অনুবাদঃ পৃথ্বীরাজ সেন
……….চেহারাটা একটু ভারী ক্যাথরিনের। ফরসা শরীরে দুটো নীলচে চোখ এবং বাদামী ছােট্ট চুলে ওকে অপূর্ব লাগল। তার কথাবার্তা খুবই মিষ্টি। আমরা সবসময়ই গল্প করতাম আমাদের আলাপের পর থেকে। দুজনে আমরা আমাদের ঘর ছাড়া পার্ক কিংবা সমুদ্রের উপকুলে চলে যেতাম। ওর সুডৌল স্তন যা ফ্রকের ভিতর দিয়ে ফুটে উঠেছে এবং ওর দুটি গভীর চোখ পাগল করে দিত আমাকে। ক্যাথরিন খুব ভালাে গান জনত। একদিন আমাকে শােনালাে। দুজনে শশাবার ঘরে গেলাম। বিছানায় বসেছিল ক্যাথরিন। একটা পাতলা ফ্রক পরেছে আজ সে। পােশাকটি ছিল সাদা রঙের। ওর দুটো নরম স্তন তার ভিতর দিয়ে দেখা যাচ্ছিল পরিষ্কার। রক্ত গরম হয়ে উঠলাে আমার শরীরে। আমি পুড়ে যাচ্ছিলাম কামনার আগুনে। ক্যাথরিনের একটা হাত ধরলাম এবং তারপর বললাম, তুমি কি রাগ করেছাে?
ক্যাথরিন নাতাে বলে মিষ্টি হাসল। একটা চুমু খাব তােমাকে।
খিল খিল করে হেসে উঠে সে আমার মাথাটাকে হাত দিয়ে নিজেই ওর মুখের কাছে নিয়ে এল। নিজেকে রাখতে না পেরে ওকে পাগলের মত চুমু খেতে লাগলাম। তারপর ওকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ফ্রকটা খুলে দিলাম এবং পরনের প্যান্টিটাও খুলে দিলাম। আমার সামনে শুয়ে আছে নগ্ন ক্যাথরিন। আমি সবে নিজেকে উন্মুক্ত করে ওর ওপর শুয়েছি, ঠিক সেই সময় দরজায় শব্দ পেলাম। দুজনেই ভয়ে সারা হয়ে পােশাক পরে নিলাম।………….
……..মহিলাটির নাম সােফিয়া এবং তিনি মাঝারী উচ্চতার। তার নীল চোখ দিয়ে উপচে পড়ছে কামনা। ভারী স্তন দুটি তার চেহারা চেয়ে বড়।…..
……….রাতের বেলা একদিন সবে খাওয়া দাওয়া শেষ করেছি এবং তারপর বারান্দার চেয়ারে বসে আছি, ঠিক সেই সময় ও একটি নাইট গাউন পরে আমার কাছে এসে দাড়ালাে। দুটো পরিপূর্ণ নিটোল স্তন প্রকট হয়ে উঠেছে তার গাউনের ভিতর দিয়ে। তুমি আমাকে আর আগের মত ভালবাসাে না, সে আমার একটা কাধে হাত রেখে বলে উঠল।
রেগে গিয়ে বললাম, আমাকে বলতে আমি শুনি, কিভাবে ভালবাসতে হবে।
ও রেগে গেল কথাটা শুনে, কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম না ওর রাগের কারণ। আমার সামনে এসে দাঁড়াল নিজের নাইটিটা একটানে খুলে ফেলে দিয়ে। বাঘিনীর মতাে চোখ দুটো জ্বলছিল এবং বলে উঠল, “তােমার কি পছন্দ হচ্ছে না আমার শরীরটা।’
আমি বললাম, ‘চল শােবে চল, সােফিয়া কি হচ্ছে’। বিছানায় নিয়ে গিয়ে ওকে শুইয়ে দিলাম। টানতে টানতে কিন্তু আমার সমস্ত পােশাক ও খুলে দিয়েছে ততক্ষণে। নগ্ন আমি একেবারে বুঝলাম ওর চোখের ভাষাতেই যে ও কি চায়। মােটেই ইচ্ছা করছিল না, আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম। ও নিজের বুকের উপর আমার একটা হাত রেখে উন্মাদের মত ক্রমাগত চুমু খেতে লাগল। ওর শরীরের দাবী কিন্তু আমি মেটাতে পারলাম না। এটাই ছিল সবচেয়ে দুঃখের বিষয়। আমি অবসন্ন হয়ে পড়লাম ও তৃপ্তি পাবার আগেই। ও সহানুভূতি জানানাে দূরে থাক, আমার অসহায় অবস্থাতে রেগে ফুঁসে উঠে বলল, আমার ভালাে মন্দ বােঝার কোনাে ক্ষমতা নেই তােমার। কারণ তুমি নিজে একটা জানােয়ার।”………..
