সঙ্গিনী স্বৈরিনীরা – জন ফিলিপ

›› অনুবাদ  ›› ১৮+  

অনুবাদঃ পৃথ্বীরাজ সেন

………আমি সেইসব উপপত্নীদের নাম একের পর এক উচ্চারণ করে যাব, যাদের অসম্ভব উন্নত স্তনগুলি এখনও আমার মনে পড়ে, যাদের নিতম্ব এখনও আমাকে অন্য মনে ডাক দেয়। মনে পড়ে মুঠিতে ধরা তাদের কৃশা কোমরগুলির কথা। আহা, তারা প্রত্যেকেই নিজস্ব ঢঙে আমাকে অসংখ্য চুম্বন দান করেছে। সেই মেয়েটিকে আমি কি কখনাে ভুলতে পারব, যার কয়লা কালাে চোখের তারায় হঠাৎ উত্তেজনার ঝিলিক শিখা দেখা দিত? অথবা সেই মেয়েটির কথা? যার চোখের ঘন নীল বলয়টি আরাে বেশি বিস্ফারিত হত শীর্ষসুখের প্রাক্-মুহূর্তে। মুখ থেকে ও একটা অদ্ভুত গগাঙানির শব্দ করত। ওর নিম্নদেশ চাপা থাকত আমার তলদেশের সঙ্গে। এভাবেই আমরা দুজন তখন আবেগ থরথর মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে এগিয়ে যেতাম নিশ্চিত রতির সর্বোচ্চ শিখরের দিকে।….

….চোখ বন্ধ করলেই আমি বিভিন্ন আকার এবং আবেগ বিশিষ্ট একাধিক গােলাকৃতি মাংসপিণ্ডকে স্পষ্ট দেখতে পাই। আমি দেখতে পাই কোমরের কৃশ অবয়ব এবং নিতম্বদেশের সুডৌল মাংসপিণ্ডগুলি। আরাে কত কী যে আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে, যেন দেওয়াল পঞ্জিকাতে টাঙানাে একাধিক অর্ধনগ্নিকা সুন্দরীর ছবি!…..

ওয়ান্ডা-রহস্যের উৎসার

………ওয়ান্ডার সাথে যখন আমার প্রথম দেখা তখন ও বাইশ বসন্তের সুন্দরী এবং আমি সবেমাত্র কুড়ির বুকে পা রেখেছি। ও তখন বিবাহিতা আর আমি আগের মতােই বেপরােয়া।
বামন বয় এসে আমার কানে কানে শুনিয়ে দিয়েছিল সেই অদ্ভুত কথামালা! বলেছিল সে-“দোস্ত, আর একটু অপেক্ষা করাে, তারপর যে মালটা তােমার সামনে হাজির হবে, তার বুকের বাঁধন দেখে তুমি একেবারে তিড়িং বিড়িং লাফাতে শুরু করবে। সে তােমার নিঃশ্বাস বন্ধ করে দেবে। তােমার সবকিছুমুঠোবন্দী করবে। এসাে, আমার প্রিয় ক্যাসানােভা, আর একটুখানি অপেক্ষা করাে।……….

……..তখন মঞ্চে নেচে চলেছে বার্থা। সকলে ওকে আড়ালে-আবডালে ‘সেক্স-গ্রেনেড’ বলে ডেকে থাকে। ওর নিতম্ব দুটির বাহার দেখার মতাে। বুকদুটি ঠেলে বেরিয়ে আসছে ব্রা-র আড়াল থেকে। আহা, এই বার্থা কত পুরুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে! শুনেছি, কিছু টাকা ওর হিপে গুঁজে দিলেই ও নাকি অনায়াসে অনেক কিছু দিয়ে দেয়। অবশ্য এ ধরনের মেয়েকে আমি ঘেন্না করি।…..

………বার্থার সামনে যে মেয়েটি বসে আছে, ও এখানে নবাগতা। ও একটা লম্বা ক্লোক রেছে। রঙটা দাঁড়কাকের মতন কালাে। দেখলেই বােঝা যায়, ও যথেষ্ট অভিজাত ঘরের
ন্যা। কিন্তু এই নিশি-আলয়ে কেন এসেছে? ওর ঘননীল দুটি চোখের তারায় ভাসছে এক মত বিষাদ। ওকে দেখে মনে হচ্ছে, ও বুঝি নক্ষত্র জগত থেকে ছিটকে এসেছে। ও মাঝে
ধ্যে আমার দিকে তাকাচ্ছে বড়াে বড়াে চোখে। ওর স্তনদুটিও অসম্ভব বড়াে। কী আশ্চর্য, এখানকার সব মেয়েরাই কি পৃথুলস্তনা হয়ে থাকে? ক্যালেন্ডার সুন্দরীদের মতাে? এ কী
আহা, আমি মাঝে মধ্যে ওর দিকে তাকাচ্ছি। ও লেসের তৈরি একটি অদ্ভুত বক্ষবন্ধনী করছে। এত পাতলা যে ওর গােলাপি বৃন্ত স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে ও অদ্ভুত কায়দায়
ও শরীরের সবথেকে উত্তেজক ভি-আকৃতির রেখাটি দেখিয়ে দিচ্ছে। এভাবেই ও বােধহয় সমমাদের মনকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, সকলেই তাকিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে বললে ভুল হবে। সকলেই ওকে চাটতে শুরু করে দিয়েছে মনে মনে। নবাগতাও মাঝে মধ্যে ঠোটের কোণে হালকা হাসির টুকরাে ছুঁড়ে দিচ্ছে,…….

…….তাকে দেখে মেয়েটির মুখ হাসিতে প্রশস্ত হয়ে উঠেছে। মেয়েটি উঠে এল। অনায়াসে হাত রাখল জেরির কাঁধে। আমার চোখের সামনেই জেরি ঠোটদুটিকে নিচু করে আনল। আমি চোখ বন্ধ করলাম। আচমকা চোখ খুলে দেখতে পেলাম মেয়েটির ধূসর বর্ণ স্কার্টের অন্তরাল থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসা বাঁদিকের উরুটি। আহা, একখণ্ড বরফ কণা যেন! বব আর কার্লি হাসাহাসি করতে শুরু করেছে। মাঝে মধ্যেই তারা চোরা চোখে মেয়েটিকে পর্যবেক্ষণ করছে। আমি বেশ বুঝতে পেরেছি, বয় যার কথা বলছিল, এ হল সেই আগুনের টুকরাে অর্থাৎ ওয়ান্ডা!……

……….হ্যা, তারপর আমি চোখ বন্ধ করে বেশ কিছুক্ষণ বসেছিলাম। বাজনা বাজছিল। বার্থা তখনও ওর অসম্ভব প্রস্ফুটিত দুটি কোমল বৃন্ত দেখাবার চেষ্টা করছিল। বেচারি বার্থা! ও কি বােঝে এইভাবে পুরুষ দর্শকদের মন আর মজানাে যায় না? তারা অন্য কিছুর সন্ধানে ব্যস্ত আছে। হায় বার্থা, তুমি তাে জানলে না,কী দেখে আমাদের দণ্ড হঠাৎ সুদৃঢ় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করাে, তােমার প্রতি এখন করুণা ছাড়া আর কোনাে কিছু জমা নেই আমাদের মনের মধ্যে।……..

………আমি ওর দিকে তাকিয়ে বলেছিলাম—ওয়ান্ডা, তুমি কি বিশ্বাস করবে, যদি তােমার বুকে হাত দিয়ে বলি, তােমার জন্যই আমি সারাজীবন তৃষিত তাপিত হয়ে অপেক্ষায় ছিলাম!
ও শরীরটাকে একটুখানি ঝুঁকিয়ে দিল আমার দিকে। আহা, ওর নরম তুলতুলে দুটি বুক আমার প্রশস্ত বুকের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। ওর এই নিলাজতা আমার ভালাে লেগেছে। এতক্ষণ আমি জেরির সৌভাগ্য দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এখন স্পষ্ট বুঝতে পারছি, ওইসব মত্ত মাতালরা আমাকে দেখে মনে মনে অভিশাপ ছুঁড়ে দিচ্ছে। আর আমি বিশ্ববিজয়ীর মতাে হেসে উঠছি। আহা, ওর এই পায়রার মতাে মাংসপিণ্ডদুটি কতক্ষণ আমার সাথে লেপ্টে থাকবে? এত সুখ? আমি অনায়াসে ওর ব্লাউজের ফাঁকে হাত চালিয়ে দিয়েছি। আমি হাত রেখেছি ওঁর বাঁদিকের স্তনবৃন্তে। মৃদুমন্দ শিহরণ জাগাচ্ছি সেখানে। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, ওর মুখ দিয়ে এখনই শিৎকারের শব্দ নির্গত হবে।

এবার আমি কী করব? এ ব্যাপারে আমার কোনাে পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে কি? আমি বৃন্তটিকে মােচড়াতে থাকি। ও ক্রমশ আমাকে আরাে বেশি আঁকড়ে ধরছে। ও মাথা আঁকাচ্ছে। ওর চোখ থেকে ঝরছে রাতজাগা প্রত্যাশা। এখন কি আর সহ্য করা যায় এই আবেগ? আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার লালাসিক্ত দুটি ঠোট দিয়ে চেপে ধরেছি ওর পাতলা দুটি ঠোটকে।…..

…….তারপরের আধঘণ্টা—কী ঘটনা ঘটেছিল, আশা করি অভিজ্ঞ পাঠক-পাঠিকার সামনে তা আর খুলে বলতে হবে না। যখন ওটা হয়ে গেল, তখনও আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে যেতে চাইনি। তখনও দুটি শরীর আবেগের আশ্লেষে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে শুয়েছিল পাশাপাশি। শেষ অব্দি আমি সত্যিকারের পুরুষ হলাম! তােমাকে শত সহস্র ধন্যবাদ ওয়ান্ডা। তুমি না থাকলে আমি জানতেই পারতাম না, মৈথুনে এতে আনন্দ আছে!…..

