বালিকার চন্দ্রযান – সৈয়দ শামসুল হক

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……..কোকো পিটারের গালে চুমো দিয়ে সমর্থন জানায় এবং তার দুই উরুর ফাঁকে হাত ঢুকিয়ে বলে, শীত করিতেছে। উষ্ণতা ধার লইতেছি।……

………চঞ্চল হয়ে ওঠে প্যাম, কোকো। তারা জো আর পিটারের পাশ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে আসে ইয়াসমিনের কাছে। ইঙ্গিতে তাকে উঠে দাঁড়াতে বলে। বসে থাকা প্রত্যেকের দিকে চোখ না ফিরিয়েও ইয়াসমিনের মনে হয়, সে ভীষণ লম্বা হয়ে গেছে। তার সংকোচ বোধ হয়। কিছুক্ষণ পর অতি ধীর গতিতে উঠে দাঁড়ায় কোকো আর প্যাম। নিঃশব্দে তারা ইয়াসমিনের দেহ থেকে একে একে সোয়েটার, জামা, লম্বা স্কার্ট স্নেহের সঙ্গে খুলে ফেলতে থাকে। ইস্কুলে সাঁতার কেটেছে, যদিও বাবা জানলে তাকে সাঁতার কাটতে দিতেন না ঐ সংক্ষিপ্ত পোশাকে, এ ছাড়া প্রকাশ্যে অনাবৃত হবার অভিজ্ঞতা তার নেই। মুহূর্তের জন্য একবার মনে হলো, তার ভীষণ লজ্জা করবে। কিন্তু একে একে যখন সমস্ত কিছু পায়ের। কাছে লুটিয়ে পড়ল, তখন বিন্দুমাত্র মনে হলো না, সে উলঙ্গ। নগ্নতার উপলব্ধি যদি কিছুটা হয়ে থাকে তো শীতবোধেই তা সীমিত। তার নিজের মনে হয়, লজ্জায় নয় শীতের হাত থেকে রেহাই পাবার জন্যে দুহাত বুকের ওপর গুটিয়ে আনে এবং দু হাঁটুর ভেতরে মুখ গুঁজে দেয়।……….

……জীনস পরে ইয়াসমিন বলে, নগ্নবক্ষ হইয়া থাকিব নাকি? জামা দিবে না?
নগ্নই তো সুন্দর। তোমার বক্ষের গড়ন অপূর্ব। বলতে বলতে প্যাম একটা লেবু-হলুদ শার্ট ধার দেয়।…..

……মার্ক ধীর লয়ে হেসে উঠে বলে, নারী স্বাধীনতার কালেও নারীর মারাত্মক অস্ত্রটি এখনো শয্যাতেই তাহাদের ব্যবহার করিতে হয়।
ইয়াসমিন জামার একটা বোতাম খোলে, নিজের বুকের ভেতরে একটা হাত ঢুকিয়ে দেয়।
কী করিতেছ? আমারই ওপর অস্ত্র প্রয়োগ করিবে নাকি? মার্ক কৃত্রিম আঁতকে উঠে বলে।………

………মাহজাবীন আবার ঘুমন্ত যুগলকে দ্যাখে। তরুণীটির স্তন সৌষ্ঠব তাকে মুগ্ধ করে। আরেক যুবক যে ঘুমন্ত নয়, দেয়ালে ঠেস দিয়ে বসে আছে, স্থির দৃষ্টিতে দেখছে মাহজাবীনকে, তার পরনে কেবল অন্তর্বাস। যুবকের ধবধবে উরু সে এর আগে এত স্বাভাবিকভাবে দেখে নি। ক্ষণকাল তার চোখ সেখানেও আটকে থক। তারপর সে বলে, বলিও সব ঠিক আছে।……

…….হাঁ। সত্য। তোমাকে ভালোবাসিয়া ফেলিয়াছি। মিথ্যা বলিব না। অপরাহ্নে ঘ্রাণ লইবার অধিবেশনে তুমি সম্পূর্ণরূপে উত্তোলিত হইয়া যাইবার পর, ভিনসেন্ট তোমার কুমারীত্ব হরণ করে।……….

Leave a Reply