বেহড় বাগী বন্দুক – তরুণ কুমার ভাদুড়ী

›› বই এর অংশ / সংক্ষেপিত  

…….আনন্দ আর নেশার আতিশয্যে খিলাওন সিং জড়িয়ে ধরেছে হসিনাকে। এক লহমার মধ্যে খিলাওন সিং-এর দুর্বলতা, কামােচ্ছ্বাস আর নেশার সুযােগ নিয়ে হসিনা বিবস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে তার সামনে তার উন্মত্ত যৌবনের ডালি সাজিয়ে । ঝাঁপিয়ে পড়েছে খিলাওন হসিনার সুডৌল, ভরা বুকের ওপর ক্ষুধার্ত, হিংস্র নেকড়ে বাঘের মত । ধবধবে সাদা হসিনার বুকে তখন খিলাওনের নখের আঁচড়ে ফুটে উঠেছে রক্তের ছােটো ছােটো দাগ। কিন্তু হসিনা একবারও কিছু বলেনি। যখন খিলাওন তার স্তনবৃন্তে দাঁত বসিয়েছে, হসিনা সব ব্যথা চেপে চিৎকার করে বলেছে “অই ম্যায় মর জাঁউ।” হসিনা অকাতরে নিজেকে সঁপে দিয়েছিল খিলাওন সিং-এর বাসনার আগুনে। খিলাওন নিজেকে হসিনার শরীর থেকে মুক্ত করে নেশার ঘােরে ঘুমিয়ে পড়ল…….খিলাওন সিং-এর শয্যাসঙ্গিনী হয়ে হসিনা জীবনে প্রথম অনুভব করল তার ফুটন্তু, ভরা যৌবনের সার্থকতা আর তার শরীরের প্রতিটি শিরা উপশিরায় বাসনার যে অতৃপ্ত আগুন জ্বলছিল তা হল স্তিমিত, শান্ত।….

…….হাে হাে করে হেসে উঠেছিল কামতা সিং। আমি আহত হওয়া দুরে থাক, যে রাতে এই তথাকথিত “মুঠভেড়” হয়েছিল আমি তখন মৈনপুরী জেলার নগলা-খাদর গাঁয়ে আমার সম্পূর্ণ বিবস্ত্র স্ত্রীর সঙ্গে বিছানায় খেলা করছিলাম ।……….

Leave a Reply