মুরিশ হারেমে নিষিদ্ধ রজনী (২) – জর্জ হারবাট

›› অনুবাদ  ›› ১৮+  

A NIGHT IN A MOORISH HAREM by GEORGE HERBERT

অনুবাদঃ পৃথ্বীরাজ সেন

আট
এই আমি আমার কথা

……….ওকে সান্ত্বনা দেবার জন্য আমি তখন আরাে অন্তরঙ্গ হয়ে ওর কাছে এলাম। আমি সহজভাবেই ওর সাথে মিশতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম আমার এই কথা শুনে ওর সমস্ত মুখে সূর্যাস্তের রঙ ছড়িয়ে পড়েছে। ও আমার আদরযত্নের প্রত্যুত্তর দিতে শুরু করল। ও অতি দ্রুত আমাকে ওর বুকে টেনে নিয়ে গেল। এই প্রথম রােজামন্ডের কোমল স্তনের সাথে আমার শরীরের সংযােগ ঘটে গেল। ও বারবার অধীর আগ্রহে আমাকে চুমু খেতে থাকল। আমার ঠোট-গাল-কপালে নেমে এল ওর চুমুর বৃষ্টি।…..

…….তখন বাড়ির কাজের লােকেরা যে যার কোয়ার্টারে চলে গেছে। এবার বােধহয় রােজামন্ডের ঘুমােত যাবার সময় হল। ও উঠে গিয়ে ওর পরনের পােশাকের বাঁধন আলগা করতে শুরু করল। আড়চোখে আমি ওর সুউচ্চ পর্বতচূড়ার মতাে স্তনশীর্ষের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আহা, এত সুন্দর সৌন্দর্যের অধিকারিণী ও! আহা, এই সৌন্দর্য কি কখনাে আমার হবে না? | ও এসে আমার পাশে বসল। আমার দিকে কেমনভাবে যেন তাকাল। তারপর ইচ্ছে অরেই স্কার্টটা তুলল। শুতে যাওয়ার আগে মেয়েরা এমন ভঙ্গিমা করে থাকে। আগুন আধারের ওপর নগ্ন দুটি পা এগিয়ে দিল। তবুও আমি নির্বিকারভাবে ওর দিকে তাকিয়ে ধলাম। আমি তখনও পর্যন্ত অচঞ্চল। শরীরের দিক থেকেও কোনাে তাগিদ আমি বুঝতেই পারছি না। রােজামন্ডের এই প্ররােচনার আসল অর্থ কী তা বােঝার মতাে ক্ষমতা আমার হয়েছে। কিন্তু যে করেই হােক, এই অবস্থা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে—তখন এমনই একটা তীব্র পৌরুষ জাগছে আমার মনের মধ্যে।

আমি পাশের ঘরে গিয়ে রাতপােশাক পরে এলাম। তারপর ওর ঘরে এসে ওর বিছানাতে উঠে বসলাম। ও বােধহয় এই মুহূর্তটির জন্যই অপেক্ষাতে ছিল। ও দু’হাত দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরল। ওর শ্বেত শুভ্র পেলব বাহুবন্ধনে আবদ্ধ হল আমার বুকটা। আমাদের দুজনের বুকের ওপর আড়াল বলতে ছিল স্বচ্ছলিনেনের পােশাক। আমাদের ঠোটেরা মিলিত হল। এই চুম্বন হয়েছিল দীর্ঘায়িত। এর স্বাদ ছিল অতুলনীয়। তারপর আমি আমার শরীরের মজ্জায় মজ্জায় একটা অনাস্বাদিত সুখের তরঙ্গ প্রবাহিত হচ্ছে বলে বুঝতে পারলাম। আমার ইন্দ্রিয় তখন ফুলে ফেঁপে স্ফীত হয়ে উঠেছে। যেন কিছুতেই সে আর বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে না। রােজি পাগলের মতাে আমার পেটে মুখ ঘষছে। আমার নাভিমূলে হাত রাখছে। তারপর আমাকে ও আর একটু বেশি প্রশ্রয় দিল। দুটি পা দুদিকে ছড়িয়ে দিল। আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম ওর লালাভ অঙ্গটিকে। আহা, এই অঙ্গ আমার পরশ চাইছে, আর আমি কিনা অবিবেচকের মতাে এইভাবে বসে আছি? আমি যদি এখন সময়ের পূর্ণ সদ্ব্যবহার না করি, তাহলে মহাকাল কখনাে আমাকে ক্ষমা করবে না!
তখন আমার মনে একটা আশ্চর্য আনন্দ জেগেছে। রক্তে দেখা দিয়েছে চঞ্চলতা। একটি সুন্দরী মহিলা আমার সাথে সঙ্গমের খেলা খেলবে বলে প্রতীক্ষারতা, এই বিষয়টা আমাকে আরাে জাগিয়ে তুলছে।

শেষ অব্দি আমি ওর নগ্ন শরীরটাকে আমার শরীরের সাথে মিশিয়ে দিয়েছিলাম। রােমাঞ্চ জেগেছিল প্রতিটি লােমকূপে। নারীদেহের স্বাদ এই প্রথম আমি গ্রহণ করতে চলেছি। ভেতরে ভেতরে অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে উঠেছি। আমার ভিতরের পশুটা বেরিয়ে এসেছে। অন্তর্বাসের আড়াল থেকে ছটফট করছে সেটি। তখন আমি আর থাকতে পারলাম না। ওর ব্রা-টা খুলে ওর নগ্ন বুকের সাথে আমার শরীরটা চেপে ধরলাম। আমার উখিত পুরুষাঙ্গটির সাথে ওর স্তনবৃন্তের মিলন ঘটালাম। দেখলাম, এই উন্মত্ত খেলায় রােজামন্ড খুশি হয়েছে। আমি তখন আমার মুখটা ওর স্তনের ওপর চেপে বসিয়ে দিলাম। ওর স্তনবৃন্ত আমার মুখের মধ্যে ঢুকে গেছে। স্তনচুম্বনের ফলে এক অপূর্ব স্বাদ অনুভব করলাম। শেষ অব্দি কীভাবে যে আমি ওর মধ্যে প্রবিষ্ট হয়েছিলাম, তা জানি না। যখন সম্বিত ফিরে পেলাম, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম, আমার ওই বস্তুটি এখন আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। শিহরণ জাগছে সমস্ত শরীরে। রক্ত গরম হয়ে উঠছে। ও যেন আমার পুরুষ-কৌমার্য হরণ করবে—এভাইে ও সজোরে নিজের মধ্যে আমাকে আকর্ষণ করছে। রােজামন্ড! প্রিয়তম রােজামন্ড আমার ! ও তখন পাগলিনী হয়ে গেছে। ও আমার কপালে হাত রাখছে। আমার বুকের ওপর মাথা ঘষছে। ঘর্ষণ করার চেষ্টা করছে। আমার উদ্যত তরবারির কাঠিন্য ও আর একবার অনুভব করল—আদরের আতিশয্যে, সােহাগের পরম্পরায়। শৃঙ্গারের মাধুর্যে ও আমাকে আরে উত্তেজিত করার চেষ্টা করল।…..

…..ইতিমধ্যেই আমার ঠোটদুটি লাল হয়ে উঠেছে। আমার মুখটিকে ও মাঝে মধ্যে চুম্বনের আনন্দে আনন্দিত করছে। আহা, এত সুন্দর মেয়েটি আমার! উদ্দাম হয়ে উঠেছে সে। ইচ্ছে করেই ও স্তনযুগল চেপে ধরছে আমার বুকের ওপর। তারপর পাগলের মতাে আমার বগলতলিতে দিল ওর ঠোটের পরশ। আমার স্তনদুটিকে চোষণ করতে থাকল। আমরা পরস্পরকে বিধ্বস্ত করলাম। ও এখন উদ্দাম হয়ে উঠেছে। পা দুটিকে দুপাশে ছড়িয়ে দিয়েছে। কোমরটাকে চেপে ধরেছে। ওর নারীদেহের সংস্পর্শে এসে আমার আকাঙ্ক্ষা পাহাড়ের মতাে উঁচু হয়ে উঠল। আহা, মনে হল, অতি অল্পসময়ে আমি যেন এক পূর্ণবয়স্ক যুবকে পরিণত হয়েছি!

আমি সহবাসে সক্রিয় হয়ে উঠলাম। এবার ওর গভীরে আমাকে প্রবেশ করতে হবে। কিন্তু এ গহ্বরের শেষে কী আছে, আমি কি তা দেখতে পাব? এ ব্যাপারে ও আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছিল। বারে বারে ও দুটি হাত রেখেছিল আমার নিতম্বের ওপরে। মৃদুমন্দ শিহরণ জাগিয়ে দিয়েছিল। ও জানে, কীভাবে ওটিকে ঠিক জায়গায় প্রবিষ্ট করাতে হয়। শেষ অব্দি মনে হল আমি যেন একটা বাধার সামনে এসে দাঁড়িয়েছি। | আমি ওর ঠোটে ঠোট রেখে অস্ফুটে জিজ্ঞাসা করেছিলাম—প্রিয়তমা রােজামন্ড, আমি কি না জেনে তােমাকে আঘাত করে ফেললাম?
ও আমাকে অবাক করে দিল! ও একটা অদ্ভুত হাসিতে ফেটে পড়ল। | ও বলল—বােকা কোথাকার! তুমি যা করেছে তাতে সব মেয়ে ভীষণ সুখ পায়। এই সুখ আমিও পেয়েছি সােনা। নাও এখন আমার দেহ থেকে একটুখানির জন্য নেমে পড়াে তাে। তােমার শরীরটা বড্ড ভারী লাগছে!
এই বলে ও হাসল। আমি নিজেকে ওর থেকে বিচ্ছিন্ন করলাম। ওর রসে তখনও সিক্ত ছিল আমার পুরুষ-অঙ্গটি।ও মুঠিবদ্ধ করে সেই অঙ্গটির শীর্ষদেশে হাত রাখল। আবার সেটি জেগে ওঠার চেষ্টা করছিল। | ও বলল—না, এখন নয়, দুই থােকা, তুমি একটুখানি ঘুমােও। সঠিক সময়ে আমি তােমার ঘুম ভাঙাব।……

নয়
ওই আইরিশ অভিনেত্রীর কথা

…………তখন আমি যােলাে বছর বয়সে পা দিয়েছি। তখনও আমি এক ছিপছিপে কিশােরমাত্র। রােগাটে শরীর। পুরুষাঙ্গ খুব একটা দৃঢ় হতে পারেনি। তখনই আমার জীবনে আর একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল। নিস্পাপ যুবক পরিণত হয়েছিল এক অভিজ্ঞ মানুষে। অথচ চোখের সামনে কোনাে নারীকে নগ্ন অবস্থায় দেখেও তখনও আমার যৌন চেতনার উদ্রেক হত না। তখনও মনের মধ্যে পাপবােধ জেগে আছে। তেমন কোনাে রােমাঞ্চকর দৃশ্য চোখে পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে আর লজ্জায় চোখ বন্ধ করছি আমি!তবুতারই মাঝে এক ভদ্রমহিলার পরিচারিকার সঙ্গে একদিন হঠাৎ অবৈধ প্রণয়ে লিপ্ত হলাম। সেদনিই মনে হল, আমি সত্যিকারের প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেছি। ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলা যাক।
এক সন্ধ্যাতে আমি কয়েকজন যুবকের সাথে একটি নাটক দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে ক্লিওপেট্রার চরিত্রে অভিনয় করছিল এক আইরিশ অভিনেত্রী। তাকে আমি কারলােটি’ বলে সম্বােধন করব।

অসামান্যা সুন্দরী ছিল ও। ঠিক দেবীর মতাে চেহারা ছিল ওর। দেখলেই বােঝা যায়, নীল রক্তের অহমিকা আছে ওর। অনিন্দ্যসুন্দর ওর মুখশ্রী। ইজিপসিয়ান রানির ভূমিকাতে খুব সুন্দর মানিয়েছিল ওকে। ওর আচরণের মধ্যে দিয়ে যৌন অনুভূতি চুইয়ে চুইয়ে পড়ছিল।…..ও বােধহয় আমার মনের বাসনার কথা টের পেয়েছিল। অফুটে শুনতে পেলাম ও মুখ। নামিয়ে বলছে লজ্জা! কী লজ্জা! তুমি আমার ছেলের বয়সী, আর শেষ পর্যন্ত আমি কিনা তােমাকে…

লজ্জাতে ওর চিবুক লাল হয়ে উঠেছে। সেই রঙ ছড়িয়ে পড়ল ওর সমস্ত মুখমণ্ডলে। মনে হল, তরুণ দিবাকর যেন পুব আকাশে উদিত হয়েছে। আহা, সেই রঙের আভা লেগেছে ওর বাদামি স্তনবৃন্তে। ওর বুকের ঘন ঘন উত্তোলন আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম। ওর পরনে ছিল ক্লিওপেট্রার কস্টিউম। নাটকের শেষে পােশাকের ওপর ও একটা আবরণ টেনে দিয়েছিল। হঠাৎ সেই আবরণটা খসে পড়ল। ইচ্ছে করেই ও নীচু হয়ে মেঝে থেকে আবরণটা আর তুলল না। নাটকের দৃশ্যের মতাে শুধু কস্টিউম পরে আমার সামনে দিয়ে হেঁটে গেল।….