……..একটি বিয়ারের গ্লাস ধ্বংস করছিলাম। মাঝে মধ্যে সিগারেটে আগুন ধরাচ্ছিলাম। বেচারি বার্থা, দিনের বেলা বসে বসে মদ গিলছে। ভুলভাল বকছে। ওর স্কার্টের অনেকখানি ফাক করা। সেখান দিয়ে সবকিছু দেখা যাচ্ছে। কিন্তু মাছি ছাড়া আর কেউ তা তাকিয়েও দেখছে না। আমাকে আকর্ষণ করার ব্যর্থ চেষ্টা করে ও মুখ দিয়ে একটা অশ্লীল খিস্তি উচ্চারণ করেছিল। আমি ওর কাছে গিয়ে ওর মাথার চুলে বিলি কাটতে কাটতে বলেছিলাম—বার্থা, এবার তুমি রিটায়ার করাে। তুমি কি বুঝতে পারছে না, তােমার ওই বড়াে বড়াে দুটো বুক দেখে আর এখন আমাদের মনের ভেতর কামনা জেগে ওঠে না।……

……অবশেষে আমার ধ্যান ভঙ্গ হল। আমি প্রথমে দেখতে পেলাম, ওর অসম্ভব লাল রঙের স্কার্টটিকে। আজ একটি অদ্ভুত পােশাক পরেছে ও। যা অনেকটা জাপানিদের কিমােনাের মত। শরীর কিছুটা ভােলা, কিছুটা ঢাকা। চুলগুলাে উড়ছে সান্ধ্য বাতাসে।ও এসে নিচু হয়ে আমাকে বাও করল। এমনভাবে করল, যাতে ওর স্তনান্তরালের খাঁজ আমি স্পষ্ট দেখতে পাই। ও বলল—এসাে প্রিয়, আমার জন্য তুমি বসে আছো, আমি ভাবতেই পারছি না!’…..

……..ঘরের ভেতর যদিও গুমােট গরম, কিন্তু আমার কেবলই মনে হচ্ছিল, আমরা বুঝি ভূমধ্যসাগরীয় কোনাে একটি দ্বীপের প্রশস্ত আরামকক্ষে প্রবেশ করেছি। সেখানে আমাদের জন্যে দুধসাদা বিছানা অপেক্ষাতে আছে। অপেক্ষাতে আছে সুন্দরী রাত- রমণীরা, যারা আমদের শরীরে সুখের শিহরণ দেবে। যারা একটু একটু করে আমাদের শরীরের থেকে একটির পর একটি পরিচ্ছেদকে অপসারণ করবে। তারপর আমাদের শুইয়ে দেবে দোদুল দোলনাতে। সেখানে দুলতে দুলতে পৃথিবীর সমস্ত আশঙ্কা আর আতঙ্ককেতুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে দিতে আমরা একে অন্যকে পাগলের মতাে আদর করব। চুমু দেব। জড়িয়ে ধরব। শেষহীন সঙ্গমে মেতে উঠব।

আমি খুলে দিয়েছিলাম ওর ব্রেসিয়ারের বাঁধন। তাথৈ বলে নেচে উঠেছিল ওর অসম্ভব স্ফীত দুটি স্তন। আমি হাত রেখেছিলাম ওর প্যান্টিতে। ভিজে প্যান্টি আমি সরিয়ে দিয়েছিলাম। আমার স্পর্শে ও এতটুকু লজ্জা পায়নি। নিখুঁতভাবে কামানাে শরীর। আহা, কত পুরুষের পরশ আছে এখানে! আহা, কত লােভী কামার্ত মাতাল লেহন করেছে ওর এই মাখনের মতাে নরম শরীরটিকে। হায় ওয়ান্ডা, তােমার সাথে কেন আমার আরাে পাঁচ বছর আগে দেখা হল না!হয়তাে তখন তুমি ছিলে এক অপাপবিদ্ধা কিশােরী। তখন যদি তােমাকে আমি দেখতে পেতাম…. পরমুহূর্তে আমি ভাবলাম, পৃথিবীতে যা যখন ঘটার, তা তাে ঘটবেই। আমরা কি বিধাতা পুরুষ, যে এইভাবে আগামী দিনকে নিয়ন্ত্রণ করব! আমরা তাে বিশ্ববিধাতার হাতের পুতুল। তারই নির্দেশে এভাবে সংলাপ আউড়ে চলেছি। সে বললে প্রেক্ষাগৃহ খালি করে কোথায় চলে যাব, কেউ আমাদের হদিশ পাবে না।

আমি বলেছিলাম—এসাে ওয়ান্ডা, আজ তােমার নগ্ন শরীরের সবখানে আমি ফরাসি শ্যাম্পেনের প্রলেপন দেব। তারপর জিভ দিয়ে চাটব তােমাকে। না, তুমি লজ্জা পেলে চলবে না। তুমি কাতুকুতুতে হেসে উঠবে না। তােমার হাত এবং পা আমি শক্ত করে বেঁধে দেব নাইলন দড়িতে। তারপর ধীরে ধীরে তােমাকে আবেগে, উত্তেজনায় থরথর কপাব, তুমি সুখ শিহরণের সর্বোচ্চ শিখরে উঠে ছটফট করবে। তােমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসবে। তােমার চোখে জাগবে আকুতি। তুমি আমার দীর্ঘদণ্ডটিকে তােমার অভ্যন্তরে প্রবেশ করানাের জন্য উন্মুখ হয়ে উঠবে। আর তখন তােমাকে এইভাবে তৃষিতা তাপিতা রেখে আমি দূর থেকে দূরে চলে যাবার ছল করব। আমি বলব না, ওয়ান্ডা, এখন নয়, রজনীর প্রথম প্রহরে এসব করতে নেই। রাত একটু গভীর হােক। তখন আমি তােমার কাছে ধরা দেব।
আমার মুখ থেকে ছুটে আসা এইসব শব্দ শুনে হঠাৎ বিষন্না হয়ে উঠেছিল নিলাজবতী মেয়েটি। আমার হাত আকর্ষণ করে ও বৃথাই ওর ইচ্ছা জানাবার ব্যর্থ চেষ্টা করছিল। আমি তখন মগ্ন মৈনাক হয়ে গেছি। স্রোতস্বিনী বৃথা চেষ্টা করছে আমার ধ্যান ভঙ্গ করার। কিন্তু আমি ওর কাছে পরাজয় স্বীকার করব কেন?…..

……..আমি ওর হাতে বাঁধন দিয়েছিলাম। পায়েও বাঁধন দিয়েছিলাম। তারপর কথামতাে ওর শরীরের সবখানে লেপন করেছিলাম ফরাসি শ্যাম্পেন। দ্রাক্ষার গন্ধে ম-ম করছিল রাতবাতাস। দুষ্ট মৌমাছির দল কি ছুটে এসেছিল তার স্বাদ নেবে বলে ? নির্বাক পৃথিবী তাকিয়েছিল অবাক হয়ে আমাদের দিকে। সৃষ্টির আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত কতভাবেই তাে মানুষ মানুষকে ভালােবেসেছে, হৃদয় নিয়ে খেলা করেছে, শরীরের উত্তাপে উষ্ণ হতে চেয়েছে—তারই ইতিহাসে না হয় আর একটি নতুন অধ্যায় সংযােজিত হবে। এতে এত আবাক হবার কী আছে?

তারপর—তারপর শুরু হল আমার সেই দুষ্টুমি খেলা। এখন ভাবলে অবাক লাগে, কুড়ি বছরের একটি ছেলে কোথা থেকে শিখল কামশাস্ত্রের এত জটিল বিষয়গুলি! তবে কি তার রক্তের মধ্যে জন্ম জন্মান্তরের সঞ্চিত অভিজ্ঞতাই তাকে আরাে ঋদ্ধ করেছে? জন্ম মুহূর্ত থেকেই কি সে হয়ে উঠেছে এমন এক বেপরােয়া সম্রাট!

আবেশের আতিশয্যে ওয়ান্ডা চোখ দুটি বন্ধ করেছিল। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম, ক্রমশ স্ফীত হচ্ছে ওর স্তনবৃন্ত দুটি। দৃঢ়তার ছাপ লেগেছে সেখানে। আমি আস্তে আস্তে সেখানে রাখছিলাম আমার হাতের পরশ। ওয়ান্ডা চোখ খুলে আমার দিকে তাকাল। সেই চাউনির মধ্যে একটা অদ্ভুত ভালােবাসাবাসির কবােষ্ণ ছাপ ছিল। সেই চাউনি বলে—প্রিয়, তুমি আরাে, আরাে বেশি মােচড় দাও আমার সবখানে। আমার শরীরের মধ্যে এত উত্তেজনা, তুমি না এলে আমি কীভাবে তাকে শান্ত এবং প্রশমিত করব!

