দেয়ার অলওয়েজ এ প্রাইস ট্যাগ – জেমস হ্যাডলী চেজ

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……..এই রমণী হল সেই ধরনের সুন্দরী যাদের দৃষ্টিপাত মাত্রই যে কোন পুরুষের শরীরে কামভাব প্রবল হয়ে ওঠে। যদিও নারী ঘটিত ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কোন অভাব নেই। এই ব্যাপারে আমি ভীষণভাবেই সমৃদ্ধ, তাতে করেও আমার মনে হল, আমি আজ পর্যন্ত যত নারী খেটেছি তারা কেউই এর ধারকাছ দিয়ে যেতে পারবে না। এরমত এত যৌনময়ী নারী একজনও নয়। এই ধরনের নারীকে পাবার জন্য যে কোন পুরুষই জীবন পর্যন্ত ঝুঁকি নিতে রাজি হবে। তাদের কাছে তাদের জীবনের চেয়েও এই রমণীর মূল্য অনেক পরিমাণেই বেশি। ঐ চিবুক, কণ্ঠ, অমন সুবিস্তিত অংশ দৃষ্ট স্তন যুগলের পরেই ক্ষীণকটি। তারপরেই বিপুল বস্তিদেশ, গােলাপী রং এর মাদকতা মাখানাে হাঁটুদ্বয় ও পায়ের পাতা—সত্যি সত্যিই একেবারে তন্ময় হয়ে দেখবার মতই জিনিস বটে। আর এই জিনিস উপভােগ করার সুযােগ পেলে যে কোন পুরুষই হয়তাে উন্মাদ হয়ে পড়তে পারে।……….

……….দেখলাম হেলেন এসে ঘরের মধ্যে ঢুকল। আমি ওকে এরকম মুখােমুখি দেখতে পাব চিন্তাই করতে পারিনি। তাই ওকে দেখামাত্রই আমি বিস্মিত, শংকিত ও উল্লসিত হয়ে উঠলাম। ওকে একেবারে আশ্চর্য রহস্যময়ী এক গােলাপী সুন্দরীর মত লাগছে। স্কার্টের দুটো বােতাম এখন আলগা আর তার ফলে আমি ওর রক্তাভ ত্বক সমৃদ্ধ স্তন যুগলের বহুলাংশ দেখতে পাচ্ছি। আর এর ফলে নিজেকে আমি বিশাল ভাগ্যবান বলে মনে করছি।………

……….সােফার ওপর বসে পায়ের ওপর পা তুলে আমি সিগারেট ধরানাে শুরু করলাম। হঠাৎ বাথরুমের কপাট খুলে গেল। হেলেন একেবারে বেরিয়ে এল, কিন্তু নগ্ন অবস্থায় নয়। একটা হলুদ তােয়ালে জড়ানো। শরীরে জ্বালা ও আগুন ধরানাের পক্ষে যতটুকু দেখা যাচ্ছে তাতেই যথেষ্ট। কোমরটা সরু হতে হতে প্রায় সবে একরত্তি, তৎপরেই নেমেছে সুবিশাল ঢল, যার ব্যাখ্যায় বাক চতুররাও বার বার ঢােক গিলবে। আমার আকস্মিক উপস্থিতি, স্পর্ধিত ভঙ্গিমা দেখে সে প্রথমে হতবাক।………

