দ্য লাভলি বােন (নিষ্পাপ আত্মা) – অ্যালিস সিবােন্ড

›› অনুবাদ  

রূপান্তরঃ শেখ আবদুল হাকিম

……তুমি কাপড়চোপড় খুলে ফেল।
কী?’
কাপড়চোপড় খুলে ফেলাে, বলল লােকটা। আমি পরীক্ষা করে দেখতে চাই এখনও তুমি কুমারী কিনা।……

…..প্রাণপণে যুজেছি আমি। যতটুকু পেরেছি কঠিন লড়াই করেছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল, লােকটা যাতে আমাকে জখম করতে না পারে। কিন্তু মুশকিল হলাে আমার যতটুকু পারা কঠিন লড়াই মােটেও যথেষ্ট ছিল না, এমনকি তার কাছাকাছিও নয়, ফলে একটু পরই দেখলাম মাটির মেঝেতে পিঠ দিয়ে শুয়ে আছি আমি, মারাত্মক আহত-মাথার খুলি দু’জায়গায় ফুলে গেছে, সদ্য ভাঙা নাক থেকে রক্ত বেরুচ্ছে, কাটা ঠোট ফুলে উঠেছে।

আর পশুটা? আমার ওপর লম্বা হয়ে হাপরের মতাে হাঁপাচ্ছে আর দরদর করে ঘামছে। ধস্তাধস্তির মধ্যে শুয়ােরটার চশমা কোথাও পড়ে গেছে | তখনও আমি কী রকম তাজা আর জ্যান্ত । ভাবছি মাটিতে(চিৎ হয়ে শােয়া অবস্থায় ঘর্মাক্ত কোনও লােককে নিজের ওপর থাকতে দেয়ার মতাে জঘন্য ব্যাপার সারা দুনিয়ায় আর কিছু হতে পারে না।……….

….আমার ঠোটে নিজের ঠোট চেপে ধরল মিস্টার হার্ভে। পিচ্ছিলা লাগল, ঘিন ঘিন করে উঠল আমার গা । ইচ্ছে হলাে চিৎকার করি, কিন্তু মারাত্মক ভয়ে কুঁকড়ে গেছি আমি, সারাক্ষণ ধস্তাধস্তি করে শরীরও দুর্বল হয়ে পড়েছে।………ভেজা ঠোটে খেতে খেতে লােকটা যখন গায়ের জোরে আমার শার্টের ভেতর হাত গলাল, আমি কেঁদে ফেললাম । নিজের শরীর ত্যাগ করছি, বসবাস শুরু করছি বাতাস আর নীরবতার ভেতর  কাঁদছি আর ধস্তাধস্তি করছি, যাতে কিছু অনুভব না করি । লােকটা টান দিতে লাগল, এভাবে একসময় আমার প্যান্ট ছিড়ে গেল । জিপারটা আমার মা নিজের হাতে সেলাই করে দিয়েছিল, কৌশলে একপাশে এমনভাবে ঢােকানাে যে খুঁজে পাওয়া কঠিন। ‘কী বড় প্যান্ট রে বাবা,’ বলল লােকটা।
অনুভব করলাম আমি বিরাট এবং ফোলা। অনুভব করলাম আমি একটা সাগর, যার ওপর দাঁড়িয়ে পেশাব করছে সে, বিষ্ঠা ত্যাগ করছে। আবার আমার ওপর কসরত শুরু হলাে।…..লােকটা আমার ভেতরে । কোন্ পাড়ার মতাে অশ্লীল আওয়াজ বেরুচ্ছে। তার মুখ থেকে।…….

…….ছেলেরা যখন মন্টানার মস্ত স্তন নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করবে, আমি তখন লেকচার দিয়ে বােঝাবার চেষ্টা করব মেয়েদের ওই অঙ্গ নিয়ে কৌতুক করা কেন মােটেও মজার ব্যাপার নয়। আমাকে তখন ভুলে যেতে হবে আমি নিজেও মন্টানাকে হেঁটে যেতে দেখে খাতার মার্জিনে তালিকা তৈরি করেছি; হাটে যাচ্ছে একজোড়া লাউ!’ মাঠে নয়-বিশ্বকাপ গড়াল বুকে!’ ‘ইস, এই লজ্জা রাখি কোথায়!…….

