মুরিশ হারেমে নিষিদ্ধ রজনী (১) – জর্জ হারবাট

›› অনুবাদ  ›› ১৮+  

A NIGHT IN A MOORISH HAREM by GEORGE HERBERT

অনুবাদঃ পৃথ্বীরাজ সেন

এক

……..মনে পড়ে যায় লন্ডনের সেই সােনালি চুলের মেয়েদের কথা! কখনাে ওরা সন্তর্পণে হেঁটে যায় আমার মনের প্রশস্ত সরণী দিয়ে। আহা, ওদের পিঙ্গল চোখের আড়ালে নিষিদ্ধ স্বপ্নের হাতছানি। ওদের পােশাক থেকে প্রকটিত যৌবনের উদ্বেল উদ্ভাস। ওদের সুগঠিত দেহের আগুন-আঁচ এখনও আমাকে উষ্ণতা দেয়। শীতার্ত রাতে আমি চোখ বন্ধ করি। আমার চারপাশে জ্বলে উঠেছে আগুন। তারই মধ্যে এক-একটি অবয়ব স্পষ্ট রূপ ধারণ করছে। ওই তুষার শুভ্র দুটি স্তন, নিম্ন নাভিদেশ, নিতম্ব—সবকিছু, সবকিছু হাতছানি দিয়ে আমাকে ডাকে।………

………..আমার মন চলে গেছে লন্ডন শহরে, যেখানে ওই সুন্দরী রমণীরা এখন ওদের অন্তর্বাস খুলে ফেলেছে। ওদের প্রস্ফুটিত যৌবন-পুষ্প আমাকে আকর্ষণ করছে। আহা, যখন আমি শেষবারের মতাে লন্ডন শহরে নােঙর করেছিলাম, তখন বেশ কয়েকজন সুন্দরী এসে আমার সাথে খেলেছিল ভালােবাসা এবং কাছে আসার অবুঝ খেলা। আজ এই মুহূর্তে সব মনে পড়ে যাচ্ছে আমার।………..

………..হারেমের একটি মেয়ের মধ্যে আমি এক অনন্য বৈশিষ্ট্য দেখতে পেলাম। আমাকে আহ্বান করতে গিয়ে ও চোখের ইশারাতে সঙ্কেত পাঠাতে পারত। কিন্তু বুদ্ধিমতি মেয়েটি তা করল না। ও চাইল, ওর দেহের একটা সুন্দর বিজ্ঞাপন দিতে। ও ইচ্ছে করে ওর পুতুলের মতাে সুঠাম হাতটি ওপরে তুলে ধরল। ওর সুন্দর মসৃণ হাত ওপরে তােলার দরুণ স্তনবৃন্তে সামান্য স্পন্দনের সৃষ্টি হল। মেয়েটির স্তনদুটি অত্যন্ত সুগঠিত। এই কাজে মেয়েটি সর্বোচ্চ সাফল্য পেয়েছে। আমার রক্তের ভেতর আবার নতুন করে ও উন্মাদনা জাগিয়ে তুলেছে।……

……….তারপর সবথেকে জীবন্ত এবং মহার্ঘ বস্তুগুলাের দিকে আমার নজর পড়ে গেল। ঘরের এখানে সেখানে ন’টি সুন্দরী মেয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই রূপ সৌন্দর্যের আলাদা উপমা হতে পারে। …আমি আরাে ভালােভাবে ওদের প্রতি আমার দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম। কেউ দীর্ঘদেহী, কেউ কৃশাঙ্গিনী, কেউ মেদবর্জিত, কেউ মধ্যমেদ, কেউ শীর্ণা, কেউ গুরু নিতম্বিনী, কেউবা স্তনভারে ঈষৎ স্তোকনা। ঈশ্বর যে কীভাবে ওদের সৃষ্টি করেছেন, ভাবতে অবাক লাগে আমার!….

………আমার মাথা ঘুরছিল। মনে হচ্ছিল, এদের সকলকে একসাথে আমার শয্যাঙ্গিনী করি। এক-একভাবে মেতে উঠি মৈথুনের সীমাহীন আনন্দে। কিন্তু আমার হাতে তাে একটি মাত্র অস্ত্র আছে। তা দিয়ে তাে আমি মাত্র একজনকে আনন্দ দিতে পারব। বাকিরা সেই উদ্দাম শরীরের দিকে অনিমিখ নয়নে তাকিয়ে থাকবে। যদি কোনােরকমভাবে ওদের সঙ্গে মিলিত হবার সুযােগ পাই, সেই যৌন পরিক্রমায় একফেঁটা সুধারস নির্গত হবে না আমার ইন্দ্রিয় থেকে।…..

……..প্রতিটি পুরুষের একটি আলাদা চোখ থাকে। সেই চোখ অন্তর্ভেদী চাউনি মেলে দিতে পারে। যদিও ওদের শরীর পােশাকে ঢাকা, কিন্তু আমার চোখের সামনে ওরা নিরাবরণা হয়ে গেল। বিশেষ একটি মেয়ের দিকে আমার চোখের দৃষ্টি বারবার আটকে যাচ্ছিল। ওর শরীর হাতির দাঁতের মতাে শুভ্র বর্ণ। পায়ের পুরুষ্ট গােছ স্পষ্ট বােঝা যাচ্ছে। উরুর খানিকটা পরিদৃশ্যমান হয়েছে। পাখির পালক সামলাতে গিয়ে বুকের পলকা আবরণটা ও খসিয়ে দিল। আমি ওর উন্নত বর্তুল স্তনজোড়াকে এক পলকের জন্য দেখতে পেলাম। আহা, কী অসামান্যা সুন্দরী ও! ওর পয়ােধরা চোষণ করতে ভাষণ ইচ্ছে হল আমার। অজান্তে মুখ থেকে ‘ওঃ বলে একটা শব্দ বেরিয়ে এল।…..

…..বুঝতে পারছো না, আমরা সকলে একসঙ্গে নগ্ন হয়ে না শুলে পাশা আবদাল্লার যৌন তৃষ্ণা সম্পূর্ণ মেটে না। আমাদের সঙ্গে উপগত হবার আগে যথেষ্ট শৃঙ্গার না হলে ওঁনার সমস্ত দেহে রােমাঞ্চের শিহরণ জাগে না। অনেক সময় এমনও হয়, হয়তাে উনি কারাের সাথে সম্পূর্ণ সহবাসে লিপ্ত হয়েছেন, তখনও অন্যান্য সুন্দরীরা ওঁনার সাথে শৃঙ্গারে মেতে ওঠে। এভাবেই উনি ধীরে ধীরে যৌন পরিতৃপ্তির সর্বোচ্চ শিখরে উঠে যান। এটা ওঁনার যৌন চাহিদার একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য।…..

…..আমার সমস্ত পােশাক খুলে ফেলা হল অতি সহজে। আমি বিন্দুমাত্র বাধা দিইনি। তবে সত্যি বলছি, ন-জনের চোখ যখন আমার নগ্ন শরীরটিকে লেহন করছিল, আমি কেমন যেন অস্বস্তি বােধ করছিলাম। বিশেষ করে যখন ওদের চোখ পড়ছিল আমার উখিত পুংদণ্ডটির ওপর, লজ্জায় আমি কুঁকড়ে গিয়েছিলাম। আমি বেশ বুঝতে পেরেছিলাম, ওরা তখন আনন্দের বিহ্বলতায় অধীর হয়ে গেছে। ওদের মুখের মধ্যে ফুটে উঠেছে পরিতৃপ্তির ভাব।
ইনেজ জানত, ওই মেয়েটি ওর পুরুষ সঙ্গী হিসেবে শয্যাকক্ষে অপেক্ষমানা। আহা, ইনেজ চোখ বন্ধ করেছিল!
গােসলখানা থেকে অত্যন্ত দ্রুত বেরিয়ে এসেছিল ও।
মেয়েটি ওর দিকে তাকিয়েছিল পুরুষের দৃষ্টিতে।ওর সমস্ত শরীরে তখন কামার্ত বাসনা ঝরে পড়ছে। ও অত্যন্ত দ্রুত আলগা তােয়ালে দিয়ে নিজের শরীরটা ঢেকে ফেলেছিল। ইনেজ কিছু বলার আগেই ও ইনেজের চুল মুছিয়ে দিয়েছিল। ঘাড়ে-গলাতে-পিঠে আলতাে তােয়ালের পরশ রেখেছিল। তারপর বলেছিল—না, কিছুই আমার ভালাে লাগছে না।
মৃদু হেসে ইনেজ জবাব দিয়েছিল—এভাবে দূরে সরে থেকে কী লাভ সবা? এসাে, দুধের স্বাদ আজ ঘােলে মেটানাে যাক। হারেমে এর থেকে বেশি আর কী সুখ আমরা আশা করতে পারি?

সেই রাতে যে মেয়েটি ইনেজের স্বামীর ভূমিকাতে অবতীর্ণ হবে সে ঠোঁটের কোণে শুকনাে হাসির টুকরাে এনে বলেছিল—তুমি ঠিকই বলেছাে প্রিয়তমা এসাে, আজ আমি তােমাকে অন্যরকম আনন্দ দেব।

ফিরে এসে ও আবার ইনেজের শরীরের সবখানে তােয়ালের মৃদু পরশ রাখল। এভাবেই সে ইনেজের ঘুমন্ত যৌনতাকে জাগিয়ে দেবার চেষ্টা করছিল। ও ইনেজের বুকে হাত দিল। ওর পেট, তলপেট থেকে হাত নামিয়ে দিল আরাে নিচে।তারপর ইনেজের কানের কাছে মুখ এনে বলল—এসো প্রিয়তমা, আমি সত্যি সত্যি এক পুরষ-প্রেমিকের মতাে তােমাকে আদর করি।

ওর ভঙ্গিমার মধ্যে জীবনের উৎসার ছিল। আবেশে ইনেজ চোখদুটি বন্ধ করল। ভারি ভালাে লাগছে হাতের এই সুন্দর আলাপন। যখন মেয়েটি ওর যােনিগহ্বরের ভেতর আঙুল ঢুকিয়ে দিচ্ছিল, ঈষৎ যােনিরস সিঞ্চিত হতে শুরু করেছে, অব্যক্ত একটা সুখ শিহরিত হচ্ছিল ইনেজের সমস্ত শরীর জুড়ে। মুখদিয়ে ও অস্ফুট আর্তনাদ করছিল। প্রতিটি আর্তনাদের মধ্যে দিয়ে ওর গভীর পরিতৃপ্তি প্রকাশিত হচ্ছিল। অনেকক্ষণ জাপটা-জাপটি হবার পর মেয়েটি ইনেজকে বলল—এবার তুমি আমার পােশাক নিজের হাতে খুলে দাও দুষ্টু সােনা!

এই অনুরােধে ইনেজ মেয়েটির শার্ট আর প্যান্টের বােতাম খুলে দিয়ে সেগুলােকে আলগা করে দিল। আজ মেয়েটি ইচ্ছে করেই পুরুষের পােশাক পরেছে। এভাবে সে তার শরীরের মধ্যে একটা পুরুষালী ভাব এনেছে। ইনেজকে দিয়ে সে তার অন্তর্বাস খুলিয়ে নিল। শার্টের নিচে সে কিন্তু কোনাে বক্ষবন্ধনী দিয়ে বেঁধে রাখেনি তার উদ্ধত অহঙ্কারকে। বুকটা উন্মুক্ত রেখেছে সে। তাতে এতটুকু ঢল নামেনি। খয়েরি রঙের স্তনাগ্র বেশ ছােটো আঙুরের মতাে সুন্দর। দেখলেই মুখে পুরে চুষতে ইচ্ছে করে। মেয়েটি এবার খােলা বুক নিয়ে এগিয়ে এল ইনেজের কছে। তার নিটোল স্তনজোড়া ইনেজের মুখের খুব কাছাকাছি।

এবার তার পরবর্তী খেলা শুরু হবে। সে ইনেজের ঘাড়টিকে উঁচু করল। নিজের বুকদুটোকে তার আরাে কাছে নিয়ে এল। কামার্ত গলায় অস্ফুটে বলে উঠল-প্রিয়তমা, আমাকে তুমি আরাে একটু আদর দাও। আমার এই রস নিজের মুখে চোষণ করাে। দেখবে তুমি আনন্দসাগরে ভাসবে।

ইনেজ তখন নিজেকে তার ঠিক রাখতে পারেনি। চোখের সামনে এমন একজোড়া স্তন  সে কি আর ঠিক থাকতে পারে? ইনেজ প্রথমে মেয়েটির ঠোটে ঘন ঘন চুমু দিয়েছিল। মেয়েটি ওকে চুমু খাওয়ার জন্য মুখ ফাক করতেই ইনেজ নিজের জিভটি সেখানে বেশ করিয়ে দিল। প্রবেশমাত্র মেয়েটি আবেশের সঙ্গে জিভটি চুষতে শুরু করেছে।

সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গেছে পায়ে পায়ে অদ্ভুত খেলা। পেটের সঙ্গে পেট লেপটে গেছে। ইনেজ বুঝতে পেরেছে, ওর উরুসন্ধিতে এখন ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ দেখা দিয়েছে। প্রদাহ শুরু হয়েছে। ইনেজ যা চেয়েছিল মেয়েটির কাছ থেকে, মেয়েটি সব উজাড় করে দিয়েছে। পুরুষমানুষের মতাে সুখ দিয়েছে সে। মেয়েটি এখন তার কাছে রাত-নাগর ছাড়া আর কেউ নয়। ইনেজের সমস্ত স্বপ্ন এখন শুধু ওই মেয়েটিকে ঘিরেই আবর্তিত হবে। তার সমস্ত কল্পনা এখন ওই মেয়েটির আকাশে উড়ে যবে মুক্ত বিহঙ্গের মতাে।

দুই উরুর মধ্যে সাঁড়াশির মতাে মেয়েটিকে আঁকড়ে ধরেছে ইনেজ। ইনেজ বলেছে আঃ, তুমি আমার সঙ্গে পুরুষ সঙ্গীর মতাে ব্যবহার করাে। আমার দুটি উরুর সন্ধিস্থলে মাতাল ঝড় তােলাে। আমাকে তুমি আর একটু সুখ দাও। | ইনেজ বুঝতে পেরেছে, এখন ওর সকল আনন্দ লুকিয়ে আছে ওই মেয়েটির আচরণের মধ্যে। মেয়েটি চরম অভিজ্ঞা। এর আগে আরাে অনেক সুন্দরীর সাথে সে এই খেলা খেলেছে। ফলে এই খেলাতে যথেষ্ট পারদর্শিনী হয়ে উঠেছে সে। সে বুঝতে পারল, এখন এভাবে ইনেজকে তৃপ্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। ওর সুখের চরম প্রাপ্তি ঘটাতে গেলে অন্য কিছু করতে হবে। তখনই সেই দুঃসাহসিক কাজটা করতে শুরু করে দিল মেয়েটি। সে একটু একটু করে ইনেজের পায়ের দিকে নেমে গেল। প্রথমে ইনেজের তলপেটে চুমু দিল। চুমু দিল ওর উরুসন্ধিতে। সেখানকার মাংসল উপত্যকায় মুখখানি রেখে অনেকক্ষণ নিশ্চল হয়ে পড়ে রইল। তারপর ধীরে ধীরে জিভের পরশ দিল চারপাশে। আহা, গলিত লাভা নির্গত হচ্ছে সেই গহ্বর থেকে। অনেকক্ষণ চোখ বন্ধ করে সে ওই লাভা গ্রহণ করেছিল জিভ দিয়ে।

ইনেজ তখন পুলকের চরম শিখরে পৌঁছে গেছে। নিঃসরণের মুহূর্তটি অতিবাহিত হয়ে গেল। সমস্ত শরীরে নেমে এল অনিবার্য অবসাদ।। মেয়েটি তখন একটু একটু করে রােমাঞ্চিত হতে শুরু করেছে। এখনই ইনেজ আর উদ্দীপ্তা হতে পারবে না—মেয়েটির কাছে এই শােকসংবাদ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে। হায় রে মানুষের ভাগ্য, কীভাবে সে সবথেকে সুখী হবে, সেই রহস্যটা তার জানা নেই। আর সেইজন্য বােধহয় সে প্রতি রাতে এইভাবে সুখ পাবার ব্যর্থ চেষ্টা করে। শেষপর্যন্ত হয়তাে চরম উদ্দীপ্ত হয় না তার হৃদয় আর তখনই অবসন্নতার কালাে মেঘ উড়ে যায় হতভাগ্য। মানুষের মনের আকাশে।

শেষ অব্দি ওরা সমকামিতার চরম শিখরে উঠে গিয়েছিল। দুজনেই তখন মানসিক দিক থেকে বিকৃত হয়ে গেছে। সত্যি কথা বলতে কী, পাশা আবদাল্লার যৌবন এখন আর ইনেজকে তৃপ্ত করতে পারে না। এমনকী যখন পাশা আবদাল্লার স্ফীত পুংদণ্ডটা ওর যােনিগহ্বরে প্রবেশ করে, যখন বাজনার তালে তালে পাশার শরীরটা নাচতে থাকে ওর ওল্টানাে শরীরের ওপর, তখনও ইনেজের কেবলই মনে পড়ে যায় ওই মেয়েটির কথা। ওই মেয়েটির এমন এক অহঙ্কার নেই—একথা সত্যি, কিন্তু ভালােবাসার আশ্লেষে সে পৃথিবীর সকলকে হারিয়ে দেবে।…..

……….শেষ অব্দি ইনেজ নিজেই এগিয়ে এল। নিজের সরু সরু আঙুলগুলাে দিয়ে আমার অন্তর্বাসের ইলাস্টিক আলগা করে দিয়েছিল। শেষপর্যন্ত সেটিকে ধীরে ধীরে টেনে কোমর থেকে নিচে নামিয়ে পায়ের ওপর ফেলে দিয়েছিল। ইনেজসহ সকলে আমার উত্থিত শিশ্নটি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল। কেউ কেউ তখনই শিহরণের শব্দ প্রকাশ করতে থাকে। কেউবা নীরবে আমার সেটিকে অবলােকন করে। ওদের সকলের দৃষ্টি তখন নিবদ্ধ হয়েছে আমার ওই লিঙ্গটির ওপরে। একসময় ইনেজের হাতটা সেখানে নেমে এল।ও হাতের মুঠোয় আমার লিঙ্গটিকে গ্রহণ করল। তার উত্তাপ অনুভবের চেষ্টা করল। আমার ওটি কত বলিষ্ঠ, সেটা বােধহয় বুঝতে চাইল ইনেজ! এমন একটি বলিষ্ঠ লিঙ্গের সন্ধানে ও এতদিন নিমগ্ন ছিল। আহা, আবেশে চোখ দুটি বন্ধ করেছে ও! তারপর চোখ খুলল। চোখের দৃষ্টি আগের থেকে অনেক উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। তারপর উপস্থিত সকলকে অবাক করে দিয়ে ও একটা অদ্ভুত। কাজ করে বসেছিল। ও হাঁটু মুড়ে বসল। আমার কোমরের কাছে মাথা নামিয়ে আনল। আর ওই পুংদণ্ডটিকে আদর করল পাগলিনীর মত। বারবার চুমু খেয়েও মনে হল ওর বাসনা। বােধহয় শেষ হচ্ছে না। এখন যদি ও ওটিকে নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে চোষণ করতে পারতাে, তবেই বােধহয় ওর এই অসীম উত্তেজনার প্রশমণ ঘটে যেত।

সহচরীরা ওর এই দুঃসাহসিক কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল! একটুবাদে ওরা সম্বিত ফিরে পেল। ওরা হেসে উঠল।ওদের মধ্যে থেকে একটি চপলা মেয়ে বলে ওঠে-‘ইনেজের বােধহয় আর তর সইছে না। যা সই, তাের ঘরে দরজা বন্ধ করে যা খুশি কর। আমাদের সামনে কেন এমনটি করছিস! আমাদের মনের ভেতর ঝড় উঠছে। আমরা যদি সবাই একসঙ্গে ভদ্রলােকের ওপর হামলে পড়ি, তাহলে কী হবে বল তাে? তাহলে ওর শিশ্নটি আঘাত পাবে। তুই আর তাজা মাল পাবি না।….

….তখন চারপাশে কী ঘটছে সে ব্যাপারে ইনেজ বিন্দুমাত্র চিন্তা করছে না। পরিপূর্ণভাবে তৃপ্ত না হওয়া পর্যন্ত ও নিজের কাজে মগ্ন রইল। তারপর উঠে দাঁড়াল ইনেজ। ইনেজের মুখে আমার লিঙ্গ ভীষণভাবে ছটফট করছিল। এই প্রথম সে বুঝি এক বিদেশিনী আমােদিনীর হাতের পরশ পেয়েছে। তার ওপর চুমু খেয়ে খেয়ে সেটি উদ্দীপ্ত হয়ে উঠেছিল। সেটি এখন একটি নিশ্চিত গহ্বরের সন্ধানে মগ্ন। তাকে যে করে তােক সেই জায়গাতে পৌঁছে দিতেই হবে। তার প্রতি আমি ইনেজের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম। ইনেজ হাসল।

ইনেজ আমার পাশে এসে দাঁড়াল। বলল, আমি বুঝতে পারছি, তুমি এখন সঙ্গম করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। কিন্তু বন্ধু, একবার রস বেরিয়ে গেলে তাে বেশ কয়েক ঘণ্টা নিশ্চিন্তি। তার আগে এসাে, একে একে আমার সহেলীদের সঙ্গে তােমার পরিচয় করিয়ে দিই। তবে আমার সঙ্গেই তােমার প্রথম পরিচয় হবে। হ্যা, আমরা তাে মুখে মুখে কথা বলব না, আমাদের সমস্ত শরীর মেতে উঠবে অন্তরঙ্গ আলাপনে।

আমি এবার উঠেছি। আমার দৃপ্ত পৌরুষের চিহ্ন তখনই প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে ওদের চোখে আমি এক বৃহন্নলা হিসেবে পরিগণিত হব। আমি একে একে ওদের সকলের ঠোট স্পর্শ করলাম। লালাসিক্ত চুম্বন উপহার দিলাম। যারা আমার পােশাক মুক্ত করতে এসেছিল, তাদের সকলকেই এভাবে আমি আনন্দ দিয়েছিলাম।…..

….ধীরে ধীরে ওরা নিজেরাই নিজেদের নিরাবরণ করতে শুরু করে। খসে যায় ভেলভেটের টপ। অন্তর্বাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বুকদুটি তখনও উন্মুক্ত হয়নি। পিঠে হাত রেখে ওরা ফাস খুলে দেয়। সিল্কের স্কার্ট মেঝের ওপর পড়তে থাকে। সবশেষে ওদের নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাসও খুলে গেল। আহা, পুরুষের চোখে মেয়েদের যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি সবথেকে মহার্ঘ,
সেগুলি উন্মুক্ত করে ওরা এখন আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সামনে মূল্যবান সম্পদের ডালি। আমি কি সত্যি বেঁচে আছি, নাকি হারিয়ে গেছি দূর অতীতে? আমি কি স্বপ্ন দেখছি, নাকি স্বর্গের প্রাসাদে এসে আমার স্বপনচারীদের সাথে মিলিত হবার বিরলতম সৌভাগ্য অর্জন করেছি?