কতক্ষণ ধরে আমি যে এইভাবে তার সমস্ত শরীর গ্রহণ করেছিলাম, আজ আর সেটা ভালােভাবে মনে নেই আমার। তবে আমার বুঝতে দেরি হয়নি, আমার প্রতিটি আবেগের উৎসার তাকে আরাে আরাে বেশি শিহরিতা করে তুলেছে।

অবশেষে এল সেই বহু প্রতীক্ষিত ক্ষণটি। আমি তখন উন্মাদ হয়ে গেছি। এখুনি আমার মনের এই দাউদাউ আগুনশিখাকে নির্বাপণ করতে হবে। তা না হলে, তা বহুদূর বিস্তৃত হবে। জ্বলে পুড়ে ছাই করে দেবে মানুষের ভালােবাসার সংসারকে।

কী আশ্চর্য, তখনই উঠে বসার চেষ্টা করেছে ওয়ান্ডা। আমার দিকে তাকাচ্ছে কাতর অভিব্যক্তিতে। আমি একবার ভেবেছিলাম, এখনই উন্মুক্ত করে দিই ওকে। কিন্তু তা ইচ্ছে করেই করিনি। ওয়ান্ডা যেন আমার ইচ্ছের নুন-পুতুল। আমার মন-সাগরে ওকে আমি ভাসাব। ও গলে গলে শেষ হয়ে যাবে। তবু আমার প্রতি উচ্চারণ করতে পারবে না কোনাে বিরক্তিভরা শব্দ।

কিন্তু ভালােবাসা মানুষেকে অনেকখানি উদার করে তােলে, মনকে করে আকাশ অভিমুখী, হৃদয়ের প্রতিটি কন্দরে জ্বেলে দেয় প্রেমের পবিত্র শিখা। আমাকে কিছু বলতে চেয়েছিল ও। তারপর আমাকে অবাক করে দিয়ে ও নিজের ফেলে আসা দিনযাপনের গল্পকথা বিবৃত করার চেষ্টা করে। চোখ দুটি তখন বন্ধ ছিল ওর। মাঝে মধ্যে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসছিল ওর অত্যন্ত উন্নত দুটি স্তনের আড়াল থেকে। আমি সেই প্রথম অনুভব করেছিলাম, মেয়েদের আমরা রক্ত-মাংসের সমাহার বলে চিন্তা করি, ভাবি, তারা কেবল রজঃ এবং ঋতুর এক আশ্চর্য অনুবর্তন; কিন্তু এর অন্তরালে তাদেরও যে কোমল হৃদয় আছে………

…..ওয়ান্ডা বলেছিল—শােনাে ফিল, আমাকে দেখে তুমি কি এক কামুক নারী বলে ভাবছাে? তুমি কি ভাবছাে, আমি নিশি-নিলয়ে গিয়ে পুরুষ-প্রেমিকদের এইভাবেই আকর্ষণ করি? আমার যৌনাঙ্গের খাঁজ দেখিয়ে? আমার ফেলে আসা দিনগুলির কথা যদি একবার ভাবাে, তাহলে বুঝতে পারবে, এই বাইশ বসন্তের নারী কেন এত অতৃপ্ত!

…তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছে আমার। বাড়ির অমতে এক বাউণ্ডুলে ছেলেকেই আমি করেছি জীবনসাথী। ছেলেটি অসাধারণ কবিতা লেখে। গিটার বাজায়।…..আবার তার কথা বলি। সে ম্যাক্স। কী যে লেখা ছিল তার ঈষৎ নীলচে দুটি চোখের তারায়, তার প্রশস্ত বুকের এখানে সেখানে জেগে থাকা মুঠোতে ধরা যায় এমন কালাে লােমে, তার প্যান্টের জিপার খুলে ঠিকরে বেরােনাে দৃপ্ত পৌরুষদণ্ডে..

…….ম্যাক্সের সাথে অনেকদিন পথে পথে ঘুরলাম। সে এক বানজারা যাযাবর জীবন। কখনাে ইচ্ছে হলে গাঁজার নেশায় টং হয়ে বসে থাকতাম। কখনাে হাইওয়ে দিয়ে চলে যেতাম, হিচহাইক করব বলে। বার দুয়েক খুচরাে পাপে জেল খেটে এসেছিলাম আমি। দেখেছিলাম, সেখানকার যৌন তাড়না। আইন রক্ষক হিসেবে যারা পরিচিত, কীভাবে তারা ওইসব বন্দি অপরাধীদের ওপর অত্যাচার করছে। পুরুষ হলেও রক্ষা নেই। সমকামীতার শিকার হতে হবে তােমাকে। আর মেয়ে হলে? যখন তখন তােমার বিবরে দণ্ড ঢুকিয়ে নানাভাবে অত্যাচার করা হবে তােমাকে। আইন নেই, শাসন নেই, কথা বলার কিছু নেই। সে এক অদ্ভুত নেই-রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে গেছিলাম আমরা।

…শােননা শােনাে ফিল, ইতিমধ্যেই জীবন সম্পর্কে একটা চরম অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। আমার। আর তাতেই আমি হয়েছি আহত, আক্রান্ত। মিলনের প্রথম রাতে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছিল ম্যাক। শরীরতৃষাকে সে ঘৃণা করে। তখন আমার সমস্ত শরীর আবেগের উত্তেজনায় থরথর কম্পমান। এইমাত্র একটা চরস মেশাননা সিগারেট শেষ করেছি। মাথার কোষে কোষান্তরে শুরু হয়ে গেছে টাইফুন। সামনে উন্মুক্ত একটি শরীর।

সে বলল, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে—“শােনাে, শােনাে ওয়ান্ডা, তােমার কাছে একটা সত্যি স্বীকার করি। জানি না, এই স্বীকারােক্তির পর তুমি আর আমার সঙ্গে থাকবে কিনা। তােমাকে দেখলে আমার কোনাে কিছুই উত্তেজিত হয়ে ওঠে না। আমি ইচ্ছে করেই খারাপ খারাপ শব্দ দিয়ে সাজাই আমার সংলাপ। বলতে পারাে, সেটাই আমার ব্যথার্ত দিনযাপনের একমাত্র লােভাতুর উপকরণ। অনেক ডাক্তারের কাছে আমি গিয়েছি, তারা বলেছে, আমি নাকি কামশীতল একটি যুবক। অর্থাৎ অন্য পুরুষদের মতাে আমার দণ্ড কখনাে সুদৃঢ় হয় না কোনাে উদ্দাম উন্মুক্ত নারীদেহ দেখলে। তুমি কি পারবে, আমার সাথে রাত কাটাতে! দিনের পর দিন এভাবেই? নাকি দিন যাপনের ক্লান্তি জমবে তােমার মনের খাঁচায়। তুমি একদিন বহুবল্লভ হয়ে যাবে! ….ম্যাক্স তেমনই আছে। নিজের বৃত্তে একা। আর আমি? এসাে লক্ষ্মীটি, আমি বেশ বুঝতে পারছি, তুমি নিজেকে আর এই অবস্থায় ঠিক রাখতে পারছে না। তােমার আর দোষ কি বলাে? চোখের সামনে এমন স্ফীত দুটি স্তন এবং কামানাে নিম্ননাভি দেখলে কেউ কি আর ঠিক থাকতে পারে? এসাে সােনা, তুমি আমাকে নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করাে। আমি বাধা দেব না।……

……..আমি চেষ্টা করেছিলাম। কুড়ি বছরের একটি সদ্য তরুণের উথিত দণ্ড যতখানি লম্বা হতে পারে, আমি তাই-ই করেছিলাম আমার পেশী শক্তির সাহায্যে। অভিজ্ঞা দুষ্টু সঙ্গিনীরা বলে থাকে, এ ব্যাপারে আমার জুড়ি মেলা ভার! আমি নাকি যখন তখন আমার ঈশ্বর প্রদত্ত ওই বস্তুটিকে সঙ্কুচিত এবং প্রসারিত করতে পারি। এরই মাধ্যমে নারী শরীরে সৃষ্টি করি এক অদ্ভুত শিহরণ। প্রতিটি সঙ্কোচন তাকে সুখ দেয়। সুখ আঁকা থাকে তার বুজে আসা চোখের দুটি পাতায়। তার কুঞ্চিত চিবুকে। পরমুহূর্তে আবার প্রসারণকে করি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম। উঃ! বলে একটা অস্পষ্ট অভিব্যক্তি করে ও। আমি বুঝতে পারি, এটা ওই ছেনালবতী রমণীর এক ছলনা। এভাবেই ও মনের আনন্দ প্রকাশের এক ব্যর্থ চেষ্টা করছে।…..

…….চরস আর গাঁজার আড্ডা থেকে ক্যাসিনাের আসর। হৈ-হৈ করে জুটে গেছে একদল বন্ধু এবং বান্ধবী। তাদের কেউ কেউ তখনই চোখ কাটারি দিয়ে হৃদয় বধ করার চেষ্টা করছে। কেউ নিজেই প্যান্টির গােপন খাজ উন্মুক্ত করে দেখিয়ে দিচ্ছে সবকিছু।…..