….ও এবার খাট থেকে নেমে মাটিতে সােজা হয়ে দাঁড়াল। আমরা দুজনেই তখন সম্পূর্ণ নগ্ন। ওর নগ্ন দেহের দিকে আমি কামাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম। তারপর ও এগিয়ে এসে আমাকে আলিঙ্গন করল। ওর আলিঙ্গনের মধ্যে মাতৃত্বের ভাব ফুটে উঠছিল। মা যেভাবে শিশুকে ভালােবাসা দেয়, সেভাবেই কারলােটি আমাকে আদর দিচ্ছিল। একটুবাদেও নিজের হাতে ওর উঁচু স্তনটি আমার মুখের ভেতর পুরে দিল। আবেশে ওর চোখ বন্ধ হয়ে গেল। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, এখন ওর মধ্যে জননীসুলভ আবেগ জেগেছে।
আমি অনেকক্ষণ ধরে ওর স্তনটিকে চোষণ করতে থাকলাম। একসময় বৃন্তটি দৃঢ় হয়ে উঠল। হয়তাে এভাবেই ওর রাগমােচন হয়ে গেল।

…..কিন্তু কারলােটি তখন নিজেকে আর কোনাে স্তোক বাক্যের বাঁধনেও নিরাসক্ত রাখতে পারছে না। ও আমার ওই দৃঢ় দণ্ডটির দিকে সতৃষ্ণ নয়নে তাকাল। সেটিকে মুখের মধ্যে ধরল। তারপর বলল—আমার কী ভীষণ ইচ্ছে করছে জর্জি…

আমাকে ও নিজের দুই উরুর সন্ধিস্থলে চেপে ধরল। এইভাবে ঘর্ষণের দ্বারা ও শরীরের মধ্যে সুখ সঞ্চালনের চেষ্টা করল।…..

……ওর কথা বলা শেষ হয়ে গেছে। ও বাহুবন্ধনে আমাকে আবদ্ধ রেখেছে। আমার মুখটা চেপে ধরেছে ওর সুবিশাল স্তনজোড়ার খাজে, যা আমার মাথার মতােই বড়াে। ওর দুটি স্তনে পালাক্রমে চুমু দিতে দিতে আমি আমার ডান হাতটা ওর উরুদ্বয়ের মাঝখানে রাখলাম। আমার সমস্ত শরীরটা টান টান হয়ে উঠল। তখনও আমি অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কোথায় আছে সেই কাঙ্ক্ষিত গহুরটি, যেখানে লােমরাজির মধ্যে অপেক্ষা করছে টুকটুকে লাল একটি ছােট্ট বিবর, যাকে কামাগ্রি বলা হয়। আমি এখনই সেখানে আমার আঙুলের পরশ দেব। জাগিয়ে তুলব ওর প্রচণ্ড যৌন আকাঙ্ক্ষা। আজ আমি ওকে পূর্ণ মাত্রায় ভোেগ করতে চাইছি।

আমার হাতের আঙুল তখন লােমরাজির ওপর বিলি কাটছে। আমি স্পষ্ট অনুভব করলাম, সেই গর্তটি রসে সিক্ত হয়ে উঠেছে। আমি স্তনজোড়ার ওপর থেকে আমার মুখ তুলে নিলাম। এবার ওর সাথে মিলিত হতে হবে। আবার আমরা পরস্পর চুম্বন বিনিময় করলাম। চুম্বন যে কত সংবেদি এবং সাঙ্ঘাতিক হয়ে উঠতে পারে, তা আগে বুঝতে পারিনি। বড্ড ভালাে লাগল আমার! এর আগে ও আমাকে বেশ কয়েকবার চুমু দিয়েছে। কিন্তু শেষ চুমুতে ও হৃদয়ের সমস্ত উত্তাপ উজাড় করে দিয়েছে। আহা, এই ধরনের একটা চুমু পাবার জন্য এক জীবন অপেক্ষায় থাকা যায়! উষ্ণ এবং মিষ্টি একটা গন্ধ ভাসছে রাতবাতাসে।
ও এগিয়ে এসে আমার সামনে হাঁটু মুড়ে বসল। তারপর আমার শিশ্নরাজকে হাতের মুঠোয় ধরে বলল—হে উখিত দণ্ড, তুমি আমার মধ্যে প্রবিষ্ট হও। দীর্ঘকাল ধরে আমি তৃষিতা হয়ে অপেক্ষাতে আছি। শেষ পর্যন্ত আমার প্রেমিকের পুত্র এসে আবার আমার সাথে মিলিত হয়েছে। আহা, এ সুখ আমি রাখব কোথায়!

সেই পরিচারিকার সঙ্গে যৌন সংসর্গের পর অনেক দিন কেটে গেছে। এতদিন আমাকে উপপাসী বাঘ হয়ে থাকতে হয়েছে। কারলােটি তখন আমাকে বিছানার ওপর লম্বা করে শুইয়ে দিয়েছে। নিজেকে স্থাপন করেছে আমার বুকের ওপর। ওর নিটোল হাত দিয়ে আমাকে জুড়িয়ে ধরেছে। ওর ভারী দুটি উরু আমার দুটি উরুর ওপর স্থাপন করে নিয়েছে। কারলােটির উরুদুটি বিশাল এবং যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকটা রেড ইন্ডিয়ান যুবতী নারীদের মতাে। ওর ভারী দেহটা আমার ওপর এমনভাবে চেপে বসেছিল যে আমি আর নড়াচড়া করার সামান্যতম সযােগ পাইনি। আমার কেবলই মনে হচ্ছিল, আমি বােধহয় এক নারীর মতাে এখন ধর্ষিত হতে চলেছি।

ও আমাকে সজোরে ওর দিকে আকর্ষণ করল। আমি এই খেলার কর্তৃত্বের ভার ওর ওপরেই ছেড়ে দিলাম। ও ওর হাত এবং পা দিয়ে আমাকে শক্ত করে চেপে ধরেছে। আমার মনে হচ্ছে দেহের দুর্বল জায়গাগুলাে বােধহয় এখনই ভেঙে গুঁড়িয়ে যাবে। কারলােটির উরুর ওপর দুদিকে দুটি পা ছড়িয়ে দিলাম। আমাদের দেহের সংযােগ আগের থেকে আরাে দৃঢ় হল। কারলােটির চুম্বনে আমার ঠোটদুটি তখন রক্তবর্ণ ধারণ করেছে।

আমি যেন স্বপ্নের জগতে বিচরণ করছি। চরম সুখ প্রাপ্তির ওই শিখর আমার সামনে এসে গেছে। ও আমাকে নিবিড়ভাবে আলিঙ্গন করছে। আমাকে মাতাল করে দিচ্ছে। আমি তখন অসীম আবেশে সুখের সন্ধান করে চলেছি। আরাে ঘনিষ্ঠ হতে চাইছি ওর সঙ্গে। ওর। নিতম্বে চাপ দিচ্ছি। ওর স্তনের চাপ সহ্য করছি। এই সময় কারলেটির মাংসল দেহটা শিথিল হতে শুরু করল। আহা, ও দেহটিকে একবার ওপরে তুলে পরমুহূর্তে নিচে নামিয়ে আনল। আমি বুঝতে পারছি, এভাবেই ও আমার সাথে যৌনতার একটি নতুন খেলা খেলবে। আমার
শরীরও তখন শিথিল হয়ে এসেছে। আমি আমার তপ্ত কাম মদিরা ওর গহূরে ধীরে ধীরে নিক্ষেপ করলাম।

দশ
এক পরস্ত্রীর স্বামীর ভূমিকাতে আমার অনবদ্য অভিনয়

…..আমি তাদের চুমু খাওয়ার শব্দ শুনতে পেলাম। তারপর কোনাে এক রমণীর নিতম্বে চটাস করে চড় মারার মতাে একটা শব্দ আমার কানে এসে ঢুকল। এরপর আমি ধস্তাধস্তির আওয়াজ শুনতে পেলাম।
শুনতে পেলাম এক যুবক মিষ্টি সুরে কথা বলছে। সে বলল—প্লিজ প্রিয়তমা অ্যারিস, আজ রাতে তুমি আমাকে ক্ষুধার্ত রেখাে না। অনেক দিন ধরে আমি তােমার সঙ্গের জন্য অপেক্ষাতে আছি। আজ আমি আমার সমস্ত কামনা বাসনা পূর্ণ করব।
—না চার্লি, এই সময় তুমি নিজেই লজ্জা পাবে। তােমার ঘেন্না হবে। তুমি তাে জানাে, এখন আমার মাসিক চলছে। এখন তােমার সাথে আমি সহবাসে মিলিত হতে পারব না। বরং আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত তুমি অপেক্ষা করাে। তখন তুমি আমাকে সম্পূর্ণভাবে পাবে। আর হ্যা, সঙ্গে কিন্তু কনডােম নিয়ে আসবে। তা না হলে আমি তােমার সাথে মিলিত হব না। বিয়ের পরে পরেই সন্তানের মা হওয়া আমার ধাতে পােষাবে না। এখন পাশ ফিরে শুয়ে শান্ত ছেলের মতাে ঘুমিয়ে পড়াে তাে। ওভাবে আমার দিকে তাকিও না। যদি ঘুম না আসে, তাহলে আমার এই স্তন শীর্ষটি মুখের ভেতর নাও। বাচ্চা ছেলেরা যেভাবে নিপল চুষতে থাকে, সেভাবেই তুমি এটিকে চুষতে চুষতে ঘুমিয়ে পড়াে। যদি বলল তাহলে আমি এতে না হয়। কিছুটা মধু মাখিয়ে দেব।….

…পরদিন সকালে প্রাতরাশের আসরে ওরা আমার পাশেই বসেছিল। দেখলাম, অ্যারিসের বয়স খুবই কম। হয়তাে সবেমাত্র আঠারাে স্পর্শ করেছে ও। এক ঢাল সােনালি চুলের অধিকারিণী ও। ইংল্যান্ডে এত অল্পবয়সের তরুণীকনে আমার বিশেষ চোখে পড়ে না। ওর চেহারা দোহারা। বড়াে বড়াে নীল দুটি চোখে স্বপ্ন খেলা করছে। আমার মনে হচ্ছিল, ও বুঝি পূর্ণবয়স্ক নারীর পােশাক পরা এক কিশােরী কন্যা! এখনও ওর স্তনদুটি সুগঠিত হয়ে উঠতে পারেনি। তবে সেখানে গঠনের খেলা শুরু হয়ে গেছে। বড়ােজোর আর দুটি বসন্তের মধ্যে ও একজন পরিপূর্ণা যুবতী হয়ে উঠবে—এ বিষয়ে কোনাে সন্দেহ নেই।…..