তখন আমি এক সম্মােহিত মানুষের মতাে হয়ে গিয়েছিলাম। আমার সামনে ন’জন নগ্নিকা সুন্দরী। রূপের প্রতিযােগিতায় ওরা একে অন্যের প্রতিদ্বন্দিনী হতে পারে। পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য যেন সেই ঘরের ভেতর শােভা পাচ্ছিল। কমলালেবুর কোয়ার মতাে ওদের রক্তিম ওষ্ঠ, অস্ফুট পদ্মফুলের মতাে ওদের সুউচ্চ স্তনদ্বয়; সেখানকার খাঁজে এক অজানা আকর্ষণ!

আমি আমার চোখ নামিয়ে নিলাম। ত্রিভুজের নরম ঢালে এসে দৃষ্টি আটকে গেল। আমি কখন সেই গহিন গভীর উপত্যকায় প্রবেশ করব? আমার চোখের সামনে নটি নারীদেহ যেন ন’টি আগ্নেয়গিরি! উষ্ণ লাভা নির্গত হচ্ছে। সেই অনিন্দ্যসুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে কিছুক্ষণের জন্য আমি বাকহারা হয়ে গিয়েছিলাম।…….

………পিঙ্গলকেশী একটি মেয়ের দিকে আমার আলাদা করে নজর পড়ে গিয়েছিল। মেয়েটি উনিশ বছরের এক স্প্যানিশ সুন্দরী। অন্য সকলের থেকে ওর সৌন্দর্য একটুখানি আলাদা।

সব মেয়েদের থেকে একটু উর্ধ্বে ওর অবস্থান। ওর গােলগাল চেহারাটি উচ্চতার সঙ্গে বেশ মানিয়ে গিয়েছে। ওর গায়ে হলুদ রঙের ভেতর দুধের সরের আভা আছে। সবথেকে অবাক করা হল ওর পুরুষ্ট স্তনদুটি। তার অগ্রভাগ লাল গােলাপের মতাে।

সিল্কের একটি কুশনের ওপর ও একা দাঁড়িয়েছিল। সারা ঘরে এই ধরনের অসংখ্য কুশন ছড়ানাে আছে। কিন্তু অন্য কোনাে মেয়ে ওই উচ্চ আসনে আসীনা ছিল না। একটু উঁচুতে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে লম্বায় ও আমার কাছাকাছি চলে এসেছিল। আমি এগিয়ে গিয়ে ওর নগ্ন দুটি বুককে সজোরে আকর্ষণ করলাম।….

….আহা, সেই স্পর্শ আমাকে উন্মাদ করে তুলেছিল। আমি অকপট হাসি দিয়ে ওর সেই আদরকে স্বীকৃতি জানাবার চেষ্টা করেছিলাম। চুম্বনের জন্য ইনেজ ওর মুখখানি ওপরদিকে তুলেছিল। এই চুম্বন হল দীর্ঘায়িত। কত সময় প্রবাহিত হল, আমরা তা বুঝতে পারিনি। ও আমার কোমরের সঙ্গে ওর কোমরটিকে সংযুক্ত করল। আমার শিশ্নের পরশ পেয়ে ও পুলকিত হয়ে উঠেছে।

তারপর ও আমাকে দেওয়ালের সঙ্গে ঠেস দিয়ে দাঁড়াতে বলল। আর নিজে আমার পায়ের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়াল। বুড়াে আঙুল উঁচু করে আমার সমান উচ্চতা পাবার চেষ্টা করল। ওর দুটি উরু যাতে আমার উরুর সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে, তারই প্রয়াসে মগ্না রইল কিছুক্ষণ। তারপর ও আমার কোমর জড়িয়ে ধরল। আমার নগ্ন জঙ্ঘাতে এমন চাপ দিল যে আমার মনে হল এখুনি বােধহয় প্রবল বেগে বীর্য উৎক্ষিপ্ত হবে। এই অবস্থায় আমরা দুজন তখন পরস্পরকে চুম্বন দিচ্ছি। ইনেজের মনে হয়েছিল, আমি বােধহয় ওর মনের মানুষ। আমার অন্বেষণে বৃথাই কেটে গেছে ওর যৌবন দিনগুলি। অনেক বছর বাদে ও শেষপর্যন্ত প্রার্থিত প্রেমিক পুরুষের সন্ধান পেয়েছে। আমিও বােধহয় চোখ বন্ধ করে তখন আমার প্রথম প্রেমিকার কথাই ভাবছিলাম। ভাবছিলাম সেই প্রেম কোথায়, যা আমাকে স্বর্গের আনন্দ দেবে? যা আমাকে কঠিন এই পৃথিবী থেকে অন্য কোথাও নিয়ে যাবে?

তখনই ইনেজ একটা অদ্ভুত কাণ্ড করে বসল।ও ওর শরীরে মধ্যে তরঙ্গ জাগালাে। সেই তরঙ্গ আমাকে স্পর্শ করল। আমরা দুজন সঙ্ঘবদ্ধাবস্থায় শরীরটাকে এদিক ওদিক করার চেষ্টা করলাম। আহা, ছেনালবতী নারীরা এত যৌনসুখ দিতে পারে? এ ছিল আমার অভিজ্ঞতার বাইরে!…..

…..তখন আমি আমার সােনার কাঠিটিকে একেবারে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। সহসা আমার মনে হয়েছিল, সেটি বােধহয় এক খাপখােলা উজ্জ্বল তরবারি। ও সেটিকে সাদরে গ্রহণ করল। আমি ওর নিতম্বে হাত দিয়ে ওকে আরাে সামনের দিকে টেনে নিলাম। ইনেজ আমাকে সজোরে আকর্ষণ করল। দুটি শরীরে ঘর্ষণ-সুখ জাগলাে। ও হাত দিয়ে অনুভব করল আমার ফলাটিকে। এক হাতের মুঠোয় সেটিকে অনেকক্ষণ ধরে রইল। তারপর পায়ের ওপর ভর দিয়ে আমার কাছাকাছি চলে এল। শেষ অব্দি ও আমার পায়ের ওপর বেশ আরাম করে দাঁড়াতে সমর্থ হয়েছিল। আমি ইতিমধ্যে ওর নাভিমূলে হাত বােলাতে শুরু করে দিয়েছি। একটু একটু করে উরুসন্ধিতে পৌঁছে গেলাম। আমার হাতের স্পর্শ পেয়ে ও দুটি উরুকে প্রসারিত করেছিল। ইতিমধ্যেই ও আমার ক্রমশ বাড়তে থাকা লিঙ্গটির আয়তন বােঝার চেষ্টা করেছে। যখন দেখল সেটি এতখানি বড়াে হয়ে উঠেছে, অদ্ভুত একটা আনন্দ ও পরিতৃপ্তির ছাপ ফুটে উঠেছিল ওর সমস্ত মুখমণ্ডলে। কামাতুরা হয়ে উঠেছিল বেচারি ইনেজ! ওর আর দোষ কী? আমার এই লিঙ্গটি যদি এত বড়াে হয়ে ওঠে, তাহলে যেকোনাে যুবতীই তাে চাইবে সেটিকে গ্রহণ করতে! | এসময় হঠাৎ কে যেন ঘরের মধ্যে জ্বলতে থাকা প্রদীপ শিখাটিকে কমিয়ে দিল। আবছা অন্ধকারে সমাচ্ছন্ন হল চারপাশ। আমি বেশ বুঝতে পারলাম, ইনেজের চোখে মুখে উদগ্র সঙ্গম-ইচ্ছা পরিস্ফুটিত হয়েছে। ওর স্নায়ুমণ্ডলী প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে উঠেছে। আমি ওর বুক দুটিকে দলাই মলাই করে দিচ্ছি। আমি সে-দুটিকে একবার যুক্ত করছি আমার আঙুলের অদ্ভুত কারুকাজে, পরক্ষণেই তা ছেড়ে দিচ্ছি। শিথিল হতে হতে সেগুলি আরাে দৃঢ় হয়ে উঠছে। আঃ ইনেজ, তুমি কি আমার জন্ম-জন্মান্তরের সহচরী!

এবার আমাকে চরম মুহূর্তের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমি অতি দ্রুত ইনেজের গহূরে নিজেকে প্রবিষ্ট করালাম। ইনেজের সমস্ত শরীর তখন আনন্দের পুলকে শিহরিত হয়ে উঠেছে। পায়ের পাতা থেকে মাথার চুল পর্যন্ত জেগেছে এক অদ্ভুত কাপন।

আবেশের অস্থিরতায় ইনেজ ছটফট করতে থাকে। সে বলে ওঠে—‘অতি দ্রুত তােমার তরী ভাসিয়ে দাও বন্ধু, আমি যে আর থাকতে পারছি না।

আমাদের এই সঙ্গম দৃশ্য দেখে অন্য যুবতীরা তখন আনন্দে অধীর হয়ে উঠেছে। তারা আমাদের চারপাশে জড়াে হয়েছে। ওদের চুম্বন আমার ঘাড়ে, গলায় ঝড়ে পড়ছে অবিরাম বৃষ্টির মতাে। আমার পেছনে এবং কোমরের দুপাশে ওদের স্তনের বোঁটার চাপ আমি স্পষ্ট অনুভব করতে পারছি। কেউ কেউ পেট দিয়ে আমার পিঠ ঘষার চেষ্টা করছে। এভাবে ওরা আমাকে আর ইনেজকে ঘনসন্নিবিষ্ট অবস্থায় রেখেছে। দুপাশ থেকে আমরা নরম তুলতুলে মাংসপিণ্ডের চাপ অনুভব করলাম।

ইনেজের তাগিদে শেষ অব্দি আমাকে আরাে বেশি সক্রিয় হতেই হল। মুখ দিয়ে অদ্ভুত শিৎকারের শব্দ করছে বেচারি ইলেজ! আমার রিরংসার ফলাটিকে নিজের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রবিষ্ট করাতে চাইছে। তৃপ্তির সর্বোচ্চ শিখরে উঠতে চাইছে। যেখানে ওর জন্য রাশি রাশি সুগন্ধি গােলাপ ফুটে রয়েছে। আহা, এত আদর কোথায় ছিল ইনেজ! এত সােহাগকে তুমি কোথায় লুকিয়ে রেখেছিল? কার কাছে তুমি যত্নে শিখেছাে শৃঙ্গারের এই হাজার কারুকাজ!

যৌবনের সমস্ত ছলাকলা দিয়ে ইনেজ আমার মন ভরিয়ে তুলেছে। চুম্বনে চুম্বনে রক্তবর্ণ হয়ে উঠেছে আমার ওষ্ঠদুটি। আমি একবার ওর স্তনবৃন্তে আমার ঠোটের পরশ রাখছি, আবার পরক্ষণেই আমার ঠোট দিয়ে ওর ঠোটদুটিকে চাটার চেষ্টা করছি। আহা, বৃষ্টিস্নাত পাতার মতাে হয়ে উঠেছে এখন ওর পরিপুষ্ট স্তনদুটি। দেওয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে ও আমার উরুর দুপাশে দুটি পা-কে ছড়িয়ে দিয়েছে। রক্তিম আভায় চিবুকে লেগেছে গােধূলির লজ্জা। চোখদুটি বুজে এসেছে ভালােবাসার স্বপ্নিল আবেশে। একটুবাদে ও আমার ঠোট থেকে ওর ঠোট দুটিকে সরিয়ে নিল। আহা, আমার সমস্ত উত্তাপ তখন বিন্দু বিন্দু বৃষ্টিকণা হয়ে ঝরে পড়ছে ইনেজের অভ্যন্তরে!…..

…..মৃদু আলােয় ওদের পায়ের গােছ দুলছে। ওদের স্তনজোড়াতে জেগেছে এক অদ্ভুত স্পন্দন। ইনেজের ভরাট স্তন-বিভাজিকায় মুখ রেখে আমি রূপকথার দেশের নৃত্য-পরীদের ওই বিনােদন ভােগ করতে থাকি। আহা, যেন ঝলসে যাচ্ছে, ওদের হিরে জহরত! ওদের প্রত্যেকের বেশ সুবিন্যস্ত হয়েছে। শরীরের সৌন্দর্যময় অংশগুলাে কিন্তু তাতে মমাটেই আবৃত হয়নি! ওদের স্তনের শােভা চোখের সামনে পরিস্ফুটিত হয়েছে।
আমি বললাম—ওগাে সুন্দরীরা, তােমরা এভাবেই হাত তুলে নৃত্য প্রদর্শন করতে থাকো, আমি এই মুহূর্তে যে দৃশ্যগুলি অবলােকন করছি, তা থেকে আমাকে বঞ্চিত করাে না।

দুই
আমি ইনেজ—আমার জীবন, আমার যৌবন

…..সেদিন সন্ধ্যায়ও ভেবেছিলাম এভাবেই স্নান করে আমার মনের সমস্ত জ্বালা জুড়িয়ে দেব। প্রথমেই আমি আমার সব আবরণ খুলে ফেললাম। সুগঠিত দুটি স্তন পরিষ্কারভাবে দৃষ্টিগােচর হল। এবার নিম্নাঙ্গের আবরণে হাত দিলাম। সম্পূর্ণ নিরাবরণা হয়ে জলে নামলাম। মনের আনন্দে স্নান করলাম।
সরােবর থেকে উঠে এসে পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলাম আম্রকুঞ্জের তলায়। প্রমাণ সাইজের একটি তােয়ালে সবসময় সেখানে থাকে। সেটা দিয়ে কোনােরকমে আমার উদ্ধত বুকদুটিকে চাপা দিয়ে তখন আমি ইতস্তত পদচারণা করছি। আবার কী মনে হতে স্নান করলাম। আধঘণ্টা স্নানের পরেও আমার দুঃখ গেল না।…..

…..নীচু গােলাপ-বাগানের তলায় রচিত হল আমাদের ফুলশয্যা। ও ঘাসের গালিচার ওপর আমাকে শুইয়ে দিল। ও নানাভাবে আমাকে আদর করতে থাকল। একবার ও আমাকে ওর কোলের ওপর বসালাে। আমার ঠোট, চোখ আর চিবুকে চুমু খেল।….ক্রমশ দেখলাম কামনাতে সে আরাে বেশি উদগ্র হয়ে উঠেছে। এতক্ষণ পর্যন্ত সে শুধুমাত্র আমার মুখমণ্ডলে চুমুর বৃষ্টিধারা বর্ষণ করেছিল। এবার ঘাড়ের চারপাশে চুমু দিল। কাঁধের ওপর এঁকে দিল চুম্বনের আলপনা। অবশেষে সে আমার বুক থেকে সরিয়ে দিল তােয়ালের আবরণ। আমার দুটি উদ্ধত স্তনের দিকে অপলক নয়নে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ। তারপর সাগ্রহে চুমু খেতে থাকল। একটুবাদে সে অন্যভাবে আমাকে আদর করতে থাকল।

যখন সে আমার স্তনের ওপর মুখটা নামিয়ে আনল, তখন সমস্ত শরীরে একটা অনাস্বাদিত আনন্দের প্লাবন শুরু হয়ে গেছে। সে যখন স্তনবৃন্তটিকে তার মুখের ভেতর পুরে দিল, আমার মনে হল, পৃথিবীর সমস্ত সুখ এখানেই লুকিয়ে আছে। আমার উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকল।…..অবশেষে সে আমার নিম্নাঙ্গটিকেও অনাবৃত করার চেষ্টা করল। তখনও সেটা তােয়ালের আচ্ছাদনে ঢাকা ছিল। এবার নারীত্বের সবথেকে বড়াে অহঙ্কার উন্মুক্ত হবে।……এই শরীর সংযােগকে অবৈধ সঙ্গম হিসেবে চিহ্নিত করবে। কিন্তু কারলােজকে আমি কখনােই দূরে ঠেলে সরিয়ে দিতে পারব না।……একথা ভাবার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনােজগতে অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটে গেল। আমি নিজেই আমার নিম্নাঙ্গটিকে অনাবৃত করে দিলাম। আমার কাছ থেকে প্রশ্রয় পেয়ে কারলােজ এবার সে বুঝতে পারল, ঠিক জায়গাতেই সে আঘাত করেছে। আমার শরীরটাকে সে ঘাসের গালিচার ওপর শুইয়ে দিল।…..

…..কারলােজ আমার শরীরটাকে তুলে ধরে একটি আমগাছের গুড়ির কাছে শুইয়ে দিল। আমি তখন একেবারে উলঙ্গ হয়ে গেছি। সে আমার নগ্ন উরুর মাঝখানে বসল। এবার সে নিজেকে উন্মুক্ত করতে শুরু করেছে। শার্ট খুলে ফেলল। তার সুগঠিত পেশীবহুল চেহারা দেখে আমি মনে মনে আনন্দিত হয়ে উঠেছি। গেঞ্জিটাও খুলে ফেলল। ট্রাউজার খুলে ফেলল। এবার সে অন্তর্বাসে হাত দিয়েছে। এতক্ষণ আমি তাকিয়ে তাকিয়ে তার সৌন্দর্য অবলােকন করছিলাম। যেই সে তার অন্তর্বাসটি খুলতে গেছে, তখন লজ্জাতে আমি চোখ বন্ধ করলাম। আমি জানি, এবার সে কী করবে! সেই কাল্পনিক দৃশ্যটি তখন আমার মনের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে। আমার লজ্জা আকাশ ছুঁয়েছে।

কারলােজ এবার তার মুখটাকে ধীরে ধীরে নামিয়ে এনেছে আমার বুকের দুটি সুউচ্চ চূড়ার মাঝখানে। তারপর সে আমার তলপেটে মুখ রেখেছে। উরুসন্ধিতে আদর করেছে। চুম্বন দিয়েছে। এতক্ষণ ধরে আমার সেখানে জেগেছিল এক অদ্ভুত দহন জ্বালা। আমাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে শৃঙ্গার করেছে কারােেজ। তার ফল তাে এভাবেই ফলবে।শেষ অব্দি সে তার নগ্ন দেহটা আমার দেহের সাথে লেপটে দিল। আমার পায়ে পা ঘষতে শুরু করল। এক দাঁতাল শুয়ােরের মতাে পেটে পেট ঘষলাে।….

…সে যাতে ভালােভাবে তার দণ্ডটিকে আমার মধ্যে প্রবেশ করাতে পারে, তাই আমি আমার দুই উরুদুটোকে দু-পাশে ছড়িয়ে দিলাম। তখনও পর্যন্ত আমি কিন্তু ছিলাম এক অপাপবিদ্ধা কুমারী কন্যা। তবু কীভাবে আমি শরীরের সেই বিচিত্র ছলাকলা দেখিয়েছিলাম!

শেষ অব্দি আমার মধ্যে এক অদ্ভুত নিস্পৃহতা ফুটে বেরিয়েছিল। এই নিস্পৃহতার মধ্যেই আমি অনুভব করলাম, আমার দুই উরুর মাঝখানে একটি সচল মাংসল দণ্ডের উপস্থিতি। উষ্ণ কাঠিন্যের স্বাদ পেলাম আমি। এর আগে আমার গােপন গহূরে কোনাে কিছু এভাবে প্রবিষ্ট হয়নি। এতদিন ধরে তা কুমারী কন্যার মতাে জেগেছিল একা একা। তারই মধ্যে যৌন উত্তেজনা বেশি হলে আমি আঙুলের ঘর্ষণে তাকে শান্ত, প্রশমিত করার চেষ্টা করেছি, একথা সত্যি। কিন্তু কখনাে কোনাে পুরুষদণ্ড এভাবে তাকে আদর করেনি।

আমার মধ্যে কারলােজ তার অহঙ্কারের দণ্ডটিকে পরিপূর্ণ ঢুকিয়ে দিল। সে ভেবেছিল, আমি হয়তাে শেষপর্যন্ত প্রতিরােধের একটা প্রাচীর নির্মাণে ব্রতী হব। কিন্তু সে যখন দেখল আমি ইচ্ছে করেই প্রবেশ পথটিকে পরিষ্কার রেখেছি, আনন্দের বিহ্বলতায় সে মত্ত মাতাল হয়ে উঠেছিল। তাকে অবশ্য আমার দেহের একটা পাতলা পর্দাকে সরাতে হয়েছিল। অরপরই উত্তাপে গলে গলে পড়লাে তার যৌবন। তবে প্রথম উপবেশনে সুখের থেকে বেশি অনুভব করেছিলাম তীব্রতম বেদনা। | ব্যাপারটা শেষ হয়ে গেল। শ্রান্ত ক্লান্ত কারলােজ তখন লম্বা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলছে। আমার বুকের ওপর ঢলে পড়ল সে। তখনও সে হাঁফাচ্ছিল।….

……একটু পরেই সে আমার ঘরে এসে প্রবেশ করল। জানালাটা বন্ধ করে দিল। কোথাও কোনাে আলাে জ্বলছে না। চাদের আলাে থেকে যেটুকু আভা বেরােচ্ছে, তাতে চারপাশ কেমন যেন মায়াময় বলে মনে হচ্ছে। সে এসেই আমাকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করল। বার বার আমরা চোখ দিয়ে পরস্পরের সৌন্দর্যসুধা পান করতে থাকলাম। একে অন্যকে তখন পাগলের মতাে আদর করছি। বেশ বুঝতে পারছি, আমার পােশাকের নিচে ঘুমিয়ে থাকা স্তনদুটি তার বুকের চাপে নিষ্পেশিত হচ্ছে। তবে এখন আর যন্ত্রণার কোনাে নীরব অভিব্যক্তি নেই। এখন সবটাতেই সুখের আনন্দ। আমাদের কারাের মুখে তখন কোনাে কথা ছিল না।….আমার দুই উরুর সন্ধিস্থল তখন ভিজে উঠেছে। আমি সেই আদ্রর্তাকে অনুভব করতে পারছি।….

……এবার আমি নিজের হাতে জামার বােতাম খুলে দিলাম। সেটাকে কারলােজ একটানে পায়ের নিচে ফেলে দিল। এক ফাকে আমি তার বাহুবন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে সক্ষম
কারলােজ মাঝে মধ্যে আমাকে জরিপ করছে। তার দৃষ্টি থেকে ঝরে পড়ছে ভালােলাগার তীব্র চাউনি। তার চোখের তারা দেখে মনে হচ্ছে সে যেন দুষ্টুমিতে মেতে উঠতে চাইছে। সে আদরে আদরে আমার সর্বাঙ্গকে সােহাগ-সিক্ত করে দিল।কখনাে চুমু দিল আমার ঠোট দুটিতে। কখনাে গালে দিল তার চিবুকের পরশ। আবার কখনাে আমার দুটি স্তনবৃন্তকে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিল।….