………সে অন্য হাত দিয়ে তােয়ালেটাকে বুকের ওপর অক্ষুন্ন রাখার প্রয়াসে বাধা দিতে ব্যর্থ। হেলেন তার মুখ সরিয়ে নেবার চেষ্টা করে। কিন্তু পারে না। আমি ওর ভেজা ঠোটের ওপর আমার তপ্ত ঠোট নামিয়ে আনি। খুব জোরে চেপে ধরি। তখন হেলেন তার অভ্যস্ত ক্ষমতায় কামুক হয়ে গেল, আমি ক্ষান্ত দিই না। আমি তার চোখে চোখ রেখে ঠোট চুসছি। ধীরে ধীরে তার তােয়ালে ঢাকা স্তনের দিকে আমার পাঁচটা আঙুল এগিয়ে যাচ্ছে। যা এক সময় একটি স্তনবৃন্তের সন্ধান পায়। টের পাচ্ছি হেলেনের ভেজা ত্বক ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। যে বৃন্তে আমার আঙ্গুল তা ক্রমশ তীরমুখ হয়ে উঠছে। তার ঠোট নরম হয়ে কাপতে শুরু করেছে। আমি অনায়াসে তার মুখ গহ্বরে আমার জিভের ডগা দিয়ে তার জিহ্বাগ্র স্পর্শ করতে থাকি। এরপর যা করণীয় তা করলাম। হেলেন নিজেই নিজেকে চেপে ধরছে আমার শরীরের সঙ্গে। হায়রে কোন মূর্খ বলে এ তরুণী বরফ। হেলেন এতটাই উত্তপ্ত যে আমাকে বেআব্রু করার চেষ্টা করছে। জীবন্ত আগ্নেয়গিরি, শীতলতার নামমাত্র নেই।

বারেকের স্পর্শেই টের পেলাম যে ওর গুহামুখ কি পরিমাণ পিচ্ছিল। বিছানার দিকে এলিয়ে দিতেই সে তার দুই পা-কে সেই ভঙ্গিমায় নিয়ে আসে, যা এক বুদ্ধিমতী সুখ সন্ধানী নারীর সঙ্গম অভিজ্ঞতার নীট ও অপরিহার্য আবেদন। সত্যিই ওর সর্বাঙ্গ সুন্দর ও নিখুত। কৃষ্ণবর্ণাঞ্চলটি তাবুর মতন উঁচু। আমি এহেন হেলেনকে সােহাগে সােহাগে ভাসিয়ে দিয়ে বুকে ঘাড়ে গলায় জিভ বােলাতে বােলাতে একসময় সেই তাবু ভেদ করি। এমন মসৃণ গভীরতা আমি এর আগে দেখিনি। কেবলমাত্র এই সুখের জন্যই যে কোন পুরুষ তার সারাটা জীবন সুখে কাটিয়ে দিতে পারে। বেশ কয়েকমাস বাদে আমি একটি যুবতীর সঙ্গে মিলিত হলাম, যা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হেলেন বুড়াদের সঙ্গে টাকার জন্য রাত কাটিয়েছে ঘৃণায় কিন্তু প্রকৃত যৌনসুখ সম্পর্কে তার স্বাভাবিক অভিজ্ঞতাটাই মার খাচ্ছিল। এই প্রথম সে জানল স্ত্রী পুরুষের মিলন কত সুখের। সেই যুদ্ধ একসময় শেষ হল। যুদ্ধকালে কত রঙ কত বিচিত্র না, কি কঠিন অপিচ মােলায়েম স্পর্শসুখ পেতে পেতে হেলেন একসময় দাঁতে দাঁত চেপে চিৎকার করে ওঠে, খিলখিলিয়ে হাসে এলিয়ে পড়ে থাকে বিনা বিবস্ত্র হয়ে।………..

………হেলেন আধশােয়া অবস্থায় রয়েছে বিছানার ওপর। তার যৌবন ও দৈহিক শক্তির আভাস দিচ্ছে স্বচ্ছ সিঙ্কের গাউন যুগপৎ। বােঝা যায় হেলেনকে দেখলে, এ মেয়ে শারীরিক ক্ষমতায় পিছিয়ে নেই আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতন। যে কোন মুহূর্তে সক্রিয় আঘাত বা প্রত্যাঘাত করতে সক্ষম ওর পেশীগুলি শক্তিকে সংহত করে। যতই হােক না কেন ওর বুকদুটো মােলায়েম, মসৃণ ও বিপুল। কমনীয়তা বর্জিত মেরুদণ্ড ইস্পাতের মতন। আমি দেখতে পাচ্ছি হেলেনের বুকের উপত্যকা। সৃষ্টিতে অসাধারণ কামনার বাতাবরণ।…………..