…..এই সুযােগে এখন কি আমি চার্লির ভূমিকাতে অভিনয় করব? ব্যাপারটা মারাত্মক! প্রতি পদক্ষেপে আছে ধরা পড়ার সম্ভাবনা। কিন্তু আমার শিশ্নের কাঠিন্য আমাকে তখন সাহসী করে তুলেছিল। আমার চেতনাকে করেছিল উদ্দীপ্ত। ধরা পড়ে গেলে কী হবে? হয়তাে সকলের সামনে আমাকে ভৎসনা করা হবে। হয়তাে এই পাপের জন্য আমাকে দণ্ড দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যা হবে হােক, যে করেই হােক মেয়েটিকে রতিসুখ দান করতে হবে। তখন আমার মনের ভেতর এই প্রত্যয় দৃঢ় হয়ে উঠেছে। | আমি ধীরে ধীরে করিডােরে এসে পা রাখলাম। চারপাশ ঘন অন্ধকারে ঢাকা। পাশে অ্যারিসের ঘর। আমার পূর্ব ধারণা অনুযায়ী দরজা খােলাই ছিল। নিঃশব্দে ওর ঘরে ঢুকে পড়তে আমার বিন্দুমাত্র অসুবিধা হল না।

খুব সতর্কতার সঙ্গে আমি হামাগুড়ি দিয়ে বিছানাতে উঠে গেলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে ওকে দু’বাহুর ভেতর জড়িয়ে ধরলাম। অন্ধকারে ওর মুখ আমি স্পষ্ট দেখতে পাইনি। আমি তখন ওর নগ্ন স্তন দুটির ওপর আলতােভাবে আমার হাত বােলাচ্ছি। এবার আমি ধীরে ধীরে একটি হাত বাড়িয়ে দিলাম ওর মসৃণ উরুদ্বয়ের মাঝখানে।

পােশাক পরিহিত অবস্থায় ওর দেহের পরিমাপ আমি ঠিক বুঝতে পারিনি। কিন্তু এখন ওর উরুদুটিতে হাত বােলাতে গিয়ে বুঝতে পারলাম, সে দুটি বর্তুল এবং ভারী। উরুসন্ধিস্থলের লােমরাজিও আমি অনুভব করলাম।

ও যখন ঘুম থেকে উঠল, তখনও ওকে আমি এভাবে আদর করে চলেছি। ও বলল ওঃ চার্লি, তুমি এসে গেছে! দেখাে না, আমি তােমার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম! | আমার কণ্ঠস্বর ও যাতে বুঝতে না পারে, তাই ছােট্ট করে স্থ’ শব্দ করলাম আমি। বাধাহীনভাবে তখন আমরা একে অন্যকে চুম্বন দান করছি। ওর প্রতিশ্রুতিমততা ও কিন্তু পাদুটিকে দু’পাশে প্রসারিত করেছে। ও জানে, আমি চার্লি! সাতদিন ধরে উপপাসী বাঘ হয়ে অপেক্ষা করেছি। ওর মাসিকের অবসান হয়ে গেছে। আজ ও স্বচ্ছ মনে আমাকে গ্রহণ
ঘবে। আমি ওকে নিরাশ করলাম না। এমনিতেই আমি প্রচণ্ড উত্তেজিত ছিলাম। এতক্ষণ ধরে ওর নগ্ন শরীর নিয়ে নাড়াচাড়া করেছি। ফলে আমার উত্তেজনা চারগুণ বেড়ে গেছে। এর অবারিত আহ্বানে সাড়া দিতে তাই আমার বিশেষ কোনাে অসুবিধা হল না। আমি ওর বীরটাকে আমার ওপর স্থাপন করলাম। ও হাত দিয়ে আমার শিশ্নটিকে অনুভব করল। তারপর কানের কাছে মুখ এনে আবদারের সুরে বলল—লক্ষ্মীটি, একটা কনডােম লাগিয়ে “ও। সেদিনই তােমায় বলেছিলাম, এখন আমি সন্তানের মা হতে চাইছি না।…..

….এরপরের ঘটনা অতি দ্রুত ঘটে গেল। অ্যারিসের গহ্বরে তখন আমি আমার দণ্ডটি ঢুকিয়ে দিয়েছি। অ্যারিসের সাথে সঙ্গম শেষ হতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। আমরা দুজনেই তখন কাম উত্তেজক অবস্থায় ছিলাম।

কিছুক্ষণ বাদে ওর দেহটা শিথিল হয়ে গেল। আর আমার কাছে সেই মুহূর্তটি বহন করল অবর্ণনীয় সুখ।

কনডােমটা বােধহয় ফেটে গেছে। হঠাৎ অ্যারিস আমাকে ওর বুকের ওপর থেকে ঠেলে পাশে সরিয়ে দিল। খাট থেকে নেমে অন্ধকারের মধ্যেই সংলগ্ন স্নানাগারে চলে গেল। কল খােলার ছলছলাৎ শব্দ আমি শুনতে পেলাম। আমি বুঝতে পারলাম যে, অ্যারিস এখন অত্যন্ত দ্রুত সবকিছু ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করছে। ওর মনে ভয় জেগেছে, হয়তাে এভাবে ওকে এখন গর্ভবতী হতে হবে।…….

এগারাে
ভাড়া করা স্বামীর ভূমিকাতে

……….আমার ইচ্ছে, এই ব্যাপারটার এখনই অবসান হয়ে যাক। আমি প্রমাণ করে দেব যে, ওর স্বামী অর্থাৎ আমার জামাই অক্ষম। মেয়েটি খুব লাজুক। স্বামীর অক্ষমতার কথা ও মুখ ফুটে বলতে পারছেনা। কিন্তু ওর কাছ থেকে আমি ভাসা ভাসা যে বিবরণ শুনেছি, তাতেই বুঝতে পেরেছি, ছেলেটি পুরুষ নামের অযােগ্য। সহবাসে সে আমার মেয়েকে পুরােপুরি সুখ দিতে পারছে না। চরম সুখ না হলে সন্তান উৎপাদিত হয় না—আশা করি এই সত্য ব্যাপারটি তােমার জানা আছে। ওদের বিয়ে হয়েছে, আজ প্রায় পাঁচ বছর হয়ে গেল। কিন্তু কোনাে ক্ষেত্রেই ওদের একসঙ্গে রাগমােচন হয়নি। প্রতি ক্ষেত্রেই ওই পুরুষবরের রাগমােচন আগে হয়ে যায়। বেচারি মেয়েটি তখন কৃত্রিম উপায়ে নিজের কামবাসনা চরিতার্থ করার চেষ্টা করে। ততক্ষণে ওর স্বামী ক্লান্ত হয়ে ওর পাশে ঘুমিয়ে পড়ে। যেন একটা বালক শুয়ে আছে। এসব শুনে আমি মেয়েকে পরামর্শ দিয়েছি, ওকে অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।…..

…..উনি বললেন—ঠিক সেই কারণেই তাে তােমাকে আমি নির্বাচিত করেছি আমার কন্যার প্রেমিক হিসেবে। তােমাকে আমি আহ্বান করছি, তুমি আমার মেয়ের সাথে মিলিত হও। ও তােমাকে আগেই দেখেছে। ওর একান্ত ইচ্ছে, ওর সন্তানের শরীরে যেন তােমার মহৎ রক্ত প্রবাহিত হয়। ওর সন্তান যেন তােমার মতােই দেখতে সুন্দর হয়। একবার পেটে তােমার সন্তান ধারণ করার পর ওর ভাবী সন্তান আর তার জন্মদাতা পিতাকে কোনােদিন দেখতে পাবে না। যৌনসুখের জন্য আমি তােমাকে এই কাজ করতে বলছি না। তুমি একটি অসহায় মেয়েকে বাঁচাও! মা হিসেবে এটাই আমার একমাত্র অনুরােধ। | শুধু একবারের জন্য তুমি ওর স্বামীর ভূমিকাতে অবতীর্ণ হবে। আমি চাই, তুমি ওকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করাে। ওর সাথে আজ রাতে সহবাসে মিলিত হও। মন থেকে সমস্ত আশঙ্কা, দুর্ভাবনা সরাতে না পারলে এই মিলন কিন্তু স্থায়ী এবং সুখী হবে না। রাগমােচন একসঙ্গে হবে না। তােমাদের দুজনের তৃপ্তি একসঙ্গে না হলে আমার মেয়েটি গর্ভবতী হবে না।
এমন একটা অদ্ভুত প্রস্তাব শুনে আমি তখন একেবারে অবাক হয়ে গেছি। তবুও আমি আমতা আমতা করে বলতে থাকি—আচ্ছা, একবার মিলনেই যে আপনার মেয়ে সন্তানবতী হবে, এ বিষয়ে কোনাে নিশ্চয়তা আছে কি?
—বললাম তাে, তােমার অনেক খ্যাতি শুনেছি। তুমি আগে এক ব্যারনের স্ত্রীর সাথে একবার মিলিত হয়েছিলে। এভাবেই তুমি তাকে সন্তানসম্ভবা করে তুলেছিলে। | হায় ভগবান, আমার সুখ্যাতি এত ব্যাপকভাবে চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে, আর আমি এতদিন তা জানতেই পারিনি!……….

……তােমাকে আমি ওপরতলায় নিয়ে যাচ্ছি। তুমি প্রথমে ওর হাতে চুমুর চিহ্ন এঁকে দিও। এতে ও খুবই খুশি হবে। তারপর তােমার যা খুশি তাই করাে। তােমাকে কী করতে হবে, আশা করি তা আমাকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। তাছাড়া এই কাজে তুমি তাে যথেষ্ট পারদশী! | এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধা মহিলার ঠোটের কোণে একটা রহস্যময় হাসির ঝিলিক দেখা গেল। সেই হাসির অর্থ একটাই।

–হে পুরুষ, তুমি উথিত দণ্ডের অধিকারী। অর্থাৎ একটি কন্যাকে কীভাবে সুখ দিতে হয়, সে বিদ্যা তাে তােমার জানা আছে! | উনি আমাকে ওপরতলায় নিয়ে গেলেন। মেয়ের শয়ন কক্ষের দরজা খুলে দিলেন। আমাকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিলেন।

ঘরের ঠিক মাঝখানে মেয়েটি দাঁড়িয়েছিল। আমি ঘরে প্রবেশ করা মাত্র ও ভীত সন্ত্রস্ত চোখে শুধু একবার আমার দিকে তাকিয়েছিল। মেয়েটিকে দেখা মাত্র আমি পিস্তলের বাট থেকে আমার হাতটিকে শিথিল করে দিলাম। বিশ্বাসঘাতকতার সব ভয় তখন এক নিমেষে কোথায় উড়ে গেছে। অন্য একটা অনুভূতি এসে আমাকে গ্রাস করেছে। | আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে মেয়েটির হাতে চুমুর চিহ্ন এঁকে দিলাম। একি! ছােট্ট একটি পাখির ছানার মতাে থর থর করে কাঁপছে ও। বৃদ্ধা তখন বাইরে থেকে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে চলে গেলেন। | তখন সেই ঘরে আমি, আর আমার সামনে স্বর্গের সেরা রূপসী। আহা, একথা ভাবতে গেলেই আমার মনের মধ্যে শিহরণ জাগছে। মেয়েটি খুব একটা আকর্ষণীয়া নয়, একথা সত্যি, কিন্তু ওর মধ্যে একটা আলগা যৌনতা আছে। ওর চেহারাটি চমৎকার! ও আমার দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে কার্পেটের ওপর ফেলল।

আমি বুঝতে পারলাম ওর সতীত্ব এভাবে লুণ্ঠিত হচ্ছে দেখে ও মনে মনে খুবই কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু ওর কোনাে উপায় নেই। একদিকে চিরন্তন নারীত্ব, অন্যদিকে দৈনন্দিন অপমান-কোন্ বিষয়টিকে ও প্রাধান্য দেবে! আমি বেশ বুঝতে পারছি ওর মনের ভেতর তখন ঝড় উঠেছে। ওর বুকের পােশাক খুলতে গিয়ে ওর স্তনজোড়াতে আমার হাত পড়ে গিয়েছিল। ও কিন্তু কোননারকম বাধা দিল না। পােশাকগুলাে মেঝের ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রইল। ওর অন্তর্বাসগুলি দেখতে খুবই সুন্দর। লেসের কারুকাজ আছে তাতে। সেমিজের বােতামগুলি হীরের। এর থেকেই পরিষ্কার বােঝা যায়, কতটা বিত্তবান পরিবারের বধূ ও। হায়! ওর কপালেই এমন দুর্ভাগ্যের কালাে মেঘ ঘনিয়ে এল!