…এই কথাটা মনে হতেই আমি বিছানার চাদরের নিচ থেকে বেরিয়ে এলাম। আমার সম্পূর্ণ নগ্ন দেহ তখন কারলােজের চোখের সামনে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। আড়চোখে তার মুখের দিকে তাকালাম। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম, এখন তার সমস্ত শরীর কামনার আগুন শিখায় দগ্ধ হচ্ছে। তার দৃষ্টি ক্রমশ নামছে আমার উদ্ধত স্তন থেকে তলপেট এবং জঙ্ঘাতে।
অন্তর্বাসটার দিকে আমি তাকিয়ে থাকলাম। ইলাস্টিকে টান দিতে সেটা হাঁটুর নিচে নেমে এল। কঠিন একটা ইন্দ্রিয় এসে আমার হাতে আঘাত করল। আমার সমস্ত শরীরে বুঝি বিদ্যুতের চমক! আমি শিউরে উঠলাম। আহা, এই একটি বস্তুর জন্য পৃথিবীর সমস্ত মেয়ে লালায়িত হয়ে অপেক্ষা করে। আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে ওটাকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকলাম। সত্যি কথা স্বীকার করছি, কারলােজের ওটি আকারে বেশ বড়াে, তাতে বলিষ্ঠতার চিহ্ন আছে। মেয়েরা তাে এমনই একটি পুরুষ্ট দণ্ড পছন্দ করে।…..

….পরক্ষণেই আমার মনটা ভীষণ বিষন্ন হয়ে গিয়েছিল। অমি একটা ছােট্ট দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। আহা, ঈশ্বরের অনুগ্রহে আমি এমন একটি সচল খেলনা পেয়েছিলাম, প্রতি রাতে তার সাথে হত আমার নিত্যনতুন অভিসার। অথচ, মা-বাবার ইচ্ছেতে আমাকে সেই খেলনাটা হারাতে হচ্ছে। আমি জানি, এর পরিবর্তে আমি আর একটি খেলনার সন্ধান পাব, সেই খেলনাটি নিয়ে রাতের পর রাত খেলার অধিকারও আমি পাব দরজা বন্ধ করে। কেউ উঁকি মারবে না। কেউ ভৎসনা করবে না। কিন্তু ওই খেলাতে আমার মন কখনােই আনন্দে পরিপূর্ণ হবে না। যখনই আমি আমার ভাবী স্বামীর পুংদণ্ডটি দেখব, তখনই কারলােজের এই দণ্ডটির কথা মনে পড়ে যাবে আমার। একটা অহেতুক তুলনা করার ইচ্ছে হবে আমার। মন থেকে সঙ্গমের সমস্ত অভিলাষ হারিয়ে যাবে। আমি একটা জড় যৌন পুতুল হয়ে শুয়ে থাকব!…..

…..আমাদের দুজনের শরীরের লাভা ততক্ষণে গলতে শুরু করেছে। কারলােজ ঠিক এই অবস্থায় এক-পা এক-পা করে আমার দিকে এগিয়ে এল। আমার ঠোটে একটা দীর্ঘ চুম্বন এঁকে দিল। ভীষণ দুষ্টু ছেলেটা!দাঁত দিয়ে আমার ঠোটের এখানে সেখানে দংশনের দাগ দিতে শুরু করেছে। এবার কায়দা করে দুটি স্তনবৃন্তে ধারাবাহিকভাবে চাপের সৃষ্টি করল। মুচড়ে দিল বৃন্তদুটিকে। সেই মােচড়ের মধ্যে একটা অদ্ভুত সুখ আছে। ও আমার দুই উরুকে দুটি দিকে প্রসারিত করল। আমি বুঝতে পারছি, এবার একটা কঠিন অথচ নরম বস্তু আমার গহ্বরে প্রবেশ করবে। আমি আবেগের আতিশয্যে চোখ বন্ধ করলাম। আজ আর বিছানায় শােবাে না আমরা। এই অবস্থাতেই একে অন্যকে চরম সুখ দেব।…..

…..ধীরে ধীরে তার দণ্ডটা আমার গহ্বরের মধ্যে পুরাে প্রবিষ্ট হল। যােনির দেওয়ালে গিয়ে সেটি বার বার ধাক্কা দিতে লাগল। সুখ তখন আমার কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আনন্দে আমার শরীরটা দুলছে। এবার আর তাকে বেশি কিছু করতে হচ্ছে না। আমি এখন আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছি, দু’হাতে আমার প্রেমিকের গলা জড়িয়ে ধরে তাকে আমি সজোরে খাটের দিকে আকর্ষণ করলাম। তখন আমি পাগলিনীর মতাে তাকে চুম্বন দিচ্ছি। দাঁতে দাঁতে ঘর্ষণ জাগছে। আমি বােধহয় সম্মােহিত হয়ে গেছি। এত শক্তি কে এনে দিয়েছে আমার শরীরে? আহা, আম্রকুঞ্জের সেই প্রথম মিলনের কথা মনে পড়ল। তখন আমি ছিলাম লজ্জায় জড়ােসড়াে। তার সেই আগ্রাসী ভালােবাসার প্রত্যুত্তর দিতে পারিনি। আজ মনে হল, আমি কারলােজকে সুদে-আসলে সব মিটিয়ে দেব। আহা, সেদিনের রক্তক্ষয়জনিত ক্ষত আজ সম্পূর্ণ নিরাময় হয়ে গেছে। এখন আমি নতুন উদ্যমে আমার বিবরের মধ্যে এই দণ্ডটিকে নিয়ে যা খুশি তাই করতে পারি। কিন্তু কুমারীসুলভ লজ্জা তখনও একটু অবশিষ্ট ছিল। বুঝি গােধূলির শেষ রক্তরাগ!

এক মুহুর্তের জন্য স্থির হয়ে ছিল করলোজ। তারপর প্রবল উৎসাহে ঝাপিয়ে পড়ল। তার দণ্ডের এক-একটি স্পন্দন আমাকে গভীর সুখের সাগরে নিমজ্জিত করেছে। সঙ্গমে যে এত আনন্দ আছে, কারলােজ না থাকলে আমি তা বুঝতে পারতাম না। …. এবার করলোজের দন্ডটি ভীষন রেগে গেছে। সে বুঝি বিস্ফোরন ঘটাবে। শুরু হয়ে গেল উদঘিরন। তরল লাভা স্রোত নির্গত হচ্ছে, একই সময়ে আমার শরীর থেকেও উষ্ণ লাভা বাইরে বেরিয়ে এল। এই প্রথম আমি চরম সুখ প্রাপ্তির প্রার্থিত মুহূর্তে পৌঁছে গেলাম। আঃ, চরম রতি কি একেই বলে?

আবেশে আমার হাত দুটি তখন শিথিল হয়ে এসেছে। কারলােজের গলা থেকে আমি নিজেকে বিচ্ছিন্ন করলাম। তারপর আমার মধ্যে একটা প্রচণ্ড ভাবােচ্ছাসের সৃষ্টি হয়েছিল।
আমি তখন আবার নতুন করে কারলােজকে চুমু দিচ্ছি। কিন্তু এই চুম্বনের মধ্যে উদগ্র বাসনা নেই। এখানে আছে ভালােবাসার এক পরম করুণাঘন আর্তি, যা মানুষকে মহাকাশের পথিক করে দেয়!

দীর্ঘ সময় ধরে আমরা এভাবেই শুয়ে ছিলাম। দুটি শরীর সম্পূর্ণ নগ্ন। কিন্তু কেউ কাউকে আর বাসনার দংশনে দংশিত করতে চাইছে না। আমার কেবলই মনে হচ্ছে, ঈশ্বরের কাছ থেকে আর কয়েকটি মুহূর্ত ভিক্ষা করে নিলে বােধহয় ভালাে হত। একটু বাদে কারলােজ চলে যাবে, সেকথা ভাবতেই আমার বুকের ভেতরটা কেমন এলােমেলাে হয়ে গেল।
হঠাৎ কারলােজ এগিয়ে এসে আমার বুকের ওপর শুয়ে পড়ল। আমার দুটি ভরাট স্তনবৃন্তের ওপর তার পুরুষ্ট পেশিবহুল চেহারার ভার আমি অনুভব করলাম। আমার গগাপনাঙ্গের সঙ্গে তার লিঙ্গরাজ সংযুক্ত হয়েছে। আহা, এত আবেগ কোথায় লুকিয়ে ছিল?…..

…কারলােজ এই ব্যাপারে সক্রিয় উদ্যোগ নিয়েছিল। সে সােৎসাহে বলেছিল—আমাকে কীভাবে প্রসারিত করতে হবে পা-দুটিকে। তারপর যখন সে সত্যি সত্যি তার উন্নত ওই অহঙ্কারটিকে আমার মধ্যে প্রবেশ করাল, আমার মনের ভেতর যে কী অবস্থা হয়েছিল, শব্দের সাহায্যে আমি তা বুঝিয়ে বলতে পারব না। মনে হল জীবন ও যৌবনের সব রহস্য
থাকে। তারপর কী এক অদ্ভুত কায়দায় হাতের কারুকাজ করতে থাকে আমার স্ত্রী-অঙ্গে। দুটি গহুর এইভাবে স্পর্শিত হচ্ছে। সুখ উথলে উঠেছে বুঝি! , সেই রাতে আমরা মােট পাঁচবার পরস্পরের সাথে মিলিত হয়েছিলাম। শেষ অব্দি আমি এক বাঘিনীর মতাে ক্ষুধার্ত হয়ে যাই। কারলােজকে শেষবারের সময় একটু ক্লান্ত মনে হয়েছিল। কিন্তু আমি তখন আরাে উদ্দাম হয়ে উঠেছি। চতুর্থবারের মিলনটা একতরফা হয়ে যায়। কারলােজের রস নিক্ষিপ্ত হবার আগেই আমি চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছিলাম। পঞ্চমবার ঠিক করলাম, না, এবার স্পন্দনের তালে তালে দুজনের স্বয়ংরতিকে চরম অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ! সেই মিলনটি হয়েছিল সর্বোত্তম। আমি সেবার সত্যি সত্যি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলাম। আমি মিলনের আগে অনেকক্ষণ ধরে তার সাথে শৃঙ্গারের খেলা খেলেছিলাম। তার লিঙ্গরাজটিকে আমার হাতের মুঠোয় তুলে নিয়েছিলাম। সেটির স্ফীতি আমি নিজের চোখে দেখেছিলাম। আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম, সেটি ক্রমশ দৈর্ঘ্যে বাড়ছে এবং তার শীর্ষমুখ পিছল হচ্ছে।

আমি কারলােজকে বুকের ওপর তুলে ধরেছিলাম। সেই মিলনটি হয়েছিল একটু অন্যরকম। আমার কুমারী মৃত্তিকা, সে এবার কর্ষণ করবে এক অভিজ্ঞ কৃষকের মতাে। আমি এভাবেই আমার উরুদুটিকে প্রসারিত করে দিলাম। আমার টকটকে লাল ওই বিবরটি দেখে কারলােজ তখন উন্মাদ হয়ে উঠেছে।

শেষ অব্দি আমি সম্পূর্ণ বিধ্বস্তা হয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে ক্লান্ত এবং শ্রান্ত ফেলে রেখে কারলােজ চলে গেল। যাবার আগে আমার গােপন-অঙ্গে শেষবারের মতাে চুম্বন চিহ্ন এঁকে দিয়েছিল। কারলােজ চলে যাবার পর সমস্ত জায়গাতে নেমে এল অমানিশার অন্ধকার।…………

………অবশেষে আমাকে বিয়ের সাজে সজ্জিত হতে হয়েছিল। সেখানে যখন ল্যাটিন ভাষায় মন্ত্র উচ্চারণ হচ্ছে তখনও আমি আমার গােপন স্ত্রী-অঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা এবং সুখ একই সাথে অনুভব করেছিলাম। যতদিন আমি বেঁচে থাকব ততদিন কারলােজের কথাই আমার মনে পড়বে। এই স্বীকারােক্তিতে আমার কোনাে লজ্জা নেই।…..

ইনেজ যখন ওর কাহিনী বলছিল তখন এক পৃথুলা মেয়ে বারে বারে আমার দিকে অর্থপূর্ণ চেখে তাকাচ্ছিল। ও আমাকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করছিল। মেয়েটির শরীর থেকে উঠে আসা একটা অদ্ভুত বন্য গন্ধ তখন আমাকে একেবারে মাতাল করে দিয়েছে।

ও আমার তলপেটে আদর দিচ্ছে। কিন্তু কেউ ওর এই হাতের কারুকাজ দেখতে পাচ্ছে না। ভীষণ চালাক এই মেয়েটি। আহা, এমন সাহসিকা উদোম মেয়েদেরই তাে আমি শয্যাসঙ্গিনী হিসেবে পেতে চাই! ?

ইনেজের গল্প বলা শেষ হল। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটিও ওর আঙুল তুলে নিয়েছে। আমি এতক্ষণ একটা অদ্ভুত স্পর্শসুখের সাগরে ভাসছিলাম। এখন আমি আবার বাস্তবের কঠিন কঠোর সমতলে ফিরে এলাম।

ইতিমধ্যে আমি অবশ্য মেয়েটিকেও তার বন্য আদরের যােগ্য উত্তর দিয়েছি। আমি তাে জানি, মেয়েদের স্পর্শকাতর অঙ্গ কোনটি? লজ্জাস্থানের একটু নিচে একটি উপাঙ্গ থাকে, সেটি হল সবথেকে বেশি সােহাগবতী। এই মেয়েটির ওই উপাঙ্গ বিশেষভাবে বর্ধিত। আমি সেখানে ইতিমধ্যেই আমার হাতের পরশ রেখেছি। মেয়েটি চোখ বন্ধ করে বুঝিয়ে দিয়েছে। এই খেলাতে ও খুবই খুশি হয়েছে। সকলের চোখের আড়ালে ইতিমধ্যে আমরা পরস্পরকে চুম্বনও উপহার দিয়েছি। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে চুম্বনের সেই প্রহর। ভাগ্যিস আলাে ছিল অত্যন্ত কম, তাই মায়াবী অন্ধকারের মধ্যে শরীর সুখের এ খেলাকে অন্য কেউ দেখতে পায়নি।….

….মেয়েটি অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। আমিও ওর উত্তেজনা প্রশমণ করেছিলাম। আমি ওর শরীরের এখানে সেখানে তখন ধীরে ধীরে আঁকছি আমার আঙুল-তুলির অশ্লীল ছবিগুলি। মেয়েটিও মাঝে মধ্যে তার দুটি উরু ফাক করে দিচ্ছে। আমি সেখানে আঙুল দেবার সঙ্গে সঙ্গে ও দুটি উরুকে বন্ধ করে দিচ্ছে। আমার হাত এঁটে বসে যাচ্ছে ওই কপাটের মধ্যে। অনেক চেষ্টাতেও আমি তা টেনে বের করতে পারছি না।

যখন ইনেজের কাহিনী শেষ হল, আমি বেশ অনুভব করলাম, মেয়েটির উরু দুটি শিথিল হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ ইতিমধ্যেই ওর চরম ক্ষরণ শেষ হয়ে গেছে। ও একটা ছােট্ট দীর্ঘশ্বাস
হয়ে ইনেজের কাহিনী শুনছে। তা না হলে ওরা এই দুষ্টুমির খেলাটা বুঝতে পারত।

এরপর মেয়েটি শান্ত হয়ে আমার পাশে বসে রইল। ইনেজ তখন শর্তমতাে সেই স্কার্ফটা মেয়েটির হতে তুলে দিল। মেয়েটি এমন নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল যে, ওই স্কার্ফটি ও ওর পাশে বসা আর একটি মেয়ের হাতে তুলে দেয়। একমাত্র আমি বুঝতে পেরেছি, রসক্ষরণের পর এবার ও একটুখানি শান্তিতে থাকতে চাইছে। ও এখন কি আর ওর হারানাে জীবনের স্বীকারােক্তি করতে পারে?

মেয়েটি বলল- এ হচ্ছে হেলেন, গ্রিক সুন্দরী। এ তোমাকে একটি গল্প বলবে। আর তারপর তােমার ইচ্ছে মতাে তুমি যা খুশি করতে পারাে। ইনেজের সুউচ্চ স্তনের চূড়ায় হেলান দিয়ে আমি তখন বসে আছি।

তিন
কুমারী হেলেনের স্বীকারােক্তি

….প্রিয়তমা বন্ধুনী সােফিয়া বলেছিল, ‘দেখিস সই, প্রথম রাতে যদি লিঙ্গটিকে ঠিক মতাে পুজো করতে না পারিস, তাহলে তাের বর কিন্তু অন্য নারীর প্রতি মন দেবে। তখন শত চেষ্টা করলেও তুই আর তাকে পাবি না।….

….আমার এই ভয় এবং আশঙ্কা যে একেবারে অমূলক নয়, তার অনেক প্রমাণ তাে আমি আগেই পেয়েছি। ইতিমধ্যেই তাে জেনেছি, বিয়ের রাতে কীভাবে নববধূর কুমারীত্ব হরণ করা হয়। তার কোমল অঙ্গে ব্যথা লাগে। রক্তের একটা ক্ষীণ স্রোত বেরিয়ে আসে। তবু পুরুষপ্রবরের মনে কোনাে সমবেদনার বােধ জাগে না।…..

….আমার মনের আকাশে তখন ঝড় উঠেছে। প্রথম মিলনে সে খুব একটা জোর করেনি। কাপা কাপা ঠোটদুটিতে চুমুর চিহ্ন এঁকে দিয়েছে। তারপর ঘরের অন্যদিকে চলে গেছে। আমি আড়চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছি। ওমা, একি করছে সে? ধীরে ধীরে পােশাক উন্মুক্ত করল। তার এমন মার্জিত আচরণ আমার মনকে আশ্বস্ত করেছিল। যাক্ বাবা, সে একেবারে কামুক লােভী পশু নয়, তার মধ্যে কিছু মনুষত্ব বােধহয় বেঁচে আছে। একেবারে ল্যাংটো হয়ে সে বিছানাতে উঠে এসে বসল। আমার দিকে তাকিয়ে থাকল অদ্ভুত অর্থপূর্ণ দৃষ্টিতে। শেষ অব্দি সে দুটি হাত প্রসারিত করে আমাকে আকর্ষণ করল। এতক্ষণ আমি তার দিকে পেছন ফিরে ছিলাম। এক্ষেত্রে সে একটি নতুন কাজ করেছিল। প্রথম রাতে স্বামীরা যা করে থাকে, অর্থাৎ নববধূর যৌনকাতর অঙ্গগুলিকে স্পর্শ করে, তার মনের ভেতর ভালােবাসার আগুন জ্বালিয়ে দেয়—সে কিন্তু তা করল না। সে তার ফেলে আসা দিনযাপনের গল্পকথা শােনাতে শুরু করল। ধারাবাহিক সেই গল্প শুনতে শুনতে আমি কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিলাম।……

….শেষ অব্দি আমি তার কথা শুনে ওকে চুমু দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। সেই প্রথম আমি আমার দিক থেকে কোনাে একটি পুরুষের শরীর স্পর্শ করলাম। প্রথম স্পর্শের অনুভূতি কেমন তা আমি বুঝিয়ে বলতে পারব না। আমার সমস্ত শরীরের ভেতর দিয়ে একটা উষ্ণ প্রবাহ বয়ে গিয়েছিল। এরপর আমি তার দু’বাহুর আলিঙ্গনে নিজেকে আবদ্ধ করলাম। আমার মনে হয়েছিল, আমি বােধহয় সত্যিকারের স্বর্গে পৌঁছে গেছি।

এবার সে আমাকে নিজের কাছে নিয়ে গেল। তারপর বুকের ওপর থেকে আবরণ সরিয়ে দিল। আমার স্তনবৃন্তে ধীরে ধীরে চুমুর চিহ্ন এঁকে দিল। আমার দুটি স্তন যে কত সুডৌল, দুহাতের মুঠোয় ধরে তা পরীক্ষা করে দেখতে থাকল। তার প্রতিটি পরশ তখন আমাকে আরাে বেশি উদ্দীপ্ত করে তুলেছে। আমি সেই চরম মুহূর্তটির জন্য তখন প্রহর গােনা শুরু করে দিয়েছি।

এরপর আমার স্বামী মহারাজ স্কার্ট সরিয়ে দিল। আমার দুটি উরুর মাঝখানে হাঁটু মুড়ে বসল। আমি তখন একেবারে নগ্না হয়ে গেছি। আমার লজ্জাস্থান তার সামনে উন্মুক্ত হয়েছে। তখন তীক্ষ্ণ চোখে আমাকে জরিপ করছে। তার দুটি চোখে ধক করে জ্বলে উঠেছে কামনার আগুন। সেই আগুন বিধ্বংসী। পৃথিবীর সবকিছুকে তা পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে।
আমার অবস্থা ক্রমশ সঙ্গীন হয়ে আসছে। আমার নিঃশ্বাসে মধ্যদিনের গরম হলকা প্রবাহিত হচ্ছে। আমার নাকের পাটা ক্রমশ ফুলছে। কথা জড়িয়ে আসছে। আমার গােপন অঙ্গে রসক্ষরণ শুরু হয়ে গেছে। আঃ, সে এত দেরি করছে কেন?
এক্ষেত্রে আমার কী করণীয়? আমি কি তার যৌনতাকে ঠিক পথে চালিত করব না?