……….একটা পানশালায় মদ খেতে খেতে হঠাৎ একদিন আলাপ হল মেরিলিনের সঙ্গে। এই হােটেলেরই একজন বেশ্যা মেরিলিন। সে মােটেই নমনীয় নয় যদিও খুবই সুন্দরী। কেবল ছলাকলা দেখিয়ে পুরুষমানুষকে গ্রাস করে ফেলার মতলব সারাক্ষণই। একটি ছােট্ট ঘর যা ছিল হােটেলের একপ্রান্তে সেখানে নিয়ে গেল সে আমাকে। তখন রীতিমতাে উত্তেজিত আমি। ঘরে একটি দামী খাট এবং ড্রেসিং টেবিল। মেরিলিন আমাকে জড়িয়ে ধরতেই আমি চুমু খেতে লাগলাম ওকে উন্মাদের মত। আমরা দুজনে পৌঁছে গেলাম উত্তেজনার চরমে। মেরিলিন ছটফট করছে এটা আমি বুঝতে পারলাম উত্তেজনার চরম সীমায় পৌঁছে গিয়ে। ওর এবং আমার দুজনেরই মুখে গােঙানি কারণ কেউই সহ্য করতে পারছিলাম না। আমি ওর প্রাপ্য অর্থ মিটিয়ে দিলাম মিলন শেষ হবার পরে। ও ঠোটের কোণে হাসি নিয়ে আমায় জিজ্ঞেস করল, “পিটার আবার তুমি কবে আসবে?
এই প্রথম আমি আনন্দ পেয়েছি এবং ওকেও আমি আনন্দ দিতে পেরেছি এবং আমি যে অক্ষম নই তাও বুঝতে পারছি। আমি শারীরিকভাবে রীতিমতাে সুস্থ এবং যৌনগ্রন্থিগুলি এখনও তাহলে অকেজো হয় নি আমার। আমি দেহ মনে সম্পূর্ণ সুস্থ হলেও এক ধরনের মানসিক ভয় থেকেই আমি সুখী করতে পারিনি সােফিয়াকে। ……….
………সামনে এসে দাঁড়ালেন তিনি মাঝবয়সী এক ভদ্রমহিলা, চল্লিশের কাছাকাছি তার বয়স। কপােল ঝিলিক তার চুলের এদিক ওদিক। সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে আছে সেই চিহ্ন যৌবনে তিনি যে অত্যধিক সুন্দরী ছিলেন। তার স্তন দুটো বিশেষ করে কারণ, আমি খুব কমই দেখেছি এমন নিটোল স্তন। আমাকে একবার দেখলেন ভদ্রমহিলা, তারপর মৃদু হেসে আমার কর্মচারীকে বললেন, ‘ডাঃ পিটার ব্রাউন তাহলে আপনিই।……..
…….সজোরে হেসে উঠে আমি হারিয়েটের দিকে তাকালাম ভালভাবে। ওর রঙীন গাউনের ভিতর দিয়ে আমাকে তীব্রভাবে আকর্ষণ করছিল সাদা রঙের সেই মােহময়ী বুকজোড়া, বেশ আকর্ষণীয় বলা যায় হ্যারিয়েটের দেহের গঠন এবং সেই কারণেই ক্রমশঃ গরম হয়ে উঠছিল শরীরের রক্ত।…….