………কী অবাক! ওয়ান্ডা কিন্তু তা করেনি। গভীর মমতায় ও ওর স্তনবৃন্তটিকে ঢুকিয়ে দিয়েছে আমার মুখের মধ্যে। আমার চোখে হাত রেখে হারানাে দিনের গল্পকথা শােনাতে শােনাতে বলেছে—শােনাে ফিল, এই মুহূর্তে তুমি আমার দুধের শিশু। আমি তােমার দুগ্ধবতী জননী। তুমি আমার ও দুটো নিয়ে একটু খেলা করাে। তােমার পৌরুষ আবার জেগে উঠবে।…….জেগে উঠেছিল সে, আমার স্তম্ভটি এত তাড়াতাড়ি এর আগে আর কখনাে জাগেনি। এবার ও সত্যি সত্যি মুক্তি দিয়েছিল আমাকে, খুলে দিয়েছিল হাত ও পায়ের বাঁধন। তারপর? তারপর কী থাকে বন্ধু? দুটি তৃষিত শরীর যখন কাছে এসেছে, যে কোনাে মুহূর্তে ভূমিকম্প শুরু হবে। তখন–তখন তাে আরাে আরাে বেশি আশ্লেষে পরস্পরকে আঁকড়ে ধরতে হয়। বলতে হয় কানে কানে ভালােবাসার অবুঝ কথা। কথা দিতে হয় এবং কথা ভাঙতে হয়। তারপর, তারপর সবকিছু শেষ হলে ও আমার ঘুমিয়ে পড়া দণ্ডটি নিয়ে খেলা করতে করতে, তার এখানে-সেখানে টুকরাে চুমুর চিহ্ন এঁকে দিতে দিতে আনমনে বলেছিল—আমার প্রথম ছেনালিপনার কথা শুনবেনা? আমার প্রথম নাগর……

…….ওয়ান্ডা বলতে থাকে তখন আমি পায়ের ওপর পা তুলে বিয়ারের মগে ঠোট ছুইয়ে ছিলাম। ভাসছিল তরল কণারা। তখন আমরা সূর্যদৃপ্ত কোনাে একটি সমুদ্রোপকূলে গিয়ে হাজির হয়েছি। সামনে দিগন্ত বিস্তৃত ফেনিল জলরাশি অদ্ভুত উচ্ছ্বাসে আমাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। বিয়ার খেলে প্রথমে মাথাটা ঝিমঝিম করে, তারপর পেচ্ছাপ পায়, শেষ অব্দি ক্লান্তির একটা মােড়কে বন্দী হয়ে যায় সমস্ত শরীর। তখনই হঠাৎ আমি অনুভব করলাম, আমার মারাত্মক খাঁজে কে যেন আঙুলের কারুকাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। কার এত বড়াে সাহস? আমি তাকালাম লােকটার দিকে। বিশাল দশাসই চেহারা। মাথার ওপর ট্যারচা হ্যাট, দেখলেই বােঝা যায়, দীর্ঘদিন সে দিন কাটিয়েছে সমুদ্রের সাথে মিতালী পাতিয়ে। ঈষৎ তামাটে হয়ে গেছে তার চামড়ার রঙ। এই ধরনের লােককে ইদানিং বড্ড বেশি দেখা যাচ্ছে। কেউ বলে, তারা নাকি হারানাে ভাইকিংদের সন্তান। কেউ বলে, তাদের নামের পাশে ‘বেওয়ারিশ এই শব্দটাকেই বসাতে হয়। তারা নির্মম, তারা হৃদয়হীন। তারা মানুষকে যখন তখন খুন করতে পারে। আইন তাদের কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারে না!
লােকটা হাসছিল, তার বাঁধানাে দাঁতের সারি। সেখানে দুটি-একটি সােনা ঝিলিক দিচ্ছে।…….

…….লােকটা হেসে হেসে অদ্ভুত একটা ফরাসি মেশানাে ইংরাজিতে বলেছিল—আমি ফার্দিনান্দ। স্পেন থেকে ভাগ্য অন্বেষণে তােমাদের সােনার দেশে এসেছি। এসে মজে গিয়েছি পাছাবতী রমণীদের দেখে। তােমাদের স্তন, আহা, যেন স্বর্গের উৎসার! কীগাে কন্যা, আমার হাতের এই কারুকাজ তােমার লাগছে কেমন?…….বলেছিল—খুকি, তুমি চোখ বন্ধ করে হাত রখাে। আমি কথা দিচ্ছি, তােমার হাতের পরশ যেখানে লাগবে, সবটুকু তােমার বুক-বাঁধুনির ভেতর ঢুকিয়ে দেব আমি।

পরমুহূর্তেই সে আমার প্রায়-উলঙ্গ শরীরটাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল তার কোচকানাে চাদরে লেপ্টে থাকা বীর্যের দাগ লাগা বালিশের ওপর। খিলখিল করে আমি তখন হেসে উঠেছি। তার কাতুকুতু তখন আমার সর্বাঙ্গে একটা কৌতুক আবেগের সৃষ্টি করেছে। আমি বলছি, ফার্দিনান্দ, উঃ, বাবাগাে মরে যাব! তুমি এইভাবে আমাকে আদর করাে না। তুমি এসাে, এখুনি তােমার ওটা আমি দেখব।

ফার্দিনান্দ খুলে দিয়েছিল সবকিছু। তামাটে শরীর, মধ্য বয়স হয়েছে তার। কিন্তু এখনও পৌরুষের একটা অদ্ভুত ঐশ্বর্য আছে তার। এই অহঙ্কার আমি অন্য কোনাে ছেলের কাছে দেখিনি, হলফ করে বলতে পারি, ফিল। লম্বায় সেটা কত বড়ো হবে, ভাবতে গিয়ে আমার চোখদুটো তখন কপালে উঠে গেছে। আমি ভাবছি, যখন এটা ধীরে ধীরে আমার গহবরের মধ্যে প্রবেশ করবে, তখন কি আমি নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারব? ওটার এত বড়াে আকার দেখে তখন আমার মনের ভেতর ভীতির সঞ্চারণ শুরু হয়ে গেছে।………

মারিয়াম—প্যারিসের সেই বারবণিতা

……….এই সেই প্যারিস! সীমাহীন উত্তেজনা, নিষিদ্ধ নিশিযাপন, ক্লান্তিহীন সঙ্গম আর শেষহীন মৈথুনের কথা লেখা থাকে এই শহরের সবখানে। যে শহর বারে বারে আনমনে আমাদের ডাক দেয়। বলে, বাঁধন ছিড়ে ফেলল। আরাে বেশি বেহিসেবী হয়ে ওঠো। তােমার বেপরােয়া যৌবন আরক্তিম অনুরাগে লাজনত হাে। তুমি ওই রমণীর স্তনবৃন্তে হাত রাখাে।……হানা বেহায়া নয়। বেশরম বললে ওর আত্মাকে অপমান করা হবে। ওর সাথে পথচলতি বেশ্যা মেয়েদের অনেক তফাত আছে। হানা এক অদ্ভুত ঐশ্বর্যে বিভূষিতা! মন নামের কিছু একটা ও ধরে রেখেছে ওর ঈষৎ বাঁকা দুটি বুকের অন্তরালে। ওহাে, হানার স্তন, প্রথম ভােরের আলাের মতাে নরম এবং মায়াবী! ওর স্তনবৃন্ত, একটু টাল খেয়েছে। টোকা মারলে বােধহয় আবার ঠিক জায়গাতে ফিরে যাবে, অন্তত প্রথম দেখার পর আমার তা-ই মনে হয়েছিল। কী অবাক, আমি তখন আমার জিভ দিয়ে সেটাকে আরাে সুডৌল করে দেবার চেষ্টা করছি। হানা হাসছে, সেই হাসির মধ্যে ভালােবাসার শপথ আছে, আছে কিশােরীসুলভ বন্ধুতার হাতছানি।……

………ওখানেই আলাপ হয়েছিল অ্যাঞ্জেলিকা নামের এক অসম্ভব সুন্দরীর সঙ্গে। মেয়েটির চোখের তারায় দূর দিগন্তের ছায়া কাপছে।ওর পােশাক সর্বদা অসংযত। এভাবে ইচ্ছে করেই ও হয়তাে শরীরের লােভনীয় খাঁজগুলােকে উন্মুক্ত করে দেয়। মেয়েটি নােংরা, কালেভদ্রে স্নান করে। এক অসুস্থ পরিবেশের মধ্যে থাকতে থাকতে অ্যাঞ্জেলিকা নিজেও বােধহয় অসুস্থ হয়ে গেছে। সবসময় উদাস চোখে সকলকে নিরীক্ষণ করে। মাঝে মধ্যে প্রবলতর যৌনতার। আতিশয্যে মুখ দিয়ে গোঁ গোঁ শব্দ করে, তখন মনে হয় ও বুঝি এক শূকরিণী। তখন কেউ ওর কাছে ঘেঁষতে সাহস পায় না। কিন্তু আমি গিয়েছিলাম। মারিয়ামের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আমি মিলিত হয়েছিলাম অ্যাঞ্জেলিকার সাথে। মেয়েটির প্রতিটি অভিব্যক্তি এখনও আমার মনে আছে। বিশেষ করে যখন ও কেউটে সাপের বিষ পান করে মিলনের ভঙ্গিমাতে নিজেকে প্রসারিত করত, ওর বকের দুপাশে হেলে থাকা দুটি স্তনবন্ত মরা মাছের চোখের মতাে তাকিয়ে থাকত। ওর নিম্ননাভিদেশের ঢল নেমেছে, বিশ্ব চরাচর জেগে উঠেছে ওর যেখানে দুই উরুদেশে—আমি অনিমিখ তাকিয়ে থাকতাম। আমি লেহনের কথা ভুলে যেতাম। ওর চোখের তারায় ঝরে পড়ত তীব্র আকুতি। হয়তাে একটু আগে মারাত্মক সাপের বিষের ইনজেকশন ও নিজেই গ্রহণ করেছে ওর বাঁ হাতে। জায়গাটা কালচে হয়ে গেছে। এমন অনেক কালচে দাগ দেখা যাবে ওর অঙ্গের এখানে সেখানে।……

……..সেই অ্যাঞ্জেলিকা, কঠিন ক’টি আসন শিখিয়ে দিয়ে হাসছিল মিটিমিটি করে। কীভাবে পেছন থেকে তার নিতম্বে আমার সেটিকে অনুপ্রবিষ্ট করাব, সে বিদ্যেটা আমি যত্নে রপ্ত করেছি অনেক আগেই। কিন্তু কীভাবে ওকে পেছন থেকে আলিঙ্গন করে সামনে চলে আসব! এত তাকত্ কি আমার আছে? প্রতি মুহূর্তে পৌরুষের ওপর আক্রমণ। হেরে যাবার ভয় মনকে আচ্ছন্ন করছে। অন্যদিকে জেগে উঠছে অবদমিত যৌনতা। এই লড়াইতে শেষ পর্যন্ত আমাকে জিততেই হবে। তা না হলে এক বিদেশিনী গরবিনী কন্যার কাছে আমি বড্ড হেয় হয়ে যাব।……