একথা মনে হতেই আমি সচেষ্ট হয়ে উঠলাম। তার ভেতর যে ঘুমন্ত পৌরুষ আছে, যে করেই হােক তাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। আমি তার একটা হাত আমার নাভিমূলে টেনে আনলাম। ধীরে ধীরে তাকে আরাে আরাে নিচে নিয়ে এলাম। উরুসন্ধিতে তখন প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করছি। তার হাতের স্পর্শে আমি তখন আমার দুটি উরুকে প্রসারিত করেছি দু’টি
পাশে। তখনই আমার মুখ থেকে একটা সুখ-শব্দ বেরিয়ে এল। এতে বােধহয় কাজ হল। ঘরের মধ্যে একটা ছােট্ট বিস্ফোরণ ঘটে গেল বুঝি। আমার স্বামীর পুরুষদেবতা এতক্ষণ ঘুমিয়েছিল। এখন সে ঘুম ভেঙে জেগে উঠল। আমার মনে হল, উরুসন্ধিস্থলে শক্ত অথচ পেলব কিছু একটা বার বার আঘাত করছে। সেটি বােধহয় আমার কুমারী মৃত্তিকা কর্ষণ করতে চাইছে। আহা, সে আমার কাকাল টেনে নিয়ে এসেছে তার কাছে। সে আমার নিতম্বে হাত বােলাচ্ছে পাগলের মতো।

আমি আমার স্পর্শকাতর উপাঙ্গে হাত ছোঁয়ালাম। আঃ, একটা যন্ত্রণা অনুভব করলাম। লজ্জার একটা আভা আমার সমস্ত মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। তার শরীরের নিচে অনেকক্ষণ আমি নিস্তেজভাবে শুয়েছিলাম। তার দেহের উত্তাপ ধীরে ধীরে আমাকে আরাে বেশি উদ্দীপ্ত করে তুলেছিল। আমার কোমল অঙ্গ থেকে তখন তপ্ত লাভাস্রোত নির্গত হতে শুরু করেছে। ঘণ্টা দুই বিছানায় শুয়ে শুয়ে এইভাবে আমরা পারস্পরিক আনন্দকে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করেছিলাম। শৃঙ্গার এবং সােহাগ যে কতরকম হতে পারে, তা প্রমাণ করার এক অলিখিত প্রতিযােগিতায় নেমে পড়েছিলাম। শেষ অব্দি আমরা ধীরে ধীরে চরম সুখ সম্পৃক্তির শীর্ষ শিখরে আরােহণের চেষ্টা করেছি। দীর্ঘক্ষণ ধরে তার পৌরুষ প্রচেষ্টা করেছে। এই প্রচণ্ড পরিশ্রমের ফলও সে পেয়েছে। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, সঙ্গমের শুরুতে আমার মধ্যে মিলনের ইচ্ছেটা নিস্তেজ অবস্থায় ছিল। এখন তা পরশের পুলকে জেগে উঠেছে। এখন আমি আরাে বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছি। আমার শরীরের সমস্ত কোষ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বেশ বুঝতে পারছি, তার দেহ নির্গত তপ্ত লাভা ত্রিভুজের অভ্যন্তরে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। বিস্ফোরণের আশঙ্কায় থরথর কম্পমান। আমি তার দিক থেকে পূর্ণ সহযােগিতার প্রত্যাশা করছিলাম।

শেষ পর্যন্ত আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি। তার পৌরুষের আঘাতে আমি নতুন করে জেগে উঠলাম। আমার সমস্ত দেহে তখন সমুদ্রের আলােড়ন। আমি প্রচণ্ড আবেগে তার চুম্বনের প্রত্যুত্তর দিচ্ছি। তার লালাসিক্ত ঠোটের ওপর সজোরে চেপে ধরেছি আমার ঠোটদুটি। সেই প্রথম আমি স্বতঃপ্রণােদিত হয়ে সাড়া দিয়েছি ওর ওই সর্বনাশা ডাকে। সুতরাং অনিবার্যভাবে আবার শুরু হল আমার নগ্ন দেহ নিয়ে তার বাঘবন্দী খেলা। আমার স্তনবৃন্তে সে বিলি কাটতে শুরু করল। আমাকে এই প্রথম অতখানি সক্রিয় হতে দেখে, সে বােধহয় আরাে খুশি হয়ে উঠেছিল। ওর মনে যেসমস্ত দুর্ভাবনা ছিল, সব এখন দূর আকাশে উড়ে গেছে। এখন তার সামনে পড়ে আছে জয় করার জন্য বিশাল একটা জগত; পড়ে আছে কুমারী হৃদয়; পড়ে আছে নববধূর সদ্য স্পর্শিতা শরীর।

তখন আমি উদগ্র কামনায় জর্জরিতা হয়ে গেছি। চারপাশের পৃথিবীতে কী ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত ছিলাম না। তখন আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য কীভাবে তাকে আরাে বেশি ভালােবাসা উজাড় করে দেব। চুম্বনের প্রত্যুত্তর দিতে দিতে আমি দুহাত দিয়ে তার গলা জড়িয়ে ধরলাম। তখনই আমার ওপর তার ভারী দেহের প্রচণ্ড একটা চাপ আমি অনুভব করলাম। অস্ফুটে চিৎকার করলাম। কোনাে ভাবেই আমি তার সঙ্গে পেরে উঠছি না। কিন্তু আমার আবেগকে প্রতিহত করার ক্ষমতাও আমি হারিয়ে ফেলেছি। তার যাদুদণ্ডটি তখন আমার নিম্নদেশের এখানে সেখানে আঘাত করছে। প্রতিটি আঘাতের মধ্যে একটা অদ্ভুত সুখ শিহরণের ঠিকানা লেখা।…….

…………আমি বেশ বুঝতে পারলাম, কাউন্ট আমার দিকে সপ্রশংস দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তাকিয়ে থাকবে না-ই বা কেন? আমি কি কারাের চেয়ে কম সুন্দরী? সেদিন আমি কায়দা করে একচিলতে বক্ষ-আবরণী দিয়ে আমার উথলে ওঠা বুক দুটোকে ঢেকে রেখেছিলাম। সরু লেসের কারুকাজ করা সেই আবরণী দেখলে যেকোনাে পুরুষের রক্ত ছলাৎ করে উঠবে। ভেতরে ভেতরে একটা চাপা উত্তেজনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমি এত দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম যে, কাউন্টকে অভ্যর্থনা জানাবার জন্য কৌচ ছেড়ে দরজা পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারিনি।…..

……যখন আমার জ্ঞান ফিরে এল, তখন আমি নিজেকে কাউন্টের বাহুবন্ধনে বন্দিনী অবস্থায় আবিষ্কার করলাম। আমার বুকের ওপর লেসের যে সুন্দর বক্ষ-আবরণী ছিল, সেটার চিহ্নমাত্র কোথাও নেই। এমনকী যে ভারী স্কার্টটা আমার নিম্নাঙ্গকে আচ্ছাদিত করে রেখেছিল, সেটাও উধাও হয়ে গেছে। আমি তখন একেবারে নগ্ন দেহে উপুড় হয়ে শুয়ে আছি তারওপর। তার শরীরের সাথে আমার শরীরের প্রতিটি অংশ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। আমার মনে জেগেছে প্রচণ্ড মিলন-ইচ্ছা। বার বার রাগমােচন হচ্ছে আমার। কিন্তু কেন? আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, কীভাবে এই সব হল! কাউন্টের দিক থেকেও উৎসাহ ঝরে ঝরে পড়ছে। তার উদ্দীপনা হয়েছে আকাশছোঁয়া। কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছি, নারী পুরুষের মিলনের উপযুক্ত স্থান এটা নয়। সময়টা মধ্যদুপুর, যেকোনাে সময়ে পরিচারক চলে আসতে পারে।

শেষ অব্দি কাউন্ট আমার নগ্ন স্তনে চুমু খেয়ে বলল-সুন্দরী, আমি কিন্তু আমার কথা রেখেছি। তােমাকে শারীরিক নির্যাতন এবং মানসিক অপমানের হাত থেকে বাঁচিয়েছি। তুমি কি এর প্রত্যুত্তর দেবে না?…….

……বললাম-“অ্যালেক্স, তুমি বয়েসে আমার থেকে অনেক ছোটো, তােমার সামনে ল্যাংটো হতে ভীষণ লজ্জা করছে আমার। একথা বলেই আমি বিছানাতে উঠে গেলাম। নিশি পােশাকের অন্তরালে থাকা আমার শরীরটাকে বৃথা আচ্ছাদিত করার চেষ্টা করলাম। অ্যালেক্স বােধহয় জানত যে, মেয়েরা না’ বলার মাধ্যমেই হ্যা’ বলে থাকে। কালবিলম্ব না করে সে অতি দ্রুত নিজেকে পােশাক-মুক্ত করল। ….আমি দ্রুত মিলনের উচ্চতম ধাপে উঃ, শৃঙ্গারের খেলা খেলতে শুরু করে দিলাম। একহাতে শক্ত করে তার পুরুষ দন্ড ধারে রেখেছি। অন্য হাতটা রেখেছি তার নিতম্বে। এইভাবেই তাকে সজোরে আমার দিকে আকর্ষণ করছি। সে তখন আলিঙ্গনে সাড়া দিল। তার বলিষ্ঠ দুটি হাতে আমার নরম তুলতুলে বুক দুটিকে গ্রহণ করল। আমার ওষ্ঠদ্বয়ের ওপর তার উষ্ণ ঠোটজোড়াকে চেপে ধরল। ….অ্যালেক্সকে অত্যন্ত তাড়াতাড়ি উত্তেজিত করে তুলেছি। সে আমার একমাত্র আবরণটাও খুলে ফেলল। আমার নাভির নিচে ওর সুকঠিন ইন্দ্রিয়ের স্পর্শ অনুভব করলাম।….

…….আমার থেকে বয়সে ছােটো অ্যালেক্সও কিন্তু আমাকে যথেষ্ট সুখী এবং সম্পৃক্ত করেছিল। অতি অল্প সময়ের মধ্যে সে আমাকে স্বয়ংরতির সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে গিয়েছিল। আমার মন যােলাে কলায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। কী আশ্চর্য, যৌনসুখের সহজপাঠ সে কত তাড়াতাড়ি শিখে নিয়েছে! তবে কি এর আগে আর কোনাে রমণীর সাথে সে এই দুষ্টু দুষ্টু খেলা খেলেছে? মনে মনে ভাবলাম, পরে কোনাে এক সময়ে তার কাছ থেকে এই ভয়ঙ্কর প্রশ্নের উত্তরটা জানতে হবে।…..

……তাকে সক্রিয় করার জন্য আমিও চেষ্টার কোনাে ত্রুটি রাখিনি। তাকে জাগিয়ে তােলার জন্য একাধিক অস্ত্র প্রয়ােগ করলাম। ছল-চাতুরির আশ্রয় নিলাম। একটু আগে অ্যালেক্সের সংস্পর্শে আমি বােধহয় একেবারে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিলাম। তাই আমিও নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তােলার জন্য সময় চাইছিলাম। সেও ধীরে ধীরে আমাকে তৃপ্তির শিখরে তােলার জন্য চেষ্টা করছিল। আমরা দুজনেই তখন মন্দাক্রান্তা ছন্দে এগিয়ে চলেছি আমাদের ঈপ্সিত গন্তব্য পথে। আমরা তাে জানি, সেখানে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করে আছে। সেখানে অপেক্ষা করে আছে এমন এক সুখ, টাকা দিয়ে যাকে আমরা কিনতে পারি না।
শেষ অব্দি সে আমার নগ্ন দেহের ওপর তার ভারী দেহটা বিছিয়ে দিয়েছিল। আমি আমার সমস্ত দেহে বন্য ব্যাভিচারের সুখ অনুভব করেছিলাম। আঃ, কী আনন্দ!……

……..আমার স্বামী নিজেকে পােশাক-মুক্ত করল। আমি তার আদর এবং সােহাগে দৃপ্তভাবে সাড়া দিলাম। এতে একটা বিচিত্র সুখ অনুভব করলাম। আবেগের তীব্রতাকে ইচ্ছে করেই আকাশচুম্বী করে তুললাম, যাতে আমার স্বামীর মন অন্য কোনােদিকে নিবদ্ধ হতে না পারে তার জন্য আমার প্রয়াসের অন্ত ছিল না।

এরই মাঝে কাউন্টকে সান্ত্বনা জানাতে হবে। আমার স্বামীর সাথে উপগত অবস্থাতেই আমি আমার একটি বাহু নিচের দিকে নামিয়ে দিয়েছিলাম। আমার রাতের নাগর সেই হাতে চুমু দিল। তখনও আমার স্বামী আমার গলার ওপর মুখ গুঁজে শুয়ে আছে। অ্যালেক্সের উদ্দেশে আমি যেন নিজেই আমার অপর হাতে একটি চুম্বন চিহ্ন এঁকে দিলাম। এভাবেই আমি আমার দুই প্রেমিককেই সম্মান জানিয়েছিলাম।

একটুবাদে আমার স্বামী ঘুমিয়ে পড়ল। তখন আমি সন্তর্পণে খাটের নিচে চলে গেলাম। কাউন্টকে বের করে ঘরের বাইরে নিয়ে এলাম। এক হাতে সে তার পােশাকগুলাে ধরেছিল, অন্য হাত দিয়ে সে তার নগ্ন দেহটা ঢেকে রেখেছিল।

খানিক বাদে সদর দরজা খােলার শব্দ পেলাম। এরপর আলমারির ভেতর থেকে অ্যালেক্স বেরিয়ে এল। সেও তার পােশাকগুলােকে হাতের মুঠোয় ধরে রেখেছিল। দু-দুটি নগ্ন শরীর এই ঘর থেকে চলে গেছে। এখন আমি সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং মুক্ত।

এইভাবেই হেলেন তার রসসিক্ত কাহিনী শেষ করেছিল। তার কাহিনী শেষ হয়ে যাবার পর আমি ইনেজের বুকের ওপর থেকে আমার মাথাটা সরিয়ে নিলাম। ইনেজ তখন কামনার অতিশয্যে দুটি নগ্ন পা দুদিকে প্রসারিত করে রেখেছে। তার মুখটা আমার দিকে ফেরানো। তার শরীরের সমস্ত গােপন সৌন্দর্য উদ্ভাসিত হয়েছে। আমি তখন আমার পা তার উরুর ওপর আলতাে করে রেখেছি। সে এই আচরণে কোনাে আপত্তি জানায়নি। বরং সে আঙুলের সুড়সুড়ি দিয়ে আমার বলিষ্ঠ দেহের এখানে সেখানে জাগরণ ঘটাতে চাইছিল প্রবল যৌন ইচ্ছার।

কাহিনী যতই এগােতে থাকে আমি আর ইনেজ ততই এই খেলা খেলতে থাকি পাকা খেলােয়াড়ের মতাে। আহা, হেলেনের শয়নকক্ষের দৃশ্যের বর্ণনা আমাকে এখনও উত্তেজিত। করে তুলছে!

এবার তাে হেলেনের সাথে আমাকে উপগত হতেই হবে। গ্রিক সুন্দরী হেলেন তার রূপ আর সৌন্দর্যের ছটায় ইতিমধ্যেই আমার চোখ অন্ধ করে দিয়েছে। আমার শরীরের ভেতর সুখের জলতরঙ্গ বাজছে। আমি হেলেনকে আকর্ষণ করলাম। তার জন্য নির্দিষ্ট প্রকোষ্ঠে চলে গেলাম। তার ওই ঐশ্বর্যে এখন আমাকে ঐশ্বর্যবান হয়ে উঠতে হবে। আবেশে তার চোখ বন্ধ। গ্রিক সুন্দরীদের কথা ইতিপূর্বেই আমি শুনেছি। তাদের সৌন্দর্যের মধ্যে এমন একটা অহঙ্কার আছে, যা সহজে অন্য নারীর মধ্যে দেখা যায় না। হেলেনের মধ্যে সেই একইরকম অহঙ্কার ছিল। আহা, ওর প্রশান্ত দেহ থেকে আমি তুলে নিলাম ঈপ্সিত বাসনার বিন্দুগুলিকে।

চার
তুর্কি রূপসী জুলেখার কথা

…আমরা দুজনেই তখন কাজ করতে শুরু করেছি। দুজনের মধ্যেই জেগেছে তীব্রতম আকাঙ্ক্ষা। একসময় আমি অবাক হয়ে দেখলাম, তার শরীরের নিচে আমি শুয়ে আছি। আমার প্রসারিত দুটি উরুর মাঝে আলি তার পা-দুটিকে বিছিয়ে দিয়েছে। আমার স্তনে সে মাঝে মধ্যে চুম্বন করছে। আমার স্তনবৃন্ত খুঁটছে। হাত বােলাচ্ছে তলপেটের নিচে। ত্রিভুজের নরম ঢালে মাঝে মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে তার আঙুল। এইভাবে সে আমার প্রতিটি অঙ্গকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে। আহা, এই আবেশ আগে কখনাে জাগেনি আমার! আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি যে আমার কুমারী মৃত্তিকা এবার তার লাঙলের ফলাতে বিদ্ধ হবে। একটা সূতীব্র যন্ত্রণা মেশানাে সুখ ছড়িয়ে পড়ছে কোষ থেকে কোষান্তরে। আমি চোখ বন্ধ করে বসে আছি। বাইরের মরুভূমিতে রাত নামছে। শীতার্ত রাত। শান্ত হয়ে গেছে পরিবেশ। উটগুলাে আপন মনে দাঁড়িয়ে আছে। এমন সময়েই তাে প্রিয়তমের কাছে হৃদয়ের সবথেকে গােপন কথা বলতে হয়। বলতে হয়, জীবনে এবং মরণে আমরা পাশাপশি পথ হাঁটব।

আমি ভেবেছিলাম, আমাকে বিয়ে করার জন্য সে পাগল হয়ে উঠেছে। আমি জানি যদি সে আমার সতীচ্ছদ ছিন্ন করতে পারে, তাহলে অবশ্যই আমাকে বিয়ে করবে। কেননা তখনই আমার বাজার দর বেশ কিছুটা নিচে নেমে আসবে। এটা হল এখানকার এক অলিখিত নিয়ম। যে পুরুষ তােমাকে কিনবে, সে তােমার বুক দেখবে না, তােমার চোখের দৃষ্টিতে তার বয়েই গেল। সে প্রথমেই হাত দেবে তােমার যােনিদেশে। সে ভালােভাবে পরীক্ষা করে দেখবে সতীচ্ছদটি অটুট অক্ষুন্ন আছে কি না।ওটি অটুট থাকার অর্থ তােমার কুমারীত্ব এখনও কেউ হরণ করতে পারেনি।…..

….কিন্তু কোনাে এক অজ্ঞাত কারণে আলি কিন্তু এই খেলায় এক কুশলী খেলােয়াড় হতে পারেনি। হয়তাে আমার মতাে অন্য কোনাে মেয়েকে সঙ্গম করার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই তার। সেসব কিছু করছে, কিন্তু সেখানে কেমন একটা উদাসীনতার ভাব। যেন জোর করে তাকে দিয়ে এসব করানাে হচ্ছে বলেই আমার মনে হল।

তখন আমার মনের মধ্যে একটা বন্য আকাঙ্ক্ষা এসেছিল। আমি তাকে আমার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরেছিলাম। তার ঠোটের ওপর আমার দুটি ঠোটের চুম্বন চিহ্ন এঁকে দিয়েছিলাম। চুম্বনের লােনা স্বাদ অনুভব করতে করতে আমার তীব্র আকাঙক্ষা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। কামনার জারক রসে সিক্ত হয়েছে আমার গহন গভীর প্রদেশ। কিন্তু তখনকার মতাে আমার কুমারীত্ব অক্ষত থেকে গেছে। তাই আজও আমি আক্ষরিক অর্থে কুমারী থেকে গেছি। তারপর ওর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম ইন্দ্রিয় বিলাসিনী নারীর মতাে। এর অনেকক্ষণ বাদে ও উঠে বসল।

ও বলল—তােমার এই প্রলােভন আমি আর সহ্য করতে পারব না। যদি একবার তােমার কুমারী আবরণটি আমি ছিন্ন করি, তাহলে আল্লাহর কাছে আমাকে দায়বদ্ধ হতে হবে। তােমাকেই শাদি করতে হবে।না-না, সুন্দরী তুমি এইভাবে আমার মনকে আকর্ষিত করাে না। তােমার ওই সর্বনাশ ডাকে সাড়া দিলে আমার ইহকাল পরকাল সবই নষ্ট হয়ে যাবে।
আমি সেই রহস্যটা বুঝতে পারিনি। আলি আমাকে স্পর্শ করেছে একথা সত্যি, তার দণ্ডনিক্ষিপ্ত বীর্যরসে আমি স্নান করেছি, তাও স্বীকার করছি, কিন্তু সতীচ্ছদ তাে ছিন্ন হয়নি! তাহলে আমি কি এখনও অক্ষত যোনি!……

…..ইনেজ বলল—না, আমি তােমাকে হলফ করে বলতে পারি, পাশা তার হারেমে কোনাে মেয়েকে একরাতের জন্যও অক্ষতযোনি থাকতে দেয়নি। হয়তাে এই মেয়েটিকে কোনাে এক অজ্ঞাত কারণে পাশা সেভাবে স্পর্শ করেনি। কেন করেনি তা আমি জানি।

ইনেজ বলতে থাকে—মরুযাত্রীদল যেদিন তাদের গন্তব্যস্থলে এসে পৌঁছেছিল, সেদিনই পাশা এই মেয়েটিকে কিনে নেয়। এক বেতনভুক বয়স্কা মহিলা এসে মেয়েটির যােনিদেশ পরীক্ষা করে। সে রায় দিয়েছিল, এ মেয়েটি এখনও অক্ষত যােনি।…..

…..জুলেখা সেখান থেকে চলে গেল। আমি পাশের ঘরে গিয়ে প্রবেশ করলাম। নিজেকে পােশাক-মুক্ত করে নগ্নিকা কন্যা হয়ে বসে রইলাম। আলাে অনেকক্ষণ নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চারপাশে জমাট বাঁধা অন্ধকার। পাশার সাধ্য নেই, সে আমাকে আর জুলেখাকে আলাদা করে অনুভব করবে!

বেশ কিছুক্ষণ বাদে পাশা এসে ঘরে ঢুকেছিল। সে এসেই আমার গ্রীবাদেশে একটা উত্তপ্ত চুমুর চিহ্ন এঁকে দিল। তখন আমার ভীষণ লজ্জা করছিল। আমি যেন এক লাজুক মেয়ে। বালিশে মুখ ঢেকে বসে আছি। পাশা অতি দ্রুত পােশাক খুলে ফেলল। আমার পাশে বসে আমাকে দেখার চেষ্টা করল। তখন আমার বুকের মাঝে এই একটুখানি কাঁপুনি ধরেছিল। আমার এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনাটা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হবে কিনা, তাই ভাবছিলাম। কিন্তু পাশা ভাবল, আমি বােধহয় শৃঙ্গারের আনন্দে কেঁপে উঠেছি। সে ধরেই নি। যে, প্রথম মিলনের যন্ত্রণার আশঙ্কা আমার মনের ভেতর আতঙ্কের ঝড় তুলেছে।…..

…..জানতে চাইলেন। জুলেখা কীভাবে এই মরুপ্রান্তরে এসেছে, তার একটা বিশ্বাসযােগ্য উত্তর খাড়া করতে হবে। আমিও কোনােরকমে অনুভবের ওপর ভর করে উত্তর দিলাম। পাশা সেই উত্তর শুনে খুশি হল। এবার তার আসল কাজ শুরু হল। সে আমার স্তনবৃন্তে হাত লাগাল। আমি কোনােরকম বাধার সৃষ্টি করলাম না। ধীরে ধীরে সে এসে গেল উরুর সন্ধিস্থলে। তখনও আমি একইভাবে প্রশ্রয়ী হয়ে উঠেছিলাম। শেষপর্যন্ত পাশা বুঝতেই পারেনি যে, আমি জুলেখা নই—ইনেজ। বুঝতে পারলে, এখন আর আমি এখানে বসে তােমাকে গল্প শােনাতে পারতাম না।

অবশেষে পাশা আমার নগ্ন দেহের ওপর তার নগ্ন দেহখানা বিছিয়ে দিল। আমি যেন খুব লজ্জা পেয়েছি, এমন একটা ভাব প্রকাশ করলাম। আমি দুহাত দিয়ে আমার মুখ ঢাকার ব্যর্থ প্রয়াসে মগ্ন হলাম। আমার পা দুটোকে পাশাপাশি জড়িয়ে রাখলাম আঁটো করে। আমি যেন দরজায় খিল দিয়েছি। পাশার সাধ্য কী সেই খিল খুলে আমার ঘরে প্রবেশ করবে!