……..হ্যারিয়েট সজোরে হেসে উঠে বলল, আমার সৌভাগ্য, ওর স্তন দুটো দুলে উঠল ওর হাসির দোলায়। আমি সেদিকে তাকিয়ে নিজেকে আর সংযত রাখতে পারছিলাম না। ওকে নিজের কোলে টেনে নিলাম ওর একটা হাত ধরে। ওর ঠোটে, গালে, সর্বাঙ্গে পাগলের মত চুমু খেতে লাগলাম। দোলা লেগেছে হারিয়েটের রক্তে। ফিসফিস করে বলে উঠলাে পিটার আমি আর পারছি না, আমাকে তুমি ছিড়ে খুঁড়ে শেষ করে দাও।
আমার হাতের স্পর্শে সজাগ হয়ে উঠেছে ওর নরম বুক। আজ ফেটে পড়তে চাইছে বহুদিনের জমানাে কামনা। ঘরের এক কোণে ওর গাউনটা খুলে ফেলে দিলাম। ঘরের মধ্যে জ্বলছে মৃদুনীলচে আলাে এবং বিন্দুমাত্র পােশাক নেই তখন আমার শরীরেও। অন্ধকার বাইরেটা এবং তার মধ্যে জানলার পর্দাগুলাে বাতাসে উড়ছিল, ক্রমশঃ বাড়ছিল যেন হাওয়ার বেগ। আমরা ডুবে যাচ্ছিলাম স্বর্গীয় সেই পরম সুখের গভীরে একটু একটু করে। জানি না কখন যে উন্মাদনা শেষ করে ক্লান্ত দেহে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঠিক ভাের পাচটায় ঘুম ভেঙে দেখি হ্যারিয়েট নেই।…..
………….দরজা খুলে হঠাৎ ঘরে ঢুকলাে মার্গারেট। আমার বুকটা ছ্যাৎকরে উঠল ওকে দেখা মাত্রই। খুব আস্তে আস্তে এগিয়ে এসে আমার পেছনে থেমে গেল ও। একটারঙীন পাতলা ফ্রক ওর গায়ে। ওর কোমল স্তন দুটো ভালভাবেই দেখা যাচ্ছে পাতলা ফ্রকের ভিতর দিয়ে। আমার চোখে পড়ল ওর সবুজ রঙের প্যান্টিটা। ক্রমশঃ বেড়ে যাচ্ছিল আমার বুকের স্পন্দন। বই পড়তে লাগলাম তবু আমি নিজেকে যথাযথ সংযত রেখে।একটা অধ্যায় রয়েছেন নারীর যৌনমিলনের উপর। আমার কাছে এগিয়ে এসে মার্গারেট একেবারে আমার কাধে হাত রাখলাে। ওর কুণ্ঠা আমি বুঝতে পারলাম। আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না ওর হাতের স্পর্শ পেয়ে। কোমরটা জড়িয়ে ধরলাম ওর একটা হাত দিয়ে। বই পড়তে লাগলাম সেই অবস্থাতেই। ও সরে গেল না। কী বই পড়ছে, ও জিজ্ঞেস করলাে। | আমি সংক্ষেপে জবাব দিলাম,-“বিজ্ঞানের বই। এবারে ও একটু ঝুকে পড়ল। আমার শরীরে ঠেকলাে ওর স্তনটা একবার। ওর কোমর থেকে আমার হাতটা আর একটু নীচে নেমে গেছে। ‘দেখি’ বলে ও একটু ঝুকল। কিছুক্ষণ দেখল এই বলে এবং তারপর আবার দাঁড়িয়ে পড়ল। সে বলে উঠল, ‘কি অসভ্য বই। একটা ফোটো ওর চোখে পড়েছে যা ছিল নরনারীর মিলনের ওপর। চেপে ধরে আছি ওকে আমি। প্রচণ্ড উত্তেজনা তখন ভেতরে। আমি ওকে টেনে নিয়ে কোলের ওপর বসালাম যখন ও নিজেকে সরিয়ে নেবার চেষ্টা করল। তারপর ওকে জড়িয়ে ধরে, মৃদু হাসলাম, কেন, কোথায় দেখলে অসভ্য ব্যাপারটা?
