……..শ্রুতকীর্তির শরীরটাও কি পালক? অরিন্দমের চোখ আটকে যায় ভেজা পালক শরীরে। পাতলা ধূসরতা আগ্রহ করে সমুদ্র যেন বার করে এনেছে। নিটোল সৌন্দর্য। একেবারে মেদহীন নয় আবার বাহুল্যও নেই। সবই যথাযথ। সিক্ত ধূসর কামিজ আর হঠাৎ আর্বিভূত মদির অন্তর্বাস জল আর আলাের সঙ্গে শুরু করেছে এক রহস্যময় খেলা। লাে-কাট গলা কখনও-কখনও তীব্র উচ্ছ্বাসে প্রকাশ করছে। গহীন বিভাজিকার আগ্রাসী ইঙ্গিতটুকু। | ঢেউ-এর ফেনার মতাে গলে যেতে থাকে অরিন্দম। তার দু-হাতের মধ্যে এক সমুদ্র সবুজ নারীশরীর। ঢেউ-এর মতাে স্ফীত দুই ঠোটে তীব্র চুমু খেতে ইচ্ছে করে। শ্রুতকীর্তির পলিমাটির মতাে নরম বুক মাঝে-মাঝে ছুঁয়ে যায় তার শরীর।…….
……..সাদা ব্রা আর লাল প্যান্টি পরা নিজের শরীরটা আয়নায় দেখতে দেখতে হাত বাড়িয়ে বলে, এসাে, ছোঁও, এই যে আমার বুক। বাটক। ওমা, যত ডাকি চলে আসে! ঠিক আছে।…….
……..লং স্কার্টটা গিয়ে পড়ে ডিভানের পাশে, মেঝেতে। টপ দরজার পাশে। ব্রা-টা এমনভাবে গিয়ে পড়ে টেলিফোনটার ওপর যেন ওটাই ফোনের ঢাকনা! দলামচা কালাে প্যান্টিটা অদ্ভুতভাবে বিষ্ণুপুরের বড় ঘােড়াটার দুই লম্বা কানের ফাকে আটকে ঘােড়াটার চোখ ঢেকে দেয়। শরীরময় নগ্নতা আর বুকময় শূন্যতা নিয়ে মধুজা ঢুকে যায়, বাথরুমে।…….
………ধু-ধু ফাকা রাস্তায় ছেলেটির ডান হাতটাই স্টিয়ারিং ধরার জন্যে যথেষ্ট। বাঁ-হাতটা তাই বারবার মধুজার শরীরের দিকে এগােয়। হাতটা কিলবিল করে এগােতে থাকে উরুর দিকে, বুকের দিকে, এদিকে, সেদিকে—মধুজা সরে-সরে যায়।………. কিন্তু যাবে কোথায়! হঠাৎ ছেলেটা মওকা বুঝে বাঁ-হাতটা সােজা ঢুকিয়ে দেয় তার লাে কাট টপের ভেতর। পেলব ডৌল মুচড়ে দেয় হাঙর পুরুষ। তীব্র রাগে দম যেন বন্ধ হয়ে যায় মধুজার।……….