পাশা তার উরু দুটিকে দুদিকে প্রসারিত করল। আমার কোমরের দুপাশে সাঁড়াশির মতাে মেলে দিল তার উরুদুটিকে। আমিও তখন আমার বদ্ধকপাটকে আরাে সুদৃঢ়ভাবে আটকে দিলাম। পাশা সেখানে কিছুতেই ঢুকতে পারছে না। কিন্তু তার চাপ আমার নাভিমূলের নিচে কামনার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এখনই সেই জায়গাটিকে অর্গলমুক্ত করতে হবে। পাশার শরীর থেকে উঠে আসা একটা অদ্ভুত শরীরী গন্ধ আমাকে উন্মাদনায় ভরিয়ে দিয়েছে। পাশার পৌরুষে আমি ক্রমশ আচ্ছন্ন হচ্ছি।

পাশা আমার বুকের ওপর তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলছিল। সে যে এই খিল খুলতে পারছে না, এতে তার পৌরুষে আঘাত লেগেছে, তা আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম। পাশা কিন্তু অন্য পুরুষ প্রেমিকদের মতাে নয়। সে কখনাে নতজানু হবে না। কখনাে কানের কাছে বসে কবিতা শােনাবে না। তার কাছে পুরুষরা জগৎসভার শ্রেষ্ঠ অধিপতি। পৃথিবীর সমস্ত নারীকে পুরুষরা পণ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

পাশা আমার দিকে তাকাল। অন্ধকারে তার চোখ আমি বুঝতে পারলাম না। তখন আমার দেহে মাদকতা জেগেছে। আমার মন দিশেহারা হয়ে গেছে। শেষ অব্দি আমি নিজেই ওই অর্গল খুলে দিয়েছিলাম। উরু দুটিকে দুদিকে প্রসারিত করে দিয়েছিলাম। পাশা এখুনি এসে সেখানে তার পুংদণ্ডটি প্রবেশ করাক—এটি ছিল আমার একান্ত ইচ্ছে। চেয়েছিলাম, পাশা আমাকে নানাভাবে অত্যাচার করুক। সে ধর্ষণকামী হয়ে যাক। তার দংশন আমাকে আরাে বেশি আবেগে আপ্লুত করুক। এভাবেই আমি বােঝাতে চেয়েছিলাম যে, আজ রাতে যার সঙ্গে সে সঙ্গম করছে, সে হল জুলেখা। জুলেখা এখনও কুমারী এবং অক্ষত যােনি। এভাবেই জুলেখা তার লজ্জা বাঁচাবার চেষ্টা করছে।

আমি আবার আমার উরুদ্বয়কে সংযুক্ত করলাম। আমি অবশ্য শেষপর্যন্ত আর এই কাজে সফল হতে পারিনি। ক্রমাগত শৃঙ্গার আমার শরীরের সবখানে কী এক অদ্ভুত শিহরণের সৃষ্টি করেছে। তিল তিল করে গড়ে তােলা ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেল। আমি শ্বেতাঙ্গ এক রাজহংসীর মতাে নীল আকাশে পাখা মেলে দিলাম। মনে হল, একটি মরাল-গ্রীবা যেন। উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছে। আহা, আমি তখন নগ্নিকা এক সুন্দরী। পাশাই যেন আমার এই জীবনের একমাত্র অবলম্বন। আমি এখন পাশাকে স্বর্গের সুখ দেব।
দুহাত বাড়িয়ে আমি তার গলা জড়িয়ে ধরলাম। পাশার রসনা কয়েক মুহূর্তের জন্য আমার স্তনবৃন্ত থেকে সরে গেল। পাশা তখন উন্মত্তের মতাে আমার ভিজে ঠোটকে আরাে বেশি সিক্ত করার চেষ্টা করছে। সেই অবস্থাতেই সে আমার সাথে মিলিত হয়েছিল। অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত তৃপ্তি এসেছিল আমার সমস্ত শরীর এবং মনে।

কিন্তু আমি তাে নিজেকে সামলাতে পারিনি। পারব কী করে? পাশাকে না পেলে আমার এতগুলাে কেমন যেন অসুখী বলে মনে হয়। পাশা তখনও আমাকে তীব্র লিপ্সায় বিদ্ধ করে চলেছে। খুশিতে উন্মত্ত হয়ে সে তখন আমাকে আদর করছে। চুমু দিচ্ছে আমার ঠোট, বুক এবং নাভিমূলে।

এবার দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটতে চলেছে। আবেগের আতিশয্যে পাশা তখন কাঁপছে। আমি যে তখনও লজ্জাবতী লতা হয়ে থাকব, এটা পাশা কল্পনা করতে পারেনি। সে তাে সমস্ত লজ্জা ভেঙে দিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে সব ভয়। সম্রম নিয়ে খেলেছে ছেলেখেলা। দু-দুবার সঙ্গম শেষ হবার পর পাশা ঘুমের কোলে ঢলে পড়েছিল।……..

……আমার আচরণের মধ্যে কী একটা ছিল। দেখলাম, পাশা ভীত চোখে তাকিয়ে আছে চাদরের দিকে। তারপর উনি বললেন—শােনাে সুন্দরী, জুলেখা তাে এখন আসতে পারবে না, আমি তা স্পষ্ট বুঝতে পারছি। কিন্তু জুলেখার অবর্তমানে তােমাকেই আমার শয্যাসঙ্গিনী হতে হবে।

আমি পাশার মুখ থেকেই কথাগুলি শুনতে চেয়েছিলাম। আমি আর বিলম্ব করলাম না। আমি সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিলাম তার ডাকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সে তৃতীয়বার আমার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হল।

ইনেজের কথা বলা শেষ হয়ে গেছে। স্পষ্টভাবে ও ওর স্বীকারােক্তি রেখেছে আমাদের সামনে। অন্য মেয়েরা ওর এই স্বীকারােক্তি শুনে হাসিতে ফেটে পড়েছিল। আর, আমি তখন কী করছি? আমি তখন জুলেখার সাথে খেলছি ভালােবাসার অবুঝ খেলা। ওর ভরাট স্তনজোড়াতে মাঝে মধ্যে রাখছি আমার চুমুর চিহ্ন। ওর মসৃণ পেটে হাত বােলাচ্ছি। ওর সুন্দর মাংসল দুটি উরুদেশকে স্পর্শ করছি আমি। আমি বেশ বুঝতে পারছি, জুলেখা এবার আর আমার কোনাে কাজেই বাধা দেবে না। সম্ভবত আলির কথা ও আর চিন্তাই করছিল না।

আদিরসাত্মক কাহিনী শুনলে আমাদের সমস্ত শরীরে এবং মনে তার প্রভাব পড়ে। ইন্দ্রিয় সচকিত হয়ে ওঠে। একটা রসের প্রবহন শুরু হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। জুলেখাকে স্পর্শ করে আমি বুঝতে পারলাম, ওর গভীর গােপন গহুর এখন নিশ্চয়ই সিক্ত হয়ে উঠেছে। আর আমার ইন্দ্রিয়টি তাে লৌহশলাকার মতাে দৃঢ় হয়ে উঠেছে।

ইনেজের কথা বলা শেষ হয়ে গেছে। জুলেখাকে কুশনের ওপর আলতাে করে বিছিয়ে দিলাম। আমি ধীরে ধীরে আমার দেহটিকে ওর সাথে সংযুক্ত করলাম। ও কিন্তু যথেষ্ট স্বাস্থ্যবতী। অতি সহজে ওর কুমারীত্ব হরণ করা যাবে না, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। তখন আমার মাথায় রােখ চেপে গেছে। যে করেই হােক এই মেয়েটির সবকিছু হরণ করতে হবে। তা না হলে ওর স্মৃতির প্রেক্ষাপট থেকে আমি হারিয়ে যাব। আমার সঙ্গে ও হয়তাে আর কখনাে মিলিত হতে পারবে না। সেটা সম্ভবও নয়। কাল পাশা এলে পরিবেশ একেবারে পাল্টেযাবে। কিন্তু জুলেখা যাতে সারা জীবন আমাকে মনে রাখে তার ব্যবস্থা আমাকে এখনই করতে হবে। আমি তখন আরাে বলিষ্ঠ হয়ে উঠলাম। আমার পৌরুষের সমস্ত অহমিকা প্রকাশিত হল। আমি দুহাত দিয়ে ওর গলা জড়িয়ে ধরলাম। ওর ওষ্ঠদুটিকে চুম্বনে চুম্বনে ব্যতিব্যস্ত করে তুললাম। শেষ অব্দি আমি জুলেখার সতীচ্ছদ ছেদ করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

লরা মেয়েটি ইতালি থেকে এসেছে। প্রথম গল্প শােনার সময় আমার আঙুলের স্পর্শ ওকে উজ্জীবিত করেছিল। ওর যৌবন-মােম যেন গলে গলে পড়ছিল। ওর বয়স চব্বিশের
বেশি হবে না। অন্যদের থেকে যথেষ্ট বেশি পৃথুলা ও। যখন বসেছিল, একজোড়া ভারী আসল পিণ্ডের আকর্ষণে ঈষৎ আনতা হয়ে পড়েছিল ও। ঘরের ভেতর চলাফেরা করার সময় ওর দুটি স্তনদেশে মাঝে মধ্যে কাঁপন জাগছিল। ওর গুরু নিতম্বের দোলন যে কোনাে পুংদণ্ডকে সজাগ করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। হাসলে ওর গালে সুন্দর টোল পড়ে। সেদিকেও আমার দৃষ্টি গেছে ইতিমধ্যে।

লরা-র চেহারা ভারিক্কি হলে কী হবে, পায়ের পাতা থেকে মাথার চুল অব্দি সর্বত্র আদিম যৌনতার ছাপ আছে। গােলাপরঙা মুখ ওর টিকালাে নাক। চোখের দৃষ্টি গভীর এবং অতলান্ত চুলগুলিকে ও ফাপিয়ে বেধেছে। হয়তাে দেহের উচ্চতা বাড়াবার জন্য এভাবেই ও ফকির আশ্রয় নিয়েছে। আহা, ওজনটা একটু বাড়তির দিকে। কিন্তু কোমরটা খুব একটা চওড়া নয়। ইচ্ছে করলে জড়িয়ে ধরা যেতে পারে। হাতের কবজি এবং পায়ের গােড়ালির গঠন মন কেড়ে নেয়। সব মিলিয়ে মনে হয়, ও বুঝি এক সত্যিকারের রূপবতী—যাকে দেখে, ঋষিদেরও বীর্যের স্থলন হতে পারে!

লরা এগিয়ে এসে তার পশম নরম একহাত দিয়ে আমার কামনার চিহ্নটিকে সােহাগে, আদরে পাগল করতে থাকল। এভাবেই ও একটি হাত দিয়ে ধরে থাকল আমার সেটিকে আর শুরু করল ওর গল্প বলা।

পাঁচ
ইতালীয় সুন্দরীর কথা

………….অসীম যন্ত্রণা। আমার স্বামী পাশে শুয়ে আছে, কিন্তু ঘুমের ঘােরেও সে আমার দেহকে স্পর্শ করছে না। এক বুক তিয়াস নিয়ে আমি একা একা রাত কাটাচ্ছি। মাঝে মধ্যে পাশ বালিশটাকে আঁকড়ে ধরছি। দুটি উরুর মধ্যে সেটিকে চেপে ধরে আমার যৌন যন্ত্রণা মেটাবার চেষ্টা করছি। আর গালে হাত দিয়ে ভাবছি, হায়, এই পােড়া দেহ দিয়ে আমি কোনােদিন কি আমার স্বামীকে সন্তুষ্টি দিতে পারব না? শেষ অব্দি এভাবেই আমার যৌবনদিন অস্তমিত হবে!…..

…..তখন তাে আমি খুব একটা ছােট্ট মেয়ে ছিলাম না। ভালাে-মন্দ বােঝার মতাে যথেষ্ট বয়স হয়েছিল আমার।হা, তখন আমি ষােড়শী।মানে কৈশােরের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। ইতিমধ্যেই স্তন দুটি পুরুষ্ট হতে শুরু করেছে। যােনিদেশে লােম দেখা দিয়েছে। যৌবন হাতছানি দিয়ে ডাকছে আমাকে।….

……আমার সেই বান্ধবীটি একদিন আমার হাতে হলুদ মলাট দেওয়া একটি নিষিদ্ধ বই তুলে দিয়েছিল। সেই বইটিতে ছিল প্রাচীন দেব-দেবীদের প্রণয় লীলার ছবি। মিথুন লগ্নের আগে এবং পরে তারা কী ধরনের আসনে মিলিত হত, তার আনুপূর্বিক বিবরণ। ছবিগুলি এমন জীবন্ত যে মনে জ্বালা ধরিয়ে দেয়। এত সুন্দর করে আঁকা যে, কল্পনাই করা যায় না সেগুলি নিপ্রাণ। আমার কেবলই মনে হত, এখুনি বােধহয় তারা ভীষণভাবে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। মনে হত, আমি বুঝি চোখের সামনে নারী-পুরুষের মিথুন দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি।………

……এবার শুরু হল আমার অন্য খেলা। তখন আমি বেশির ভাগ সময় কাটাচ্ছি আমার বন্ধ ঘরের মধ্যে। যাতে কেউ আমাকে বিরক্ত করতে না পারে, তার ব্যবস্থাও করে রেখেছি। আসলে তখন বইগুলাের ওপর গভীরভাবে মনােনিবেশ করছি। পরনে কেবলমাত্র ড্রেসিং গাউন রেখে বাকি সব পােশাক খুলে দিয়ে আমি ওই ছবিগুলাে দেখতাম। ছবিগুলাে দেখার সাথে সাথে আমার যৌনাঙ্গে কেমন একটা শিহরণ জাগত। আমি তখন নিজেই নিজেকে খুশি করার চেষ্টা করতাম। বইটা পড়ার সময় মাঝে মধ্যে আমার শিথিল দেহবল্লরী বিছানার ওপর ফেলে দিতাম। আহা, এই ঘরের মধ্যে আমি যে একাকিনী! ওই বইয়ের পাতায় পাতায় নারীপুরুষের সঙ্গম দৃশ্যের ছবি। কত বিচিত্র আসন! বিপরীত বিহারের অনুপম উপস্থাপনা। আহা, সমস্ত দেহ তখন জ্বলছে আমার। আগুনের একটা হল্কা নামছে আমার ঠোট, চিবুক আর বুকে। উষ্ণ প্রস্রবণের মতাে তপ্ত ঢেউ যেন আমাকে আরাে বেশি দহনদগ্ধ করছে। তখন আমি উদগ্র কামনার আগুন নেভাবার জন্য ভাবলাম আমি ওই নির্লজ্জ নগ্নিকা দেবী হয়ে যাব, কল্পনার মাধ্যমে আমার প্রচণ্ড যৌনক্ষুধা মেটাবাে।

আমার সমস্ত শিরা উপশিরায় তখন উষ্ণ রক্ত টগবগ করে ফুটছে। আমি তখন এমন কোনাে কিছুর প্রয়ােজন অনুভব করলাম, যা দিয়ে আমি শান্ত হব। আমার নাভিদেশের নিচে কেমন একটা যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। নিতম্বের মধ্যে দেখা দিয়েছে টান টান সংকোচন। আপনা থেকেই আমার হাত চলে গেল আমার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গাতে। যেখানে প্রথম গজিয়ে ওঠা রােমরাজি বর্ষার ঘাসের মতাে বিস্তৃত। আহা, লজ্জার ওষ্ঠ দুটিকে তারা কী সুন্দরভাবে আবৃত করে রেখেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা যথেষ্ট ঘন হয়নি। কালাে কুচকুচে হতে এখনও দেরি আছে, কেবল নরম সবুজ একটি আভা বেরােচ্ছে সেখান থেকে।

একটি পর একটি দেবী ধর্ষিতা হবার ধারাবহিক কাহিনী লেখা ছিল ওই বইটির মধ্যে। নিখুঁত বর্ণনা। মিথুন লগ্নের প্রস্তুতি পর্বের কথাও সাহসী লেখক বর্ণনা করেছেন নিজের মতাে করে। পড়তে পড়তে উত্তেজনা ছেয়ে গেছে আমার সমস্ত শরীরে। রােমাঞ্চ জেগেছে তনুবাহারে। আহা, আমার স্পর্শকাতর স্ত্রী-আপের রােমগুলি খাড়া হয়ে উঠল। আমার আঙুল প্রবিষ্ট হল উপাঙ্গের গভীরে। অভূতপূর্ব পুলক অনুভব করলাম। যত বেশি কামনা বাড়তে থাকে তত বেশি কেঁপে কেঁপে উঠতে থাকে আমার উপাঙ্গ। নিতম্বের উত্তোলন ততই বেশি হয়। একবার নিতম্বটিকে ওপরের দিকে তুলে নিয়ে যাচ্ছি, পরমুহুর্তে সেটিকে বালিশের সাথে ঘর্ষণ করছি। আঃ, আমার কাম উত্তেজনা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ঠিক যেভাবে মিথুন লগ্নের বর্ণনা দেওয়া ছিল, আমি সেভাবেই আচরণ করতে শুরু করলাম। এভাবে হয়তাে একদিন স্বয়ং রতিতে পৌঁছে যাব, এমন একটা বােধ জাগল আমার মনের মধ্যে। স্বপ্ন শিহরণ বাস্তবে প্রবাহিত হচ্ছে সমস্ত শরীর দিয়ে। শেষ অবধি আমার আঙ্গুল সতীচ্ছদ স্পর্শ করল।

এতে আমি ভীষণভাবে আঘাত পেয়েছিলাম। যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়েছিল সমস্ত শরীরে। কিন্তু তখন আমি কাম-উন্মাদ হয়ে গেছি। এসব কোনাে কিছুরই তােয়াক্কা করলাম না। যে করেই হােক আমার এই যৌন ক্ষুধা মেটাতে হবে, তখন আমার মনে এমনই একটা উদগ্র বাসনার সৃষ্টি হয়েছে। এখন বুঝতে পারি, ছােট্ট একটি বােকামির জন্যে সমস্ত জীবনটা আমার নষ্ট হয়ে গেছে। অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। এই ক্ষতি আর পূরণ করা সম্ভব নয়। | শেষ অবধি আমি বিরক্ত হয়ে বইটা ছুঁড়ে ফেলে দিলাম। এরপর থেকে আর কখনাে আমি ওই স্পর্শকাতর জায়গাটির ভেতর আমার আঙুল ঢুকিয়ে দিইনি।’……..

….আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম যে আমার এই অকপট স্বীকারােক্তি সে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি অবশ্য। তার সন্দেহ সম্পূর্ণ অন্য রকম। সে কল্পনা করেছে অন্য কোনাে প্রেমিক পুরুষ এসে আমার সতীচ্ছদ ঘটিয়েছে। আর তাই আমি অক্ষতযােনি নই।…….

……আমি ইচ্ছে করেই আমার রাত-পােশাকের বাঁধন আলগা করে দিতাম যাতে আমার পুরুষ্ট বুকদুটি তার নজরে পড়ে। কিন্তু দেখতাম সে এক মনে গবেষণার কাজে ব্যস্ত। তার সামনে যে এক রক্তমাংসের মানবী দাঁড়িয়ে আছে, এ বিষয়ে তার বিন্দুমাত্র সূক্ষেপ নেই!’……

……….দস্যু আমাকে জোর করে ঘাসের ওপর ঠেলে ফেলে দিল। ঘাসের ওপর আমি লুটোপুটি খাচ্ছি, দস্যুটা হাে হাে করে হাসতে হাসতে আমার শরীরের ওপর চেপে বসেছে। এক হাত দিয়ে সে আমার হাতদুটোকে মাথার ওপর জড়াে করে চেপে ধরল। অপর হাত দিয়ে সে অতি দ্রুত আমার অন্তর্বাস টেনে ছিড়ে ফেলল। ফলে আমার বুক হল উন্মুক্ত, উদ্ভাসিত।
হাতের চেটো দিয়ে যে আমার নগ্ন স্তন ঢেকে লজ্জা নিবারণ করব এমন উপায় ছিল না। কেননা দস্যু আগেই আমার হাতদুটিকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। সে বােধহয় আমার নারীত্ব হরণ করতে চাইছে। আমার সমস্ত লজ্জাকে সে নষ্ট করবে। ততক্ষণে দস্যুটা এক হাত দিয়ে আমার পাখির মতাে নরম বুক দোমড়ানাে মােচড়ানাে শুরু করে দিয়েছে। তার মুখ থেকে বিশ্রি একটা হিস্ হিস্ শব্দ বেরিয়ে আসছে। আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি, দস্যু এর আগে আমার মতাে সুন্দরী নারীকে কখনাে চোখে দেখেনি, শরীর সম্ভোগ করা তাে দূরের কথা! তার চোখে কামনার আগুন শিখা আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম। একটু পরে অনিবার্যভাবে তার মুখটা নেমে এল আমার বুকের ওপর। সে আমার স্তনাগ্র চুম্বন করল। তারপর সে আমার পরনের অবশিষ্ট পােশাকটিকেও ছিড়ে ফেলল। আমার নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিল। আমি তখন অসহায় নগ্নিকা হয়ে ঘাসের ওপর এলিয়ে দিয়েছি আমার তনুবাহার।
শেষপর্যন্ত আমি চেষ্টা করেছিলাম তাকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিতে। কিন্তু পারিনি। এমনকী আমার একটা হাত আমি তার শক্ত মুঠি থেকে আলগা-ও করে ফেলেছিলাম। কিন্তু তখনই সে আবার জোর করে আমাকে বসিয়ে দিল। তার হাঁটু দিয়ে আমার উরুদুটিকে দুদিকে প্রসারিত করল। এবার সে হাঁটু মুড়ে বসল। আমার হাতদুটি তখনও সে শক্ত করে ধরে রেখেছে তার একটিমাত্র হাত দিয়ে। অপর হাত দিয়ে সে অতি দ্রুত নিজেকে একেবারে পােশাক-মুক্ত করে ফেলেছে। এই অবস্থায় সে আমার মধ্যে প্রবিষ্ট হল।………

……সেখানে আমার ঘরের সামনেই বারান্দা। বারান্দাটা চলে গেছে বলরুম পর্যন্ত। ইতিমধ্যে নানের একটা পােশাক আমি সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। এই পােশাকটি পরলে আমার সমস্ত শরীর ঢাকা থাকবে। শুধু মুখখানি ভােলা থাকবে। চট করে কেউ সামনে থেকে দেখলেও আমাকে বুঝতে পারবে না। এই পােশাকের সঙ্গে মুখ এবং মাথা ঢাকার মতাে আলখাল্লা জাতীয় আর একটি টুপিও ছিল। এই ছদ্মবেশের নিচে ছিল আমার নিজস্ব পােশাক। তাকে। অবশ্য পরিপূর্ণ পােশাক বলা যায় না। নর্তকীদের যেমনটি হয়ে থাকে। অর্ধনগ্ন, সরু ফিতের মতাে বক্ষ আবরণী, কোমরে ততখানি হ্রস্ব জাঙ্গিয়া। বক্ষ আবরণী এত স্বচ্ছ যে, আমার স্তনাগ্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দ্রুত চলাফেরা করলে কোমরের নিচে নগ্ন উরুদ্বয় প্রকাশিত হবে। গােপন অঙ্গের গােপনীয়তা বলতে আর কিছুই থাকবে না। এমনকী কায়দা করে দাঁড়ালে ঈষৎ কালাে লোমরাজিও স্পষ্ট প্রতীয়মান হবে। কিন্তু এসব ঢাকা পড়ে গিয়েছিল নানের পােশাকের আড়ালে।…..

