……..শরীরের ওপর এই আধুনিক প্রজন্মের কোনও ‘সে’ নেই। সবই মিডিয়া-নিয়ন্ত্রিত। মিডিয়া বলে দিচ্ছে তােমাদের শরীর কেমন হবে। কোনও বিজ্ঞাপন বলছে, অমুক তেল ব্যবহার করাে, তাতে তােমাদের ব্রেস্ট বাড়বে। ব্রেস্ট ছােট থাকা খুব খারাপ। নারীই হলে না তুমি। আবার মিডিয়াই বলছে জিরাে ফিগারই হল আইডিয়াল। রােগা হও। স্তন ছােট রাখাে। ছােটখাটো ফিগারের মেয়েরাই হল সুন্দরী। মেয়েরা ডায়েটিং করছে। কিছু খাচ্ছে না। দুর্বল হয়ে পড়ছে। খবরকাগজে কিছুদিন আগে একটা খবর বেরিয়েছিল—একটা বস্তাবন্দি কিশােরীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে যেটা উঠে এল সেটা ভয়ংকর ব্যাপার। ওই মেয়েটার বয়স বছর কুড়ি। মেয়েটার স্তন ছােট ছিল। কোথায় একটা বিজ্ঞাপনে দেখেছিল কী একটা তেল মালিশ করলে জ বড় হয়ে যায়। একটা ওষুধের দোকানে গিয়ে ওই তেল কিনতে গিয়েছিল। ওখানকার দোকানদার ওকে বলেছিল, নিজে-নিজে মাসাজ করলে কিছু লাভ নেই, মাসাজের একটা কয়দা আছে। ছেলেটা, যাকে বলে, মেয়েটাকে পটায়। ছেলেটা মাসাজ করার নাম করে নিয়মিত মেয়েটাকে ইউজ করতে থাকে। মেয়েটা প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ে। তারপর একটা কোয়াক’কে দিয়ে অ্যাবার্ট করাতে গিয়ে মেয়েটাকে মেরে ফ্যালে। তারপর বডিটা…….
……..হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় আইভি বলছিল, বাই ডিফল্ট মেয়ে হয়ে জন্মেছি, মানে আপনারা আমাকে মেয়ে বলছেন, কারণ আমার বুকটা উঁচু, আর ওই ঝােলাটা নেই, এই জন্যই আমি গঙ্গার পাড়ে বসে তেল মেখে স্নান করতে পারি না, ভীষণ ইচ্ছে করলেও পারি না।…..
……আর একটা চিঠি ;
হে আকাশবাণী, উত্তর দাও, উত্তর দাও মােরে
প্রজাপতি কেন ছন্দে ছন্দে ওড়ে
নারীর বক্ষে দুগ্ধের লাগি স্তন
পুরুষের বুকে কেন তবে উহা স্তনের মতন?
পুরুষের বুকে দুগ্ধ হয় না কেন তবে প্রয়ােজন?
পুরুষের বুক কৈশােরকালে ফুলিয়া ফুলিয়া যায়
তার পরে কেন আর নাহি বাড়ে হায় ?
…….পােপােজট্রোপােজ না করে যদি নিজেই কিছুটা কাম নিবৃত্তি করি, সেটা সমর্থন করবেন? বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে? আমি আরও স্পষ্ট করে জানতে চাই—মেয়েরা কি হস্তমৈথুন করতে পারে? যদি পারে, কীভাবে? করলে কি কোনও ক্ষতি হয়? আমি বাংলা অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
এই চিঠির কিছুটা অংশ বাদ দিয়ে পড়েছিল অনিকেত। শেষের দিকটা বাদ দেয়নি। ওটাই তাে আসল প্রশ্ন। ভারতীদি উত্তরে বলেছিলেন না, কোনও ক্ষতি হয় না। আঙুলের নখটা যেন বড় না-থাকে, আর আঙুল যেন পরিষ্কার থাকে। ক্লাইটোরিস কী বস্তু, সেটাও বলেছিলেন; বলেছিলেন কলম, পেনসিল বা ওই জাতীয় কোনও কিছু ব্যবহার কোরাে না। এইসব বলে শেষকালে বলেছিলেন শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে মন। মনের তৃপ্তিই সবচেয়ে বড় তৃপ্তি।…..
…….আর একটা গল্প মাঝে-মাঝেই মনে পড়ে। একজন জিগ্যেস করল—তাের বড় পােলা জলধররে তুই কত বচ্ছর বয়সে বিয়াইছিলি?