আমি আরাে একবার ওর সুন্দর সুগঠিত স্তনদুটিকে আদর করলাম। ওর আচ্ছন্নভাবটা তখন কেটে গেছে। ও অনেক সহজ সুন্দর স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। আমাকে দেখে নববধূর মতাে লজ্জায় আরক্তিম হয়ে উঠল ওর গণ্ডদেশ। হঠাৎ খাটের একপ্রান্তে সরে গেল ও। বােধহয় ও চাইছিল, আমি উন্মত্ত দস্যুর মতাে ওর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ব। কিন্তু আমি ধীরে সুস্থে চলব বলেই ঠিক করেছিলাম। আমি আমার আচরণের মধ্যে এমন কোনাে ভাব দেখাব না, যাতে ও মনে মনে লজ্জা পেতে পারে। একেই তাে ওকে এমন ভয়ঙ্কর অবস্থার মুখােমুখি দাঁড়াতে হয়েছে তার ওপর যদি ও আমার কাছ থেকে সামান্যতম সহানুভূতি না পায়, তাহলে খুবই কষ্ট পাবে। আহা! ও আমার দিকে পেছন ফিরে বসল। আমি বেশ বুঝতে পারলাম, স্তনজোড়াকে ও আমার সামনে উন্মােচিত করতে পারছে না। শেষ অব্দি দু’হাতে মুখ ঢেকে বসেছিল বেচারি! | ওর নগ্ন দেহ দেখে তখন আমি খুবই উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলাম। আমার ভেতরের পশুটা গর্জন করতে শুরু করেছে। খুব তাড়াতাড়ি আমি নিজেকে পােশাক-মুক্ত করলাম। আবেগে ওর শরীরের সর্বত্র চুমুর চিহ্ন আঁকতে থাকলাম। ওর গালে জিভ ছোঁয়ালাম। ওর ঠোট, চিবুক এবং উত্তুঙ্গ বুকে হাত রাখলাম। এরপর আমাকে ও আর বিন্দুমাত্র বাধা দেয়নি। তবে এই খেলাতে আমাকে একক লড়াই করতে হয়েছিল। ও কিন্তু আমার আদরের কোনাে উত্তর দেয়নি। ওর শরীরের প্রত্যেকটি স্পর্শকাতর এলাকাতে আমি হামলা চালালাম। সব জায়গাতে আমার ওষ্ঠদুটি সক্রিয় আচরণ করল। আহা, ও কেন আমাকে চুমু দিচ্ছেনা। ও কি আমাকে পছন্দ করছে না? অথচ, ওর মা জানিয়েছেন, মেয়েটি নাকি নিজেই ওর আমাকেএক রাতের স্বামী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। তাহলে? ওর মধ্যে কেন এই দ্বিচারিতা?

আহা, মেয়েটি অসাধরণ সুন্দরী না হলেও মৃৎপ্রতিমার মতাে গড়ন ওর। তিল তিল করে ওকে গড়ে তােলা হয়েছে, এমনই আমার মনে হল। ওর শরীরের নরম অংশগুলিতে আমার হাতের কারুকাজ আঁকা সম্পূর্ণ হল। আমার মনে হল, ও বােধহয় পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য! বিশেষ করে ওর স্তনের বোঁটা এত দৃঢ়, না দেখলে বিশ্বাস হয় না!
এই প্রথম ওর মধ্যে কাম ইচ্ছা জেগে উঠল। ওর মধ্যে একটা উত্তেজনা দেখা দিল। ও অবরুদ্ধ আবেগে ছটফট করতে থাকল। ওর এই উত্তেজনা দেখে আমি মনে মনে খুবই উৎসাহিত হয়ে উঠেছিলাম। আমি জানি, সঙ্গমের ক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষকে একইভাবে সক্রিয় হতে হয়। তা না হলে কোনাে মৈথুন তার কাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে এগােতে পারে
না।

মেয়েটি যদি নিস্পৃহ থাকে, তাহলে নিজেকে যেন কেমন এক দস্যু বলে মনে হয়! উত্তেজনার চরম মুহূর্তে একসঙ্গে রাগমােচন না হলে আনন্দ জাগে কি? আর এক্ষেত্রে তাে আমি একটা বিশেষ কার্যসাধনের জন্য ওর সাথে মিলিত হব। এক্ষেত্রে রাগুমােচনের ব্যাপারটিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে ওর গর্ভে সন্তান উৎপাদিত হবে না। বৃথাই আমার সব পরিশ্রম নষ্ট হবে। এখন ওর নতুন রূপ দেখে আমি সত্যি সত্যি খুবই খুশি হলাম।

নতুন উৎসাহে আবার আমি আমার কাজে লেগে পড়লাম। পরবর্তী সােপানে কী করতে হবে, তা আমি ভালােভাবেই জানি। আমি নিজেকে বিছানার ওপর টান-টান করে শুইয়ে দিলাম। ও আর আমাকে বাধা দিল না। ও আমার ওপর শুয়ে পড়ার চেষ্টা করল। উরুদুটিকে দু’দিকে প্রসারিত করে দিল। আমার উরুদ্বয়ের সাথে ওর উরুর মিলন ঘটে গেল।
এবার শুরু হল আমাদের মিথুন লগ্ন। আমি সংবাহনের মাধ্যমে মেয়েটিকে আরাম দেবার চেষ্টা করছি। হাতের আঙুলগুলােকে কাজে লাগিয়েছি। তারপর আমরা আসন পাল্টালাম। ও এবার আমার ভারী শরীরের নিচে শুয়ে থাকল। ওর ভাবগতিক দেখে মনে হচ্ছিল, ও ধীরে ধীরে সুখসাগরে নিমজ্জিত হতে চাইছে। তাছাড়া সারারাত তাে পড়েই আছে। প্রথম প্রহরে এত অবুঝ হলে কেমন করে হবে? আমি ঠিক করলাম ওর ইচ্ছে-অনিচ্ছের ওপর নিজেকে আর নির্ভরশীল রাখব না। ও যদি শামুকের মতাে নিজেকে গােটাবার চেষ্টা করে, তাহলে ওকে আমি জোর করে প্রসারিত করব। ওকে উত্তপ্ত করব, আদর, সােহাগ আর শৃঙ্গারে। তারপর, যৌনতার সমস্ত কলাকৌশল প্রয়ােগ করব। | ওর দুধের পাশ দিয়ে আমি দুটি হাতকে বাড়িয়ে দিলাম। ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। ওর দুটি স্তনে রক্তিম পেষণ দিতে উদ্যত হলাম। ধীরে ধীরে আমি তখন ওর কোমরের ওপর হাত রাখছি। আহা, আমার শিশ্নরাজটি ওর জরায়ুতে গিয়ে মুখ ঢুকিয়ে দিল। এবার ও আর নিস্পৃহ থাকতে পারলাে না। থাকা সম্ভব ছিল না। সুখ তৃপ্তিতে তখন ওর মন ভরে উঠেছে। ও দু’হাত দিয়ে আমার গলা জড়িয়ে ধরল। আর তখনই ওর গর্তের ভেতর আমার কামসুধা ঝরে পড়ল বিন্দু বিন্দু বৃষ্টিকণা হয়ে।

মেয়েটি ওর দু’হাতের চেটোয় মুখ ঢেকেছে। আমি বেশ বুঝতে পারছি, আমাদের রাগমােচন একসঙ্গেই হয়ে গেছে। অর্থাৎ একটি নবজাতক এই মুহূর্তে জন্ম নিল ওর গর্ভের মধ্যে। দশমাস দশদিন বাদে সেই ছেলে অথবা মেয়েটি পৃথিবীর আলাে দেখবে। বেচারি নিজের প্রকৃত পিতার পরিচয় কোনােদিন জানতে পারবে না। সেই প্রথম আমার মন শােকাচ্ছন্ন হয়ে উঠেছিল। আমি ভেবেছিলাম, আহা, সমাজের বুকে আমার কি কোনাে নাম থাকবে না? এভাবে যে আমি এক বৃন্ধ্যা নারীকে সন্তানবতী করে তুললাম, এর বিনিময়ে আমি কী পেলাম?
তখনও আমি ওকে পরিত্যাগ করিনি। আমার শেষ কামবিন্দু তখনও ধীরে ধীরে নির্গত হচ্ছে। তখন চুমুতে চুমুতে ভরে গেছে পরিবেশ। শেষ অব্দি আমাদের দুজনের দেহ শিথিল হয়ে গেল! ওর হাতের চেটোয় আবদ্ধ থাকা মুখটা তখন প্রায় নিপ্রাণ হয়ে এসেছে।

একটু আগে একটা নতুন জীবনকে ও আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। জরায়ু-বন্দী করেছে তাকে। এখন থেকে শুরু হবে ওর প্রহর জাগার পালা!
দীর্ঘ সময় ধরে আমরা বিছানাতে স্থির হয়ে শুয়েছিলাম। একসময় দরজাটা খুলে গেল। বৃদ্ধা মহিলা এগিয়ে এসে আমাকে ডাকলেন। মেয়েটির কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আমি তখন ওনার দিকে এগিয়ে গেলাম। উনি বােধহয় আরাে কোনাে উপদেশ দিতে চাইছেন। নতমুখে আমাকে তা শুনতে হবে।
ঘরে এসে কোনাে ভূমিকা না করে তিনি সরাসরি বললেন এবার অবশ্যই তােমাকে চলে যেতে হবে।…….

…..দ্রুতলয়ে নাচের সাথে সাথে ওর ভারী স্তনদুটি কাপছে এবং দুলছে। আহা, সে-দুটি যেন ডালিম ফল। অবশেষে ওর দেহটা হাওয়াতে ভাসতে শুরু করে দিল। মাটিতে বুঝি ও আর পা, ফেলতে পারছে না! তারপর দেহটাকে পায়ের গােড়ালির ওপর মেলে ধরল। একটি পা সরাসরি নিজের মাথার ওপর তুলে শূন্যে ডিগবাজি খাওয়ার মতাে ভঙ্গিমা করল। | ঠিক সেই মুহুর্তে ওর নগ্ন দুই উরুর সন্ধিস্থলটি আমার সামনে উদ্ভাসিত হয়ে উঠল। আমি বুঝতে পারছি, এবার ওকে সুখী করার দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে। | আমি বললাম—ওগাে আমার সৌন্দর্যময়ী কন্যা জেলিস, তুমি তাে বেশ নৃত্যপটিয়সী! কিন্তু তার মানে ভেবাে না যে, এভাবে তুমি আমার হাত থেকে রক্ষা পাবে। তােমাকেও একটা সহজ স্বীকারােক্তি রাখতে হবে আমাদের সামনে।

বারাে
আরব রমণীর কাহিনী

আমি জন্মেছিলাম ইয়েমেনের ইমামের রাজ্যে। আমার বয়স যখন মাত্র ষােলাে বছর, তখন ইমামের সম্ভোগের জন্য আমাকে নির্বাচিত করা হল। আমার এই পদোন্নতিতে মা-বাবা খুব খুশি হয়েছিলেন। বালিকাসুলভ উল্লাস নিয়ে আমি ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলাম।…..

…হারেমে পৌঁছনাের পর প্রথমেই আমাকে স্নান করানাে হল। তারপর আমাকে সুন্দর পােশাক পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল ইমামের কাছে। তিনি তখন তার প্রিয় সঙ্গিনীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তাকে দেখেই বেশ বুঝতে পারলাম, আমার কপাল পুড়েছে, না হলে কাউকে একটা বৃদ্ধ মানুষের সাথে কেউ সঙ্গমের খেলা খেলতে হয়? | ওঁনার মুখ দেখেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম, উনি অত্যন্ত দুর্বল চরিত্রের মানুষ। তবে ওঁনার স্ত্রী আয়েসা ছিলেন কর্তৃত্বময়ী। অত্যন্ত হৃষ্টপুষ্ট চেহারা ছিল ওঁনার বেগমের। কিন্তু শরীরে মেদ ছাড়া আর কিছুই দর্শনীয় ছিল না। গভীর দৃষ্টি মেলে আমার দিকে ইমাম তাকিয়ে রইলেনন। আয়েসা বেগম স্বামীর এই ব্যাপারটিও লক্ষ্য করলেন।

অবশেষে ইমাম আমাকে তার কাছে ডাকলেন। আমি তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই তিনি একটা হাত দিয়ে আমার কোমরটা জড়িয়ে ধরলেন। এই অবস্থায় তিনি সকলের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। অথচ ওঁনার হাতটা ক্রমশ তলপেটের নিচে নামছিল। একটু পরে আমি আমার ত্রিভুজের ওপর চাপ অনুভব করি। মনে হয়, তিনি খুব কায়দা করে আমাকে আদর করার চেষ্টা করছিলেন। অন্য মেয়েরা হয়তাে এই কাছে আসার দৃশ্যটি দেখতে পাচ্ছিল।

কিন্তু আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম, বেগমসাহেবা সতর্ক হয়ে উঠেছেন। ওঁনার চোখ দিয়ে আগুনের ফুলকি ঠিকরে পড়ছে। রাগ আর উত্তেজনার থম থম করছে ওঁনার মুখমণ্ডল।
ইমামের আঙুল তখন আমার উরুদ্বয়ের মাঝখানে বিস্ফোরণ ঘটাতে চলেছে। অবশেষে ওঁনার একটা আঙুল আমার শরীরের এমন একটি জায়গায় প্রবেশ করল, যেখানে তখন পর্যন্ত কোনাে পুরুষের পরশ আঁকা হয়নি। আঙুলটা এগিয়ে যেতে যেতে কোথাও যেন বাধাপ্রাপ্ত হল। কিন্তু ইমামকে বাধা দেব, এমন সাহস আমার কোথায়? আমি তাে তার সামান্য এক ক্রীতদাসী মাত্র। তার ইচ্ছের কাছে আমাকে তাে নতজানু হতেই হবে! | এমন সময় আয়েসা বিবি সামনে এগিয়ে এলেন। তিনি পরিষ্কারভাবে বললেনজাঁহাপনা, মাসকটের সুলতানকে আমরা একটি কুমারী মেয়ে উপহার দেব বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। আমার মনে হয়, সবদিক থেকে এই মেয়েটি উপযুক্ত হতে পারে।