ইলাইন-নরকে এক বসন্ত

……..এই জীবনে ওর মতাে এমন আবেগসঞ্চারী এবং প্রভাবশালিনী রমণীর সঙ্গে এর আগে আমার কখনাে দেখা হয়নি। চোখ বন্ধ করলেই আমি তখন ওর কোমল ও পেলব তনুবাহারের স্বপ্ন দেখছি। আহা, এমন সুন্দর মসৃণ ত্বক, আমি কতবার ওর স্তনবৃন্তে চুম্বনের চিহ্ন এঁকেছি, আমি ওর উরুদেশে আঙুলের হাতছানির ছাপ রেখেছি, আমি কতবার ওর নিঃশ্বাসের সঙ্গে এক হয়ে শ্বাস নিয়েছি। আমি ওর মাংসের সাথে নিজের মাংসকে জড়িয়ে তৈরি করেছি এক অর্ধনারীশ্বর মূর্তি। আমি ওর ওপর। যৌনতার আক্রমণ চালিয়েছি। আমি কতবার ওর যােনি অভ্যন্তরে আমার পুংদণ্ডকে প্রবেশ করিয়েছি। আর্তনাদের মতাে শব্দ বেরিয়ে এসেছে ওর মুখ থেকে। শীকৃত চিৎকার বলা যেতে পারে। আহা, কতবার আমি ওকে কেন্দ্র করে চরম রতির সর্বোচ্চ শিখরে আরােহণ করেছি, আমি তা গুণে বলতে পারব না!….

……..ও ইতিমধ্যেই ধরা দিয়েছে আমার কঠিন কঠোর বাহুবন্ধনে। ওর পেলব দুটি স্তন মুখ খুঁজে পড়ে আছে আমার প্রশস্ত ললাম আচ্ছাদিত বুকের মাঝে। আমি বলেছি—আরাে জোরে, আরাে জোরে আমাকে আকর্ষণ করাে। তুমি আমার সমস্ত শরীরের মধ্যে তােমার শরীরকে স্থাপন করাে। এসাে, আমরা অদ্ভুত একটা খেলার অংশীদার হয়ে যাই।……

……..মনে পড়ে যায় মিলির কথা। যখন আমি স্কুলে পড়তাম, তখন ও এসেছিল আমাদের বাড়ির কাজের মেয়ে হয়ে। ও আমাকে খুবই ভালােবাসতাে। মাঝে মধ্যেই আমাকে আদর করত। যখনই সুযােগ হত আমার শিশুদণ্ডটিকে নিয়ে নাড়াচাড়া করত। বৃহস্পতিবার বিকেলে এবং রােববারে সকালে ও আমার আরাে কাছে আসত। ওর সাথে কাটানাে সেই প্রহরগুলাে এখনও আমার মনে পড়ে। আহা, সেই মিলি এখন কোথায় ? মিলি-ই আমাকে প্রথম শরীরের ভালােবাসা শিখিয়েছিল।…….

…..ইলাইনের সাথে আর একজনের মিল আছে। তিনি হলেন আমার ইংরাজি শিক্ষিকা মিস বি।…..উনি বলেছিলেন, পিঠের জিপটা খুলে দিতে। আমি খুলে দিয়েছিলাম। উনি বলেছিলেন, ব্রা-র ফাসটা আলগা করতে। আমি করে দিয়েছিলাম। উনি বলেছিলেন, প্যান্টির লেসটাকে সরিয়ে দিতে। আমি তাই করেছিলাম। তারপর উনি যা-যা বলেছিলেন, সবকিছু করার পর হঠাৎ আমার মনে হয়েছিল, আমার মুখটা তেতাে হয়ে গেছে এবং এক লহমাতে আমি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেছি।….

……সেদিনটার কথা স্পষ্ট মনে পড়ে কুমারী বি। সেদিন বাড়ির কাজ আমি ইচ্ছে করেই করে নিয়ে যায়নি। আমার মনের ভেতর আগুন জ্বলছিল। আমি কলিং বেলে হাত রাখলাম। আপনি সুমিষ্ট কণ্ঠস্বর বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে বলেছিলেন-দরজাটা খােলা আছে। আমি ঢুকে পড়েছিলাম। পায়ের ওপর পা আড়াআড়ি পড়ে আছে। ঈষৎ গােলাপি প্যান্টি ছাড়া আর কোনাে কিছুই নেই আপনার পরনে। দু-দিকে দুটি স্তন হেলে গেছে। আপনি একটা ফরচুন পত্রিকা পড়ছেন। আপনি কি আমাকে দেখতে পেয়েছিলেন? নাকি আপনি দেখেও না দেখার ভান করেছিলেন?……….

………—এই হল ইলাইন। যখনই ওর কথা ভাবি আমি, তখনই খাটো স্কার্ট পরিহিতা ওই সব সুন্দরী কিশােরীদের কথা আমার মনে পড়ে যায়। প্রবল বসন্ত বাতাসে যে স্কার্টের প্রান্তদেশে লেগেছিল সর্বনাশা দোলা, বারেবারেই ওরা উন্মুক্ত করে দিয়েছিল স্বপ্ননীল অথবা কামনাহলুদ প্যান্টির প্রান্তভাগ। তার আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে না কামানাে কেশগুচ্ছ। আহা, ওই অপূর্ব স্থানটিতে কখন আমি আমার জিভের পরশ রাখতে পারব।

অথবা, মনে পড়ে যায়, ওই সব কলেজি সুন্দরীদের কথা, যারা টিউডরের গথিক আর্কেডে বসে কফি পান করে এবং … তাকিয়ে থাকে অর্থপূর্ণ দৃষ্টিতে। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারি, তখন বসন্ত বাতাস প্রবাহিত হয় আমার অসম্ভব সুন্দর সুস্বাদু দুটি মাংসপিণ্ডের মাঝে দেখা দেয় আলােড়ন।……..

……..যখনই আমি তার সাথে মিলিত হয়েছিলাম, মনে মনে আমি একটা স্বপ্ন দৃশ্যের অবতারণা করেছিলাম। সেই দৃশ্যের প্রথম অঙ্কে ছিল ওকে ধীরে ধীরে উন্মােচিত করার দুর্মর প্রয়াস। প্রথমেই আমি ওর ব্লাউজের হুকে হাত রেখেছিলাম। একটি-দুটি করে সবকটি হুক খুলে দেবার পর কালাে কুচকুচে ব্রেসিয়ারটি উন্মুক্ত হয়ে উঠেছিল। তার বাঁধনে বাঁধা আছে সাদা দুটি মাংসপিণ্ড। এক লহমাতে আমি ওর স্কার্টটিকেও সরিয়ে দিয়েছিলাম। প্যান্টি এবং ব্রেসিয়ার পরিহিতা ওই মেয়েটি তখন আমার স্বপ্নের সাগরে সাঁতার দিচ্ছে। শেষ অব্দি ওকে আমি আদর করেছিলাম। অবশ্য সম্পূর্ণ মনে মনে। উন্মত্তের মতাে চুমুর চিহ্ন এঁকে দিয়েছি ওর শরীরের সবখানে। স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলােকেও বাদ দিইনি। ওর প্রতি প্রদর্শন করেছি সীমাহীন ভালােবাসা। ও বুঝি আমার আদরিনী বেড়াল কন্যাটি। ওর সবখানে এভাবেই আমি ভালােবাসার ছবি এঁকে দেব। আমি ওর শরীরটিকে আমার সাথে সংযুক্ত করব। প্রবল উল্লাসে ওকে নিয়ে খেলব অপূর্ব এক খেলা।….

…….কতবার ওর সাথে আমি সংযুক্ত হয়েছি, গুনে তা বলতে পারব না। প্রতিটি সংযােগই নতুন করে আমাকে উদ্দীপ্ত করেছে। ওর কথা ভাবতে গিয়ে মিলির দুটি অত্যন্ত ক্ষুধার্ত জঙ্ঘার কথা আমার মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায় কুমারী বি-এর গর্বোদ্ধত শরীরের কথা। আহা, মনে পড়ে যায় যৌনবতী কলেজ-সুন্দরীদের কথা, যারা প্রকৃতির সৌন্দর্যের মধ্যে নিজেদের যৌবনকে বিকশিত করেছে। চোখ বন্ধ করলেই আমি আবার হাইস্কুলের সেই মিনি স্কার্ট পরিহিতাদের দেখতে পাই। বাসস্ট্যান্ডে ওরা দাঁড়িয়ে আছে। আমি একটা বিষাক্ত কীট হয়ে ঢুকে পড়েছি ওদের প্যান্টির ভেতরে।…..সেই অঞ্চল আমার পরম প্রিয় স্থান!

এরিখ—বুঝি এক মত্ত মােনালিসা

…..আমার নজর পড়ে যাচ্ছে ওর শরীরের লােভাতুর অংশগুলিতে। আহা, এই সুন্দর জঙঘা, এই শ্রোণিদেশ, এই অসম্ভব সুডৌল পাছা—কবে, কবে আমি তােমার সাথে নিজেকে মিলিয়ে একাকার করে দেব, প্রিয়তমা এরিথ?

এরিথের কথার মধ্যে একটা অদ্ভুত বাঁধুনি ছিল। মাঝে মধ্যে হয়তাে না বুঝেই যৌন উত্তেজক ইঙ্গিত করে বসত। কখনাে জিজ্ঞেস করত, আমার ওই দণ্ডটির দৈর্ঘ্য কত? বাড়ন্ত এবং ঘুমন্তর মধ্যে উচ্চতার কতখানি তফাত? কখনাে জানতে চাইত, আমি কোনাে মেয়ের সাথে এর আগে সঙ্গম করেছি কিনা। অত বড়াে একটি বস্তু কীভাবে ওর ছােট্ট বিবরে ঢুকবে, সে বিষয়েও একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে ও মাঝে মধ্যেই আমাকে বিড়ম্বিত এবং বিরক্ত করতে চাই…..

