অনুবাদঃ আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
শ্রী ৪২০
……..শুটিং এর সূচনা দেখলাম ; জিনাত পদ্মপূর্ণ জলাশয় থেকে তার কলসি ভরে উঠে আসছেন । তার চুল গিট বাধা এবং ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠছেন, ভিজা ফিনফিনে শাড়ি তার মােহনীয় সর্পিল শরীরে লেপ্টে আছে এবং সুপুষ্ট স্তনকে প্রকট করে তুলেছে। রাজ কাপুর পিছনে ফিরে অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সাথে বললেন, “সে কি সুন্দরী নয় ? আমি স্তন পছন্দ করি। স্তন ছাড়া একজন রমণীর সুর থাকে! আপনিই বলুন ?
‘সব মানুষই স্তন পছন্দ করে,’ আমি উত্তর দেই।……….
আকবরের প্রেম
মােগল সম্রাট আকবরের হারেমে সকল জাতি ও ধর্মের পাঁচ হাজার রমণী ছিল। তাদের মধ্যে প্রায় তিনশ জন ছিল স্পেনিশ ও পর্তুগিজ বংশােদ্ভূত। তারা আকবরকে তাদের দেশের মদিরার স্বাদের সাথে পরিচিত করে তােলে। একজনের কাছে তিন মাসে একবার যাওয়ার স্বাভাবিক নিয়মের পরিবর্তে তিনি আরাে ঘন ঘন তাদের সঙ্গ কামনা করতেন। তার প্রিয় ইউরােপীয় ছিল সােনালি চুলের এক পর্তুগিজ। তিনি তার নাম দিয়েছিলেন দিলরুবা, চৌকস বেলি ড্যান্সার ছিল সে। চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত সম্রাট প্রতি পূর্ণিমার রাতে তার খাবগাহে একটি কনাে কুমারী মেয়েকে গ্রহণ করতেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী যােধ বাঈ ছাড়া কোন মহিলাকে খাবগাহে একবারের বেশি আমন্ত্রণ জানানাে হতো না।
তৈমুর বংশের রীতি অনুসারে কারাে স্ত্রীকে পছন্দ হলে আকবর সেই অমাত্যকে বলতেন তার স্ত্রীকে তালাক দিতে। একটি সময়ে তার হাবেমে তালাকপ্রাপ্তা রমণীর সংখ্যা এক হাজারের মতাে ছিল। শাহি হারেমে তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর সদস্যের মর্যাদা পেতাে। হাত খরচের জন্যে স্বল্প পরিমাণ অর্থ এবং নামেমাত্র উপহার দেয়া হতাে তাদেরকে। একজন মাত্র ব্যতিক্রম ছিল লাহােরের শেখ ওবায়দুল্লাহ’র স্ত্রী সকিনা, যাকে তিনি ১৫৬৪ সালে লাভ করেন। অপূর্ব সুন্দরী ছিল সে মহিলা। যারা তাকে দেখেছেন তারা তাকে ঈশ্বরের সৃষ্টি কৌশলের মাঝে অলৌকিক বলে বর্ণনা করেছেন। বেচারি শেখ ওবায়দুল্লাহ স্ত্রী হারিয়ে শােকে দুঃখে নিপতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। তার মৃত্যুর ঘটনায় আকবর অন্যের স্ত্রীকে গ্রহণের শাহি অধিকারের অবসান ঘটান। তার পুত্র জাহাঙ্গীর পিতার ইচ্ছার প্রতি সম্মান পোষণ করেন। তিনি যখন শের আফগানের স্ত্রী মেহেরুন্নিসার (নূরজাহান) প্রেমে পড়েন তখন তাকে তালাক দেয়ার জন্যে শের আফগানকে বলেননি। তিনি তাকে হত্যা করান।……..
