উড়নচণ্ডী – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

অন্ধকার ঘরের চাবি

………পরপর কয়েকখানি সেই একই নগ্ন শরীর, নানা ভঙ্গিমার, মুখ ফেরাননা। সবগুলিই দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়। ঘরের মধ্যে না ফাঁকা জায়গায় তা বােঝার উপায় নেই। শুধু মেয়েটির ছবি ছাড়া পটভূমিকা শূন্য।

একটা ছবি দেখে পৃথা আবার চমকে উঠলাে। এবারে একেবারে ক্যামেরার দিকে ফেরানাে মুখ। চিনতে একটুও অসুবিধে হবার কথা নয়। যদিও এ মেয়েটিকে পৃথা কখনাে দেখেনি। তবু সে ঠিকই ধরেছিল, চব্বিশ-পঁচিশ বছরেরই একটি তরুণী। এবং এই ছবিটি রীতিমতন অশ্লীল ! নগ্ন ছবি হলেই যে তা অশ্লীল হবে তার কোনাে মানে নেই, তা শিল্প হতে পারে। কিন্তু এই ছবিটিতে মেয়েটা হাসছে ! ফটোগ্রাফারের সামনে ন্যাংটো হয়ে দাঁড়িয়ে একটা মেয়ে হাসবে কেন ? তার স্তন, উরু, সব কিছু দেখা যাচ্ছে, তার হাসিতে লােভের ইঙ্গিত। এরকমভাবে বাজে মেয়েরা হাসে। বাজে পত্রিকায় এই ধরনের ছবি ছাপা হয়। কিন্তু রজত তাে পেশাদার ফটোগ্রাফার নয়। সে ছবি বিক্রি করে না। তবু সে এরকম ছবি তুললাে কেন ?………

উড়নচণ্ডী

……এঁর লেখা চটি চটি রহস্য কাহিনী বিক্রি হয় অনেক রেল স্টেশনে। সে সব বইয়ের মলাটে থাকে, এক মুখখাসধারীর হাতের পিস্তলের নল এক জামা-হেঁড়া যুবতীর স্তনে ঠেকে আছে।……..

Please follow and like us:

Leave a Reply