…….আমার ডাকে ও সাড়া দিয়েছিল এক অভিজ্ঞা মধ্যবয়সিনীর মতাে। ওর এই নিলাজ আচরণে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম! আমি ভেবেছিলাম, প্রথমদিকে ও হয়তাে লজ্জার আবরণে ওর তন্বী তনুবাহারকে ঢেকে রাখবে। কিন্তু আসরে নেমে দেখলাম, আমি ওর কাছে নেহাতই এক নাদান বালক। ও এক অভিজ্ঞা সুন্দরীর মতাে ধীরে ধীরে আমাকে উন্মােচিত করে দিল। অনেকক্ষণ এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকল আমার পুংদণ্ডটির দিকে। তারপর নিজেই ওর মুখ নামিয়ে আনল সেখানে। নিঃসরণের সুখ যখন আমার সমস্ত শরীরে প্রবাহিত হচ্ছে, তখন ও একটি অদ্ভুত কাণ্ড করে বসল। ও আমার মাংসল দুটি অণ্ডকোষে রাখল ওর হালকা হাতের পরশ। শিস দিতে দিতে মৃদু মন্দ আন্দোলনে ও আমাকে সুখ সাগরে নিমজ্জিত করছিল। ওর বন্ধ চোখ দেখে আমি বুঝতে পারছিলাম, এখন কতখানি তৃষিতা তাপিতা হয়ে উঠেছে ও। জীবনের প্রথম সঙ্গমে কোনাে মেয়ে যে এতখানি পারদর্শিনী হয়ে উঠতে পারে, তা আমার জানা ছিল না। ওর আচরণে নিপুণ অভিজ্ঞতার ছোঁয়া দেখে আমার কেবলই মনে। হচ্ছিল, এরিথ বােধহয় এ ব্যাপারে আগে থেকেই অভিজ্ঞা। আমার সাথে এতদিন ছলনা করেছে। কেননা ও সত্যি সত্যি এক দুরন্ত বারবণিতার মতাে আমার সবকিছু নিয়ে খেলছিল সর্বনাশা খেলা। ……..অনেকক্ষণ ধরে চলেছিল আমাদের এই শৃঙ্গারবিলাস। কখনাে আমি ওকে আদর দিয়েছি, কখনাে ও প্রত্যুত্তরে আমাকে দিয়েছে সীমাহীন ভালােবাসার অর্ঘ্য।…..

…..উনি পরিষ্কার স্পষ্ট ভাষায় বললেন–এবার থেকে তােমাকে পালা করে একবার মেয়ে, অন্যবার মাকে সন্তুষ্ট করতে হবে। যদি দুজনেই একইভাবে সন্তুষ্ট হয়, তাহলেই এ যাত্রায় আমি বেঁচে যাব, তা না হলে এক অপ্রাপ্ত বয়স্কাকে বলাৎকার করেছি—এই অভিযােগে আমার প্রাণদণ্ড হতে পারে।

শুরু হল আমার অদ্ভুত বন্দীজীবন। যখন তখন ডাক পড়ত। কখনাে ভ্যালেনসিয়া, কখনাে এরিথ,দুজনের দুরকম চাহিদা—একা হাতে আমাকে মেটাতে হত। সত্যি কথা বলতে কী, শেষের দিকে আমি কেমন যেন হাঁপিয়ে উঠেছিলাম!কাহাতক আর এইভাবে নিঃসরণের মাধ্যমে নিজেকে আনন্দ দেওয়া যেতে পারে?তবে যৌবনের ছলাকলাতে ওরা দুজন ছিল দুই বিপরীত মেরুর বাসিন্দা। এরিথ যেমন ছটফটে যখন তখন আঁচড়ে কামড়ে তােমাকে শেষ করে দিত, ভ্যালেসিয়া কিন্তু তেমনটি ছিলেন না।..

….ওঁনার সাথে এক-একটি শরীর সঙ্গম, বুঝি কুশলী কবির হাতে লেখা মহাকাব্য। একাধিক সর্গে-পর্বে বিভক্ত। অনুপ্রাস আর যমকের ছড়াছড়ি। যাকে ধীরেসুস্থে পড়তে হয়, সময়ের পরতে পরতে জারিত করতে হয়, যা আবেগের রসে সম্পৃক্ত, অভিমানের অঞ্জলিতে প্রণােদিত।

এরই পাশে যখন এরিথ আসে, ঝােড়াে হাওয়ার মতাে, আমার সবকিছু কোথায় ভেসে যায়। তার আমন্ত্রণের কোনাে ছিরিছাঁদ নেই। কখনাে দুপুর, কখনাে সকাল, কখনাে মধ্যরাত—আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ও। অদ্ভুত এক-একটি অনুরােধ করে। ওর দেহ নিঃসৃত সবকিছু পান করতে হবে। ওর শরীরের সবখানে মাখাতে হবে আমার পুরুষ-তরল। তারপর, সেই অবস্থায় মিলিত হতে হবে। শাওয়ার থেকে টুপটাপ ঝরে পড়বে জলকণা। সিক্ত অবস্থায় অনুপ্রবিষ্ট করতে হবে আমার দণ্ডটিকে।…..

…….নিশান্তিকার আলােয় হঠাৎ ঘুমটা আমার ভেঙে গিয়েছিল। আমার পাশে শায়িতা এরিথ। ওর পরিস্ফুটিত যৌবন, আহা, চোদ্দো বছরেই ও যদি এতখানি স্তনবতী হয়ে ওঠে, তাহলে পঁচিশ বসন্ত ওকে আরাে কত সুন্দরী করে তুলবে! ওর খােলা চুল, ওর চোখ দুটি বন্ধ। আহা, সমস্ত শরীরে নিপাপতার ছাপ।..

…….এরিথের সঙ্গে কাটানাে আমার ভালােবাসা এবং অবুঝ কাছে আসার প্রহর—পৃথিবীর এমন কোনাে ভাষা নেই, যা দিয়ে তাদের সার্থকভাবে তুলে ধরা যেতে পারে। আহা, এরিথ, আমার চতুর্দশী প্রেমিকা বালিকাটি, যৌনতার সহস্র উপকরণ দিয়ে আমাকে অর্চনা করেছে। আমাকে ভালােবেসেছে। আমার কানে কানে উচ্চারণ করেছে অশ্লীলতম বাক্য। বিন্দুমাত্র লজ্জিতা হয়নি ও। বিছানার খেলাতে এবং হাতের কারুকাজে সমান পারদর্শিনী ও। বেশিরভাগ সময় ওর কাছে আমি হাঁপিয়ে উঠতাম। যখন সবেমাত্র জাগতে শুরু করেছে ওর যৌনতার স্ফুরণগুলি, তখনই আমার নিঃসরণ হয়ে গেছে। আমি বেশ বুঝতে পারতাম, আমার এহেন আচরণে ব্যথার্ত হয়েছে ও। কখনাে কখনাে ক্ষিপ্ত বাঘিনীর মতাে উন্মত্ত হয়ে উঠে আমার ক্লান্ত শ্রান্ত পুংদণ্ডটির ওপর দাঁতের দংশন রেখেছে। কখনাে আমার অণ্ডকোষে হাতের আঘাত করেছে। আমি যন্ত্রণায় কঁকিয়ে উঠেছি। আমি বেশ বুঝতে পেরেছি, এরিথ নামের ওই নচ্ছারের হাত থেকে আমার মুক্তি নেই!…..

ফ্রেইডা—বিরহিনী এক বারবিলাসিনী

….আমি ওর কথামতাে কাজটি সমাধা করলাম। আমি বলে উঠেছিলাম—আঃ তুমি এত সুন্দরী ফ্রেইডা! ওর ব্লাউজের ভি আকারের মধ্যে দিয়ে ও আমার হাত গলিয়ে দিতে বলেছিল। ও ঝুঁকে পড়েছিল। আমি তখন কোনােদিকে তাকাতে পারছি না। ও যেমনটি বলছে, আমি তেমনটি করছি। আমি অনুভব করলাম, ও কিন্তু ভেতরে কোনাে ব্রেসিয়ার পরেনি। ব্লাউজের প্রথম হুকে হাত রেখেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম, এখুনি উন্মুক্ত হয়ে উঠবে ওর সুন্দরভাবে সাজানাে স্তন দুটি। অতএব, এখানে নয়। এখন আমি কোথায় যাব? এখন আমাকে একটু নিভৃত নিরালায় চলে যেতে হবে।ওর কোমরে হাত রেখে, ওরশরীরের ওপর চুমুর বৃষ্টি বর্ষণ করতে করতে আমরা তখন অলিন্দ পার হয়ে চলেছি আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বর্গের উদ্যানে।

সেখানে গিয়ে দরজা বন্ধ করে নীলচে আলাে জ্বেলে দিয়ে আমি ওর ওপর নিজেকে সমর্পণ করে দিলাম। আমি বেশ কিছুক্ষণ সেখানে নিশ্চল হয়ে শুয়েছিলাম। কী আশ্চর্য, আমার দুষ্টু খােকাটা কিন্তু তখনও জেগে ওঠেনি। ফ্রেইডা তখনও পেশাগত দক্ষতায় আমাকে নিবিড়ভাবে আকর্ষণ করেছে।তখনও ও মৃদুমন্দ ঠোট রাখছেকগন্যাকের গােবলেটে। আরাে বেশি মদিরাক্রান্ত হয়ে উঠছে ও। দুটি-একটি বিন্দু ঢেলে দিচ্ছে আমার মুখের মধ্যে। আহা, অর্ধনগ্ন দুটি দেহ শৃঙ্গারের আনন্দে মত্ত মাতাল হয়ে উঠেছে। আমি শুনেছিলাম, এভাবেই ও নাকি প্রাক্-মৈথুনের পর্বটিকে সমাধা করে। ওকে আমার ন্যুডিস্ট বলে মনে হয়েছিল। মনে হয়েছিল, ও বােধহয় পােশাককে ঘৃণা করে। ওর হয়তাে মনে হয়, পরিচ্ছদের মাধ্যমে আমরা আমাদের আত্মাকে অকারণে আবৃত করি। এইভাবে স্বর্গ থেকে দূরে, আরাে দূরে চলে যাই!…..