…..নানের ছদ্মবেশটি চট করে আমি খসিয়ে দিয়েছি। তার চোখের সামনে বেরিয়ে এসেছে। এক যৌবনাবতী রূপযুবতী। আমার নর্তকীর মতাে শরীরটা তার সামনে আমি মেলে ধরলাম। কামুক অভিব্যক্তি আঁকলাম শরীরের সবখানে। তাকে উত্তেজিত করে তুললাম। সেও পলকপতনহীন চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমাকে এই অবস্থায় দেখে সে অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে উঠেছিল। নীরব অভিব্যক্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তার আনন্দ। এত জন রুশ অফিসারের মধ্যে আমি যে তাকেই আমার রাতসঙ্গী হিসেবে নির্বাচন করেছি, এই ব্যাপারটি তাকে অত্যন্ত গৌরবান্বিত করে তুলেছিল।……..

…….অবশেষে সেই কাঙিক্ষত মুহূর্তটি কাছে এগিয়ে এল। তার সঙ্গে দৃঢ় আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় আমরা বিছানার দিকে এগিয়ে গেলাম। বিছানাতে আমার শরীরটাকে মেলে ধরলাম। সেও অনিবার্যভাবে আমার ওপর ঝাপিয়ে পড়ল। আমি তখন অধীর আগ্রহে তার ঘন সান্নিধ্যের জন্য অপেক্ষা করছি। সে সঙ্গে সঙ্গে চটপট তার গা থেকে বাইরের পােশাক এবং অন্তর্বাস খুলে ফেলল।…..

…….এবার শুরু হল আমাদের সােহাগ শৃঙ্গারের দীর্ঘ খেলা। দীর্ঘ সময় কেটে গেল এইভাবে। তখনও আমরা কামসাগরে স্নান করিনি। তার আদর এবং সােহাগ আমাকে আরাে বেশি উজ্জীবিত করে তুলল। আমার বুক দুটিকে সে যেন চোখ দিয়ে গােগ্রাসে গিলছে। নিজের হাতে সে আমার উরুদুটিকে দুপাশে ছড়িয়ে দিয়েছে। তার হাতের স্পর্শ আমি স্পষ্ট অনুভব করছি। তার বহু আকাঙিক্ষত ইন্দ্রিয় আমার মুষ্টিগত। আমার হাত দিয়ে আমি সেটিকে আরাে বেশি আদর দিচ্ছিলাম। | সেটি কী কঠিন, তবুও কী ভীষণ জীবন্ত এবং উষ্ণ আবেশে আমার সমস্ত শরীর অবিষ্ট হয়েছে। আমি সেটার কাঠিন্যকে সর্বতােভাবে অনুভব করলাম। আমার মনে হল, এ বুঝি স্বর্গীয় উপহার! এতদিন পর্যন্ত এই উপহার আমি পাইনি। এক বঞ্চিতা, অবহেলিতা নিপীড়িতার মতাে জীবন কেটে গেছে। আজ রাতে ঈশ্বর আমাকে সবকিছু দু’হাত তুলে দিয়েছেন। আমাকে সেই দয়ার দান গ্রহণ করতেই হবে!

আঃ, কী চমৎকার! আবেগ জড়িত গলায় সে বলল—বড্ড মােলায়েম, বড্ড মসৃণ এই পথ। মনে হচ্ছে, যেন আমার দণ্ড প্রবেশের জন্যই তুমি এই পথটি তৈরি করেছে। এই পথ চলা যেন শেষ না হয় সুন্দরী! তার কথা বলার মধ্যে একটা অদ্ভুত আবেগ ছিল। প্রতিটি কথার ওপর সে জোর দিচ্ছিল। তার ফলে শব্দগুলি আরাে আশ্লেষে ভরা হয়ে উঠছিল।……

………শেষ পর্যন্ত সে আমার কথা রেখেছিল। সে তার সমস্ত শরীরের ভার আমার ওপর মেলে ধরেছিল। আমার দুটি পা’কে দুপাশে সরিয়ে দিয়েছিল। আমি তখন রমণীয় রমণসুখে ভাসছি। ক্রমাগত তার ভারী দেহের চাপে আমার যৌন উন্মাদনা আরাে বেশি হচ্ছে। আমার দেহের উত্তাপ গলছে। আমাদের মিলন তখন সাফল্যের দোরগােড়াতে পৌঁছে গেছে। কামনা বাসনার নেশায় রক্তে লেগেছে অদ্ভুত উষ্ণতা। মনে হচ্ছে, রক্ত যেন টগবগ করে ফুটছে। অল্পক্ষণের মধ্যেই তার উত্তাপ বিন্দু বিন্দু রসকণা হয়ে আমার গহূরে ঝরে ঝরে পড়ল। আমাদের দুজনের একই সঙ্গে রাগমােচন হল। এই ঘটনা সহসা ঘটে না। মনে হয়, আমরা বুঝি একই সাথে মিলনে অংশ নেবার জন্য এই পৃথিবীতে পা রেখেছি। রাগমােচনের পরেও আমাদের ছন্দময় গতিটা বেশ কিছুক্ষণ বজায় ছিল। তারপর আমরা নিস্পৃহ হয়ে গেলাম। দুটি অবসন্ন দেহ একে অন্যের থেকে বিযুক্ত হল। সুখের উত্তেজনায় দেহের স্ফীত পেশিগুলোে তখন শিথিল হতে শুরু করেছে। দেহের অভ্যন্তর তখনও রসধারায় সিক্ত। সেই অবস্থায় আমরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরলাম, স্পর্শ সুখের আনন্দকে পরিপূর্ণভাবে উপভােগ করার জন্য।…..

……..আমি অতি দ্রুত আমার প্রথম নাগরকে তখন বাইরে পাঠাতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলাম। কেননা সে চলে না গেলে আমি অন্য এক রুশ আফিসারের সাথে নির্লজ্জ যৌনতার খেলা খেলতে পারব না। এখুনি আমাকে আর এক সুপুরষ রুশকে গ্রহণ করতে হবে। তাকে আবার মিলন সুখের আনন্দ দিতে হবে। তার সাথে মিলিত হতে হবে। আবার আমার শরীর কামার্ত হয়ে উঠেছে। আমার দেহের উত্তাপ বিন্দু বিন্দু হয়ে ঝরে পড়ছে। আহা, আমার ইতালীয় কামরসের আরকে কখন আর একটি রুশ লিঙ্গের মিলন হবে, সেকথাই তখন আমি ভাবছি!

সেই রাতে আমি কতজন রুশ পুরুষকে এই শরীর দান করেছিলাম, তা বলতে পারি না। আমার যৌনতার ক্ষমতা যে এতটা তা ভেবে অবাক হয়েছিলাম!

ইতালি-সুন্দরীর জীবন কাহিনী বলা শেষ হয়ে গেল। যতক্ষণ ধরে ও গল্প বলছিল আমার পৌরুষের দণ্ডটিকে মুঠোবন্দী করে রেখেছিল। মাঝে মধ্যে একটু জোরে চাপ দিচ্ছিল। আমার দণ্ডটি তার মুঠো থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নিষ্ফল চেষ্টা করছিল। ইতিমধ্যেই আমার সমস্ত শরীরে একটা অদ্ভুত মাদকতা জেগেছে। গল্প শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ও আমার সামনে হাঁটু মুড়ে বসল। ওর কপালটা ছিল কার্পেটের দিকে নােয়ানাে। …..

…..সম্ভাষণের অর্থ হল—এসাে প্রিয়, তুমি আমাকে গ্রহণ করাে। তােমাকে অদেয় আমার কিছুই নেই। ওর এই ভঙ্গিমাটি ভারি সুন্দর একটা দৃশ্যের অবতারণা করেছিল! ওর বিরাট গােলাকৃতি নিতম্ব শূন্যে নেচে উঠেছিল। আমাকে আকর্ষণ করার মতাে বর্তুল সেটি! আর, এত মসৃণ যে সেখানে সহজেই জিভের পরশ রাখা যায়। সেই অবস্থায় মনে হল, এবার পুরুষ ঘােড়া বুঝি মাদি ঘােড়ার ওপর আরােহণ করবে। তাদের মতাে আমরাও তখন ঘােটকের আসনে আবিষ্ট হয়েছি। ইতালীয় মেয়েটি এতে অরাজি হয়নি। আমার স্বর্ণযষ্টি তখনও ওর হাতের মুঠোর মধ্যে স্ফীত হচ্ছে। আমার কিন্তু কোনাে তাড়া ছিল না। তবু আমাদের সেই সহবাস বেশিক্ষণ চলেনি। তবে আমি চেয়েছিলাম, আরাে বেশ কিছুক্ষণ তার মধ্যে নিজেকে প্রবিষ্ট করে রাখতে। শেষ অব্দি আমার এই ইচ্ছের কথা আমি প্রকাশ করলাম আমার চোখের ইঙ্গিতে। মেয়েটি রাজি হল। ও আবার ওর নিতম্ব দেশটিকে একইভাবে উত্তেজিত করল। প্রসারিত হল তার বিপরীত বিহারের পথটি। আমি সন্তর্পণে সেখানে আমার দণ্ডটিকে প্রবিষ্ট করালাম। আঃ, একটা অদ্ভুত আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে সমস্ত শরীরে। কিছুক্ষণ বাদে ঝলকে ঝলকে নির্গত হল আমার তরল রস। মেয়েটি পরিতৃপ্ত হল। সহবাসের চরম মুহূর্তে পৌঁছে গেছে সে। সুস্থির নিঃশ্বাস ফেলল। শেষ অব্দি ওর সব উদ্যোগ স্তব্ধ হয়ে গেল। ও হাঁটুদুটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিল। তখনও ওর নগ্ন শরীরটা টান টান হয়ে পড়ে আছে।

আমার এই যষ্টির অনমনীয় দৃঢ়তা দেখে একটি মেয়ে খুবই খুশি হয়ে উঠেছিল। সে প্রকাশ্যে বলল—এসসা, আমি এটার মাপ নেব। এই বলে ও তার হাত থেকে ব্রেস্টলেটটা খুলে নিল। ও আমার ওটার ওপর ব্রেস্টলেটটি বিছিয়ে দিল। ওর ব্রেস্টলেটটা খুব একটা বড় ছিল না। এবার সব মেয়েরা গলা থেকে হার খুলে আমার ওটির মাপ নেবার চেষ্টা করল। দেখা গেল, আমার দৃঢ় দণ্ডটি তাদের সকলের ব্রেস্টলেটের থেকে বড়াে। তাই আমি সেখানকার সম্রাট হিসেবে ঘােষিত হলাম! একটি মেয়ে বলল—তাহলে হে পুরুষ, তােমার ওটির মাপ কীভাবে নেব?

আমি বললাম কেন? তােমরা সকলেই তাে আলাদাভাবে মাপ নেবার চেষ্টা করছাে? আর তােমরা তাে জানাে, তােমাদের সবার কাছ থেকে আমি আজ রাতে হরণ করব নারীত্বের অহঙ্কার। এই বলে, আমার সবথেকে কাছের মেয়েটির পা থেকে মােজা বাঁধার ফিতেটা খুলে নিলাম। এটা এক ধরনের শক্ত ফিতে, আমার প্রয়ােজনের ক্ষেত্রে সেটিকে খুবই উপযুক্ত বলে মনে হল। সেই ফিতে দিয়ে আমি তাদের সকলের বুকের মাপ নিলাম। একই সঙ্গে উরুর পরিধির মাপ নিলাম। তারপর হাসতে হাসতে প্রত্যেকটি উরুজোড়ার মাঝের লােমরাজি সরিয়ে তারও মাপ নিলাম।

ইতিমধ্যে পারস্যের যুবতী মেয়েটি তার সবকিছু আমাকে দেখিয়ে দিয়েছে। ও এত বেশি ঐশ্বর্য ধরে রেখেছে ওর শরীরে যে, অনায়াসে একাধিক পুরুষকে তুষ্ট করতে পারে। আমি দেখলাম জুলেখার স্তনদুটি সকলের থেকে বড়াে এবং উরুদুটিও অন্যদের থেকে বড়াে। অর্থাৎ যৌনতার এই আসরে তাকেই আমরা সম্রাজ্ঞীর আসনে বসাতে পারি।

এবার ইতালীয়-সুন্দরী বলে ওঠে—এসাে আন্না, এবার তােমার পালা!তুমি এসে আমার হাত থেকে স্কার্ফটি তুলে নাও। সার্কসিয়ার প্রসঙ্গে কিছু বলে আমাদের ওই বিদেশি বন্ধুকে আশ্বস্ত করাে।

যে মেয়েটির উদ্দেশে এই কথা বলা হল,ও তখন আমার সামনে চলে এসেছে। ওর বয়স কখনােই আঠারাে বসন্তের বেশি হবে না। দীর্ঘাঙ্গী ছিপছিপে চেহারা। শরীরের কোথাও এতটুকু মেদ ও জমতে দেয়নি। সুন্দর সুডৌল ওর পা’দুটি। ওর নির্মেদ গােলাকৃতি কোমর, যা আমি দুহাতে অনায়াসে জড়িয়ে ধরতে পারি। ওর সুন্দর পুরুষ্ট স্তনবৃন্ত স্বচ্ছ পােশাকের আড়াল থেকে স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। দেখে মনে হয়, সাদাদুটি পদ্মফুল ফুটে আছে। সেখানে। ওর সােনালি চুল মনকে অজানা আকর্ষণ ডাক দিচ্ছে। চুলের ভেতর হাত চালিয়ে দিয়ে মনে হয়, সেখানে চুমুর চিহ্ন রাখি। ওর দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পুরুষ চিত্তকে আকর্ষণ করে। কামনার সঞ্চার ঘটিয়ে দেয়। আহা, ওর বড়াে বড়াে নীল চোখের দৃষ্টিতে কেমন একটা অসহায়তার ছায়া পড়েছে। ওর প্রতিটি ভাবাবেগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিবুকের রঙ পাল্টাচ্ছে। কখনাে চিবুকদুটি হয়ে উঠছে অত্যন্ত সাদা; কখনাে বা লাল, কখনাে বা ঈষৎ গােলাপি।….

…..ও এবার আমার কোমরটাকে জড়িয়ে ধরল। আমার দুটি উরুর ওপর ও নিজের একটি হাত রাখল। তারপর হাতের কনুইদুটি দিয়ে কুশনের ওপর ভর দিল। আমার দিকে তখন ওর নীল চোখ উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছে। ওর স্তন দুটিকে আমি মাঝে মধ্যেই পেষণ করছি। আমার নাভির নিচে যে শিশ্নরাজ, তার ঘুম ভেঙে গেছে। শিশ্নরাজকে ও অতি দ্রুত ওর মুঠোবন্দী করে ফেলল। তারপর আমার মুখের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে ও তখন বলতে শুরু করেছে ওর ফেলে আসা দিনযাপনের গল্পকথা।

ছয়
আমি এক সার্কসিয়ান সুন্দরী

………..মা চাইতাে, নগ্নিকা হয়ে ঈশ্বরীর মতাে নিজেকে সমর্পণ করতে। তখন মার চোখে বিপিতা যেন স্বর্গ থেকে খসে পড়া এক দেবদূত। দুহাতের শক্ত আলিঙ্গনে পাপভ্রষ্টা দেবীর মতাে মা তার সাথে নিজের দেহকে মিশিয়ে দেবার চেষ্টা করত। জিভটা কয়েক মুহূর্তের জন্য আমার বিপিতার ঠোটের ওপর বুলিয়ে নিত আমার মা। যেন চকচকে ভিজে ভিজে ঠোটে পৃথিবীর সমস্ত বাসনা কামনা বুঝি কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে। মার দেহ নির্গত অদ্ভুত একটা শরীরী গন্ধ বিপিতাকে মাতাল করত। এভাবেই বৃদ্ধ সেনাধ্যক্ষের মনের মধ্যে জেগে উঠত সঙ্গমের তৃষা। ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ফেলতেন তিনি। মার স্তনবৃন্তের দুটি আশ্চর্য স্থান কেঁপে উঠত সেই নিঃশ্বাসের প্রতিক্রিয়াতে। মা বাড়িয়ে দিত তার তৃষিত ঠোটজোড়া, স্বামীকে চুম্বন দেবার জন্য স্বামীর গলা জড়িয়ে ধরত আমার মা। ওদের সেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি মাঝেমধ্যেই আমি চোখের সামনে দেখতাম।……

….শেষ অব্দি বৃদ্ধ সেনাধ্যক্ষের ইচ্ছে মতাে মা একটা চমৎকার পন্থা বাতলে দিয়েছিল। প্রথমে লিউলিনের সাথে মা ভাব করল। মেয়েটির বেশ ভারিক্কি চেহারা। সমস্ত শরীরে বাসনার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। ওর ত্বক মসৃণ ভেলভেটের মতাে নরম। চুম্বকের মতাে আকর্ষণ আছে ওর উপাঙ্গের। সত্যি কথা বলতে কী, লিউলিনকে একবার দেখলে কেউ ভুলতে পারবে না। ঘন এক ঢাল চুল ওর সৌন্দর্যের অন্যতম আধার। সমুদ্রনীল চোখের অধিকারিণী ও। ওর পরনের স্কার্টটা ওড়ে হলুদ ডানার মতাে। তার স্তন দুটি অত্যন্ত পুরুষ্ট। উরুদ্বয় বিশাল এবং ভারী। দীঘল মাংসল সুগঠিত দুটি পা আছে ওর। রঙ ফর্সা, চুলগুলাে ঈষৎ সােনালি। নাভিতল অত্যন্ত সমতল। মসৃণ তলপেট থেকে পা’দুটি শুরু হওয়ার পর যেন গােলাকৃতি হয়ে মিশে গেছে। দুই উরুর সংযােগস্থলে জ্বলন্ত বাসনার একটি চিহ্ন আঁকা।…..

……..একদিন বেড়াতে এসে মেয়েটি বিছানাতে আমার মায়ের পাশে শুয়ে পড়ল। ঘুমের ভান করে ও এখন চোখ বন্ধ রেখেছে। ঠিক সেই সময় বৃদ্ধ সেনাধ্যক্ষ এসে ওই ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন। তিনি একে একে তার গা থেকে পােশাকগুলাে খুলে ফেললেন। সম্পূর্ণ নগ্ন হলেন। বিছানায় উঠে গিয়ে ওদের দুজনের মাঝে গিয়ে বসলেন। বৃদ্ধ সেনাধ্যক্ষ যেন আর অপেক্ষা করতে পারছিলেন না। তার মনের সমুদ্রে তখন ঝড় উঠেছে। তিনি একটু পরেই লিউলিনের দেহের ওপর নিজের ভারী শরীরটাকে চাপিয়ে দিলেন। লিউলিন তখন আমার মায়ের হাতের ওপর ভর রেখে শুয়েছিল। এবার ও চোখ খুলে তাকাল। এই দৃশ্য দেখে একটুখানি হাসল। হয়তাে মনে মনে ও খুশিই হয়েছিল। এমন একটি প্রহরের প্রতীক্ষাতেই মগ্ন ছিল সে। একটা পাতলা চাদরের নিচে তার দেহটি শায়িত আছে। দেহে একটুকরাে সুতাে অবশিষ্ট ছিল না। বৃদ্ধ সেনাধ্যক্ষ এই ব্যাপারটি বুঝতে পেরে খুবই খুশি হয়েছিলেন।
সেনাধ্যক্ষের প্রথম কাজ ছিল মেয়েটির বুকের ওপর থেকে চাদরটা সরিয়ে দেওয়া, যাতে তিনি ওর নগ্ন সৌন্দর্য ভালােভাবে অবলােকন করতে পারেন। তারপর তিনি এগিয়ে এসে মেয়েটির নগ্ন বুকের দিকে তাকালেন। বিজয়ীর হাসি ফুটে উঠল তার সমস্ত মুখমণ্ডলে।

লিউলিন এই অবস্থাতে আর চুপ করে থাকতে পারলাে না। ও এগিয়ে এসে বৃদ্ধ সেনাধ্যক্ষকে আদর করতে শুরু করল। তার ভােলা প্রশস্ত বুকে হাত রাখল। কাঁধের পেশিতেও হাত বুলিয়ে দিল। দু’হাত বাড়িয়ে প্রেমিকের গলা জড়িয়ে ধরল। পেলব হাতের স্পর্শে ও বৃদ্ধকে সংবাহনের আনন্দ দিতে চেয়েছিল। এইভাবেই ও বৃদ্ধকে উত্তেজিত করতে চাইল। এতে প্রচণ্ড কাজ হল। বৃদ্ধের মধ্যে একটা সক্রিয় ভাব দেখা দিল। ও পাগলের মতাে লিউলিনকে চুমু খেতে থাকল। ওর ঠোট দুটি কামড়ে দিল। ওর গালেও দংশনের চিহ্ন রাখল। তার কপালে আদর করল।

এবার অনিবার্যভাবেই বৃদ্ধ সেনাধ্যক্ষর একটি হাত নেমে এল লিউলিনের স্তনের ওপর। অস্ফুটে সে বলল—আমি যদি এই দুটির একটিকে আদর না করি, তাহলে সে ব্যথা পাবে। অভিমানে আরাে লাল হয়ে উঠবে। আহা, এসাে তােমার এদুটিকে আমি একসঙ্গে আদর দিই।

এই কাম উত্তেজক কথাবার্তায় লিউলিন খুবই খুশি হয়েছিল। ও একটি স্তনকে উঁচু করে ধরল, তার বৃন্তটি সেনাধ্যক্ষের মুখের কাছে এনে বলল—আশা করি, এটিকে খেতে আপনার মােটেই অনাগ্রহ হবে না। মেয়েটির এই বে-শরম আচরণে সেনাধ্যক্ষ একেবরে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন!

…….অনেক অভিজ্ঞতা আছে তার। জীবনে চলার পথে অসংখ্য মেয়ের সঙ্গে সঙ্গম করেছেন। ককে কীভাবে সুখ দিতে হয়, সে পন্থা তার আয়ত্ত। লিউলিন তখন কী এক অজ্ঞাত কারণে যৌন ইচ্ছুক হয়ে উঠেছে। বৃদ্ধ সেনাধ্যক্ষের করে এমন শক্তি আছে কি যে তিনি লিউলিনকে সম্পূর্ণ তৃপ্ত করতে পারবেন? লিউলিনের আমি তখন এই প্রশ্নটি জেগেছে!