মার্গারেট হেসে বলল, বইতেই তাে রয়েছে, টেবিলের একধারে আমি রেখে দিলাম বইটাকে মুড়ে। একটি নরনারীর মিলনের ছবি রয়েছে মলাটে। প্রাচীন ভারতীয় ভাস্কর্য থেকে নেওয়া হয়েছে ছবিটি। গঠন শৈলী খুবই অপূর্ব এবং এমন শিল্পসম্মত কাজ সত্যিই খুব কম দেখা যায়। বেশ খানিকক্ষণ তাকিয়ে রইল মার্গারেট ছবিটার দিকে।হাত দিয়েই আছিআমি ওর কোমরে। ওর শরীর ক্রমশঃ গরম হয়ে উঠছে এটা আমি বুঝতে পারলাম। আমার কোলে বসালাম ওকে আমি আলতাে করে টেনে নিয়ে। তুমি কি পড়বে বইটা, আমি বললাম এই কথাটা।
ছেলেমানুষী ভঙ্গী নিয়ে ও ঘাড়টা নেড়ে বলে উঠল, ‘হ্যা।’ “ঠিক আছে, আমি ওর পিঠে হাত বুলােতে বুলােতে বললাম, যদি তুমি পড়াশুনা ভাল করে কর তাহলে আমি তােমাকে দেবাে।
আমি কোনােরকমে সংযত রাখতে পারছিলাম না নিজেকে। চুমুতে অস্থির করে তুলব বলে ভাবছিলাম। হ্যারিয়েট যেকোনাে মুহূর্তে এসে পড়তে পারে বলে সাহস হচ্ছিলনা। আমার ঠোটের সামনে টেনে আনলাম ওর চোয়ালটা একহাতে ধরে, একটা চুমু খেলাম তারপর গভীর ভাবে।…………
………..আমার সামনে এসে দাঁড়াল হ্যারিয়েট। কাধে রাখলাে তার দুটি হাত। আমাকে উত্তেজিত করে গেছে মার্গারেট আগেই। এখনাে কাটেনি তার রেশ। ঘরের দরজায় আমি উঠে গিয়ে খিল লাগিয়ে দিলাম। হ্যারিয়েটের গাউনটা খুলে চেয়ারের মাথায় রেখে দিলাম ওকে একটা যমু খেয়ে। হ্যারিয়েটকে পাথরের মূর্তির মত লাগছিল সম্পূর্ণ নগ্ন শরীরে। বিছানাতে নিয়ে গেলাম আমি ওকে সােজা কোলে করে এবং তারপর নিভিয়ে দিলাম আলােটা।…….
………মার্গারেটকে কাছে টেনে নিয়েছি কথা বলতে বলতেই। ওর গায়ে একটা রঙীন পাতলা ফ্রক। ভেতরে কিছু নেই বলেই আমার চোখে পরিষ্কার ধরা দিচ্ছিল ওর দেহের অনুপম সৌন্দর্য। আমি ওকে জড়িয়ে ধরতে ও আর বাধা দিল না। ওর ঘন ঘন নিঃশ্বাস পড়ছিল এবং আমার সমস্ত চেতনা অসাড় হয়ে গিয়ে আমি তখন আর আমাতে ছিলাম না। একটার পর একটা বিস্ফোরণ ঘটছে মাথার উপর। মার্গারেট তুমি রাগ করেহে, আমি বলে উঠলাম অক্ষুটে।
বিড় বিড় করে ও বলে উঠল, কই নাতাে। আমি চুমু খেতে লাগলাম ওর নরম আঙুরের মত ঠোটে, পাগলের মতাে। আমার সােনামনি মিমি, একথা আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছিল, আজ আর থাকবেনা বুঝি কোনাে বাধাই। ওর ফ্রকের উপর দিয়ে শুনে আমার হাত চলে যাচ্ছে বারবার। বারবার ও সেই সঙ্গে অস্ফুট শব্দ করছিল। ওর পুরাে ফ্রকটাই খুলে দিয়ে একসময় আমি হাত * দিলাম ওর উরুসন্ধিতে। আমি একেবারে উন্মাদ হয়ে গেলাম ওর লােমহীন উরুতে হাত বােলাতে বােলাতে। ওর পাখির মত নরম দেহটাকে তুলে নিয়ে বিছানায় গেলাম এবং আমার শরীর তখন উত্তেজনায় কাপছিল। দরজার বেলটা ঠিক তখনই বেজে উঠল যেই মাত্র আমি ওর পরম গােপন সম্পদের সঙ্গে আমার নিজের সংযােগ ঘটিয়েছি আমার সমস্ত উত্তেজনা শেষ ঠিক তখনই। ফ্রক পরে নিয়েছে মার্গারেট। আমি ওকে ওর নিজের ঘরে চলে যেতে বললাম এবং তারপর এগিয়ে গেলাম বাড়ির সদর দরজার দিকে।……..
……ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে ওকে, তাই ওর ঘুম ভাঙবে না কাল সকালের আগে—আমি তাকালাম ওর দুচোখের দিকে। ওর অপূর্ব দেহটা দেখা যাচ্ছিল পাতলা ফ্রকের নীচে।
হাজার হাজার পােকা যেন নেচে বেড়াচ্ছে আমার মাথার মধ্যে। ওর গালে হাত বুলােতে লাগলাম আমি। ওকে পাগলের মত চুমু খেতে আরম্ভ করলাম ওর ওপর শুয়ে পড়ে। ছটফট করতে পাগল মার্গারেটের শরীরটা। আমাকে সম্পূর্ণ ভাবে গ্রহণ করেছে ও। ঘরের দরজাটা খিল দিয়ে এলাম আমি একবার উঠে গিয়ে। জ্বালিয়ে দিলাম নীল আলােটা। দুচোখে মার্গারেটের তখন ঘাের আসছে। আবার আমি এসে ওর ওপর ঝাপিয়ে পড়লাম। মাঝে মাঝে ও আমার পিঠটা খামচে ধরছিল আমার অসহ্য চুমুতে অস্থির হয়ে গিয়ে। আমার কাছে এই মুহুর্তে ও একজন পরিপূর্ণ নারী। ও আমার স্বপ্নের নায়িকা। আমি হাজার হাজার মাইল হাঁটতে রাজি এই মার্গারেটের জন্যেই। খুলে দিয়েছি ওর ফ্রকটা। কোনাে পােশাক ছিল না আমার শরীরেও হাত রাখলাম আমি ওর উরুসন্ধিতে। ও আমাকে জড়িয়ে ধরে ছটফট করছিল একটা অসহ্য সুখের অনুভূতিতে। ওর মুখ থেকে বেরােচ্ছিল একটা অস্ফুট শব্দ। আমি মিলিত হলাম এই প্রথম মার্গারেটের সঙ্গে। আমরা ভেসে বেড়াতে লাগলাম একটি তীব্র স্বর্গীয় সুখে। আমাদের কাছে এখন কোনাে কিছুরই অস্তিত্ব নেই। আমি আর আমার স্বপ্ন নায়িকা মার্গারেট এখন একা এই পৃথিবীতে। পরস্পরকে আমরা নিঃশেষ করে দিলাম তীব্র আনন্দের শিখরে ওঠার চরম মুহূর্তে।…..
…..আমার প্রিয়ার সঙ্গে আর একদিন মাত্র আমি চরমভাবে মিলিত হতে পেরেছিলাম। তেমন একটিও সুযােগ পাইনি অবশ্য হ্যারিয়েট সুস্থ হবার পর। হ্যারিয়েট একদিন দুপুরে আমাকে যৌন মিলনের প্রস্তাব দিল আহত অবস্থা থেকে সেরে ওঠার ঠিক কুড়িদিনের মাথায়। ……….