……..আমি ওর পা থেকে জুতা খুলে দিলাম, স্কার্ট খুলে দিলাম, গার্টারে হাত দিলাম। ওর ঠোটে তখনও দুষ্টু হসির টুকরাে। সব কিছু খুলে দেবার পর ও উপুড় হয়ে শুয়েছিল। ওর সুন্দর নিতম্বদেশ আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলাম। সেখানে অল্প অল্প গােলাপি নােম দেখা যাচ্ছে। আহা, ওখানে এখনই কি শুরু হবে আমার খেলা, নাকি আর একটু সময় দেব ওকে! অনেকক্ষণ ও ওইভাবে উপুড় হয়ে শুয়েছিল। বালিশের সঙ্গে ঘন সংবদ্ধ ছিল ওর নরম তুলতুলে দুটি মাংসপিণ্ড। বালিশটি হয়ে উঠেছিল আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। সেটিকে ভীষণ ভীষণ হিংসা করতে ইচ্ছা হয়েছিল আমার। আমি নিতম্বের ওপর নিজেকে স্থাপিত করলাম। তারপর ওটিকে সংযুক্ত করলাম ওর সাথে। তখনই একবার ও আঁঃ বলে একটা ছােট্ট আর্তনাদ করে উঠেছিল। এর মধ্যে কোনাে দুঃখ বােধ ছিল না। অত্যন্ত সুখি হলে মানুষ তা প্রকাশ করে এইভাবে কয়েকটি আনুনাসিক শব্দ ব্যবহার করে। এভাবেই ও.হয়তাে ওর ওই অবস্থাটা জানাতে চেয়েছিল আমার কাছে।

ও বলেছিল—সাবধানে করাে। এমন কিছু কোরাে না, যাতে আমার লাগতে পারে। | আমি বলেছিলাম—সুন্দরী, আমার ওটিকে আরাে বেশি চেপে ধরে তুমি আমার ওপর ভরসা করতে পারাে। আমি তােমার সাথে এমন ব্যবহার করব না, যাতে তােমার দৃষ্টিতে আমি এক নরখাদক কামুক হিসেবে চিহ্নিত হই।

অনেকক্ষণ ধরে আমি খেলেছিলাম ওর সাথে এই সর্বনাশা খেলা। কী যেন হয়ে গিয়েছিল আমার। স্নায়ুপুঞ্জ কাজ করছিল না। নিঃসরণের মুহূর্তটি ক্রমশ বিলম্বিত হচ্ছে। মনের ভেতর জাগছে একটা অদ্ভুত আনন্দ। শিহরণ জাগছে সবখানে। তারপর শেষ অব্দি সেই কাঙ্ক্ষিত প্রহরটি এসে গেল। আমাকে অবাক করে দিয়ে কী অদ্ভুত কায়দায় ফ্রেইডা তখন ঘুরে শুয়েছে। ও আমাকে চুম্বন দিচ্ছে অথচ ওর সাথে আমি সংযুক্ত বিপরীত বিহারে। পরে অনেকবার এই অদ্ভুত আসনটির কথা আমি ভেবেছি। আমি বুঝতে পারিনি, কীভাবে এটি সম্ভব হয়েছিল!….

…….ধীরে ধীরে আমি ওকে আরাে বেশি ভালােবেসে ফেলেছিলাম। যখন আর অন্য কিছুই ভালাে লাগে না, আমি ইচ্ছে হলেই ওর শরীর-সমুদ্রে স্নান করি। ওর স্তনবৃন্তকে চোষণ করি। হাত রাখি ওর কোমরের খাঁজে। ও কোনাে বাধা দেয় না। ও সবকিছু আমাকে উজাড় করে দিয়েছে। মাঝে মধ্যে আমার মনে হয়েছে, ও কি এভাবে সব পুরুষের সাথে একইরকম নিলাজ অভিসারে মেতে ওঠে? নাকি ও আমাকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করেছে ওর অন্যতম প্রেমিক হিসেবে? তা না হলে কেউ এভাবে সবকিছুস্ব-ইচ্ছায় তুলে দেয়? পেশাদারি কাঠিন্য ছিল না ওর আচরণে। ও বুঝি আমার নববিবাহিতা বধূটি, ফুলশয্যার রাতে যার কুমারিত্ব আমিই ভেঙেছি। ধীরে ধীরে খুলে দিয়েছি ওর শরীরের সকল আগল। এখন সেখানে আমি বিচরণ করব এক বিশ্বজয়ী সম্রাটের মত!

আমি বুঝতে পারতাম, অজানা ভবিষ্যতের অনাগত রিক্ত সম্ভাবনা ওকে এভাবে বিধ্বস্তা করেছে। সত্যিই তাে, আমরা কি জানি, আগামীকাল কী ঘটবে?

আমি ওর সাথে মেতে উঠতাম প্রথম সঙ্গমে। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হত সেই মুহূর্তটি। কোনাে কোনাে সময় ইচ্ছে হলে আমি ওর সাথে ঘােটকের মতাে মিলিত হতাম। দ্বিতীয় মৈথুনের সময় আমি এই আসনটি বেশি পছন্দ করতাম। ওর যৌনকাতর অঙ্গগুলি নিয়ে ছােট্ট শিশুর মতাে খেলা করতাম। একবার শরীরের সাথে সেগুলােকে সংযুক্ত করতাম, পরমুহূর্তেই তাদের বিযুক্ত করে দিতাম। এরই মাঝেমৃদুমন্দ আন্দোলনে ওর শরীরের সবখানে স্পন্দন জাগাতাম। ওর উত্তেজনার মধ্যে একটা সহজ সুন্দর স্বচ্ছন্দতা লুকিয়ে ছিল। ও অকারণে বুননা স্বভাবের হতে পারে না। সর্বদা ওর মধ্যে বহমান ছিল এক সংযম। যে সংযম আমাকে আরাে বেশি উত্তেজিত করে তুলত। আমি বুঝতে পারতাম, সব মেয়েরা কিন্তু এক ধরনের নয়!……..

শার্লটে—আমার ক্রীতদাসী

….ক’দিন ধরেই মনটা আমার উড়ু উড়ু। বেশ কয়েকদিন সঙ্গত থেকে বঞ্চিত হয়েছি আমি। পেটের খিদে আমি সহ্য করতে পারি, কিন্তু আট ইঞ্চি লম্বা ওই বস্তুটার খিদে আমি মােটই সহ্য করতে পারি না। আমার মাথার ভেতর আগুন জ্বলে যায়। পৃথিবীর সবখানে ধ্বংসের বার্তা পৌঁছে দিতে আগ্রাসী হয়ে উঠি আমি। মাথার ওপর চাপানাে কাজের বােঝাটাকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে করে আমার। অতএব, ইতিউতি তখন আমি ঘােরাঘুরি করছি লাল আলাের ইশারাতে। তুর্কি সুন্দরীদের স্তনবৃন্তে কাঁপতে থাকা অভের মুঠো হাতে ধরার চেষ্টা করছি। ওদের নাভিতে ঠোট রেখে চেটে নিচ্ছি প্রাচ্য দেশীয় সুরার মাধুর্য। কিন্তু মাতাল হচ্ছি কই? হে সুন্দরী! তােমার যােনিদেশে এমনকী কোনাে সুড়ঙ্গ আছে, যেখানে আমি আজ রাতের মতাে আশ্রয় নেব? পৃথিবীর কোনাে মানুষ আমাকে দেখতে পাবে না। তারপর, কাল সকালে তােমার রজঃস্রাবে স্নান করে বেরিয়ে আসব। নাঃ, তখনও পর্যন্ত তেমন কোনাে ছলনাবতীর সাথে আমার পরিচয় হয়নি। আর হয়নি বলেই বােধহয়। ভবিষ্যতের ভাগ্যের চাকাটা এত সুন্দরভাবে ঘুরতে শুরু করেছিল। আমি শার্লটের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসার সৌভাগ্য অর্জন করতে পেরেছিলাম।

তার আগে দুটি একটি বার সুন্দরীদের কথা বলি। ওদের একজনকে আমার স্পষ্ট মনে পড়ে। প্রাচ্যদেশীয় সেই সুন্দরী ঘাগরা এবং চোলি পরে অদ্ভুত একটা নাচ নাচছিল। পরে শুনেছিলাম, ও এসেছে রহস্যময় দেশ ভারত থেকে। ভারতীয় মেয়েদের সাথে এই প্রথম আমার পরিচয় হল। আগে দুই-একটা এঁচোড়ে-পাকা বন্ধুর মুখে শুনেছিলাম, ওরা নাকি যৌনতার সাথে ভালােবাসার একটা অদ্ভুত মিশেল এনে দেয়।…..

