আনন্দধারা – সায়ন্তনী পূততুন্ড

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…….স্নান করে উঠে কৌশিকী আজ সবচেয়ে সুন্দর জামাটা পরল। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল। সে কি সুন্দরী? না, আয়না মিথ্যে করেও তাকে সুন্দরী বলবে না। কিন্তু ধূপছায়ার চেয়ে অনেকগুণ ভালাে দেখতে। সে টপটাকে পিছনে একটু চেপে তুলে দিতেই অনাঘ্রাত জয়স্তম্ভ দুটো প্রকট হয়ে উঠল। স্কার্টটাকে গুটিয়ে উরুর উপর তুলে এনেছে সে। এখন তাকে খাজুরাহাের ভাস্কর্যের মতাে দেখাচ্ছে। দেহের বিপজ্জনক ভাঁজগুলাে দেখতে দেখতে সে কেমন যেন মােহাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এভাবে নিজেকে কখনও ভাে সে দেখেনি। এত সুন্দর সে নিজে। এত সুন্দর!…..

……আজ আমি আমার একজন এসএমএস ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। লােকটার নাম রজত সিংঘানিয়া। ধূপছায়া শুনে প্রথমেই বলেছিল লােকটার বয়স অন্তত চল্লিশ তাে হবেই। কিন্তু সামনাসামনি দেখে মনে হল কমসে কম পঁয়তাল্লিশ ! এত জঘন্য দেখতে যে প্রথম দর্শনেই আমার বমি পেয়ে গিয়েছিল। থলথলে চর্বির দলা একটা। যে গাড়িতে চড়ে এসেছিল সেটা অবশ্য ইম্প্রেসিভ। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কথা, গাড়িতে ওঠার দশ মিনিটের মধ্যেই লােকটা তার ভাল্লুকের মতাে থাবা আমার বুকে রাখল। তারপর পিছনের সিটে বসে যা করল তা বলা যায় না। যেভাবে ও আপাদমস্তক চাটচ্ছিল তাতে কুকুর ছাড়া আর কিছু ভাবা যাচ্ছিল না ওকে। এর বেশি অবশ্য এগােয়নি। ………

……….আজ সে অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু বেশিই সেজেছে। কালাে রঙের স্লিভলেস টাইট টপে ভারী বুক প্রকট। তার উপরে ফুলহাতা সাদা কার্ডিগান তাকে খানিকটা প্রচ্ছন্ন করতে পারলেও বিপজ্জনক ভাঁজগুলাের আভাসকে মুছে দিতে পারেনি। মানানসই রঙের জিনসে উরু ফুটে উঠেছে। শ্যাম্পু করা কোঁকড়া-কোঁকড়া খােলা চুল শীতের হাল্কা হাল্কা হাওয়ায় উড়ছিল।…..

…..কৌশিকী কার্ডিগান খুলে ফেলেছে। এবার আরও স্পষ্ট হল তার। দেহরেখা। শুভজিৎ দু’চোখ দিয়ে তাকে গিলছেন। হাতের উপর হাত রেখে। কানে ঠোঁট ছুৃইয়ে বললেন…..শুভজিৎ চেপে ধরে তাকে কোলের উপরই শুইয়ে দিয়েছেন। একরাশ কালাে চুল সােফা থেকে লুটিয়ে পড়ল মেঝেতে। যেন কেউ এককালি দোয়াত আকস্মিকভাবে ঢেলে দিয়েছে। জড়িয়ে ধরে তার শরীরের ঘ্রাণ নিতে-নিতে ফিসফিস করে বললেন, “তােমার শরীরেই সুরের গন্ধ। এত সুন্দর সুরে বাজছে। কত চড়াই উতরাই! তুমি আমার কোমল গান্ধার তৃষ্ণা!

‘সে তাে আপনি বাজাচ্ছেন বলে,’ সে-ও সমান ঘন গলায় বলে, এত ভাল যন্ত্ৰী পেলে যে-কোনও মরা শরীরও বাজবে।………

……….সুন্দরী বিছানার উপর গিয়ে বসেছে। নীরব সে দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন। তার এত তাড়াতাড়ি বিছানায় যাওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই। গলা শুকোচ্ছে। একটা সিগ্রেট ধরাবার জন্য উশখুশ করছেন। কিন্তু মেয়েটি তাকে সুযােগ দিল না। সে উঠে এসে ঘন হয়ে দাড়িয়েছে। তার শরীর থেকে উষ্ণতা আর পারফিউমের সুগন্ধ এসে ঝাপ্টা মারছে। হাবেভাবে উত্তেজনা।

বিনা বাক্যব্যয়ে সে শুরু করল রতিক্রিয়া। ঘুমিয়ে থাকা পৌরুষকে জাগিয়ে তােলার সমস্ত অস্ত্রই তার জানা। এক-এক করে সেগুলাের প্রয়ােগ শুরু হল। ফোনটা ফের বেজে উঠেছে। নীরব হাত বাড়ালেন। কিন্তু ফোন অবধি পৌঁছানাের আগেই তাঁর সঙ্গিনী হাত চেপে ধরেছে। হাতে হাত, গালে গলায় মুখ ঘষছে। দ্রুত তার নিঃশ্বাস।……..নীরব আত্মসমর্পণ করলেন। না করেও উপায় নেই। সে কাধে আলতাে চাপ দিয়ে তাকে বিছানার উপর বসিয়ে দিয়েছে। তার শাড়ি লুটোল কার্পেটে। শুধু অন্তর্বাস পরা এক নারী কোলের উপরে। তবু একটুও উওেজনা নেই পুরুষটির।………

Leave a Reply