উত্তরটা পূর্ববঙ্গীয় উপভাষায় লিখতে গেলে সবাই বুঝতে পারবেন না। ব্যাপারটা এরকম উত্তরদাত্রী বলেছিলেন—আমার বিয়েটা তাে হয়ে গিয়েছিল আমার নয় বছর বয়সে। বিয়ে ব্যাপারটা কী, কিছুই বুঝতাম না। শাড়ি পরে, ঘােমটা দিয়ে থাকতে হত। এগারাে বছর বয়স থেকে স্বামীর সঙ্গে শােয়া। বারাে বছরে রজঃস্বলা হলেও সঙ্গম ব্যাপারটা কী তখনও বুঝতেন না। কত্তা মইধ্যে-মইধ্যে বেড়াইয়া ধইরা হােয়াগ (সােহাগ) করলে ভালই লাগত’ একদিন উনি দেখলেন, কাজের ছেলেটি গরু বাঁধতে গিয়েছে মাঠে। গরুর খুটা গাড়ছে নিচু হয়ে। ওখানে একটা গাছের আড়ালে শুয়েছিল কাজের মেয়ে সুরবালা। দূর থেকে দেখেছিলেন, ছেলেটি শুয়ে থাকা মেয়েটির গায়ে কী যেন করছে। আমি কত্তারে জিগাইলাম সুরবালার প্যাটের কাছে বাগাল ক্যান খুঁটা পুঁতে? কত্তা কইলেন তুমি দেখছ বুঝি খুঁটা গাড়ন? তবে দ্যাখবা কেমনে খুটা গাড়ে? আমিও খুঁটা গাডুম। হেই রাইতে কত্তা খুঁটা গাড়লাে।……
……..গানে শরীর যেভাবে কথা বলে, ওটা যেন ডালাটা ভরে ওঠা নয়। শরীরটা ভরে ওঠা। মেয়েরা যখন ডালা ভরে ওঠার কথা বলে, তখন কী সুন্দর মানিয়ে যায়, কারণ মেয়েরা বড় হলে যে ওদের শরীরটা ভরে ওঠে। কী সুন্দর হয়ে যায় বুক দুটো। আমার কেবল মনে হত, এখনও হয়, যেন জোড়া ফুল। আমার বুকটা যদি ওরকম ভরাট আর ভরন্ত হয়ে যেত, তা হলে কত ভাল হত। ওরকম ফুলের মতাে বুকের মাঝখানে বোঁটাটা। গলায় হার পরলে, দুই বুকের মাঝখানে হারের লকেটটা ঝুলবে। যেখানে দুটো স্তন তাদের আলাদা-আলাদা রূপ পেয়েছে, সেই জায়গাটাকে ক্লিভেজ বলে। নামটাও সুন্দর, দেখতেও সুন্দর। আমার চোখেই এত সুন্দর লাগে, তবে তাে ছেলেদের চোখে আরও সুন্দর লাগবে। সুন্দরী মেয়েদের দেখলে আমার কেমন যেন একটা হিংসে হয়। মাইরি বলছি। মান্না দে-র ওই গানটা মনে পড়ে। ও কেন এত সুন্দরী হল…।’ আমি কেন হলাম না?…….
……দাদু তারপর বলেছিল, তাের বুকটা আমার অসুখে চুঁইয়ে দে সােনা। আমি ভয় পেয়েছিলাম। একবার মনে হল, যদি আমার বুকেও ওই অসুখটা হয়ে যায়? আমি মাথা নাড়িয়েছিলাম। ওই দাদুটা, মানে তাের পিসেমশাই, তখন আমাকে শুইয়ে দিয়ে দুর্গে দুর্গে রক্ষণীস্বাহা করতে করতে ওর গলার বিষফল আমার বুকে চুইয়ে দিল। তারপর দু’হাত দিয়ে…। নখ বসে গেল, উঃ। তারপর তাে তুই দেখলি। এরপর বমি হল আমার। ঘেন্নার, কাউকে কিছু বলতে পারলাম না। তুই আমাকে দেখিয়ে-দেখিয়ে আমার সামনে থুতু ফেলতিস। কিন্তু, তুই, তুই কেন এলি? তুই কেন শরীর চাইলি আমার? তাের পরই শেষ নয়। আমার একটা মামাতাে দাদা। ও বিয়ে করা লােক, তবুও। যেন জোর করে। মামার বাড়িটা বড়লােক। আমাদের অনেক হেল্প করত। আমার বাবা তাে কম্পাউন্ডার গরিব। মামাতাে দাদাকে কিছু বলতে পারিনি। পরে আর একদিন। জোর করে। আমার খুব কষ্ট হয়েছিল। তবু ওকে আঁচড়ে দিইনি, কামড়ে দিইনি।………
…….বড় হয়ে তাে আমাকে ফুলশয্যা-খেলা খেলতে হয়েছিল ওর সেই লাল হয়ে থাকা নােংরা জায়গাটায় চুমু খেতে বলেছিল। চুমু তে খেতে হয় আদর করে। আদর করতে গেলেই তাে ঠোটটা সরু হয়ে যায়। আদর করেই তাে বলি চুনু-মুনু-সুনু। চুনু-মুনু বলার সময় ঠোট দুটো সরু হয়ে যায়। আমার বরটাও প্রথম প্রথম চুনু-মুনু করেই চুমু খেত। আমার ঠোটটা সরু হল ওই নােংরা জায়গাটা দেখে। প্রথমদিন বর জোর করেনি, তারপর তাে জোর করত। আমি একদিন কামড়ে দিয়েছিলাম। তারপর ও আমাকে মেরেছিল।…….
