দেখে মাথা ঠিক রাখা কঠিন। রক্তে কামনার আগুন জ্বলে ওঠে দপদপিয়ে।

আধ ঘণ্টার বেশি সময় কাটল ওঁর বেডরুমে ভেতরে ভেতরে এতাে অস্থির ছিলেন সুজাত যে, আগেভাগেই নিজেকে উজাড় না করে স্বস্তি পাচ্ছিলেন না। পরপর দুবার আমাকে নিংড়ে নিলেন তিনি। ওঁর মাখনের মতন মসৃণ, তুলাের মতন নরম অথচ উদ্ধত অহঙ্কারী ঠাসা গতরে আমি যথেচ্ছভাবে হুটোপুটি করেছি। সঙ্গমকালে ওঁর আচরণ, অঙ্গবিক্ষেপ, ছলাকলা ও রতিক্রিয়া নন্দিতার চেয়ে অনেক বেশি উন্নত। সঙ্গমরত অবস্থায় একটা বিরল অভিজ্ঞতা হল আমার——ওঁর যৌনাঙ্গ অনেকটা ঠোটের মন কাজ করে, কঠিন পুরুষাঙ্গটিকে যেন কামড়ে ধরতে চায়। নারীসঙ্গ কম করিনি, কিন্তু সুজাতা অন্য সকলের তুলনায় ব্যতিক্রম আমার কাছে।………

…….‘চেন্নাস্বামীর বউকে দেখতে অসাধারণ সুন্দরী। গায়ের রঙ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যের দীপ্তি, রূপ-লাবণ্য—কোনও কিছুই জুলির গেঁকে কম নয়। তফাৎ একটাই-জুলির বয়সটা কম, তাই গ্ল্যামার নেক বেশি। আর জুলির ছলাকলা, নাচ, অভিনয়, কটাক্ষ পুরুষদের রক্তে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুনে চেন্নাস্বামী আর ওর বউ দুজনেই পুড়তে শুরু করল।

সমুদ্রবক্ষে লাক্সারি জলযানের বন্ধু কবিনে চেন্নাস্বামী যখন জুলির নগ্ন শরীর নিয়ে ব্যস্ত—সেই সময় চেন্নাস্বামীর বেডরুমে ওর সুন্দরী বউয়ের সারা শরীরে রােমকূপের গন্ধ শুকছে আসলাম জাভেদ।……..

………আসলাম বেরিয়ে যেতেই পরমা কাছে এগিয়ে এসে আমার ডানহাতটা ওর মুঠোয় জড়িয়ে ধরে বলল, এখন থেকে আর আপনি-টাপনি নয়— দেখি, মাথা নামাও— দুহাতে সজোরে আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেল ও। আমি আদরে সােহাগে ওর ঠোটে গালে গলায় কানে চুমু খেতে খেতে জিভ বােলাতে লাগলাম। দুটি শরীর পরস্পরকে কামনার তীব্র আকর্ষণে অস্থির করে তুলল। পরমা অসাধারণ সুন্দরী ও ঠাসা যৌবনের প্রতীক। দেহের খাঁজে খাঁজে ও বক্রতায় যৌনতার চাপা আগুন ঠিকরে বেরুচ্ছে। আমার দুই কান মাথা ও রগ ফেটে গরম হঙ্কা বেরুচ্ছে। দুজনে দুজনের অজ্ঞাতেই পরস্পরকে নগ্ন করেছি। পরমার হাতের মুঠোয় ধরা আমার ইস্পাতকঠিন পুরুষাঙ্গ। ওর উদ্ধত নরম দুধসাদা জোড়া বুক আমার দু-হাতে পিষ্ট হচ্ছে, মুখ ঘষছি সেখানে। বিছানায় যাওয়া আর হয়ে উঠল না। মেঝেয় বিছানাে মােটা কার্পেটের ওপরেই ও আমাকে টেনে নিল বুকের ওপর। মাত্র দু মিনিটের মধ্যে আমি নিয়ন্ত্রণ হারালাম।

সারারাতে মােট পাঁচবার আমরা সঙ্গমে মিলিত হলাম—আরও তিনবার বিছানায়, একবার গরম শাওয়ারের নিচে। এর মধ্যে বিপরীত বিহার হয়েছে—শেষ দুবার পরমা ‘লিউয়েনস্কি’ পদ্ধতিতে আমার পুরুষাঙ্গ সঙ্গমের উপযুক্ত করে দিয়েছে। | সঙ্গমের ফাঁকে ফাঁকে পরমার সঙ্গে অনেক কথা হল। ইদানিং চেন্নাস্বামীর সঙ্গে ওর যৌন সম্পর্ক প্রায় বিচ্ছিন্ন। বার দশেক ও শুয়েছে আসলামের সঙ্গে। আমি ওর জীবনে তৃতীয় পুরুষ। ইতিপূর্বে শীর্ষসুখ কখনাে পায়নি। আমার কাছেই ও জীবনে প্রথম সঙ্গমের আসল সুখসাগরের সন্ধান পেল।

আলাে ফোটার আগে শেষবার মিলিত হয়ে নগ্ন অবস্থাতেই ঘুমিয়ে পড়ি আমরা। সাপের মতন আমাদের শরীর জড়ানাে ছিল।……..পরমা দৃঢ় জেদী স্বরে বলল, না। আমি ওর সঙ্গে যাব না। নারীসঙ্গ কাকে বলে ও জানে না। মদ খেয়ে শুধুই ধামসাধাসি করে আর নিজেকে স্বালন করে। ওর কাছে আমি সুখ পাব না। বরং তুমি আমাকে নিয়ে কোথাও চলাে। তােমাকে একদম ছাড়তে ইচ্ছে করছে না।………

 

Please follow and like us:

Leave a Reply