……….চোখ বুজে অপেক্ষা করছি। পানির ভেতর মাথা ডােবালাম। চিবুক, গলা, স্তন, তলপেট বার ঊরুসন্ধিতে গরম পানির ছোঁয়া অনুভব করলাম। শুনতে পেলাম হাতড়াচ্ছে মুসা, কানে এলাে পাকা মেঝেতে বেল্টের বাকল পড়ার আওয়াজ, পকেট থেকে আলগা হলাে খুচরাে পয়সা।

….পর্দাটা টেনে ধরল মুসা । ওর দিকে ঘুরলাম আমি, তার পর চোখ,খুললাম । অনুভব করলাম আমার উরুর ভেতর দিক শিরশির করছে। চলে এসাে, আমি বলছি।’
ধীরে ধীরে বাথটাবে পা রাখল মুসা। প্রথমে আমাকে ছুঁলাে না, কিন্তু তার পর আমার পাঁজরের পাশে ছােট একটা দাগের ওপর আঙুল বুলাল। দুজনেই চেয়ে আছি, রিবনের মতাে দেখতে ক্ষতের দিকে এগােচ্ছে ওর আঙুল।
লাবণীর ভলিবল অ্যাক্সিডেন্ট, উনিশ আশি,’ বললাম আমি । আবার শিরশিরে একটা অনুভূতি হলাে আমার।
তুমি লাবণী নও,’ বলল মুসা, ওকে বিস্ময়ে অভিভূত দেখাচ্ছে ।
শুকনাে ক্ষতে পৌছুনাে ওর হাতটা ধরে আমার বাম স্তনের নিচে নিয়ে এলাম।
‘তোমাদের দুজনকে কয়েক বছর ধরে লক্ষ করছি আমি,’ বললাম ওকে। ‘আমি চাই তুমি আমাকে ভালবাস।
কিছু বলার জন্যে ফাক হলাে ওর ঠোট, কিন্তু এই মুহূর্তে ওর ঠোটের ডগায় যা জমেছে তা উচ্চারণ করার মতাে নয়। আঙুল দিয়ে বোঁটা ঘষল ও, আর আমি ওর মাথাটা নিজের দিকে নামিয়ে নিলাম । চুমাে খেলাম আমরা। আমাদের মাঝখানে পানি উঠে এসেছে, ভিজে গেছে ওর পেট আর বুকের ললাম। আমি বারবার চুমাে খাচ্ছি ওকে, কারণ আমি চাই লাবণী আমাকে দেখুক, চাইছি সেলিনা আমাকে দেখুক, চাইছি শিরিন আমাকে দেখুক, সেই সঙ্গে জানতে চাইছি ওরা আমাকে সত্যি সত্যি দেখতে পাচ্ছে কিনা।

শাওয়ারে দাঁড়িয়ে আমি কাঁদলাম । আমার চোখের পানিতে চুমাে খেলাে মুসা, জানল না কি কারণে আমি কাঁদছি। | আমি ওর শরীরের প্রতিটি অঙ্গ ছুঁলাম আর ধরে রাখলাম । তালুর মধ্যে নিলাম ওর কনুই। ওর কোমল, কোঁকড়ানাে ললামগুলাে আঙুলের ফাঁকে আটকে সিধে করলাম । আমি ওর সেই অঙ্গটা ধরে থাকলাম যেটা জর্জ হার্ভে গায়ের জোরে আমার ভেতর…আমি আমার মাথার ভেতর শব্দটা আওড়ালাম; নরম করে! তার পর বললাম: হে পরম পুরুষ!
মুসা? বুঝতে পারছি না তােমাকে আমি কি নামে ডাকব।’ ‘দিশা।
ওর ঠোটে আঙুল চেপে ধরলাম, যাতে আর কোনও প্রশ্ন করতে না পারে। মনে আছে, আমাকে তুমি প্রেমপত্র লিখেছিলে?

এক মুহূর্ত পরস্পরের দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম আমরা। ওর কাঁধ বরাবর পানির ফোঁটা জমতে দেখলাম, তারপর ওগুলাে খুঁড়িয়ে পড়ে গেল। আর কিছু না বলে আমাকে দু’হাত দিয়ে ধরে কাঁধের ওপর তুলে নিল মুসা, দুটো পা দিয়ে ওকে আমি জড়িয়ে ধরলাম। বাথরুম থেকে বের করে এনে ভিজে শরীরটাকে ধীরে ধীরে বিছানায় শােয়াল । তারপরজার্নক সময় নিয়ে, অসম্ভব যত্নের সঙ্গে, প্রবেশ করল আমার ভেতর । হাত দিয়ে ওর মুখটা আঁকড়ে ধরলাম আমি, তারপর যত জোরে পারা যায় চুমে খেলাম ওকে।………..তারপর আমরা প্রেম করলাম। আমরা প্রেম করলাম শাওয়ারে, বাথটাবে, আবার বিছানায়, আলাের মধ্যে, অন্ধকারে। বিশ্রামের সময় আমি ওর শিরদাঁড়া বরাবর চুমাে খেলাম ।……….

Leave a Reply