বেগমের এই কথা শুনে ইমাম কেমন যেন হয়ে গেলেন। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম, আমার সাথে কল্পিত সঙ্গমের সাগরে উনি এতক্ষণ ভাসছিলেন। এবার ওঁনাকে বাস্তবের কঠিন কঠোর ভূমিতে নেমে আসতে হল।……

…..অতি সদয় হয়ে সুলতান তার উদ্দেশে প্রেরিত এই অক্ষতযােনি কুমারী কন্যাটিকে গ্রহণ করলেন। তিনি হুকুম দিলেন—এই উপহারের বিনিময়ে যেন আমার আগের প্রভুকে প্রচুর ধনসম্পদ দেওয়া হয়। তিনি তার ক্রীতদাসীদের হুকুম করলেন, খুব ভালােভাবে আমাকে গােলাপজলে স্নান করাতে। আমার শরীরের এখানে-সেখানে যদি কোথাও কোনাে অবাঞ্ছিত লােমরাজি জেগে থাকে, সেগুলিকে ভালােভাবে কর্তন করতে। তারপর আমার নগ্ন গায়ে সুগন্ধী ছিটিয়ে দামী পােশাকে আমাকে সাজাতে। অবশেষে অলঙ্কারে বিভূষিতা করতে।

পরিচারিকারা ছুটে এল। এভাবেই তারা কত শত কুমারীকে সােন্দর্যময়ী করে তুলেছে। তারা সকলে মিলে আমাকে স্নান করাল। সেই প্রথম আমি আমার গােপন অঙ্গে মহিলাদের হাতের পরশ পেলাম। অবশেষে আমাকে সুসজ্জিত করে নিয়ে আসা হল সুলতানের শয়নকক্ষে। আহা, নৈশভােজের আসর শেষ হয়ে গেল। সুলতান এসে প্রবেশ করেছেন ওই হারেমে।
ইতিমধ্যেই আমি পরিচারিকাদের কাছ থেকে শুনে নিয়েছি ফতেমা ওঁনার সবথেকে প্রিয় বেগম। অত্যন্ত সুন্দরী মহিলা উনি। ওঁকে দেখে মনে হয়, উনি বুঝি বেহেস্তের এক হুরি।
উনি বললেন—এসাে, তােমার শরীর থেকে পােশাকগুলি খুলে ফেললা তাে।

আমি বাধ্য মেয়ের মতাে ওঁনার আদেশ মান্য করতে থাকলাম। একে একে আমার বহিবাস, অন্তর্বাস সবকিছু খুলে ফেললাম। শুধু ছােট্ট একটি বক্ষ আবরণী আর জাঙ্গিয়া দিয়ে ঢাকা রইল আমার দুটি লজ্জাস্থান।…..

….সুলতানও ইতিমধ্যে নিজেকে পােশাক-মুক্ত করেছেন। জন্মমুহূর্তের পােশাকে তিনি আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন। তাকে দেখা মাত্র আমার বুকের স্পন্দন দ্রুত হয়ে গেল। এমন দীর্ঘ এবং পুষ্ট শিশ্ন এর আগে আমি কখনাে দেখিনি। আমার থেকে বছরদুয়েকের ছােটো ভাইকে একবার গােসলখানায় স্নান করতে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওকে আমি ল্যাংটো করিয়ে স্নান করাতাম। কিন্তু সে তাে দৈর্ঘ্যে এবং প্রস্থে ছােট্ট একটি সােনা, সুলতানের কড়ে আঙুলের মতােও নয়।

আমি তখন ভাবছি, এত বড়াে বস্তুটি কীভাবে আমার কুমারী মৃত্তিকাতে আমি গ্রহণ করব! একথা ভেবেই আমার বুকটা কেমন যেন কেঁপে উঠল। কী করে তার হাত থেকে রক্ষা পাব, তা আমি জানি না। মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করছি, একমাত্র আল্লাহই আমাকে ওঁনার পাশবিক অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতে পারেন।

তবে একথা স্বীকার করতে হয়, ওঁনার বিশালত্ব আল্লাহরই দান। ওটিকে গ্রহণ করার জন্য আমার মনেও তখন উৎসাহ জেগেছে। আমি জানি না, এটি আমার শরীরে প্রবিষ্ট হবার পর আমার দেহে কী ধরনের সুখের সঞ্চারণ ঘটে যাবে। কেননা, সেই প্রথম আমি পুরুষ সঙ্গ লাভ করতে চলেছি। অর্থাৎ সেই প্রথম আমি যৌন সুখ ভােগ করব। প্রত্যেক যুবতীর একান্ত কাম্য থাকে, এমন একটি দণ্ডকে গ্রহণ করা। আমিও তাদের দলভুক্ত। আমিও তাে রক্তমাংসের মানবী, স্বর্গের দেবী নই!

ব্যাপারটা প্রাথমিকভাবে খুবই কষ্টের। এবিষয়ে কোনাে সন্দেহ নেই। কিন্তু ধীরে ধীরে হয়তাে আমি সবই সহ্য করতে পারব। সুলতানের কাছে আমাকে উপহার স্বরূপ পাঠানাে হয়েছে। আমি তাে তার কাছে কামনার উপাদান ছাড়া আর কিছুই নই। সুলতান যেভাবে আমাকে ব্যবহার করতে চাইছেন, সেভাবেই উনি আমাকে ব্যবহার করবেন। আমি তাে এখানে প্রতিরােধের কোনাে প্রাচীর গড়ে তুলতে পারব না। আমাকে যেকোনাে বিরূপ পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার মতাে মানসিকতা অর্জন করতে হবে।
উনি আমার আরাে কাছে এগিয়ে এলেন। আমার বক্ষ আবরণীর ফাস খুলে স্তন দুটিকে মুক্ত করে দিলেন। আমার জাঙ্গিয়াটি টেনে নিচে নামিয়ে দিলেন। দুহাত দিয়ে তখন আমি আমার মুখ ঢেকেছিলাম।

উনি এগিয়ে এসে আমার নগ্ন দেহটিকে কোলে তুলে নিলেন। তারপর আমাকে খাটের ওপর শুইয়ে দিলেন। আমার কোমরের দু’পাশে ওঁনার দুটি পা ছড়িয়ে দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসলেন।
তিনি তখন আমার উরুদ্বয় পরীক্ষা করে দেখছেন। উনি ভাবতেই পারেননি যে, আমি অক্ষত যােনি।
তিনি বললেন—হায় আল্লাহ! এ যে দেখছি অর্ধচন্দ্রাকার! তুমি আমার বন্দিনী হয়েছে, এ আমার পরম সৌভাগ্য! অনেক দিন ধরে আমি এমন একটি অপাপবিদ্ধা কুমারীর সন্ধান করছিলাম, কিন্তু প্রতিবারই আমাকে ঠকানাে হয়েছে।

আমি বললাম—আপনি যে আমার কুমারীত্ব দেখে খুশি হয়েছেন, তাতে আমি খুবই আনন্দিত।
হঠাৎ মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরে উঠে আমার সামনে পড়ে গেলেন সুলতান। মুখের ওপর থেকে আমি আমার হাত দুটো সরিয়ে নিলাম। ঘরের ভেতর এ কি ঘটনা ঘটে চলেছে। দেখলাম, ফতেমা এগিয়ে এসে নিজের স্বামীর মাথার ওপর লােহার শাবল দিয়ে আঘাত করছেন। আর একটি লােকের হাতে তলােয়ার। সেই তলােয়ার দিয়ে সেও সুলতানের দেহে বার বার আঘাত করছে। আমি চিৎকার করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ভয়ে আতঙ্কে আমার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে গেল।….

….এক সন্ধ্যায় আমাকে ডেকে পাঠানাে হল একটি নির্জন ঘরে। সেখানে ফতেমা বসেছিলেন। তিনি আমাকে বিছানার ওপর শুয়ে পড়তে বললেন। আমি তার নির্দেশ মতাে বিছানায় শুয়ে পড়তেই তিনি আমার পেটিকোটটা দিয়েই মুখটা ঢেকে দিলেন আমার।
তিনি বললেন—তুমি স্থির হয়ে শুয়ে থাকো। আমি তােমাকে আঘাত দেব না।
এবার তিনি আমার উরুদুটিকে দুপাশে প্রসারিত করলেন। কাচির একটা শব্দ শুনতে পেলাম। ক্ষীণ একটা বেদনা অনুভব করলাম। আমি বুঝতে পারলাম, উনি আমার সতীচ্ছদ ছিন্ন করেছেন। অর্থাৎ আমার কুমারীত্বকে এইভাবে হরণ করা হল।
তিনি বললেন—তুমি এখন আর কুমারী নও। সুলতানের সঙ্গে এ খেলায় তুমি আর মেতে উঠতে পারবে না।……

……সুলতানের উদ্দেশে ফতেমা বললেন—এবার মেয়েটিকে গ্রহণ করাে। যত খুশি স্ফূর্তি করাে ওর সঙ্গে, আমি বাধা দেব না।
সুলতানকে কেমন যেন অস্বস্তির মধ্যে পড়তে দেখা গেল। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি নিজেকে সামলে নিলেন। আমাকে কাছে টেনে নিলেন। আমার পােশাকের ওপর থেকে দুই উরুর সন্ধিস্থলে আঙুলের চাপ দিলেন। কিন্তু এভাবে তিনি কি আমার সতীত্ব পরীক্ষা করতে পারেন? কিন্তু তিনি অনুভব করে ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন যে, আমার কুমারীত্ব আগেই হরণ করা হয়েছে। তখনই আমাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল। রাগে অপমানে আমি বেরিয়ে এলাম।…..

…..ঘণ্টাখানেক বাদে মনে হল সে বােধহয় কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়েছে। তখনও সমান বেগে ঘােড়া ছুটে চলেছে। বাচ্চা মেয়ের মতাে সে আমাকে সামনে বসিয়ে আঁকড়ে ধরেছে। মাঝে মধ্যে চুমু খাচ্ছে। তার ক্রমাগত চুমু খাওয়ার দরুণ আমার সমস্ত শরীর তখন গরম হয়ে উঠেছে। মনে হচ্ছে, বােধহয় আগুন ধরে গেছে। আমার স্তনজোড়া উন্মুখ হয়ে আছে তার হাতের দ্বারা মর্দিত হবে বলে। আমার রিপুতে জেগেছে নতুন উষ্ণতা। আমি আমার গােপন অঙ্গটিকে স্পষ্টভাবে অনুভব করলাম। তা এখন আর্দ্র হয়ে উঠেছে। আহা, সে এভাবে আমাকে আদর করছে কেন?
পরমুহূর্তেই আমি আমার পশ্চাদদেশে ওর শিশ্নের চাপ অনুভব করলাম। হাসান চেয়েছিল, আরাে ভালােভাবে আমার কাছে এগিয়ে আসতে।

ঘােড়া ছুটে চলেছে। দু’পাশের দৃশ্যপট চমৎকার! তারই মধ্যে আমি আমার প্রিয়তমের সঙ্গসুখ লাভ করছি। | শেষ অব্দি আমি তার দিকে মুখ ফিরিয়ে বসেছিলাম। তার গলার দুপাশে আমার দুটি হাত রেখেছিলাম। হাসানের উরু দুটির সাথে আমার উরু দুটির মিলন ঘটে গেছে। তখন ইচ্ছে করে সে ঘােড়ার গলায় লাগামটা ঝুলিয়ে দিল। আমাকে আর একটু কাছে টেনে নিয়ে এল। অপর হাতটি দিয়ে সে আমার পেটিকোটটিকে স্পর্শ করল। সহবাসের আগে সে আমাকে শৃঙ্গারে উত্তপ্ত করতে চাইছে, তা আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি। আহা, আমার যৌবনের প্রদীপ তখন গলে পড়ার অপেক্ষায় আছে। সমস্ত শরীরে একটা আলােড়ন অনুভব করলাম। কিন্তু এইভাবে চলন্ত ঘােড়ার পিঠে কেউ কি সম্পূর্ণ সুখ পেতে পারে?