…….হ্যারিয়েটকে দুঃখ দিতে চাইনি তাই অগত্যাই আমি মিলিত হলাম ওর সঙ্গে। ব্যাপারটা যান্ত্রিকভাবেই শেষ হল এবং এর ফলে আমি কোনাে সুখ পেলাম না। গম্ভীর হয়ে গেছে হারিয়েট এবং ওর যৌন ক্ষিদে আরাে যেন বেড়ে গেছে। আমার নিম্নাঙ্গে ও খেলা করে একটা যেন তীব্র সুখ পায়। তাই মাঝে মাঝে ওর হাত সেখানে চলে যায়।………
…….এবার আমি ব্যাপারটা বুঝলাম। সমুদ্রের ধারে আমার ক্যামেরায় আমি মার্গারেটের বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম এবং ও সেগুলি পেয়েছে ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে। বেশ কয়েকটা ছবি তুলেছি আমি সমুদ্রে স্নান করা অবস্থায় এবং এর মধ্যে রয়েছে ব্রা এবং প্যান্টি পরা কিছু ছবি।…….
…….‘চিন্তা করাে না, মা নিশ্চয় অনুমতি দেবে’, খিলখিল করে হেসে উঠল ও, ওর হাসি আমাকে পাগল করে দেয় এবং আমি তা সহ্য করতে পারি না। স্কার্টের নিচের দিকটা কিছুটা উঠে গেছে এবং আমি দেখতে পাচ্ছি ওর ফর্সা উরু দুটো এবং সেটিই আমার শরীর গরম করে দিচ্ছে।
মার্গারেটের নরম আঙুরের মত ঠোটে একটা চুমু খেলাম আমি। আমার পাশে বসে আমার বহু দিনের আকাঙিক্ষত স্বপ্নের নায়িকা আর তার কোমল অঙ্গের উত্তাপ আমি নিচ্ছি প্রাণভরে। আমার উরুর উপর ওর হাতটা রাখলাে মার্গারেট। বার বার কেঁপে উঠছিল আমার সারা শরীর। আমি একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছিলাম কোনাে এক অতল গহ্বরে। ভীষণভাবে টের পাচ্ছিলাম একটা নারীর স্পর্শ-সুখ কিভাবে পাগল করে দিতে পারে। তার কি একটা মনে হতে একটু সরে বসলাে মার্গারেট হঠাৎ, একটু যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম আমি।………
………বাক্স খুলে একটা হাল্কা নীল রঙের গাউন বের করে পরে নিল ও। আমি যে আছি সে ব্যাপারে কোনাে খেয়াল না করেই ওর পরনের স্কার্টটা খুলে ফেলল ও। একটা ব্রা আর প্যান্টি শুধু পরনে, আমি ওর দিকে তাকাতে গাউনটা পরবার সময় ও আমার শরীরের দিকে তাকিয়ে কেবল মৃদু হাসল। মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমি পাগল হয়ে যাই ওর সৌন্দর্যে।………
………ওর স্বচ্ছ গাউনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, দেখতে পাচ্ছি ওর স্তন দুটো পরিষ্কার ভাবে। বাদামী আভা এবং স্তনবৃন্ত দেখা যাচ্ছিল ওর স্তনের চারপাশ দিয়ে। আমি দেখতে পাচ্ছিলাম ওর সুন্দর নাভি, যদিও অবশ্য পরা ছিল প্যান্টিটা। পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ওর নিটোল উরু দুটো। দাপাদাপি আরম্ভ করে দিয়েছে আমার মাথার মধ্যে পােকা গুলাে। সামান্য কাপছিল বুঝি আমার দেহটা। ওকে ছুঁতে পারছি না আমি যদিও ও আমার খুব কাছে রয়েছে। আমার মুখে বারবার আঘাত করছে ওর নিশ্বাসটা। উত্তেজিত হয়ে পড়ছিলাম আমি ক্রমশঃ। থাকতে পারলাম না আমি আর। ওর পাশে শুয়ে পড়ে আমি ওকে জড়িয়ে ধরলাম। কয়েক মিনিট মাত্র। মৃদুভাবে ঠেলে সরিয়ে দিল ও আমাকে। অস্ফুট একটা শব্দ বেরােল মুখ দিয়ে ‘উঃ’ বলে।
