……….আমি ঊর্মিকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম, উর্মি আমি তােমাকে দেখতে চাই।
উর্মি আমার ঘাড়ের কাছে ঠোট রেখে দুষ্টুমিভরা গলায় বলেছিল, উহু। আমি ওর গলা, বুক ও কোমর আচ্ছন্ন করে দিলাম চুমােতে। উর্মি প্রায় পাগলের মতন হয়ে উঠল। শারীরিক আদরে উর্মি যতখানি আনন্দ পায়, ততখানি বাইরেও প্রকাশ করে। রেখেঢেকে রাখে না। তা ছাড়া আমার কাছে লজ্জা দেখাবারও কোনও কারণ নেই। শরীরের মধ্যে যে আনন্দ আছে, তার এক বিন্দুও নষ্ট করতে চায় না উর্মি। ও নিজেই ওর ব্লাউজের কয়েকটা বােম খুলে আমাকে বলেছিল, তুমি এইখানটায় মুখ রাখাে, আমাকে খুব জোরে ধরাে । পাশেই বিছানা। উর্মির কোমরে আমার হাত, আর একটা হাত ওর শাড়ির আঁচলে। ইচ্ছে করলে এক্ষুনি আমরা চরম আনন্দে মেতে উঠতে পারি। উর্মিকে বিছানার দিকে টেনে নিয়ে গিয়েও আমি থেমে গেলাম। ………
…………ওপরে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে একটা ব্যাপারে আমার খুব অস্বস্তি হতে লাগল। ভারতের বিভিন্ন জাতের নারী-পুরুষ স্নান করতে এসেছে এখানে। অনেকেরই আবার ব্যবহার আলাদা। অনেক মেয়েরা এখানে যে পােশাকে স্নান করতে নেমেছে কিংবা স্নান করে উঠে যেভাবে পােশাক বদলাচ্ছে, সেটা ঠিক আমাদের বাংলাদেশের মতন নয়। এরা অনেকেই রাউজ পরে না এবং সম্পূর্ণ বুকটা খুলে দাঁড়াতে কোনও লজ্জা নেই। আমি পুরুষ মানুষ, আমার চোখ তাে সেদিকে যাবেই।
কিন্তু এক সময় আমার মনে হল, ললাকেরা বােধহয় ভাবছে আমি স্নান করতে এসেছি। যদিও সেখানে এত রকম মানুষের এত ভিড় যে এরকম কথা নিয়ে চিন্তা করার কারুর সময় নেই, তবু আমার অস্বস্তি যায় না। আমি এই রকমই। এইসব ছােটখাটো ব্যাপার নিয়ে আমি চিন্তা করি। আরও হাজারটা নােক ওখানে মেয়েদের পােশাক বদলানাে কিংবা নগ্ন বুক দেখছে, কিন্তু আমি লজ্জায় সেখান থেকে সরে আসতে বাধ্য হলাম।…………