হাসানের কিন্তু তাতে কোনাে ভূক্ষেপ নেই। সে তার হাতের আঙুলগুলাে দিয়ে আমার স্তনে বিলি কাটছে। তলপেটে হাত বােলাচ্ছে। উরুর খাঁজে, ত্রিভুজের নরম ঢালে তখন তার হাতের কারুকাজ চলছে। সে তখন আমার সঙ্গম ইচ্ছাকে মহাকাশ-অভিসারী করে তুলেছে।

ঘােড়াটা বােধহয় তার পােষ মানানাে। ঘােড়াটা দেখি আপন মনে চলতে শুরু করেছে। পড়ে যাবার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। শেষ অব্দি সে তার জামার বােতামগুলাে খুলে ফেলল, আমাকে নিজের সুগঠিত পেশি দেখাবার জন্যই বােধহয়। পেশিবহুল চওড়া লােমশ বুক তার। আছে শক্ত কাঁধ। আহা, সেখানে এক অদ্ভুত পেলবতার সাথে পৌরুষের সমাবেশ! সেই মুহূর্তে আমি তার প্রতি ভয়ঙ্কর আকর্ষণ বােধ করলাম। এবার সে শৃঙ্গারের অন্তিম পর্বে পৌঁছে গেছে। আমার দুটি উরুর ফাকে তার দণ্ডটিকে প্রবেশ করানাের চেষ্টা করছে।

আমি তখন হাসানের আমন্ত্রণে সাড়া দেবার জন্য উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছি। তখনই হঠাৎ কেমন একটা যন্ত্রণা অনুভব করলাম। আমি ভাবছিলাম, হয়তাে এখুনি আমার গােপন অঙ্গ থেকে রক্ত ছিটকে আসবে। আহা, সেই মুহূর্তটি কত কষ্ট দেবে আমাকে! তখন আমার মনে যে অনুভূতি জেগেছিল, তা আমি ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। বারে বারে আমার মনে পড়ে যাচ্ছিল ইমামের হারেমের সেই অন্ধকার মুহূর্তগুলির কথা। কিন্তু সেটি ছিল ক্ষণিকের উত্তেজনা এবং ভালােলাগা। আর এটি হল জন্ন-জন্মান্তরের আনন্দ!

হাসান যখন সত্যি সত্যি আমার গােপন-অঙ্গ স্পর্শ করেছে, তখন তার চোখে মুখে আমি একটা আবিষ্ট আনন্দের রেশ দেখতে পেয়েছিলাম। সেই আনন্দ আমার শরীরেও সংবাহিত হয়েছিল। এই অভিজ্ঞতাকে আমরা সহজে প্রকাশ করতে পারি না। শরীরের ভাঁজে ভাঁজে সুখ খেলা করছে। বুঝি পােষা পায়রা!
শেষ পর্যন্ত স্বর্গসুখের শিখরে আমি পৌঁছে গিয়েছিলাম। যে হাসান আমাকে মৃত্যুর হাত হকে বাঁচালাে তাকে তাে কিছু উপহার দিতেই হবে। আমি তার শরীরের এখানে সেখানে উষ্ণ চুম্বন উপহার দিলাম। তাকে এইভাবে ভালােবাসার রঙে মনের মতাে করে রাঙিয়ে তুললাম। ফন আমি আরাে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছি। সর্বোত্তমভাবে হাসানকে মিলন সাগরে স্নান রাতে হবে। আমার বাসনাকামনা তখন একেবারে তুঙ্গে উঠে গেছে। সমস্ত শরীরটা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আমি আমার হাতদুটি তার কাঁধের ওপর শিথিল করে রাখলাম। ওদিকে আমায় নিয়ে মত্ত থাকার জন্য ঘােড়াটার গতি কমে এসেছে। ঘােড়াটিকে সে তখন আর চাবুকের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ঘােড়াটি ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। এক অদ্ভুত ছন্দ জাগছে আমাদের দেহে।

কিছুক্ষণ বাদে সে আবার ঘােড়ার পিঠের ওপর লাগাম বসিয়ে দিল। তার স্বচ্ছন্দ গতি আবার ফিরিয়ে আনলাে আগের মতাে। তারই মাঝে তার সাথে আমার প্রেম অভিসার মানতালে চলতে থাকল। প্রথমবার বিদ্ধ হওয়ার একটা আনন্দ তখন আমাকে অদ্ভুত আবেগে উৎসারিত করেছে। আহা, এইভাবে আমি আরাে কতবার তার কাছে আমার সতীত্ব হারাব? মনে হচ্ছে, আমি যেন সহস্র সূর্যের আলাের সামনে মুখ তুলে দাঁড়িয়েছি। আনন্দের আতিশয্যে আমি চিৎকার করতে পারতাম, কিন্তু, তখন একটা আশ্চর্য লজ্জা এসে আমাকে গ্রাস করেছিল। সঙ্কোচে ভরে গিয়েছিল হৃদয়। আমি নীরবতার মধ্যে দিয়ে এই মুহূর্তটিকে বরণ করলাম। আহা, যােলাে বছরের কিশােরীর মুখে যদি কেউ বয়স্কা নারীর কাম উত্তেজনা দেখে, তাহলে সে কী ভাববে? হাসানের কথা ভেবেই আমাকে চুপ করে থাকতে হয়েছিল। আমি যে কতখানি সুখী হয়েছি, সেকথা প্রকাশ করতে পারিনি।

তখন কোনাে কিছু ভাববার মতাে অবকাশ হাসানের ছিল না। সে ক্রমাগত আমার স্তনজোড়াকে চুম্বিত করতে থাকে। আমার ঠোটদুটিকে চুমুতে চুমুতে রাঙাতে থাকে। ঘােড়ার ক্ষুরের প্রতিটি উত্তোলনে একটি ঝাকুনি সৃষ্টি হচ্ছিল। তার প্রভাব পড়েছিল হাসানের মধ্যে। আর আমি বিদ্ধ হচ্ছিলাম গভীর থেকে গভীরে। অনুভূতির আবর্তে তখন আমি পাক খাচ্ছি। দুজনেই সুখ প্রাপ্তির সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছি। একবার তাে সেউত্তেজিত হয়ে জিন থেকে প্রায় পড়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত অসাধারণ দক্ষতায় নিজেকে বাঁচিয়ে নিল। | আমি ভাবছিলাম, আমি তাে একটি কৃশাঙ্গিনী মেয়ে, এভাবে হাসানের মতাে এক সবল পুরুষের হৃদয় জয় করেছি, তার জন্য ভাগ্যকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।
তখন আমি পরিশ্রান্ত, কিন্তু জয়ের আনন্দে আমার সমস্ত শরীর উদ্বেল হয়ে উঠেছে। আমি ধীরে ধীরে হাসানের কাঁধে আমার মাথাটা রাখলাম।

সে বলল—বেচারি মেয়ে, তােমার রক্তপাত হল কেমন করে?

ফিসফিসিয়ে আমি বললাম—এটা তাে প্রথম মিলনের অনিবার্য পরিণতি। এর জন্য তুমি কিছু মনে করাে না।

তার সঙ্গে আমি প্রতারণা করিনি। আমি নিরপরাধ, কিন্তু ভবিতব্যের হাতে নিজেকে সমর্পণ করতে হয়েছিল। আমি বেশ বুঝতে পারছি, হাসানও এই ঘটনাটার জন্য মাঝে মধ্যেই মন খারাপ করে বসে থাকে। আহা, সেই দিনটির পরেই আমার মাসের অসুখ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সকাল হবার আগেই আমার পেটিকোটে লাল রক্তের ছােপ দেখা দিল। সেদিন রাতে সে আরাে দু-দুবার ঘােড়ার পিঠে আমার সাথে শৃঙ্গারের খেলায় মেতে উঠেছিল। আমাকে চরম সুখ তৃপ্তি দেওয়ার জন্য আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল।

এভাবেই জেলিস ওর কাহিনী শেষ করল। আমার দিকে মাঝে মধ্যেই তাকাচ্ছিল ও। আহা, আমি তখন মিরজেলা আর ভার্জিনিয়ার গায়ে ঠেস দিয়ে বসেছিলাম। সুন্দর আরবিয়ান মেয়েটি এবার আমার কাছে চলে এল। আমার দু’পা দুদিকে ছড়িয়ে কার্পেটের ওপর হাঁটু মুড়ে বসল। এবার ওর সম্পূর্ণ দেহের ভার আমার ওপর রেখেছে। পিছন ফিরে বসে থাকলেও ও এতক্ষণ আমাকে নিয়ে নানা ধরনের খেলা খেলছিল। এবার আমার পৌরুষ তার আসল মূর্তি ধারণ করেছে। তাকে এইরূপে প্রকাশিত হতে দেখে জেলিস খুবই আগ্রহী হয়ে উঠেছিল। কে জানে, কেন ওর সেমিজটা কোমর অব্দি উঠে গিয়েছিল। ওর একান্ত গােপন অঙ্গে আমার আঙুলের সুখস্পর্শ লাগল। আমার হাতটা তখন অনিবার্যভাবে ওর তলপেটে নেমে আসছে। আহা, আবার সুন্দর সুখী সম্পৃক্ত প্রহর ধীরে ধীরে জাগছে। মন হয়ে উঠেছে মিলন পিয়াসী।

যখন ও ওর জীবনের কাহিনী শােনাচ্ছিল, আমি শান্ত মনে ওর নিতম্বটিকে পর্যবেক্ষণ করছিলাম। সেটি মাঝে মধ্যেই দুলে উঠছিল। কেন, তা আমি জানি না!
গল্প বলা শেষ হবার পর ও হঠাৎ আমাকে আক্রমণ করল। আমার বুকের ওপর নিজের ভার রাখল। আহা, এই অবস্থায় এখন আমি কী করব? আমি নিষ্ক্রিয় হয়ে অবস্থান করব? কিন্তু তা করব কেমন করে! ও যে ওর বাদামি স্তনবৃন্ত দিয়ে আমাকে আকর্ষণ করছে। সােহাগ আর শৃঙ্গারে আমার মনকে করছে উদ্দাম। কামকলার যত কৌশল জানা ছিল, একে একে তার সবকটি ও প্রয়ােগ করল। কার্পেটের ওপর ও শায়িত হল। আমাকে আকর্ষণ করল। ও তখন প্রচণ্ড সক্রিয় অবস্থানে চলে এসে। আমিও আমার নির্লিপ্তির ভেতর মিশিয়ে দিলাম প্রচণ্ড কামনা। | অনেকক্ষণ ধরেই ও চালিয়েছিল শৃঙ্গারের এই প্রয়ােগ। আমি তখন বাড়তি শক্তিতে দ্বিগুণ উৎসাহে মেতে উঠেছি। আমি ওকে তখনই বিদ্ধ করতাম। কিন্তু ওর প্রচণ্ড কামুক ভাব দেখে আমি ভাবলাম, আজ একটু অন্যভাবে এই খেলায় যােগ দিলে কেমন হয়! আসল সময়ে তাে আমাকে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতেই হবে।………

……..রেনি মাঝারি উচ্চতার মেয়ে। পা থেকে মাথা অব্দি রূপকথা লেখা আছে বুঝি। ওর নিটোল গােলাকৃতি স্তনজোড়া যেকোনাে পুরুষের মন জয় করতে পারে। ওর উরু দুটির গড়ন পুরুষের মনে কামনার উদ্রেক করবে। ধবধবে ফর্সা ওর গায়ের রঙ। ওর তুষার শুভ্র গায়ের চামড়া এত স্বচ্ছ যে, সেখানে কোনাে দাগ থাকলে তা সহজেই চোখে পড়ে।

তেরাে
ফরাসি সুন্দরীর কথা

……………একদিন সন্ধ্যেবেলার কথা আমার স্পষ্ট মনে পড়ে। হঠাৎ লিসিটি একটা বাক্স হতে উল্লসিত আবেগে ভর দিয়ে আমার ঘরে এসে ঢুকেছিল। বাক্সের ওপরে একটা লেবেল আঁটা ছিল। তাতে লেখা ছিল—এ সুপার ফাইন ডিলডাে’।

ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিল ও।এবার বাক্সটা খুলল। তার মধ্যে কী আছে, তা জানার জন্য আমার মন তখন কৌতূহলী হয়ে উঠেছে। আমি দেখলাম, তার মধ্যে রবারের একটা প্রমাণ সাইজের উখিত পুরুষাঙ্গ রয়েছে যেকোননা নারীর ত্রিভুজে প্রবেশের অপেক্ষাতে।……