সরে গেলাম কিছুটা আমি! ও রেগে যায়নি, এই একটা ব্যাপারে আশা হল আমার। ও উচ্চারণ করেছে শব্দটা খুবই আদুরে এবং প্রশ্রয় দেবার ভঙ্গীতে। ওর দিকে তাকিয়ে শুয়ে রইলাম আমি। কিছুক্ষণ কেটেছে মাত্র। আমাকে দুহাত দিয়ে কাছে টেনে নিল ওর চোখ বােজা অবস্থাতেই। সত্যিই আমার পক্ষে খুবই দুঃসাধ্য ওকে বােঝ। আমার জীবনে আগে এরকম রহস্যময়ী নারী আসেনি। অদ্ভুত রহস্যময় করে তুলেছে ঈশ্বর ও ঘনটা। আমার পক্ষে একেবারে দুঃসাধ্য ওর মনের সেই অতল গভীরের নাগাল পাওয়া।
একটি ক্ষীণ হাসির রেখা দেখা গেল ঠোটে। আমার দিকে একবার তাকালাে পিট পিট করে। কাটলাে এই ভাবে কিছুক্ষণ। হঠাৎ তারপর বলল, তােমার এই ব্যাপারে উৎসাহে কি ভাটা পড়ে গেল।’
আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম, ‘না তাে।’
বােকার মত কানে শােনালাে কথাটা। বলে উঠল মার্গারেট, এসাে, চুপচাপ বসে রয়েছ কেন তুমি?
ওর চুলে হাত বুলাতে লাগলাম আমি এবার। ও কপালে, গালে, চিবুকে সর্বত্রই আলতাে আলতাে করে একটা একটা করে চুমু খেতে লাগল। ওর নিঃশ্বাস ক্রমশ ঘন হয়ে আসছে। আমি উন্মাদের মত ওকে চেপে ধরে চুমু খাচ্ছিলাম। আমি আর না পেরে, নরম সাদা বুকের উপর একটা হাত রাখলাম। খুলে দিলাম ওর গাউনটা এবং প্যান্টিটাও। একটা অস্ফুট শব্দ বার বার বেরিয়ে আসছিল ওর মুখের ভিতর দিয়ে। একবারে কিনারায় পৌছে গেছি আমরা দুজনে তখন সেই চিরন্তন স্বর্গীয় আনন্দের। একভাবে হয়ে আসছিল মাগরেটের কণ্ঠে একটা অস্পষ্ট গােঙ্গানির শব্দ। আমরা দুজনে আদিম পুরুষ এবং নারী এই মুহুর্তে, আমাদের এই দুইয়ের দেওয়া নেওয়ার মধ্যে কোনাে ফাক নেই এবং কপটতা নেই। আমরা উজাড় করে ঢেলে দিচ্ছি একে অপরকে। আমি ভালভাবে উপলব্ধি করলাম যৌন মিলনে মানুষ সবচেয়ে বেশী আন্তরিক এই মর্মান্তিক সত্যটা। একটা আনন্দের হিল্লোল বয়ে গেল আমার সারা শরীর বেয়ে। আমরা দুজনেই ক্লান্ত শরীরে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলাম চরম সুখের একেবারে শীর্ষে উঠে। কে জানে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি দুজনে।………
…….মার্গারেট জবাব দিল, তুমি ভীষণ ব্যাথা করে দিয়েছ আমার দুটো বুকেই এখন ভীষণ ব্যথা। হাসতে হাসতে বলল খানিকক্ষণ পর, তােমাকে একটি উন্মাদ ষাঁড় বলে মাঝে মাঝে আমার মনে হয়। আমার কথা তুমি চিন্তাও করাে না যখন পাগল হয়ে যাও।
আমি কিছুটা আহত হয়ে বললাম, ঘাড় বলছ আমাকে তুমি! ছােটো ছােটো পুতুলের মত সবকিছু দেখাচ্ছে কুতুব মিনারের উপর থেকে ভূমিতে। আমার দিকে মার্গারেট এরপর তাকাল, তার মনমরা হাসি নেই। সে বলে উঠল, আমার সমস্ত শরীর ব্যথা হয়ে যায় তােমার ষাড়ের মত ক্ষ্যাপামিতে।…..