……আইভি-কে বেশ উত্তেজিত দেখায়। অনিকেত ব্যাপারটা লঘু করার জন্য বলে—ভগবানকে শেষ দিও না। ভগবান তােমাদের যা দিয়েছে ছেলেদের তা দেয়নি। বুকের ওপর কী সুন্দর দুটো মন্দির…..
……..চরণরাজার কন্যা আহা মরি মরি
চম্পকবরণ বর্ণ দেখিতে সুন্দরী
মাথা ভরা চুল যেন মেঘের মতন
নিতম্বিনী কন্যা সে যে বিফল স্তন
বাপের বাড়ি থিকে শ্বশুরঘর যায়
এমন সময় ডাকাত দল হানা দিল হায়
ডাকাতের দলপতি বাপিয়া তার নাম।
সুন্দরী দেখিয়া তার জাগিয়া যায় কাম
সুন্দরীর সঙ্গে ছিল সাত সহচরী
তাহারাও ভয়ে-ভয়ে ডাকে হরি-হরি।
ডাকাত হাঁকিয়া বলে খুলহ কাপড়
আমরা চাপিব সব তােমার ওপর……
……—সায়ার দড়ি খালি? বডিজ রাখতে না।
বডিজ? দু’বার মাথা নাড়াল দুলাল। কল্পনায় দেখতে পায় অনিকেত কাঁচা রাস্তার ধারে কোনও গ্রামে গিয়ে হাঁস-মুরগি, কাঠাল গাছ, পেয়ারা গাছ, ছাগলছানা, নেড়িকুকুর সমন্বিত কোনও উঠোনের ভিতরে সাইকেলের ঘন্টি বাজিয়েছে দুলাল—টিরিং। বউ-ঝিরা ঘিরে ধরেছে সাইকেল। দুলাল বলছে, অদিদি এই পুঁতির হারটা ন্যাও না, তােমায় খুব মানাবে। অ’বউদি, ছােট জামার কতা বলেছিলে, এই এনেচি গাে।
—আমার সাইজ জাননা?
—তােমার তাে বউদি ভরন্ত শরীল। তাে, ভাতার-সােহাগী বউদিমণির জন্য আটতিরিশ তাে লাগবেই। আছে…।
অনিকেত বলে—তাে দুলাল, বউদি-টউদির সঙ্গে তাে খুব রঙ্গরসে দিন কাটাতে। নিজের বউটার কী হত?…..
………অনিকেত বােঝে ‘সেফ। অনিকেত টের পায়, মঞ্জু ঘামছে। ওর ঘাড়, গলা এবং যােনিদেশও। সিক্ততা অনুভব করে। মেলে দেওয়া শরীরটাকে আদর করতে থাকে নানা ভাবে। অনিকেত দ্যাখে, ওর হাতের চামড়া আর ততটা টানটান নেই। হাতের শিরাটা যেন কোনও গ্রাম্যপথ, যেন কোনও শ্মশানের দিকে চলে গিয়েছে—যেন পথের পাঁচালী’র হরি দিন তাে গেল সন্ধ্যা হল’ ধ্বনিত হচ্ছে, সেই শিরাটার ওপর বুলিয়ে দেয় পুষ্প বনে পুষ্প নাহি রে, আছে অন্তরে। মুখের ছােট্ট মেচেতা-চিহ্নকে মনে হল নীলাঞ্জন ছায়া। ওখানে চুম্বন। এবার উপগত হতে গেল, আর তখনই উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ল মঞ্জু।
মঞ্জু নিজের পশ্চাদ্দেশে হাত রেখে মৃদুস্বরে বলল, তা হলে এখানে, এখানে। চমকে গেল অনিকেত। সে কী, পেছনে কেন? তবে কি মঞ্জুও পায়ুকামী? অনিকেত বলে—কেন? এখানে কেন? মঞ্জু বলল, প্লিজ, প্লিজ ডাবু, এখানে। এখানে পারব না। অনিকেত বলে। মঞ্জু বলে, পরে সামনে করিস। প্লিজ ডাবু, তাের পায়ে পড়ি।
সাে? ইউ আর দ্য কালপ্রিট? তাের জন্যই তাের ছেলে এমন হয়েছে। তাের এক্সক্রোমােজমের খেলায় ?
অনিকেতের শিথিল হয়ে যায়। বলে, অসম্ভব। ইম্পসিবল। মঞ্জু লেহন ইত্যাদিতে উপযুক্ত করে তােলে ওকে। আবার উপুড় হয়। নিজেই নিতম্বের দু’পাশের পেশি টেনে উন্মুক্ত করার চেষ্টা করে। অনিকেত প্রবিষ্ট হয়। মঞ্জু বলে, আরও জোরে। অনিকেত প্রায়-সম্মােহিতের মতাে তাই করে।……