……আমি বললাম—লিসিটি, আমরা যদি এটা ব্যবহার করি, তাহলে তাে অনিবার্যভাবে আমাদের কুমারীত্ব হরণ করা হবে। ভবিষ্যতে যখন আমাদের বিয়ে হবে তখন তাে স্বামীরা বুঝতে পারবে যে, আমরা আর অক্ষতযােনি নই। সে যে ভীষণ লজ্জার ব্যাপার!
ও বলল-নাঃ, ভবিষ্যতের কথা ভেবে কী হবে? অতি সহজেই আমরা তাদের বােকা বানাতে পারব।
আশা-নিরাশার দ্বন্দ্বে দুলতে দুলতে আমি আর একবার রবারের ওই পুরুষাঙ্গটির ওপর হাত রাখলাম। ধীরে ধীরে লিসিটির কথায় আমার বিশ্বাস জাগল।
আমি ডিলড়ােয় গরম জল পুরে সেটিকে স্থাপন করলাম। সেটার সঙ্গে দু’দিক দিয়ে ফিতে লাগানাে ছিল। আমি ফিতে দুটিকে আমার কোমরের সঙ্গে বাঁধলাম। এবার লিসিটি আমার প্রণয়িনীর ভূমিকাতে অবতীর্ণা হবে। ও আমাকে বিছানাতে ডেকে নিয়ে গেল আগে। নিজে শুয়ে পড়ল তারপর আমাকে ওর ওপর শশাবার জন্য অনুরােধ করল। আমি বেশ বুঝতে পারলাম, ও এখন স্বামী স্ত্রীর খেলা খেলতে চাইছে।

ও বেশ কিছুক্ষণ আমাকে ধরে জাপটা জাপটি করল। তারপর বলল, তুমি আমাকে ধীরে ধীরে নগ্না করে দাও। দেখবে তার মধ্যে একটা অদ্ভুত সুখ আছে। | এই বলে ও নিজের সব বেশবাস, এমনকী ব্রা, প্যান্টি খুলতে উদ্যত হল। প্রতিটি পােশাকের শেষ হুক বা বােতামে অবশ্য আমাকেই হাত দিতে হয়েছিল। শেষ অব্দি আমি ওর ব্রা-রকটা টেনে খুললাম।নগ্ন বুকদুটো আমার সামনে পরিষ্কারভাবেউদ্ভাসিত হয়েছে। সেই প্রথম খুব কাছ থেকে ওকে আমি নগ্নিকা অবস্থায় দেখলাম। ওর স্তন জোড়ার দিকে তাকাতে গিয়ে ভীষণ হিংসে হল আমার। আহা, এই বয়সেই কেমন পুরুষ্ট সুডৌল তাজা স্তন পেয়েছে লিসিটি। একটুও ঢল নমেনি। ছােটো ছােটো বোঁটা। ভারি সুন্দর দেখতে! আমি কামনার আশ্লেষে ওর ঠোটের ওপর ঝুঁকে পড়লাম। | আমার পায়ের সাথে ও তখন পা ঘষছে। আমার পেটের সঙ্গে ওর পেটটিকে দৃঢ় ভাবে লাগিয়ে রেখেছে। আমি বেশ বুঝতে পারছি, ওর উরুসন্ধিতে এখন দারুণ একটা প্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। আমি এখন ওর পুরুষ নাগর। ওর সুখের উৎস। ওকে স্বর্গসুখ দিতে হবে। আমি মনে মনে তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করলাম।

এবার ও আমাকে বুকের ওপর তুলে নিল। সাঁড়াশির মতাে দুটি উরু দিয়ে আমার কোমর জড়িয়ে ধরল। তারপর প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে বলল-লক্ষ্মী সােনা, এবার তুমি এক পুরুষসঙ্গীর মতাে আচরণ করাে আমার সঙ্গে।

আমি তখন নিজেকে পাল্টে ফেলেছি। যেন সত্যি আমি এক পুরুষ মানুষ। ও আরাে দ্বিগুণ উৎসাহে আমাকে আদর করতে শুরু করল। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবার পর ও উঠে বসে আমার কোমর থেকে ডিলডােটা খুলে ফেলল। তােয়ালে দিয়ে সেটাকে মুছল। এবার পট পরিবর্তিত হবে। এবার ও সাজবে পুরুষের ভূমিকাতে, আর আমি ওর প্রণয়িনী। | লিসিটি আমার গহ্বরের মধ্যে ডিলডােটা প্রবেশ করানাের জন্য উদ্যত হল। এতে আমি প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেছিলাম। ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিলাম। আমার উরু দুটি বেয়ে তখন রক্তের একটা ক্ষীণ স্রোত নেমে আসছে। মনের ভেতর জেগেছে অনুশােচনা। ওর ওপর ভীষণ রাগ হল আমার। কিন্তু ওকে এভাবে আঘাত করলাম কেন? আমিও তাে একটু আগে ওর গােপন অঙ্গে আমার ডিলডাে ঢুকিয়েছি। তার মানে? ও এই রহস্যটার আসল বিষয় আমার কাছে খুলে বলল। কিছুদিন আগেই ও ওর দাদার সঙ্গে যৌন খেলায় অংশ নিয়েছিল। তখনই ওর সতীচ্ছদ ছিন্ন হয়ে থাকবে। তাই নতুন করে আর রক্ত ঝরেনি ওর গােপন অঙ্গ থেকে।…………

…….স্কুল ছাড়ার পর খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে লিসিটি আর আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। শহরের এক নামজাদা মানুষের সঙ্গে ওর বিয়ে হয়। আমার বিয়ে হয় এক সেনা অফিসারের সঙ্গে। বিয়ের কিছুদিন পরে আমার সঙ্গে লিসিটির দেখা হয়েছিল। হাসতে হাসতে ও ওর গােপন গভীর দাম্পত্য জীবনের যৌন উত্তেজনার কথা বলেছিল। আরাে বলেছিল, এখনও দাদার সঙ্গে নিয়মিত শরীরের সম্পর্ক বজায় রেখেছে লিসিটি।

আমি বলেছিলাম—ছিঃ, এভাবে তুই কেন একটা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছিস? তুই একদিন আমাদের বাড়িতে আয়, এ বিষয়ে তাের সঙ্গে আলােচনা করব।

আমি রাজি হয়েছিলাম। ওর বােন অ্যানি যথাসময়ে আমার বাড়িতে এসে হাজির হল। ওকে আমি আগে কখনাে দেখিনি। তবুও ওকে আমি সাদরে অভ্যর্থনা জানালাম। মেয়েটি দেখতে সুন্দরী এ বিষয়ে কোনাে সন্দেহ নেই। কিন্তু ওর চেহারার মধ্যে একটা পুরুষালি ভাব আছে। তার সঙ্গে আছে আনুগত্য। একটু বড়ােসড়াে চেহারা যেন, মেয়েদের তুলনায় বেমানান। কাধ দুটি বেশ চওড়া। বুকটা প্রায় সমতলের মতাে। চুলে আবার ছেলেদের মতাে ছাঁট দিয়েছে।

তখন আমার স্বামী সেনাবাহিনী নিয়ে বাইরে গিয়েছিল। আমি ভাবলাম, আহা, এই ক’দিন অ্যানি আমার নিত্য সঙ্গী হয়ে আমার কাছেই থাকুক। ওর সান্নিধ্যে হয়তাে আমার শরীরে ছােটো ছােটো বিস্ফোরণ ঘটে গেলেও যেতে পারে।

ওকে আমি ভেতরের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলাম। বাহুবন্ধনে আবদ্ধ করলাম। ওর ঠোটে ঠোট চেপে ধরে বিছানাতে অনেকক্ষণ শুয়ে থাকলাম। হঠাৎ অনুভব করলাম, আমার উরুসন্ধিস্থলে কোনাে কিছুর স্পর্শ। এটি কখনাে অ্যানির হাত হতে পারে না। সে তাে একজন নারী!

আমি তখন আঁতকে উঠলাম। ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। আমি বললাম-“তুমি লিসিটির বােন নও? কথাটা হয়তাে বেখাপ্পা শােনাল। কিন্তু ব্যাপারটা সত্যি তাই।
সে বলল—হা, তােমার অভিযােগ আক্ষরিক অর্থে সত্যি রেনি, আমি ওর ভাই। কিন্তু আমার এই পরিচয় কেউ জানতে পারবে না। প্রিয়তমা, তুমি একটু আগে যেভাবে আমাকে চুমু খাচ্ছিলে, সেভাবে আরাে একবার আমাকে চুমু দেবে কি?

কথা বলতে বলতে সে দৃঢ়ভাবে আমাকে আলিঙ্গন করল। আমার শরীরে সে তখন আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমি তাকে বাধা দিতে পারলাম না। অনুচ্চারিত একটা সুখ তখন প্রবাহিত হচ্ছে আমার শােণিতে।

আমি একটুখানি ইতস্তত করতে থাকি। একবার ভাবি এ প্রচণ্ড অন্যায়! স্বামীর সাথে এই বিশ্বাসঘাতকতার খেলা কখনােই খেলব না আমি। কিন্তু তখন আমি কামনার আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছি। শেষ পর্যন্ত তার হাতে নিজেকে নিঃশেষে সমর্পণ করতে বাধ্য হলাম।

তার কামনার কাছে আমার সব প্রতিরােধ ভেঙে পড়ল। আমার দেহ ক্রমশ অবশ হয়ে আসছিল। আমি নীরবে ওর সাথে মেতে উঠলাম যৌনতার খেলাতে। কামানলে পুড়তে পুড়তে আমি তখন অন্য সুখের সাগরে ভাসছি। আহা, সব পুরুষ কেন একই রকম আগ্রাসী হয়ে ওঠে না? আমার স্বামী কেন ওই ছেলেটির মতাে আমাকে শান্তি দিতে পারে না?

কতই বা বয়স হবে আরমন্ডের? খুব বেশি হলে বােধহয় সতেরাে বছর। তরতাজা যৌবনের প্রতীক সে। তাই বােধহয় আমার অনেক গভীরে অনায়াসে প্রবেশ করে। যন্ত্রণার মধ্যেও একটা সুখ অনুভূতি জেগে থাকে। তাই তাে বারে বারে ওর কাছে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। মনে হয়, আমার সতীত্বের সম্ভার আমি ওর হাতে তুলে দিই।

প্রতিটি কাছে আসা ভীষণ ভীষণ ভালাে লাগে আমার। আমি যেন সুখ শিহরণের সপ্তম স্বর্গে আরােহণ করেছি। আমার দু’পাশে আছে ভালােবাসা, সােহাগ আর সংবাহনের চিহ্নগুলি। আহা, আমি বুঝি হাওয়ায় ভর দিয়ে চলেছি। জাগতিক কোনাে কিছুর সঙ্গে আমার আর কোনাে সম্পর্ক থাকবে না। আমার মনের ভেতর একটি আকাঙ্ক্ষাইতীব্র থেকে তীব্রতর হবে। আরমন্ডের ভালােবাসার জারক রসে আরাে বেশি সিঞ্চিত হব আমি।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য আমাকে কঠিন পৃথিবীর বাস্তব ভূমিতে ফিরে আসতে হত। পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হতাম। আমি চলে যেতাম স্নানাগারে। ঠাণ্ডা জলের তলায় আমার নগ্নিকা দেহখানি অনেকক্ষণ মেলে রাখতাম। জলধারা আমার শরীরের সর্বত্র প্রবাহিত হত।…..

…..তাই ষড়যন্ত্র অনুসারে আমি অ্যাডােরফির ঘরে গিয়ে প্রবেশ করলাম। বেচারি লিসিটি গেল আমার স্বামীর কাছে। লিসিটি জানে না, আমার স্বামী পাথরের একটা মূর্তি। এবার লিসিটি বুঝবে, কীভাবে আমাকে প্রতি রাত একা থাকতে হয়!….অ্যাডােরফি উঠে বসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। পাগলের মতাে আমাকে চুমু খেল।
তারপর সে বলল—আচ্ছা লিসিটি, আজ রাতে তােমাকে কেমন যেন অন্যরকম মনে হচ্ছে। অন্য দিন তাে আমাকেই সব কাজ করতে হয়। আজ তুমি নিজে থেকে আমাকে আদর ছাে? ব্যাপার কী বলল তাে?