……….হােটেলের ঘরে গিয়ে অবলীলায় খুলে ফেলল মার্গারেট সমশু পােশাক। ওর কাছে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে, দুটো হাত দিয়ে পরম আবেগে জড়িয়ে ধরলাম ওর পাছাটা। আমার দিকে ঠোটে রহস্যময় হাসি এবং দুচোখে ঝিলিক নিয়ে মার্গারেট তাকিয়েছিল। নগ্ন একটি স্বর্গের দেবীর মত বলে ওকে আমার মনে হচ্ছিল। আমার ভেনাসের উপমাটাই সেই মুহূর্তে মনে পড়ল। তুমি আমার ভেনাস, আমি ফিস্ ফিস্ করে বললাম। এই কথা বলার পর খন ও আমার মাথায় হাত রাখলাে।
আমার কোলে মার্গারেট শুয়েছিল চিৎ হয়ে। স্কার্টের খানিকটা উঠে গেছে এবং বােজা রয়েছে চোখ দুটো সামান্য দেখা যাচ্ছে উরুগুলি। রঙ মাখনের মত। ওর দুটো স্তনের ছড়া দেখা যাচ্ছে স্কার্টের উপর দিয়ে। ওর কপালে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম আমি। ……….
………মার্গারেটের দিকে তাকিয়ে দেখছিলাম ওকে অপরূপ দেখাচ্ছিল সাদা রঙের স্বচ্ছ গাউনে। আমি পাগল হয়ে যাই মার্গারেটের ঐ অপরূপ রূপ দেখলে। তখন আর নিজের উপর কোনাে নিয়ন্ত্রণ থাকে না আমার। ওর শরীরের ভিতরের প্রতিটি রেখা দেখা যাচ্ছে গাউনের ভিতর দিয়ে। মার্গারেট বিছানার উপর বসে হাই তুললল দুহাত উপরে তুলে দিয়ে।……
……..আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম, না। ও টান টান হয়ে আছে এবং ওর শরীরের চড়াই উৎরাই এক মােহময় জগতে আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। দুর্বল হয়ে পড়ছি আমি ক্রমশ।……
……..আমি বিছানার উপর বসলাম এগিয়ে গিয়ে। ওর কপালে একটা হাত রাখলাম। এরপর ওকে একটা চুমু খেলাম আমি কিছুক্ষণ ওর কপালটা টিপে দেবার পর। আস্তে আস্তে ঘাের লাগছে মার্গারেটের দুচোখে। ক্রমশঃ উত্তেজিত হয়ে উঠছে। ধীরে ধীরে সরিয়ে দিলাম আমি ওর শরীরের আবরণ। হাত রাখলাম ওর বুকের ওপর। ধীরে ধীরে সরিয়ে দেওয়ার পর ওর শরীরে আবরণ, আমাকে ওর শরীরের মােহময় আবরণ এবং সৌন্দর্য বাস্তব পৃথিবী থেকে এক অপূর্ব মায়াময় স্বর্গলােকে নিয়ে যাচ্ছিলাে ক্রমশঃ। কপালে লাগছিল আমার ওর নিঃশ্বাস। ঘরের আলােটা দিলাম নিভিয়ে আমি হাত বাড়িয়ে।…….
……চেয়ারের উপর বসে যথারীতি মার্গারেট পা তুলে দিয়েছে টেবিলের উপর এবং তার ফলে ওর প্যান্টিটার খানিকটা দেখা যাচ্ছে স্কার্টের কিছুটা অংশ নেমে গিয়ে। যেকোনাে পুরুষের কাছে পরম লােভনীয় ওর এই ফর্সা মাখনের মত নিটোল উরু দুটো।…….
…..মার্গারেট এগিয়ে এল আমার কাছে। ওর পরনে নীল রঙের গাউন স্বচ্ছ প্রকৃতির। যদিও ভেতরে অন্তর্বাস রয়েছে তথাপি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে বুকের উপরের অংশটা। ……….