চর অতরজান – আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…….ফাতেমার শরীরের ঘর্ষণে গতরের ম্যাজম্যাজানি কমে গেদুর। সন্ধ্যায় সন্ধ্যায় খাওয়া দাওয়া সেরে কপাটে খিল আঁটে।…..

……হলদে লালে মেশানো গায়ের উজ্জ্বল রং মিইয়ে গেছে ফাতেমার। পাংশু ঠোঁটে স্বাদ পায়না গেদু মামুদ। ঝুলে পড়া মাইদুটো দেখে চোখ ফিরিয়ে নেয়। কণ্ঠার হাড়ে হাত রাখতে ইচ্ছে করেনা আর।……

…..‘আমি লাগাইছি না আপনে লাগাইছেন? মৃদু প্রতিবাদ করে মজুর মা।

ঝগড়া করার অবস্থা নেই গেদু মামুদের। চামড়ার নীচে উত্তাপ বাড়ছে। ক্ষিপ্র হাতে জাপটে ধরে মজুর মাকে। দাড়ি গোঁফ ভরা খসখসে গলি ঘসতে থাকে ওর গায়ে। নড়বার শক্তি নেই মজুর মা’র। মরার মত পড়ে থাকে গেদুর বুকের নীচে।…

……..মুসা কারিগর পাকা তালাক দিয়ে বাপের বাড়ি খেদিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে তারা বানুকে। অমন খবিস জ্বীনের লগে খারাপ কাম করা বউ বাড়িতে রাখাও তো ইজ্জতের খেলাফ।

পয়সা থাকলে মেয়ের অভাব আছে দেশে ? ইসী কারিগর আবার বিয়ে দেবে মুসার। নতুন নারী আসবে জীবনে, আগেরটার কাচা গতর ফাও লুটেছে এতটা কাল। মনে মনে খুশী মুসা।………..

……তারা বানুকে পেয়ে মাঝ বয়েসী গেদু মামুদের শরীরে যৌবনের নতুন জোয়ার আসে। খুশিতে চেহারা কঁাচা হয়ে ওঠে। আদরে সোহাগে ভাসিয়ে নিতে চায় নতুন বধুকে। পাজাকোলা করে শুন্যে উঠিয়ে ঘরমর চক্কর খায়।……..

……..হো হো করে হেসে ওঠে গেদু মামুদ তারার গতর হাতড়াতে হাতডুতে, কবে কইবাে, ইসার বিবিজান-মানে মুসা কারিগরের মাজানের উপরও জ্বীনের ভর আছে। মুসা কারিগর জ্বীনের পয়দা।’………

…….জ্যোৎস্নায় যেন ঢেউ তােলে অতিরজানের পলায়মান শরীর। ওর জোড়া নিতম্ব শাড়ির বাধন মানতে চায়না যেন। উদাসীনভাবে মনে মনে বলে তাইজ্য, শনি তুই, বড় নানী ঠিকই কইছে, তোর গতরটা একটা হাবিয়া দোজখ, আগুন ধরাইয়া দেয় মানষের চোখে।……..

….বাজা তারা বিবির ভরা গাংয়ের মত তাজা শরীর দেখে তাজু মিয়ার ভেতরটাও মোচড় দিয়ে উঠেছিলো। কি পাছারে বাবা। জোড়া জলকদু যেন তারা নানীর নিতম্ব দুটো।……..

……..‘চড়া হইবো কেমনে? আমি দিলে তো ? গেদু মামুদের পক্ষ নিয়ে বলে আতর, নানায় ভালা মানুষ, খারাপ কথা কও ক্যান হের নামে ?”
খারাপ কথা কইলাম কই ? কি মধুর মধুর কথা কইতে আছিলো তোর লগে সারা দুপর? দেখিস আত্তি, তোর মধু নি আবার চাইয়া বসে বজ্জাত বুড়ায়। বলেই অতিরজানের শাড়ির নীচে ঠেলে ওঠা স্তনদ্বয়ের ওপর টোকা দেয়। ‘চাক দুইটা তোর এখন মিঠা মধুয় টই টই করতে অাছে। বড়ায় দুই চিপা দিলে দুই গামলা রস নামাইবার পারবো।’

শরম পেয়ে বুকের ওপর শাড়ি ভাল করে টেনে দেয় আতরজান। ঘাড় নত করে নিজের সম্মুখ দেখে। সত্যি দিনে দিনে ভরে উঠছে বুক দুটো। বুাউজে বেধে রাখতে পারেনা। ভারী লজ্জা করে টেকিতে উঠে পাড় দিতে, টেকির তালে তালে নাচে ও দুটো। কখনো বামে হেলে পড়ে, কখনো ডানে। ইচ্ছে করে, গামছা দিয়ে শক্ত করে বেঁধে নেয় পিঠের সঙ্গে, যাতে আর লাফাতে না পারে পড়ি দেওয়ার তালে তালে।……

…..খাওয়া সেরে পা টিপে টিপে পালাচ্ছিলো সেজো বিবির ঘরের দিকে। তারা বিবির টিনের কৌটা থেকে তুলে কালিজিরা চিবোতে বেশ লাগে খাওয়ার শেষে। তারা বিবি খায় সারা দিন। কালিজিরার রস খেলে নাকি বুকে দুধ বাড়ে, তাই।

হেসে টিপনি কেটেছে তারা নানী কয়েক দিন, ওইলা অত্তি। তুই কাইল্যা জিরা খাস ক্যান? শেষ কালে।বয়ান ছাড়াই বুকে দুধ নামবো। এমনিতেই তোর ওলান দুইটা ফাইটা যাইতে আছে, জিরা খাইয়া আর বড় করিসনা খবিসনী।……..

……মরিয়ম বু। তুমি আমারে নানাটানি কইবা না। আমার সরম লাগে।

‘সরম লাগে তো ঘোমটা দিয়া মশারীর তলে বইসা থাকে। নানার লগে উদাম হইয়া মহব্বত করবার সময় সরম লাগে নাই নানী ? কও দেখি রাইত ভর কি কি করলা? কয়বার করলা? লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে অতিরজান। গায়ে ওর দামী আতরের খুশবু। মুনি হেসে বলে, আমারে জিগাও ক্যান ? তােমার নানারে জিগাইলেই পারো।’………

…….কথা শোনে না মাতবর, যামুনা। আমি তোমার ভিজা গতর দেখুম ছোট বউ। তোমার সতর দেখুম জান ভইরা। মৃদুস্বরে বলে আতরজান, ‘আমার সরম করে। মরিয়মরা কেউ দেইখা ফেলবো-রাইতে দেইখেন।

‘ন কেউ দেখবে না। কেউ অইবো না এই দিকে। রাইতে দেখনের এক মজা, দিনে ভিজা বদনে আরেক মজা।” বলেই শরীরের উর্ধাংশ থেকে ভেজা শাড়ী সরিয়ে নেয় মাতবর। একটা সুগন্ধি সাবান নিয়ে বুক পিঠ কোমর সব ঘসতে থাকে অতরীর। মাঝে মাঝে আদর করে আতরজানকে আতরী ডাকে। কখনো অতুজান, কখনো আতরী, আবার কখনো অতির। ‘আতরের খুশবু তোমার গতরে। হের লাইগা তোমারে ডাকি অতিরী, আমার অতিরী সোনা। বলেই বিবির ভেজা ঠোট উচিয়ে ধরে চুমু খায় মাতবর।……….

Please follow and like us:

Leave a Reply