এডউইনা-নেহরু প্রেম
………যাহোক সন্দেহের কোন অবকাশ ছিল না যে, লেডি মাউন্টব্যাটেন ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এক ধরনের আবেগময় সম্পর্ক ছিল এবং সম্ভবত তা দৈহিক সম্পর্ক পর্যন্ত হতে পারে। তাদের দুজনের চেহারা খুঁটিয়ে দেখুন : মিল দেখে চমকে উঠতে হবে। সাধারণভাবে কারাে ভালােবাসার মানুষকে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান হচ্ছে আত্মকাম ৰা নিজ দেহের সাথে যেীন সম্ভোগের আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু এডউইনা কোনভাবেই পণ্ডিতজির জীবনে একমাত্র নারী ছিলেন না, এমনকি তাদের সম্পর্ক যখন বহাল ছিল তখনাে না।………
অমৃতা শেরগিল
…..তার লাহােরে পৌছার বেশ ক’সপ্তাহ আগেই আমি তার হাঙ্গেরিয়ানকে বিয়ে করার আগে শহরটিতে তার পূর্ববর্তী সফরের সময়ের কিছু ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। সে সাধারণত উঠত্যে ফ্যালেটিস হােটেলে। প্রতি দু’ঘণ্টার বিরতিতে সে তার প্রেমিকদেরকে সাক্ষাতের অনুমতি দিত— একদিনে ছয় থেকে সাতজনকে, রাতে শুতে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত । এটা যদি সত্য হয় (পুরুষের গুজর মেয়েদের চাইতে কম নির্ভরযোগ্য) তাহলে অমৃতার জীবনে প্রেমের অংশ খুব সামান্য। যৌন সম্পর্কই বরং তার কাছে প্রধান। মাত্রাজ্ঞানহীন যৌন বাতিকের প্রকৃত দৃষ্টান্ত সে এবং তার ভাগ্নে বিভান সুন্দরমের প্রকাশিত বিবরণ অনুসারে সে একজন লেসবিয়ান। বদরুদ্দিন তাইয়েবজি তার স্মৃতি কথায় অমৃতা শেরগিলের মানসিক চিত্র বিস্তারিত ফুটিয়ে তুলেছেন। এক শীত মওসুমে তাইয়েবজি সিমলায় অবস্থানকালে অমৃতাকে ডিনারে আমন্ত্রণ জানান। শীত থেকে বাঁচতে তিনি আগুন জ্বালান, গ্রামোফোনে ইউরােপিয়ান ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক বাজছিল। সাহিত্য ও সঙ্গীতের উপর আলােচনা করে তিনি তার প্রথম সন্ধ্যা বরবাদ করেন। আবার তাকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। আবার তিনি আগুন জ্বালান এবং একই মিউজিক বাজান। কী ঘটতে যাচ্ছে তাইয়েবজি তা বুঝে উঠার আগেই অমুতা তার যাবতীয় বস্ত্র উন্মোচন করে নগ্ন অবস্থায় কার্পেটের উপর শুয়ে পড়ে। সে সময় নষ্ট করায় বিশ্বাসী নয়। বদরুদ্দিন তাইয়েবজিও তা বুঝতে পারেন।……..
সুইমিং পুল
……একবার ইজমিরে (তুরস্ক) থাকাকালে সাতার কাটার সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়। যে হােটেলে ছিলাম, সেখানে উঁচু স্থানে একটি সুইমিং পুল ছিল, যার প্রাচীরে ছিল আয়না বসানাে। ফলে যে কেউ পানিতে যারা সাঁতার কাটছে। তাদের দেখতে পারত। এক তরণ যুগল সুইমিং পুলে নেমে পরস্পরকে তাড়া করে মজা করছিল, ডুব দিচ্ছিল, উঠছিল। এক পর্যায়ে মেয়েটি ডাইভিং বাের্ডে উঠলাে, তার ছেলে বন্ধুও তাকে অনুসরণ করে মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার হুমকি দিল। মেয়েটি একটু ইতঃস্তত করলাে লাফ দেয়ার আগে । লাফ দেয়ার জন্যে।
পা তােলা মাত্র ছেলেটি মেয়েটির বিকিনির উপরের অংশ আঁকড়ে ধরলাে । বিকিনি খুলে এলাে ছেলেটির হাতে, মেয়েটির উর্ধাংশ সম্পূর্ণ উন্মুক্ত। হে ঈশ্বর! কী অপরূপ দৃশ্য! বেচারি মেয়েটি তার সুগঠিত স্তন দু’হাতে ঢেকে পুল থেকে উঠে তুর্কি ভাষায় তার ছেলে বন্ধুকে একের পর এক গালি দিতে লাগলাে। ছেলেটি একটি তােয়ালে হাতে ভীরু পায়ে এগিয়ে যাচ্ছিল মেয়েটির নগ্নতা ঢাকার জন্যে।………