সেনাধ্যক্ষ লিউলিনের নাভিমূলে হাত বােলাতে থাকেন। উরুসন্ধির উত্তাপ গ্রহণ করেন। নার হাতের স্পর্শে লিউলিন সঙ্গে সঙ্গে ওর দুটি উরুকে দুদিকে প্রসারিত করে দিল। ও লল—যা করার তাড়াতাড়ি করুন। আমি আর থাকতে পারছি না! তখনও বৃদ্ধ সেমাধ্যক্ষের মধ্যে তেমন কোনাে তাড়া দেখা গেল না। ও বৃদ্ধ সেনাধ্যক্ষের নিতম্বটি টেনে অনল নিজের কাকালের দিকে। এবার সেনাধ্যক্ষ বুঝতে পারলেন যে, লিউলিন তার ধৈর্য্যের শশষ প্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে। ওর চোখ-মুখ সঙ্গমের ইচ্ছায় বিস্ফারিত হয়েছে। ওর য় শিরা-উপশিরাতে কাঁপন জেগেছে। হৃৎপিণ্ডের গতি হয়েছে দ্রুততর।

সেনাধ্যক্ষও নিজেকে তখন আর ধরে রাখতে পারছিলেন না। তিনি লিউলিনের কোমর এই শুয়ে ধরে ওকে ওপরের দিকে টানলেন। সেনাধ্যক্ষের শরীরটি নিচে শােয়ানাে ছিল। তার করে লিউলিনের হালকা পেলব তনুবাহার। এভাবেই সেনাধ্যক্ষ প্রবিষ্ট হলেন লিউলিনের মধ্যে। লিউলিন অধীর উত্তেজনায় তার সুখের অভিব্যক্তি প্রকাশ করল অস্ফুট আর্তনাদের মাধ্যমে। সহবাসের কামনাতে তখন তাদের দেহ থর-থর করে কাপছিল। একসময় একই সঙ্গে তাদের রাগমােচন হয়ে গেল। একটা আনন্দের অভিব্যক্তি ফুটে উঠল ওঁদের চোখেমুখে এবং শরীরের সর্ব-অংশে। দুটি দেহই স্থির হয়ে গেল। তৃপ্ত হল উভয়ের ক্ষুধা।

নিজেকে আমি আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। সেনাধ্যক্ষ যখন বারবার লিউলিনের ওপর ঝাপিয়ে পড়ছিলেন, তখন সেই মিথুন লগ্নের দৃশ্য দেখে আমার সমস্ত শরীরে কেমন একটা তীব্র অভিব্যক্তি হতে শুরু করে। আমি চাইছিলাম, আমার ওপরও একজন বলিষ্ঠ পুরুষ এসে ঝাঁপিয়ে পড়ুক। আমার শরীর নিয়ে ছিনিমিনি খেলা করুক। আমার দেহ উপভােগ করুক। ধাপে ধাপে আমাকে সুখের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাক। হয়তাে আমার মাও তখন আমার মতাে একইরকম তৃষ্ণা অনুভব করছিল। সেই কারণেই বােধহয় মা তখন লাজলজ্জার মাথা খেয়ে সেনাধ্যক্ষকে অনুরােধ করতে থাকে, তার যৌন আকাঙ্ক্ষা মেটাবার জন্য। আর আমি দূর থেকে সেই দৃশ্য দেখছি। আমার নিম্নাঙ্গ রসে ভরে উঠেছে। এই দৃশ্য দেখে কোনাে রমণী কি নিজেকে স্থির রাখতে পারে?……

……….সেনাধ্যক্ষের সংস্পর্শে এসে আমার মা সুখ নামের এক আশ্চর্য আবেগের সন্ধান পেয়েছিল। এই আবেগ সহজে পাওয়া যায় না। এই আবেগের জন্য সমস্ত নারী অপেক্ষাতে থাকে। আহা, মার সমস্ত শরীর উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছে। এই দৃশ্য দেখে আমার গােপন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সজাগ হয়ে উঠল। আমার মা তখন দুহাত দিয়ে তার কোমর বেষ্টন করে নিজেকে উজ্জীবিত করতে চাইছে। সেনাধ্যক্ষকে নিজের মধ্যে গ্রহণ করার জন্য মা তখন সমস্ত পদ্ধতি সেরে রেখেছে। বেশ কয়েক মিনিট ধরে তাদের দেহ মিলেমিশে একাকার। হয়েছিল। আমি বেশ বুঝতে পারলাম, বৃদ্ধের সমস্ত উত্তাপ বিন্দু বিন্দু হয়ে ঝরে পড়ছে আমার মায়ের অভ্যন্তরে। অবসন্ন দুটি দেহ এইভাবে পরস্পরকে আলিঙ্গন করে আরাে অনেকক্ষণ নিশ্চলভাবে শুয়ে ছিল।

আঃ, নারী-পুরষের এই গােপন মৈথুন দৃশ্য দেখতে দেখতে আমি আমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলিতে কেমন একটা ব্যথা অনুভব করেছি। উত্তেজনার আতিশয্যে সেগুলিতে কাঁপন জেগেছে। এখনই আমার একজন সমর্থ সক্ষম পুরুষের প্রয়ােজন। এখনই! আমি কিছুতেই আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করতে চাইছি না। কিন্তু আমার দেহের ক্ষুধা আমি কাকে দিয়ে নিবারণ করব?

আমি অত্যন্ত দ্রুত বাথরুমে ঢুকে গেলাম। বাথরুমের অর্ধেকটা জুড়ে ছিল বাথটাব। সেটিকে সবসময় জলে ভর্তি রাখা হয়। এমন জল সেখানে আছে, যাতে আমি অনায়াসে ডুব দিয়ে বসে থাকতে পারি। জলের সাথে কেলি করা আমার একটি প্রিয় খেলা। জলের মধ্যে আমার দুটি স্তন পদ্মের মতাে ভাসমান থাকে। আমি ধীরে ধীরে স্তনচড়া নিয়ে আবেগের খেলা খেলতে থাকি। আমার হাত তখন এক পুরুষের হাত হয়ে যায়। আমি বৃন্তটিকে এদিক ওদিক করতে থাকি। এতে আমার শরীরে একটা সুখের শিহরণ প্রবাহিত হয়।…..

…..আমি ঘরের মধ্যে নিজেকে সম্পূর্ণ বিবস্ত্রা করে ফেললাম। তারপর দরজার ফাঁক দিয়ে বাথরুমের ভেতর উঁকি দিলাম। দেখতে পেলাম, জলের ভেতর সেনাধ্যক্ষের নগ্ন দেহটা ভাসছে। তিনি তখন অদ্ভুত আবেগে তার শরীর নিয়ে খেলা করছিলেন। একে জলকেলি বলা হয়। তিনি মাঝে মধ্যেই হাতের মুঠোয় তার পুংদণ্ডটিকে ধরছিলেন। আবার পরমুহূর্তেই সেটিকে ছেড়েদিচ্ছিলেন। এই খেলা দেখে আমার রক্ত গরম হয়ে উঠল। ………..পরক্ষণেই উনি আমার দিকে এগিয়ে এলেন। কিন্তু আমি কীভাবে ওঁনার সাথে মিলিত হব? আমি কি জানি, এখন কোন পথ দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে? এরকম একটা ভান করে আমি সেখানে দাঁড়িয়েছিলাম।

আমার প্রথম কাজ হল, নাটকের মধ্যে ঢুকে পড়া। আমি আমার মুখ ঢাকলাম লজ্জার অভিব্যক্তিতে ধীরে ধীরে আমি লজ্জার ভাবটা কাটিয়ে ফেললাম। তারপর একটা হাত রাখলাম আমার স্তনজোড়ার ওপর। অপর হাত দিয়ে তলপেটের নিচে একচিলতে লজ্জাস্থান ঢেকে ফেললাম। পাছে আমার মা জেনে যায়, তাই কোনাে চিৎকার করলাম না। একবার আমার ভেতরের আবেগ প্রকাশের ইচ্ছে হয়েছিল শিৎকারের শব্দ করে। কিন্তু শেষপর্যন্ত মনকে আমি দমন করতে সমর্থ হলাম।

তারপর আমি তার দিকে পেছন ফিরে আমার দেহটা জলে ভাসিয়ে দিলাম। আসলে আমি আমার শরীরের প্রতিটি লােভনীয় খাঁজ ওঁনাকে দেখাতে চেয়েছিলাম, যাতে উনি আর স্থির থাকতে না পারেন। যাতে ওঁনার মনের ভেতর থেকে সংস্কারের শেষ বাঁধনটুকুও অপসারিত হয়। দেখলাম তখনও উনি খাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ধীরে ধীরে উনি বাথটাবের ঢালের দিকে এগিয়ে এলেন। এখান দিয়েই বাথটাবে প্রবেশ করতে হবে। আমার স্নান তখনও ভালাে করে সারা হয়নি। আরাে কিছুক্ষণ আমি জলের সাথে এমন কেলি করব।
উনি বললেন—ঠিক আছে আন্না, এসাে, আমরা দুজনে আজ একসঙ্গে স্নান করি। তােমার কোনাে আপত্তি নেই তাে?
তার লােভাতুর দৃষ্টি তখন আমার শরীরকে লেহন করছে।
বেশ বুঝতে পারলাম যে, ওঁনার কাছে আমার জারিজুরি খাটবে না। তবুও আমি হাল ছেড়ে দিইনি। ওঁর হাত থেকে ছাড়া পাবার জন্য ছটফট করেছি। ধস্তাধস্তির ফলে আমরা দুজনে একে অন্যকে আরাে নিবিড়ভাবে আলিঙ্গন করেছি। ওই কঠোর সংগ্রামে শেষ পর্যন্ত আমি জিততে পারিনি। শেষ অব্দি আমি ঢালু জায়গাটাতে এসে দাঁড়ালাম। উনি বােধহয় এই অবস্থানটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে উনি আমার শরীরের ওপর ভর দিয়ে আমাকে চেপে ধরলেন।

তখন আমার সেকি অসহায় অবস্থা! দেহটাকে বাথটাবে ছড়িয়ে দিতে পারছি না। ভালােভাবে দাঁড়াতে পারছি না। কেননা ওঁনার স্ত্রীর আমাকে একেবারে জাপটে ধরেছে। কোমর থেকে পা পর্যন্ত ঈষৎ তেরছা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কোমর থেকে গলা অব্দি অর্ধশায়িত অবস্থায় জলের মধ্যে ঢুকে আছে। মাথাটা জলের ওপর ভাসিয়ে রেখেছি, যাতে দম বন্ধ হয়ে না যায়। দুটি নারী-পুরুষের নগ্ন দেহ একটু একটু করে মিশে যাচ্ছে। উষ্ণ উত্তেজনার মুহূর্ত শুরু হয়ে গেছে।

উত্তপ্ত জলের স্পর্শে আমার শরীরের প্রতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে যেন আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে। আমার ভরা যৌবন আরাে তপ্ত হয়ে উঠেছে। আহা, এই জলে অবগাহন করে আমার ষষ্ঠ রিপু কামনামদির হয়ে উঠেছে। আমি আজ অকপটে স্বীকার করছি, জলের মধ্যে ডুবে যাবার ভয়ে আমি তখন স্বেচ্ছায় তঁাকে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলাম। আমার তখন আর কোনাে লজ্জা ছিল না। তার দেহের স্পর্শে লজ্জার সব আবরণ কোথায় চলে গেছে। তার সঙ্গ কামনাতে আমার দেহের প্রতিটি অঙ্গ উন্মুখ হয়ে উঠেছে। আমার মতাে তার হাত দুটিও সক্রিয় হয়ে উঠেছিল।

আমার মনে হয়, পুরুষ মানুষের বীরত্ব লুকিয়ে থাকে তার আঙুলগুলােতে। হাতের মাধ্যমেই তিনি আমার রতিতৃপ্তি ঘটানাের চেষ্টা করছেন। অবশ্য এতে আমার কোনাে ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি। উনি আমার শরীরের বিশেষ বিশেষ অঙ্গে হাত চালিয়ে দিয়ে আমাকে উত্রি : ষ্টো করছিলেন। আহা, বাথটাবের মধ্যে কি এই কাজ করা যায়? জানি না, এভাবে আমরা বাসনাকামনার কোন স্তরে উন্নীত হব?

দেখা গেল, হাতের কারুকাজে উনি আমার দুটি স্তনবৃন্তকে ধরছেন। কখনাে বা তলপেটে হাত বােলাচ্ছেন। উরুর খাঁজে যে নরম ঢাল আছে, সেখানেও মাঝে মধ্যে আঙুলের পরশ দিচ্ছেন। আহা, আমার যৌবনবতী দেহের অভ্যন্তরের উত্তাপ তখন গলে গলে পড়ছে! স্বাভাবিকভাবে সহবাসে আগ্রহ জাগছে। কিন্তু স্নানাগারের মধ্যে তার সুযােগ কোথায়? এখানকার অস্বাভাবিক পরিবেশের মধ্যেই সুখ খুঁজে নিতে হবে। উনি আমার মধ্যে প্রবেশ করার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। আমি তাে গতকাল রাতে ওঁর সাথে লিউলিনকে সঙ্গমাবদ্ধ অবস্থায় দেখেছি। আমার মাকেও দেখেছি ওর সাথে মৈথুনে মেতে উঠতে। আমি জানি, উনি কত সফল পুরুষ! আহা, এখন যদি একটা দুধ সাদা বিছানা থাকত, তাহলে আমি আবার ওই বৃদ্ধ সেনাধ্যক্ষের সাথে শরীরের খেলায় ভালােভাবে অংশ নিতে পারতাম। প্রথমে আমি একটু আধটু ব্যথা অনুভব করেছিলাম, বাকি সময়টুকু আমার মন ভেসে গিয়েছিল আনন্দসাগরে। আমি দুটি উরুকে দুপাশে প্রসারিত করে দিলাম। আমি আমার উরুসন্ধিতে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করছিলাম। তখনও আমার সমস্ত শরীরে গরম জলের পরশ। দেহে জ্বালা ধরে গেছে। স্থান-কাল-পাত্র—সব ভুলে গিয়ে আমি নিতম্বে তুললাম ভূকম্পনের ঝড়। আমার এই কম্পিত নিতম্ব দেখে বৃদ্ধ সেনাধ্যক্ষের চোখ মাথায় উঠে গিয়েছিল। তিনি আমার মায়ের দ্বিতীয় স্বামী, এই মুহূর্তে আমার পুরুষ প্রেমিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন! তাতে কী হয়েছে? যৌবনের কাছে এভাবেই তাে প্রজন্ম হারিয়ে যায়। সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। জেগে থাকে এমন একটা চিরাগ, যাকে আমরা বাসনা বলতে পারি। আহা, বাথটাবের সেই গরম জলের মধ্যে তখন দুটি শরীর একে অন্যকে হারিয়ে দেবার মরণ খেলায় মেতে উঠেছিল। এরপর সব কিছু শেষ হয়ে গেল। পুরাে পাঁচ মিনিট আমি অবসন্ন দেহ নিয়ে সেখানেই পড়ে রইলাম। তখনও আমার সর্বাঙ্গে সুখানুভূতির প্রবহণ।…..

….ইতিমধ্যে পট পরিবর্তিত হয়েছে। লিউলিনের পরিবর্তে এক যুবতী পরিচারিকা এসে ওই বৃদ্ধ সেনাধ্যক্ষের সঙ্গে মিলিত হচ্ছে। মা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে সঙ্গমের সেই দৃশ্য। আমিও চারাকুঠরিতে বসে ছােট্ট একটি ছিদ্রের মধ্যে থেকে সেনাধ্যক্ষ এবং ওই পরিচারিকার ভালােবাসাবাসির দৃশ্য দেখছি। নিজেই নিজেকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছি। যখন তারা একে অন্যকে পরম আশ্লেষে আদর করতে থাকেন, তখন আমার হাতের আঙুলও চলে যায় যৌনাঙ্গের অভ্যন্তরে। ইদানিং এইভাবে ঘর্ষণ করেই আমি নিজেকে তৃপ্তিদানের চেষ্টা করে থাকি।…..

……সত্যিই তখন সকলেই আমার ক্রীতদাস। প্রহরী থেকে রুডলফ, এমনকী আমার সেনাপতি কাশিম এবং সেলিম। আমি পালা করে ওদের সাথে মিলিত হয়ে থাকি। ওদের মধ্যে রুডলফকেই আমি আমার সবথেকে কাছের মানুষ বলে মনে করি। এই তিনজনের মধ্যে রুডলফ সবথেকে বলিষ্ঠ। আমার মনে যখন পুলক জাগে, যৌনাঙ্গে জাগে চিনচিনে ব্যথা, তখনই আমি রুডলফকে ডাক দিই। দীর্ঘদেহী রুডলফ আমার ডাকে সাড়া দিয়ে মধ্যরাতে গােপনে আমার শােবার ঘরে প্রবেশ করে। সেলিম এবং কাশিমের কাছে এই ব্যাপারটা অজানা নয়। কিন্তু তারা তাে জানে, এই তিন পুরুষের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি সম্পাদিত করতেই হবে। তা না হলে তারা কেউ-ই আমার শরীরের পরশ পাবে না। | কাশিম বেঁটেখাটো। গাট্টাগােট্টা চেহারা আছে তার। কিন্তু তার পুংদণ্ডটি অত্যন্ত ক্ষুদ্র। উত্তেজনার মুহূর্তেও সেটি খুব বেশি বর্ধিত হয় না। তাই কাশিমের সাহচর্য আমার ভালাে লাগে না। সবদিক থেকে রুডলফকেই আমি বেশি পছন্দ করি।

একদিন সন্ধ্যায় ওদের সবাইকে আমি আমার গােপন কক্ষে আহ্বান করেছিলাম। সন্ধ্যার আগেই বাড়ির কাজের লােকেদের ছুটি দিয়েছিলাম। ভেতর থেকে দরজাটা বন্ধ করা ছিল। আমি পরেছিলাম লাল ভেলভেটের বক্ষ আবরণী এবং লাল সিল্কের স্কার্ট। সব থেকে দামী অলঙ্কার সাজিয়ে দিয়েছিলাম আমার গায়ে।

আমি বললাম—তাহলে হে আমার পুরুষ প্রেমিকগণ, তােমরা কি সানন্দে আমার হারেমের অন্তর্ভুক্ত হবে? এসাে, এসাে, কাশিম, হা, তুমি হবে আমার দুটি ওষ্ঠের প্রভু।
নম্র বিনয়ী তরুণ আধিকারিকটি আমার কথা শুনে এগিয়ে এল। আমার প্রতি সে যে কত অনুগত তা তাকে এক্ষুণি দেখাতে হবে। সে প্রতিশ্রুতি মতাে আমার দুটি ঠোটকে লালাসিক্ত করে দিল।

আর সেলিম, তুমি… না, তােমাকে আমি আরাে ভালাে উপহার দিচ্ছি। তুমি হবে আমার স্তনদুটির রাজা। | সেলিম ভাবতেই পারেনি, তাকে আমি এই উপহার দেব। আমার কথা বলা শেষ হতে না হতেই সে এগিয়ে এসে আমার স্তনের ওপর তার হাতের পরশ দিল। তারপর চুমু দিল। বক্ষবাসের আড়ালে আমার স্তন তখন উন্মুখ হয়ে উঠেছে। আমি ইচ্ছে করেই তখনও বক্ষআবরণী খুলে দিইনি। বাকি রেখেছি শেষ প্রহরের জন্য।
সবশেষে রুডলফের চোখের দিকে তাকিয়ে আমি ইঙ্গিতপূর্ণ হাসিতে উদ্ভাস করলাম আমার মুখ। আমি বললাম—রডলফ, তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছাে, আমি তােমাকে আমার শরীরের কোন্ অংশের সম্রাট হিসেবে ঘােষণা করতে চলেছি। তুমি হবে আমর উরুদ্বয়ের রাজা!

আমার কথামতাে রুডলফ আমার সামনে এসে হাঁটু মুড়ে বসল। আমার স্কার্ট তুলে উরুসন্ধিতে সে শুধু একটিমাত্র চুমুর চিহ্ন এঁকে দিল। | একটিমাত্র চুমু—তবুও তা এত আবেগী এবং মর্মস্পর্শী যে, আমার সমস্ত অন্তর একেবারে জ্বলে উঠল। আমি উন্মুখ হয়ে উঠলাম ওর কাছ থেকে আরাে বেশি সােহাগ পাব বলে। | আমার ঠোটের দুপাশে কাশিমের ঠোটের স্পর্শ অনুভব করলাম। আমি বেশ বুঝতে পারলাম, রুডলফ এবার আবার তার সর্বনাশা খেলা শুরু করতে চলেছে। আমার সমস্ত শরীরের ওপর দিয়ে তখন উষ্ণ কামনাস্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। | এসাে, আমরা সকলে এবার আমাদের পােশাকগুলােকে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিই। প্রেম নিবেদন করার পক্ষে এগুলাে অন্তরাল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, তা কি কখনাে হয়? এখন আমরা নগ্ন হব প্রাচীনকালের দেবদেবীদের মতাে! | ওদের উদ্দেশে তখন আমি এই গােপন আহ্বান ছুঁড়ে দিয়েছি।

আমার দেখাদেখি সকলেই নিজেদের নিরাবরণ করল। সকলের মাথাতেই তখন মদের নেশা প্রবলভাবে ক্রিয়া করতে শুরু করেছে। আমরা তখন সকলেই একেবারে বিবস্ত্র।
একসময় দুহাত দিয়ে কাশিমের গলা জড়িয়ে ধরলাম। ওকে আমি মেঝের ওপর শুইয়ে দিলাম। ওর বুকের ওপর নিজের ভার রাখলাম। এই কাজে আজ আমিই হব আগ্রাসী অনায়িকা। ওরা হবে আমার ক্রীতদাস মাত্র! হারেমের অভ্যন্তরে সুলতানরা যেভাবে আর শরীর ভােগ করে থাকে, সেভাবেই আজ আমি পালা করে তিনটি তরুণ
কোরিককে ভােগ করব। কাশিমের ইচ্ছে-অনিচ্ছের ওপর আমি নির্ভর করলাম না, আমি একে উত্তপ্ত করলাম। আমি আমার জানা কামকলার সমস্ত কৌশলগুলি ওর ওপর প্রয়ােগ হতে শুরু করলাম। ও শেষ অব্দি আর থাকতে না পেরে আমার সঙ্গে উপগত হল।

সেলিমের জন্য উন্মুক্ত ছিল আমার পুরুষ্ট নিতম্ব। পেছন থেকে সে আমার পিঠের ওপর ঈশারােহী হয়ে চড়ে বসল। দ্বিতীয় বিবরে তখন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তার উদ্ধত দণ্ডটি। একই
সাথে দুটি পুরুষের সাথে আমি খেলছি যৌনতার খেলা। আনন্দ কোথায় পৌঁছে গেছে, তা তােমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছাে!

