দ্য সাইলেন্স অব দি ল্যাম্বস – টমাস হ্যারিস

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

অনুবাদঃ মােহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

…….সে কোচ থেকে উঠে দাঁড়ালাে। লম্বা তরুণী একজন, শক্তসামর্থ্য আর মাংসল, একটু মােটা ধরণের। সুন্দর চেহারা আর মাথা ভরতি পরিষ্কার চুল তার। কফি টেবিলের নিচ থেকে জুতােটা নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলাে সে।……

……..সে ব্লাউজের পেছন দিকটা কেচি দিয়ে কেটে ফেললাে। মেয়েটার দু’হাত হ্যান্ডকাফ দিয়ে পেছনমােড়া করে বেঁধে ফেললাে সঙ্গে সঙ্গে ট্রাকের ফ্লোরে একটা প্যাড বিছিয়ে দিয়ে তাকে সেটার ওপর গড়িয়ে তুলে দিলাে ।

মেয়েটা কোন ব্রেসিয়ার পড়েনি। লােকটা তার বিশাল স্তন দুহাতে ধরে সেগুলাের ওজনটা আচ করে নিলাে। | “বেশ ভালাে,” আবরাে সে বললাে ।

মেয়েটার বাম দিকের স্তনের উপর গােলাপী রঙের কামড়ের চিহ্ন আছে। সে তার আঙুল চাটলাে, তারপর স্তনের ওপর আঙুলগুলাে বােলালাে। স্তনে মৃদু চাপ দিলাে। তার মুখটা দেখলাে, গাল আর মাথাটাতেও হাত বােলালাে, হাতের আঙুল দিয়ে চুলে বিলি কাটলাে। প্যাড দিয়ে জড়ানাে ছিলাে হাতুড়িটা, তাই মেয়েটার মাথা ফেঁটে কিংবা কেঁটে যায়নি।……….

“সে খুব মােটাসােটা ছিলাে।”
“বিশাল?”
“বুকে গুলি লেগেছিলাে।”
“হ্যা।”
“বুকটা সমতল ছিলাে, আমার ধারণা।”
“তার আকারের সঙ্গে তুলনা করলে, হ্যা।”
“নিতম্বের দিকে বেশি ভারি।”
“হ্যা, তাই।”
“সে তাকে কি করতে চায়, ডক্টর লেকটার?”
“সে একটা স্তনবৃন্তসহ বক্ষ চায়,” ডক্টর লেকটার বললাে ।……..

………সে গােসল করলাে, হাত-পা মুখ ধুয়ে নিলাে, স্তনের বৃন্তও। উষ্ণ পানির বালতির পাশে বসেই গােসল কর্মটি সেরে নিলাে । যতােটা সম্ভব দেয়ালের পাশ ঘেষে সে বসলাে।……….

……বাফেলাে বিলের ক্যাথারিন মার্টিনের দরকার রয়েছে কারণ, আমি উদ্ধৃতি দিচ্ছি, সে স্তনবৃন্তসহ একটা বক্ষ চায়’।…

……এক কিম্বার্লি তার কানে অসংখ্য ছিদ্র করে সেজেগুজে ঘুরে বেড়ায়। সে দেখতে সুন্দরই । বাফেলাে বিল তার বিষন্ন স্তনবৃন্তের দিকে তাকিয়ে বুকের মাঝখানে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি চালাচ্ছে।……..

……..এইতাে এটা এসেছে, ক্যালিফোর্নিয়ার একটা সুইমিং পুলে। চারপাশটা দেখে মনে হচ্ছে পঞ্চাশের দশক। কিছু অপরূপ সুন্দরী মেয়ে নগ্ন হয়ে সাঁতার কাটছে। তাদের কয়েকজন ব্লুফিল্মেও অভিনয় করেছে। পানিতে নাচানাচি করছে, কেউবা সেখান থেকে উঠে দৌড়াচ্ছে। তাদের চলাফেরা সঙ্গীতটার চেয়েও বেশি দ্রুত গতিতে হচ্ছে । মই বেয়ে প্লাটফর্মে উঠে-আবার নিচে লাফিয়ে পড়ছে। দৌড়ানাের সময় তাদের নগ্নবক্ষ লাফাচ্ছে!…….

……কিম্বার্লির ভাবনাটা স্টার্লিং সচেতনভাবেই মনে করতে চায়নি, কিন্তু তারপরও সে তার স্মৃতিতে এসে পড়লাে। চোখের সামনে ভেসে উঠলাে পটারের ফিউনারেল হােমের টেবিলে কিম্বার্লি পড়ে আছে। বাফেলাে বিল তার প্রশস্ত বুক আর স্তনটাই বেশি চেয়েছে। তারপর দু’স্তনের মাঝখানে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেছে।……..

……স্টারলিং চিঠিটা পড়লাে : “প্রিয়তম, আমার দুস্তনের মাঝে গােপন বন্ধু, তােমাকে ভালােবাসি-আমি কখনও ভাবিনি এ কথাটা কখনও বলতে পারবাে, আর এটা বলতে পারাটা সত্যি আনন্দের।”……..

Please follow and like us:

Leave a Reply