কথা বললে ধরা পড়ে যাব, তাই ওর কথার কোনাে জবাব দিলাম না। আবার একেবারে চুপ করে থাকলে ও সন্দেহ করবে। তাই হা, হুঁ বলে উত্তর দেবার চেষ্টা করলাম।
ও দেখি হঠাৎ উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। ও আমাকে ভীষণভাবে আদর করতে থাকল। আমিও ত্যুত্তর দিতে থাকলাম। আমার কেবলই মনে হচ্ছিল, অ্যাডােরফি শক্ত সমর্থ পুরুষ আর আমার স্বামী হল নপুংসক।

অলস ভঙ্গিমাতে সে দু-তিনবার আমাকে বিদ্ধ করার চেষ্টা করল। তারপর বলল– জানাে লিসিটি, আমি তােমার বন্ধু রেনির স্বপ্ন দেখছিলাম। ঠিক সেই সময় তুমি এসে আমার ঘুম ভাঙিয়ে দিলে। একথা শুনে লিসিটি যা করত, আমিও ঠিক তাই করলাম। আমি হিংসায় উন্মত্ত হয়ে গেলাম।
আমি তখন নিশ্চিন্ত হয়ে কাঁধ ঝাকালাম। আহা, সে যে সত্যি সত্যি আমাকে স্বপ্নে দেখেছে, এতে আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম। হায় ভগবান, আমার এই খুশির কোনাে বহিঃপ্রকাশ আমি দেখাতে পারলাম না আমার আচরণে। সে তখন আমাকে নিজের কাছে টেনে নেবার জন্য জোর চেষ্টা করছে। সে তখন আমার উরু দুটির ওপর আঙুল দিয়ে বিলি কাটছে। আমার কাঁধে, ঘাড়ে, মাথায় ঘন ঘন চুমু দিচ্ছে। কিন্তু আমি যেন মরণপণ করেছি, কিছুতেই তার দিকে ফিরব না।

তখন সে ভয়ঙ্কভাবে উত্তেজিত হয়ে উঠেছে। অর্ধসমাপ্ত সহবাসটিকে শেষ করতেই হবে। এখনই। তার মধ্যে পাগলামি দেখা দিয়েছে। শেষপর্যন্ত সে এক ছােট্ট শিশুর মতাে বলে ওঠে—ওঠো, ওঠো লিসিটি, আমার ওপর আর রাগ করে এভাবে শুয়ে থেকো না। দেখছাে তাে আমার পুরুষ সিংহটা গর্জন করতে শুরু করেছে। তুমি কি চাও অপাত্রে সেটি তার শক্তি নিক্ষেপ করুক?

তার এই অসহায় আর্তনাদ শুনে আমি মনে মনে হেসে ফেলেছিলাম। তারপর আমি সােজা হয়ে শুলাম, যাতে ও আমার ওপর চেপে শুতে পারে। তখন ও আর আমি পরস্পরকে আলিঙ্গন করছি। আমি তখন তার আদরে বিদ্ধ হচ্ছি। এবার সে দ্রুত সক্রিয় হয়ে উঠল। আমাদের দুজনের শরীর তখন ভূমিকম্বের আশঙ্কায় থর থর করে কাপছিল।।
অবশেষে সে তার ক্লান্ত দেহটা আমার বুকের ওপর নামিয়ে আনল। যাতে আমার ওপর খুব বেশি ভার না পড়ে, তাই দেহের ভার সে রেখেছিল দুটি হাতের ওপর। তাকে খুবই ক্লান্ত এবং অবসন্ন দেখাচ্ছিল। সবকিছু হয়ে যাবার পর সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল।……

……আমি আমার আচরণের মধ্যে উদাসীনতার ভাব ফুটিয়ে তুলতাম। আমি জানতাম, ডিউক বুদ্ধিমান যুবক। সে নিশ্চয়ই আমার এই আচরণের আসল অর্থ বুঝতে পারবে। কিন্তু ডিউক ছিল একেবারেই বােকা। নারীর সংসর্গে এসে সে তখন মাতাল হয়ে উঠেছে। দেখলাম, সে চেয়ার ছেড়ে নড়ছে না। | সে হঠাৎ আমার কাছে উঠে এল। দু’হাত দিয়ে আমার কোমর জড়িয়ে ধরল। আমার ঠোটের ওপর নিজের ঠোট নিয়ে এল। আমার বুকে চুমু দেবার জন্য ঝুঁকে পড়ল। আমি তাকে প্রশ্রয় দিয়েছি। আমি তার কপালে ঠোটের চিহ্ন রাখলাম। তখনও পর্যন্ত আমরা আমাদের কামনা বাসনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিলাম। কিন্তু তারপরেই ডিউক একেবারে বেপরােয়া হয়ে উঠল। সে তার হাতটা আমার স্কার্টের মধে চালান করে দিল। তারপর আমার একটি পা আদর করে টেনে নিল তার কোলের ওপর। তখন আমি অনুভব করলাম যে, তার উরুর মাংসল বিছানাতে আমি বসে আছি। তার আলিঙ্গনে প্রচণ্ডভাবে আবদ্ধ হয়েছি।

এখন যদি কেউ এসে এখানে ঢােকে, তাহলে কী হবে? তখন এই সর্বনাশা পরিসমাপ্তির কথা ভাববার মতাে অবসর আমাদের কারাের ছিল না। আমিও ছিলাম ওকে আদর করার জন্য উন্মুখ। সে-ও হয়তাে তাই। কয়েক ঘণ্টা পরে যদি আমরা একটা নিরাপদ জায়গাতে মিলিত হবার সুযােগ পেতাম, তাহলে এত দ্রুততার সাথে সবকিছু শেষ হয়ে যেত না। কিন্তু যখন যে ঘটনা ঘটবে তা তাে ঘটবেই। তার অনিবার্যতাকে আমরা কী করে আটকাবাে! আমাদের গােপন অঙ্গের সংযােগ ঘটে গেল। সেই মুহূর্তে আমার সুখ হল প্রচণ্ড তীব্র। আমি কিছুতেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলাম না। আমি যৌন সুখের আবর্তে পড়ে ছটফট করছিলাম। আমি তখন ভয়ঙ্করভাবে চেষ্টা করছি সুখের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছােনাের জন্য। এর জন্য যদি আমাকে বার বার বিদ্ধ হতে হয়, তাহলেও কোনাে কষ্ট হবে না।

আমার কোনাে তাড়া ছিল না। আমি মিলনটিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইলাম। তখনও আমার রাগমােচন হয়নি। এই মুহূর্তে আমার স্বামী এসে ঢুকে পড়েছিল ঘরের ভেতর। চোখের সামনে এই অদ্ভুত দৃশ্য দেখে সে শিউরে উঠেছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমি ডিউকের হাতের বন্ধন ছিন্ন করে লাফ দিয়ে মাটিতে নেমে এলাম। আমার স্কার্টটা দিয়ে ঢেকে ফেললাম আমার নগ্নতা।…..

চোদ্দো
শেষের পাতা

রেনি ওর গল্পটা বলা শেষ করেছে। ও হল নবম সন্দরী। এর আগে আট-আটটি সুন্দরীকে আমি সুখ দিয়েছি। তাদের প্রত্যেকের গহ্বরের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছি আমার অহঙ্কার। ওদের মধ্যে চারজনকে আমি বিজয়িনীর মর্যাদা দিয়েছি। ওরা যৌনতার কলাকুশলতায় অনায়াসে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান পাবে। এবার সবথেকে সুন্দরী রেনির পালা।

রেনিকে আমি কী উপহার দেব? আমার কাছে তাে কিছুই নেই। তখন রেনি কুশনের ওপর শুয়ে পড়েছে। ফরাসি মেয়েরা এমনিতেই কামনামদিরা হয়ে থাকে। রেনি ঠিক একজন ফরাসি মেয়ের মতাে আমার দিকে তাকালাে। ওর সুডৌল নগ্ন পা দুটি দুদিকে ছড়িয়ে দিল। এভাবেই ও আমার কামাতুর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইল। | আমি ওর দুটি উরুর মাঝখানে বসলাম। ওর তুষার শুভ্র উরুর ওপর চুমু দিলাম। তারপর তলপেটকেও চুম্বিত করলাম। এবার মাথাটা নামিয়ে আনলাম ওর স্তনদুটির মাঝের উপত্যকায়। পালাক্রমে দুটি স্তনকেই আদর দিলাম। এবার আমি মাথাটাকে আরাে নিচে নামিয়ে আনলাম। ওষ্ঠের চুম্বন পর্ব শেষ হয়ে গেল। এখন বাকি আছে শুধু নিম্ন নাভিদেশ। তখন আমি একহাতে ওর স্তনটিকে আনন্দ দিচ্ছি, আর অন্য হাতে আদর করছি ওর নিতম্বদেশ।

শেষ পর্যন্ত আমি ধীরে ধীরে ওটিকে প্রবেশ করিয়ে দিলাম ওর মধ্যে। আমার শরীরের নিচে শায়িকা রেনির নরম দেহ কামনার আশ্লেষে ছটফট করে কাঁপছে। একসময় সেই বাঁধন স্তব্ধ হয়ে গেল। দু’হাত দিয়ে আমার গলা জড়িয়ে ধরে রেনি বলল—আহা, তুমি এত সুন্দর! তুমি কি সুন্দরভাবে আমাকে আদর দিলে। | আমি ফিসফিসিয়ে বললাম তুমি সুন্দর, তাই পৃথিবীর সবকিছুকেই তােমার ভালাে লাগে।

ও বলল—তুমি যেমন আছাে, ঠিক সেইভাবে আমার বুকের ওপর শুয়ে থাকো। আমি তােমার শরীরের সংস্পর্শে তৃপ্তি অনুভব করতে চাই।
আমার কোনাে তাড়া ছিল না। আমি তাে জানি, কাল সকালে কোথায় ভেসে যাব। শেষ রাতটুকু এক বারবনিতার সান্নিধ্যে কাটাতে পারছি, এর থেকে বড়াে সৌভাগ্য আমার আর কী হতে পারে?

লরার কোমরটা তখনও রেনির মাথার বালিশ হিসেবে কাজ করছে। মাঝে মধ্যে রেনির গােলাপের পাপড়ির মতাে ঠোটে চুম্বনের স্বাদ নেওয়ার লােভটা আমি সংবরণ করতে পারছিলাম না। এরই মাঝে আমি লরার মধুভাণ্ডে আমার আঙুল রেখেছি। একসঙ্গে দুটি নারীর সাথে উপগত হচ্ছি। আহা, আমার মতাে ভাগ্যবান আর কে আছে।
ইনেজ আমার পাশে শুয়েছিল। আমার অপর হাতটা ওর দুটি উরুর সন্ধিস্থলে খেলা করছিল অসভ্যের মতাে।
অপরদিকে হেলেন হাঁটু মুড়ে বসে ওর সরু সরু আঙুলগুলাে দিয়ে আমার নগ্ন শরীরের ওপর বিলি কাটছিল।
জুলেখা-মিরজেলা আর ভার্জিনিয়া আমার পিঠ, কাঁধ ও গলায় একই সঙ্গে উষ্ণচুমু বর্ষণ করছিল।
..অ্যানি আর জেলিস সামনে এগিয়ে এসে আমার পা-দুটো তুলে নিল। ওদের এক একজন আমার এক-একটি পা চেপে রেখেছিল। আহা, বেচারিরা, এভাবে ঘােল খেয়ে কি দুধের স্বাদ মেটানাে যায়?

ন’টি সুন্দরী রমণীর সংস্পর্শে আমি তখন একেবারে দিশেহারা। কিন্তু আমি চাইছি, নিভৃত আশ্রয়ে বাকি রাতটুকু কাটাতে। রেনিও আবার আমার সঙ্গে সঙ্গম করার জন্য তখন
সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাতে আমার বিশেষ সুবিধা হয়েছিল। কেননা, মিলনের খেলা একতরফা খেলা যায় না। দুজনকেই একইভাবে আগ্রহী হয়ে উঠতে হয়।

ওকে দ্বিতীয়বারের জন্য আমি আমার শয্যাসঙ্গিনী হিসেবে পেলাম। আমার মধ্যে তখন আরাে উৎসাহ জেগেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের শরীর এক হল। আমার প্রচণ্ড অভিমান বিন্দু বিন্দু রস হয়ে ঝরে পড়ল। আহা, এটি হল রেনির সবথেকে বড়াে পুরস্কার! এর জন্য ও অনেক কষ্ট স্বীকার করেছে। দীর্ঘক্ষণ আমার ভারী দেহের ভার বহন করেছে।
আমাদের দুজনের অবসন্ন দেহ দু’দিকে ছিটকে পড়ল।
রেনি বলে উঠল—ওগাে নীল চোখের তরুণ, ভবিষ্যতে আর কখনাে কি তােমার সঙ্গে দেখা হবে?
আমি নীরবতার মধ্যে দিয়ে ভাসিয়ে দিলাম আমার শােকস্তব্ধ উত্তর।

Leave a Reply