………..আমি উদ্বেল হয়ে উঠি জব্বর উল্লাসে। আনন্দ কঠিন যুদ্ধজয়ের। যদিও প্রসাধনের অভাবে সে এইক্ষণে ঈষৎ বেজৌলুস। এত বেলাতেও হেলেনের বাসি মুখ। আমি ওর ঠোটের ওপর নিজের ঠোট খুব জোরে চেপে ধরি ওর শায়িত দেহের ওপর ঝুকে। ওর স্তনবৃন্তে বিবিধ অনুরনন তুলতে প্রয়াসী হই চাদরের তলায় হাত ঢুকিয়ে। মশগুল হই হরেক প্রেম ও কাম জড়ানন বিশ্রামালাপে অর্থাৎ যা যা একজন পুরুষের করণীয় আমি উদ্যত হই সবই করতে। নর-নারীর দৈহিক মিলনের পূর্বক্ষণে। কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা। ……….

………আমি বললাম ওর নরম বুকের ওপর চাপ দিতে দিতে, আমার হকের মাস এ পাথর যে। হেলেন বলল, চকিতে আমার হাতটা সরিয়ে দিতে, যখন তখন হাতাহাতি শুরু করে দিচ্ছ…..

……..উস্মা হেলেনের স্বরে, দেখছি ঝামেলার অন্ত নেই চারিদিক দিয়ে। ওর বুকে হাত রাখি আমি আবার, হু, এমনকি আমাদের হতে হবে দেহ ব্যবহারেও। বলতে পারছি না হলফ করে আমি না ঢুকে তােমার ঘরে পারব কিনা। লাখাে সে এক এমন বস্তু। আমার ঘরে আসতে তুমি পারবে না ? চুপি চুপি, অনেক রাতে? প্যান্টের বােতাম চেন ইত্যাদি খুলে ফেলেছে হেলেন আমার। আমার ওপর চেপে ধরেছে নিজের নগ্ন শরীরকে। যেন সে পুড়িয়ে দিচ্ছে আমার গায়ের চামড়া। ওরই দিন আজ, বুঝতে পারি। যে ভাবে করবার যা করবার স্থির করবে হেলেনই। অতঃপর হেলেন আমার শায়িত শরীরের ওপর। আমাকে শােনাল হেলেন ঐ অবস্থাতে, মনে রেখ একটা কথা ন্যাশ, তােমার আজ্ঞাবাহী নই আমি মােটেই। কেবলমাত্র দুই শরিকমাত্র একটা চুক্তির। যতটুকু দরকার টাকাটা পাবার জন্য, করব, তােমার পরামর্শ মেনে নেব অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। কিন্তু এটা ভেব না যে তাই বলে তার ড্রাইভার চাইছে বলেই ঝাপিঝাপি করে আসবে সেই হতভাগার নােংরা বিছানার ওপর গিয়ে রাতদুপুরে পা টিপে টিপে আর্ল ভেস্টারের বিধবা। সে খুব দাপাচ্ছে আর কথাগুলাে বলছে। আমি দেখতে পাই তার ক্তন দ্বয়ে সামুদ্রিক ঘূর্ণন। হেলেনের মানসিকতাকেও মনে মনে সমীহও করি।………..

……..হেলেন এখনাে এলিয়ে পড়ে আছে রজুবদ্ধ অবস্থায়। এখনাে তার মুখ বন্ধ সিঙ্কের রুমাল দিয়ে। তার অনুপম স্তন দ্বয় এখনাে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ওর চোখ দুটো কেবল পলকহীন, বিস্ফারিত………..

Please follow and like us:

Leave a Reply