……মেয়েটি আমাকে আরাম দিয়েছিল। আমার ওইটা নিয়ে অনেকক্ষণ খেলেছিল। বিনিময়ে ওর ব্রেসিয়ারের ফঁাকে আমি বাড়তি কিছুটাকা গুজে দিয়েছিলাম। ভাের হবার আগেই ওকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ঠেলে বের করে দিয়েছিলাম।…

……..অতএব, পরদিন দুপুরে এক হঠাৎ পরিচিত বন্ধুর হাতে হাত রেখে হাজির হয়েছি শহরের এক নিষিদ্ধ অঞ্চলে। পুলিশ ও প্রশাসনের মুখে তুড়ি মেরে সেখানে বসেছে কাঁচা মাংসের কেনাবেচার আসর। হ্যা, আপনারা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন, মধ্যযুগে যেভাবে নারীর শরীর মেলে দেওয়া হত ঝিকঝিকে রােদুরের আলােতে, টেনে টেনে দেখা হত তাদের স্তনের দৃঢ়তা অথবা বৃন্তের গােলাকৃতি আভাস, এখনও সেভাবেই তাদের বিচার করা হচ্ছে। চারপাশে। উল্লসিত জনতা, বেশির ভাগই ফেরেব্বাজ মক্কেলদের দল। পকেট ফাকা অথচ টনটনে জ্ঞান আছে। লিঙ্গের উত্থান সহ্য করতে পারছে না বলে স্ব-মেহনে মত্ত। তারা এসেছে দিন দুপুরে রূপের এই বাহার দেখবে বলে। আর আছে কিছু পােড় খাওয়া মানুষের দল।দু পকেট কালাে টাকার বস্তা পুরে যারা ইতিউতি চোখে জরিপ করছে ওইসব সুন্দরীদের। পৃথিবীর নানা দেশ থেকে ঝেটিয়ে আনা হয়েছে তাদের। আহা, অস্ট্রেলীয় নীলনয়নার পাশে ইতালীয় তামাটে শরীরের মেয়েটি, শ্যামদেশীয় কুতকুতে চোখের থ্যাবড়া মুখের মেয়েটির পাশে মার্কিন দেশ থেকে উঠিয়ে আনা সেক্স-সুন্দরী। এখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।……

…..এবার যে মেয়েটিকে ভােলা হল, তাকে দেখে আমি চমকে উঠেছিলাম। এমন সুন্দরী অথচ বিষন্নবতী মেয়ে এর আগে আমি কখনাে দেখতে পাইনি। লােকে বলে, সৌন্দর্যের সাথে বিষন্নতার বরাবরের আড়ি। কিন্তু শার্লটেকে দেখে, ওর শরীরের সবখানে ঠিকরে ওঠা মধ্যদিনের সূর্যের আলাে, আমার মন-বাতাস কেমন যেন হু-হু করে উঠেছিল। আমি ভেবেছিলাম, যত টাকা লাগে লাগুক, এই মেয়েটিকে কিনতেই হবে আমাকে। মেয়েটি মার্কিন দেশ থেকে এসেছে, ওর অসম্ভব সুন্দর সােনালি চুলের বন্যা, ওর সুগঠিত স্তন এবং ওর মসৃণ করে কামানাে নিম্ন নাভিদেশ—সেই খবরই বার বার বলছিল। মেয়েটি ঠিকমতাে ভঙ্গিমা করতে পারছে না। সপাং করে ওর পিঠে একটা চাবুক মেরে দেওয়া হল।…..

………শার্লটে বাধা দেয়নি। বাধা দেওয়ার মতাে ক্ষমতা ওর ছিল না। উল্টো আমি কেমন যেন বােকা বেওকুফ হয়ে গিয়েছিলাম। আহা, এই যােনিদেশ আমার কত পরিচিত। এই স্তনবৃন্তে মাথা রেখে আমি এ জীবনের কতগুলাে বাসন্তী-প্রহর কাটিয়ে দিয়েছি। এই বগলতলিতে মুখ রেখে আমি শুষে নিয়েছি ঘামের এই গন্ধ। এসবই তাে আমার চেনা। কিন্তু আমার কেবলই মনে হয়, দুই স্তনের অন্তরালে যে এক টুকরাে বিভাজিকা আছে, সেখানে মন বলে একটি পদার্থ থাকে, তাকে আমরা দেখতে পাই না, একথা সত্যি, কিন্তু বসন্ত বাতাসের মতাে তার উপস্থিতিকে আমরা অনুভব করতে পারি। এই মনের ব্যাপারে এক মেয়ের সাথে অন্য মেয়ের কোনাে মিল নেই। প্রত্যেকে একটা আলাদা হৃদয়ের অধিকারিণী। কারাে হৃদয়ের মধ্যে শ্রাবণের ঘন কালাে মেঘের ছায়া কাপে। কোথাও আবার শরতের রােদুর হা-হা করে হেসে ওঠে। কোথাও সঘন বর্ষার পদধ্বনি, কোথাও মে মাসের রৌদ্রোজ্জ্বল মধ্য দিনের দহন দগ্ধ জ্বালা।……

অনিতা-অন্তিমের অভিসারিকা

…….কাঁহাতক সারাদিন আর মদের ঠেকে বসে বসে সময় কাটানাে যায়! রাত হলেই হামলে পড়া মেয়েরা এসে উদোম নাচ নাচতে শুরু করে। আমাকে উলঙ্গ করে সকলে মিলে চাখতে চুষতে থাকে। সে এক দারুণ অব্যবস্থা! আহা, ওখানে গেলে তাে ওদের হাত থেকে মুক্তি পাব। কে জানে, ওখানে কোন সুন্দরী আমার জন্য অপেক্ষা করছে! তার শরীর থেকে আমি অনায়াসে পান করব স্বর্গের সুষমা। তার যােনিদেশে স্থাপন করব আমার অহঙ্কারী পুংদণ্ডটিকে। বীর্যের শ্রোতে তাকে স্নান করাব। আহা, সেই সুন্দরীকে তখন আমি নিয়মিত স্বপ্নে দেখতে শুরু করেছি।….

…….বেশ্যাখানার একটি মেয়েকে আমার চোখে ধরেছিল। তার নাম রেখা। মেয়েটির বয়স বেশি নয়। ইতিমধ্যেই অসম্ভব স্তনবতী হয়ে উঠেছে ও। হাঁটলে সামনের দিকে একটুখানি ঝুঁকে পড়ে। ওর মুখের ওপর একটা অদ্ভুত মায়াবী আদল আছে। হাসলে গালে টোল পড়ে। ওকে দেখে মনে হয়, ও বুঝি প্রিয় পুরুষের জন্য শত শতাব্দীর ভালােবাসা সযত্নে সঞ্চয় করে রেখেছে ওর নরম তুলতুলে দুটি স্তনের মাঝে। ওই মেয়েটি আমাকে অমৃত সুধা দিয়েছিল। তার মানে? ওর স্তন থেকে উৎসারিত দুধ আমি পান করেছিলাম। অর্থাৎ মেয়েটি সবেমাত্র সন্তানবতী হয়েছে। সে এক অনন্য অভিজ্ঞতা! ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।…..

…..আমি অনিতার চোখের দিকে তাকালাম। নিদ্রিত দুটি চোখ। আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম ওর মাথার পাশে। ওর শরীর থেকে নির্গত একটা গন্ধ আমাকে মাতাল করে দিয়েছিল। তারপর আমি আস্তে আস্তে আমার শরীরটাকে নামিয়ে আনলাম। আমি প্রথমেই স্পর্শ করেছিলাম ওর ঘমুন্ত ঠোট। ও কিছু বুঝতে পারেনি। তারপর হাত রাখলাম ওর ফুলকুঁড়িটির ওপর। আহা, বাদামি বৃন্ত কেমন দৃঢ় হয়ে উঠেছে। তখনও বােধহয় অনিতা ঘুমিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত যখন আমি ওর সায়া তুলে যােনিদেশের ওপর আমার মুখ নামিয়ে এনেছি, তখনই হঠাৎ একটা তীব্র আর্তনাদ শুনতে পেলাম।…….অনিতার ঘুম ভেঙে গেছে। ও তীক্ষ্ণ চোখে আমাকে নিরীক্ষণ করছে। ও ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার ব্যর্থ প্রয়াসে মেতে উঠেছে। তখন আমার মনের অরণ্যে ভয়ঙ্কর পশুটা জেগে উঠেছে। আমি ওকে সজোরে আঁকড়ে ধরে আমার বিছানাতে শুইয়ে দিলাম। ও যাতে চিৎকার করতে না পারে, তাই ইতিমধ্যেই ওর মুখে আমি বাঁধন দিয়েছি শক্ত করে বেঁধে। ওর চোখগুলাে বেরিয়ে আসছে। ও বেচারি কাঁদছে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে। ও বিশ্বাস করতে পারেনি, একটু আগে যাকে আঙ্কেল বলে সম্বােধন করেছিল, সেই মানুষটা এখন ওর ঘাড়ে চেপে বসেছে। যে করেই হােক, ওর গর্তে আমার এই দণ্ডটাকে প্রবেশ করাতেই হবে। তার জন্য যদি আমাকে মরে যেতে হয়, তাতেও আমি পিছপা হব না।

আধঘণ্টা ধস্তাধস্তির পর শেষ অব্দি আমি সফল হয়েছিলাম আমার এই শেষতম অভিযানে। ছলকে ছলকে বীর্য এসে নিষিক্ত করে দিয়েছিল ওর কামনার বিবরটিকে, রক্ত • বেরিয়ে এসেছিল। আহা, বােধহয় সতীচ্ছেদ হয়ে গেল। মেয়েটি তখন কাদতেও ভুলে গেছে।…..

……..সময় কাটতে থাকে। কত স্তনশীৰ্ষ, কত নিম্ন নাভিদেশ, কত পৃথুল পাছা,কত লাবণ্যবতী শ্রোণিদেশ আমাকে আকর্ষণ করেছে। এখন আর কোনাে কিছুই আমার ভালাে লাগে না।……….

One thought on “সঙ্গিনী স্বৈরিনীরা – জন ফিলিপ

  1. আমি একজন ফ্রিল্যান্স অনুবাদক। প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।

Leave a Reply