এবার রুডলফের পালা। সে আমার পেছনে হাঁটু মুড়ে বসল। আমার চোখের ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই তার কাছে পৌঁছে গেছে। রুডলফ বুদ্ধিমান ছেলে। সে জানে এখন তাকে কী করতে হবে। ধীরে ধীরে সে মুখ নামিয়ে আনল আমার বুকজোড়ার ওপর। এইভাবে তিন তিনটি পুরুষ আমাকে ভােগ করছে। একেই কি আসল সুখ বলে!
ওরা পালা করে স্থান পরিবর্তন করছে। এবার কাশিম আমার বুকের ওপর চলে এসেছে। রুডলফ চলে গেছে আমার নিতম্ব দেশে। সেলিমের জন্য আমি তখন উন্মুক্ত করে দিয়েছি আমার যােনিদেশ।

বিপরীত বিহারেও তাদের তৃষ্ণা মিটেছিল। তিন তরুণের তৃপ্ত মুখের দিকে তাকিয়ে আমি খুশিতে ডগমগ হয়ে উঠেছিলাম। এর পর ক্লান্তি এবং অবসাদে আমি প্রায় অচেতন হয়ে পড়েছিলাম। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা আমি আর সােজা হয়ে উঠে দাঁড়াতে পারিনি। আমি নিজেকে সঁপে দিয়েছিলাম নিদ্রার কোলে।

বেশ বুঝতে পারলাম, অতিরিক্ত মদের প্রভাবে এবং উপযুপরি মৈথুনের ফলশ্রুতিতেই আমার এমন অবস্থা। যুবকেরা ধরাধরি করে আমার নগ্ন শরীরটাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়েছিল। এরপর নিঃশব্দে তারা আমার ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এভাবেই আমি একটা নতুন হারেম তৈরি করেছিলাম। সেই হারেমে আমি তিন-তিনটি বান্দাকে পুষেছিলাম। আহা, আজও তৃপ্ত হই সেই সুখস্মৃতি অনুভব করে!………

……….পর্তুগিজ মেয়ে ভার্জিনিয়া-ই প্রথমে গল্প বলতে শুরু করল। সুন্দরী বললে ওর সম্পর্কে কম বলা হবে। বিধাতা বােধহয় সমস্ত রকমের অতুলনীয় রূপ ঐশ্বর্য দিয়ে তিল তিল করে ওকে গড়ে তুলেছেন। সতেরােটি বসন্ত কাটিয়েছে সে এই পৃথিবীতে। দেহের সর্বত্র সুগঠনের ছাপ আছে। সবথেকে আকর্ষণীয় ওর দুটি স্তন। তবে আকারে একটু ছােটো। কিন্তু নিটোল এবং বর্তুলাকার। এই পুরাে স্তনটি যখন মুখের মধ্যে ঢুকে যাবে তখন না জানি কত শিহরণ জাগবে দুজনের শরীরে!এক ঢাল ঘন কালাে চুল রয়েছে ওর মাথায়। ইচ্ছে করেই ও বােধহয় ওর কুক্ষিদেশে বেশ কিছুটা লােমরাজি জমিয়ে রেখেছে। পুরুষ চিত্তকে ভীষণভাবে উদ্বেল করার জন্য। ওর গায়ের রঙ তামাটে, ওর চোখদুটিতে রক্তের ছটা। এমন লালাভ চোখ এর আগে আমি কোনাে নারীর দেখিনি। এই চোখ বুকের মাঝে কাপুনি জাগিয়ে দেয়।

সাত
এই আমি ভার্জিনিয়া

………..ধীরে ধীরে দিয়াগাে আমাকে অধিকার করার চেষ্টা করল। দিনের অনেকটা সময় বাড়িটা নির্জন হয়ে যেত। হয়তাে মা গেছে বাজারে, বাবা ব্যবসার কাজে দোকানে, দুপুরবেলার সেই নৈঃশব্দ্যের সুযােগ নিয়ে দিয়াগাে আমার কুমারীত্ব হরণ করেছিল। কখন যে এই ঘটনাটা ঘটে পয়েছিল আমি নিজেই তা বুঝতে পারিনি। কিন্তু প্রথম দিকে আমাদের মিলন হত একতরফা। দিয়াগাে লাফঝাপ করত আর আমি নশৃহের মতাে পড়ে থাকতাম। এর ফলে রাগমােচন বলতে কী বােঝায়, আমি তা বুঝতে পারিনি। সত্যি কথা বলতে কী, আমাদের শরীরের গঠন তখনও সম্পূর্ণ হয়নি, তাই যৌন সুখে সুখী হবার মতাে অবস্থা আমাদের ছিল না। তবুও মিলনের সময় একটা আবছা সুখ অনুভব করতাম। প্রায় দু বছর পর্যন্ত আমি এই অবস্থা বজায় রেখেছিলাম। একে বলা যেতে পরে প্রাক্-যৌবনের খেলা। সত্যিকারের সঙ্গম বলতে কী বােঝায় তা বুঝতে আমাকে আরাে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল।…..

……গভীর রাতে দিয়াগাে এসে আমার ঘরে ঢুকে পড়ল। ঘরে ঢুকেই বিছানায় উঠে বসল সে। আমি বিছানার ওপর টান টান হয়ে শুয়েছিলাম। দুটি হাত মাথার দুপাশে ছড়িয়ে শুয়ে থাকতে আমি ভালােবাসি। চাদরে ঢাকা ছিল আমার নগ্ন দেহ। সে চাদরটা নামিয়ে দিয়ে আমার নগ্ন শরীরের ওপর তার শরীরটাকে সুবিস্তৃতভাবে বিছিয়ে দিল। আমার সাথে খেলল সেই অসভ্য খেলা। আমার প্রকোষ্ঠে তখন নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছে। সে। আহা! আমি একটা অদ্ভুত সুখ অনুভব করলাম। এর আগে আমরা পােশাক পরা অবস্থায় একে অন্যকে আদর করেছিলাম বলে পরিপূর্ণতার সন্ধান পাইনি। তখন আমরা উভয়ে উভয়কে গভীর আশ্লেষে আদর করতে শুরু করে দিয়েছি। সেই প্রথম আমার গােলাপকুঁড়ির মতাে স্তনশীর্ষ দেখে দিয়াগাে অবাক হয়ে গেল। সে বুকদুটিকে মর্দন করতে শুরু করে দিল। তখনও পর্যন্ত আমার স্তন ছিল পাতিলেবুর মতাে ছােটো। তখনও তারা পরিপূর্ণ, পুষ্ট হয়ে উঠতে পারেনি। আমি সেই তফাতটা বেশ বুঝতে পারতাম। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম কিংবা মাসিদের স্তনের বাহার! মনে মনে কেমন একটা লজ্জা জাগতাে আমার। আমি কবে অত বড়াে স্তনের অধিকারিণী হর, এমন একটা চিন্তা এসে ভিড় করত মনে!

সেই ছােট্ট স্তনদুটিকে নিয়েই দিয়াগো তখন খেলছে অদ্ভুত খেলা! মাঝে মধ্যে বৃন্তের ওপর হাতের টোকা মারছে। যাতে বৃন্তদুটি দৃঢ় হয়ে উঠতে পারে তার সমস্ত ব্যবস্থা করছে সে। থেকে থেকে আমার ঘাড়ে আর কাঁধে চুমু দিচ্ছে সে। একটা অবর্ণনীয় সুখের প্রবাহ আমার সমস্ত শরীরে সঞ্চারিত হচ্ছে। আমার পর্তুগিজ রক্তে তখন ভরা যৌবনের জোয়ার এসেছে। দু’জোড়া ওষ্ঠের মিলন যে এত অর্থবাহী হয়ে উঠতে পারে, এর আগে সেই শুভ সংবাদটা আমার জানা ছিল না। তাছাড়া এর আগে আমি এতখানি যৌনতিয়াসীও ছিলাম না। আমি ছিলাম এক ঘুমন্ত বাঘিনী। দিয়াগাে এক শিকারী হয়ে আমার নিদ্রা ভাঙিয়ে দিয়েছে।

দিয়াগাের ছােট্ট কামনা-অঙ্গ তখনও পর্যন্ত আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। আমি ঠিক করলাম এবার আমাকে আরাে সক্রিয় হয়ে উঠতে হবে। এবার দিয়াগাের দিক থেকে চাপটা খুবই তীব্র হল। এই প্রথম আমি একটা সত্যিকারের সুখ অনুভব করলাম। অনেকক্ষণ ধরে সে ধারাবাহিকভাবে চাপটা বজায় রেখেছিল। আমি তখন ধীরে ধীরে সুখের এক গভীর উপত্যকার মধ্যে পা রাখছি।

দু-তিন মিনিট ধরে আমরা ক্রম-উত্তরণের মাধ্যমে শরীরে স্পন্দন জাগিয়ে তুললাম। আমার মনে হল, দিয়াগাের কামনাঙ্গ আগের থেকে দ্বিগুণ লম্বা হয়ে উঠেছে। বেশ পুরুষ্ট আর বলিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সেটি। এতে আমার সুখও ক্রমশ বাড়তে থাকে। মনে মনে আমি এমনই একটি দীর্ঘ দণ্ড প্রার্থনা করছিলাম। তখন আমি তার কাছে ধর্ষিতা হতে চাইলাম।
দিয়াগাে আমাকে যে আনন্দ দিয়েছিল, তা অসাধারণ! তার রেশ থেকে গেছে আমার শরীরে এবং মনে। আজও চোখ বন্ধ করলে আমি দিয়াগাের সাথে কাটানাে সেই রাতটির কথা ভাবি। আহা, আমার ত্রিভুজ ভরে গেল ওর কামনার বিন্দুতে। প্রস্রবণ থেকে উৎক্ষিপ্ত জলরাশি এসে আমাকে স্নান করিয়ে দিল। প্রথম পাওয়ার আনন্দে তখন আমরা দুজনে অত্যন্ত খুশি হয়ে উঠেছিলাম।…….

……….এবার সে দ্রুত হাতে আমাকে উন্মােচিত করার চেষ্টা করল। মুগ্ধ চোখে সে তখন আমার নগ্ন দেহটা পর্যবেক্ষণ করছে। তার চোখের চাউনি দেখে আমি বুঝতে পারছি, আমার তনুবাহারের এই সৌন্দর্য দেখে সে মনে মনে খুব খুশি হয়েছে। একটু পরেই আমি একেবারে বিবসনা হয়ে গেলাম।

তখনই সে একটা অদ্ভুত কাজ করল। গর্ভবতী হয়ে পড়ার আশঙ্কাতে কুমারী মেয়েরা মাঝে মাঝে এইভাবে নিজেদের যৌবন তিয়াস মেটায়। কৃত্রিম উপায়ে আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে থাকে। সে কামনার জারকসিক্ত হাতের তর্জনী আর অনামিকা রাখল আমার উপাঙ্গের ভেতর। আহা, এমনটি তাে আমি চাইনি। আমি তাকে আরাে নিবিড়ভাবে কাছে পেতে চেয়েছিলাম। আমি ধাপে ধাপে বাসনাকে চরম শিখরে উন্নীত করতে চেয়েছিলাম। মিলনের প্রথম রাতেই আমার সেই স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেল।

আমার মধ্যে বিস্ময় জেগেছিল। আমার মধ্যে বিরক্তি জেগেছিল। আমি দেখলাম, সে যেমন নিশ্চল হয়ে বসে আছে। তার অহঙ্কারটি তখন গুটিয়ে গেছে শীতকালে ঘুমিয়ে থাকা শুদের মতাে। আঃ ওটি এত ছােট্ট কেন? | একটুবাদেই সে আমার থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করল। কেমন যেন নেতিয়ে পড়ল। ছুক্ষণের মধ্যে আমি তার নাক ডাকার শব্দ শুনতে পেলাম। আমি বুঝতে পারলাম, ঈশ্বর আমার সাথে কোন্ প্রতারণার খেলা খেলেছে! এক নপুংসক যুবককে আমার স্বামী করে দেওয়া হয়েছে।……

……পরবর্তী দু-তিনটি সপ্তাহ এভাবেই কেটে গেল। নিয়মমতাে স্বামী আমার কাছে আসে। আমাকে ল্যাংটো করে দেয়। নিজেও বিবস্ত্র হয়। আমার উপাঙ্গের ভেতর আঙুলের খেলা খলে। এভাবেই তার বীর্য নিঃসৃত হয়ে যায়। অপাত্রে বীর্য দান করে সে। তারপর চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। মাঝে মধ্যে আমার মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। আমি বেশ বুঝতে শুতাম, এই সংযােগে কোনাে আনন্দ নেই।…..

….কাচের জানালাটা খুলে দিলাম। যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে, এই জানালাটা এখন ভােলা হল কেন? আমি জবাব দেব, রাত-বাতাস যাতে নির্দ্বিধায় ঘরের ভেতর ঢুকে পড়তে পারে, তার আয়ােজন করা হল। তারপর আমি ধীরে ধীরে নিজেকে বিবস্ত্র করতে থাকলাম। তখন আমার পরনে ব্রা আর প্যান্টি ছাড়া আর কিছু নেই। সেই অবস্থায় মােদালস ভঙ্গিতে আমি আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। দুটি হাত ওপর দিকে তুলে দিলাম। পেড্রো নিশ্চয়ই আমার এই ভরা যৌবন দেখতে পাচ্ছে। এমনভাবে তখন আমি চুল আঁচড়াচ্ছি যাতে আমার নগ্ন হাত আর স্তনজোড়া ভালােভাবে প্রস্ফুটিত হতে থাকে।

এরপরে আমি আমার পা থেকে জুতাে খুলতে উদ্যত হলাম। জুতাের ফিতে খােলার সুবিধার জন্য একটি হাঁটুর ওপর অন্য হাঁটু স্থাপন করলাম। তারপর পা’দুটিকে দুদিকে ছড়িয়ে দিলাম। আহা, পেড্রো নিশ্চয়ই প্যান্টির আড়ালে লুকিয়ে থাকা ওই ছােট্ট ত্রিভুজটিকে দেখতে পেয়েছে! লােমরাজিতে ঢাকা ওই উপাঙ্গটি দেখে তার মনে এখন কামনার আগুন জুলে উঠেছে—একথা আমি হলফ করে বলতে পারি।…..

….আমি আবার আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালাম। এবার তাকে আরাে বেশি উত্তেজিত করতে হবে। আমি আমার শেষ অস্ত্র প্রয়ােগ করলাম। আমার শরীর থেকে ব্রা এবং প্যান্টির বাঁধনকে প্রায় খসিয়ে দিলাম। নাইটগাউন চাপাতে অনেকটা দেরি করলাম। বেশ কিছুক্ষণ নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম জানালার সামনে। নানাভাবে নিজেকে প্রকটিত করার চেষ্টা করলাম। তারপর কালাে রাত পােশাকের আড়ালে বেঁধে রাখলাম আমার থই থই যৌবনকে। আহা, হই তুলতে তুলতে মেয়েরা যেমন করে, ঠিক সেভাবেই আমি মাঝে মধ্যে আমার স্তনচুড়াতে তা বুলিয়ে দিলাম। ওকে দেখালাম আমার স্তন শীর্ষের দৃঢ়তা। সেই সঙ্গে একটা হাত তলপেটের নিচে নামাতে থাকলাম।

পরক্ষণেই কোচোয়ানের ঘরের সামনের সিঁড়ি বেয়ে একজোড়া ভারী জুতাের আওয়াজ উঠে আসছে শুনতে পেলাম। আমি মনের আনন্দে তখন শিস দিয়ে উঠেছি। আহা, ওই আওয়াজটা কি আমার ঘরের দিকেই এগিয়ে আসছে?….

….ধীরে ধীরে দরজা খুলে গেল। পেড্রো ঘরে এসে ঢুকল। আমার হাতে তখনও রাত রুকটা ধরা আছে। তারই আড়ালে দাঁড় করানাে আছে আমার সম্পূর্ণ নগ্ন শরীর। রিতিমতাে ইতস্তত করে, সে বলতে থাকে—‘আমি খুব বলিষ্ঠ, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। অনেকে আমাকে জীবন্ত শয়তান’ বলে থাকে। আমি কুরূপের অধিকারী। কিন্তু সুন্দরী, কথা নই, তুমি যদি তােমার ঘরে আমাকে প্রবেশের ছাড়পত্র দাও, তাহলে তােমাকে আমি সিম আনন্দ দেব। তােমার প্রতিটি ইচ্ছার কাছে আমি হব এক নতজানু ক্রীতদাস।
পেড্রো খুব সুন্দর কথা বলতে পারে তাে! কথার মাধ্যমেই সে নারীর যৌন তৃষ্ণা জাগিয়ে হতে পারে!
আমি তাকে বললাম-“আচ্ছা পেড্রো, তুমি দেখছাে তােমার চোখের সামনে এক নগ্নিকা সাহসিকা সুন্দরী দাঁড়িয়ে আছে। সময়টা মধ্যরাত। তাহলে তুমি কেন এইভাবে নিজেকে পােশাকের আচ্ছাদনে আচ্ছাদিত রেখেছাে? তােমার এতে লজ্জা করছে না?

আমার প্রতিটি কথার মধ্যে কেমন একটা আলাদা ইঙ্গিত লুকোনাে ছিল। তার জড়তা সঙ্গে সঙ্গে কেটে গেল। তার ঠোটে হাসি ফুটে উঠল। আমি বেশ বুঝতে পারলাম, সে এবার সম্পূর্ণ আশ্বস্ত হয়েছে। সে তখন এগিয়ে এসে আমার হাতে চুমু দিল। মনে হল, সে বােধহয় আমার সমস্ত শরীরে চুমু দিতে চাইছে। এবার তার হারকিউলিস ধাঁচের পরিশীলিত শরীরটা আমার দিকে এগিয়ে নিয়ে এল। ইতিমধ্যেই সে নিজেকে সম্পূর্ণ নগ্ন করেছে। আহা, তাকে দেখতে দৈত্যের মতাে হলে কী হবে, তার পুরুষাঙ্গটি অত্যন্ত দীর্ঘ এবং বলিষ্ঠ। সেটি যখন আমার মধ্যে প্রবিষ্ট হবে, তখন আমি সত্যি সত্যি সুখের সর্বোচ্চ শিখরে উঠতে পারব। এমন পৌরুষ এর আগে আমি কখনাে দেখিনি!

অনায়াসে সে আমাকে দু’হাত দিয়ে তার কোলের ওপর তুলে নিল। আহা, সে মুখ রাখল আমার সুউচ্চ স্তনজোড়ার মাঝের উপত্যকায়। একবার বামদিকের স্তনটি মর্দন করল, পরমুহুর্তে মুখ সরিয়ে নিল ডানদিকের স্তনে। আমি আমার সুডৌল পাদুটো দিয়ে তাকে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করলাম। শেষ অব্দি আমি দেখলাম, সে আমাকে অদ্ভুত কায়দায় নিজের ওপর শুইয়ে রেখেছে। | অবশেষে আমি এক বেদনা অনুভব করলাম। বিচ্ছিন্ন না হয়ে সে আমাকে বিছানাতে নিয়ে গিয়ে ফেলল। এইভাবে কী করে যে সে আমার সাথে যৌন খেলা খেলছে তা আমি বুঝতেই পারছি না। অন্য কোনাে পুরুষ হলে এমন কঠিন খেলায় পরাজয় স্বীকার করত। সে কিন্তু লিঙ্গটি আমার মধ্যে প্রবিষ্ট করে রেখেছে, তবুও আমাকে নিয়ে যা খুশি তাই করছে। সে আমার শরীরের উত্তাপ গ্রহণ করার চেষ্টা করল। তার দীর্ঘল মাংসল দণ্ড আমার সাথে লেপটে আছে। আহা, আমার উরুর ফরসা সােনালি রঙের পাশে তার কালাে রঙ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।

মনে হচ্ছে, এবার দুই শরীরের মিলনগাথা সম্পূর্ণ হবে। আমি দেখতে পাচ্ছি, পেড্রোর সমস্ত শরীরে জ্বলন্ত কৃষ্ণচূড়ার আগুন জ্বলছে। আমি তখন লােলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি তার বলিষ্ঠ এবং পেটানাে বুকের দিকে। বুক থেকে তলপেট, তলপেট থেকে নাভিমূলের শেষ প্রান্তে গিয়ে আমার দৃষ্টি আটকে গেল। আহা, ওটা আমি কেন দেখতে পাচ্ছি না! আমি বােধহয় তখন আর অপেক্ষা করতে পারছি না। এতক্ষণ পেড্রো ওটিকে আমার মধ্যে ঢুকিয়ে রেখেছে, কিন্তু রসস্থলন হচ্ছে না কেন!

আমি আবেগস্পন্দিত কণ্ঠস্বরে বললাম—দুষ্টু লক্ষ্মী আমার, এবার তুমি আসল কাজটি করাে। তা না হলে আমি তৃপ্তা হব কেমন করে? | পেড্রো আমার কথা শুনে হেসে উঠল। তার হাসির মধ্যে অবজ্ঞা ঝরে পড়ছিল। সে যেন বলতে চাইছিল, সুন্দরী, আরাে অনেকক্ষণ ধরে এইভাবেই আমি প্রাক-মৈথুনের খেলা খেলব। তুমি কি আমার বাসনার প্রচণ্ডতা গ্রহণ করতে পারবে?

সে চলে যাওয়ার আগে আমরা দু-দু’বার চরম মিলনের আনন্দ পেয়েছিলাম। প্রত্যেকবারই পেড্রো আমাকে যৌন সুখের চূড়াতে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর তাকে আমি ছেড়ে দিলাম। আমার সমস্ত শরীর আর মন তখন কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।……

………মিরজেলা নামটি শােনার সাথে সাথে ওকেও আমি আদর দিলাম। মিরজেলা ভার্জিনিয়ার থেকে বয়সেও ছােটো। ওর দুটি উরুসন্ধিস্থল মখমলের মতাে নরম লােমরাজিতে ভরে উঠেছে। নতুন নতুন লােম জাগছে বর্ষা শেষের ঘাসের মতাে। নরম মেঘের মতাে ঢেউ খেলানাে। সেখানে আঙুলের আঁকিবুকি খেলা অবশ্যই খেলব আমি। ওকে দেখে মনে হয় ও বুঝি কোনাে বড়ােলােকের আদরিণী কিশােরী কন্যা। সবেমাত্র ঋতুমতী হবার স্বপ্ন সফল করেছে। কিন্তু ওর উরুদুটির আকার ভার্জিনিয়ার দ্বিগুণ। ওর স্তনজোড়া সুউচ্চ। বক্ষ-বাঁধুনির বাঁধন খুললেও তা এতটুকু স্থানচ্যুত হবে না। আহা, ওই উপত্যকায় এখনই আমাকে উঠতে হবে এক অসমসাহসী অভিযাত্রীর মতাে!

Leave a Reply