গল্পসমগ্র প্রথম খন্ড – সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়

›› গল্পের অংশ বিশেষ  ›› বই এর অংশ / সংক্ষেপিত  

কুইনি

…….বলতে ভুলেছি, কুইনিদের আর একটি পেশা ছিল: সলতে বিক্রি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাশে রাখা পেঁজা তুলাে থেকে একটু খানি ছিড়ে নিয়ে সলতে বানাত কুইনি। তখন তার হাতির দাঁতের মতাে মইসে-ধরা সাদা ঊরু থাকত সন্ধি পর্যন্ত উন্মুক্ত। কতদিন ডজন হিসেবে গুণে গুণে ন্যাকড়ার ফালি দিয়ে বেঁধে দিয়েছি। মনিহারি দোকানে রােজ সেগুলাে যেত বিক্রির জন্যে। অন্তত, আমাকে দেখে খােলা ঊরু কাপড়ে ঢাকে নি কোনওদিন কুইনি। আমার বয়স একটা সন্দেহজনক জায়গায় পৌঁছলে, আমার চোখের দৃষ্টি কখন যে বদলে গেল কুইনির খােলা ঊরু দেখতে দেখতে, সেটা কুইনিও টের পায়নি।

হৃদয়ের শব্দহীন জ্যোৎস্নার ভিতর

…..বাবা তাে নয়। আবার বাবাও! তাই ভুল করে প্রথম দিন ঠোটে চুমু খেতে গেলে ঠোট ফাক করল না। কপালে নিল। এবং মাথায়। মেয়েদের শরীরে বুক দুটিই আমার প্রাণাধিক প্রিয়। অথচ তারই আন্দাজ নিতে হল ব্রেসিয়ারহীন আঁটোসাঁটো ব্লাউজের ওপর দিয়ে। হাত ঢােকাতে দিল না। মুখ আগাগােড়া ঘুরিয়ে রাখল। যদিও আমাকে আঁকড়ে ধরে থাক সবসময়।………..

… ..হাের ? না-না। বিপত্নীকের যৌন সমস্যার সমাধান করতে আমার কাছে আগে যারা এসেছে, তারা হােরই ছিল বটে। একজনের সঙ্গে ছিল মাসকাবারি বন্দোবস্ত। তুই তাে মা মারা যাবার বছর না ঘুরতেই কম্পিউটার বাফ উন্নিকৃষ্ণানের সঙ্গে পালিয়ে এলি কেরালার এই ফোর্ট কোচিতে। যােগাযােগই রাখলি না মায়ের বিছানায় শান্তির সঙ্গে আমাকে রেখে । আরে, শান্তি-ফান্তি কেউ না। ওর সঙ্গে তাের বাহান্ন বছরের বাবার ছিল একটা মাসকাবারি বন্দোবস্ত। মাইনে পেত মাসে মাসে। ফোনে ডাকা যেত। আর ডাকলেই চলে আসত মানে যখন তুই নেই তখনই তাে আসতে বলতাম। এলে পার শট পঞ্চাশ বােনাস। বাহান্নায় বিপত্নীক, তাের বাবার তখন মুরগির সন্ধানে কঁক-কঁক মােরগের অবস্থা। হতে পারি জন হপকিন্সের ডক্টরেট। পায়খানা পেচ্ছাপ সেক্স এগুলােয় তাে ডক্টরেট করিনি। এগুলাে তাে আর পাঁচজনেরই মতােন। নাকি?…………

………..সেই প্রথম একজন এল যার কাছে আমি টিউশন ফি চাইতে পারতাম। কারণ সে এল শুধু নিরাপদ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হতে। শিক্ষিত হতে। প্রথম যেদিন জানতে চাইলাম, আচ্ছা—এই কি তােমার প্রথম। ঠোট-টোট ফুলিয়ে সে কি ফুঁপিয়ে কান্না। অবশ্য আমারই ভুল। শুধু ভার্জিন ঠোটই অমন লাল হয়ে ফুলে উঠতে পারে। প্রথম চোটে ওর কান্না লাল চোখ দুটো, আঁখিপল্লবের ঝােপের মধ্যে সত্যিই দেখাচ্ছিল বাচ্চা খরগােশের মতাে। আমার আলিঙ্গনের মধ্যে জীবনের প্রথম অর্গাজশের আনন্দে ওর ভেতরটা তিরতির করে কেপেই চলেছে।………..

চতুর্থ পর্বত

………..আমরা এখন আড়াআড়ি বিছানায় শুয়ে। এখন ওর মাথা আমার পেটের ওপর। হাতের তালু আমার পিছনে। আমি পিছন-ই বললাম। সুরজিতের ভাষায় পাছা—যা নাকি, একটি রয়াল বেঙ্গলের মধ্যাহ্নভােজের পক্ষে যথেষ্ট, তার মতে।…..

………..সত্যিই তাে, শরীরের তুলনায় আমার পেছনটা তাে বেশ ভারিই। হাঁটলে, ওর ভাষায় দুই গােলার্ধ নাকি নড়ে-চড়ে। রীতিমতন ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেয় তারা। তখন—আমি টের পাই যে অশ্লীল দেখাচ্ছে আমাকে পিছন থেকে। সেজন্য সিল্ক, শিফন এসব পরি না। তুল্যমূল্যে, কই, স্তন দুটি তাে সেই চোদ্দো পনেরাে বছরটির মতাে থেকে গেল—বিশেষ আর বাড়ল না। সে জন্যে বিশেষ ধরনের ব্রেসিয়ার পরে থাকি। বাঘের লাঞ্চসহ আমি যদি এখন আমার উন্মুক্ত গােলার্ধদুটি নিয়ে বাথরুমে যাই ও ফিরে আসি, আমার লজ্জাই করবে।……..

…………এ-সব কথা তখন, যখন আমি বিছানায় এবং নগ্ন। প্রাইভেসি বলতে আমার কিছুই নেই। হয় তার মুখ আমার নিপলএ, যা ক্ষণে ক্ষণে হয়ে উঠেছে প্রখন থেকে প্রখরতর, আমার অঙ্কুরের ঘুম ভাঙাচ্ছে তার তর্জনী। নিদারুণ শীতেও আমি লেপ ফেলে দিয়েছি মাটিতে।……

বিজনের রক্তমাংস

……..রেনু শুধু শায়া পরে ছিল। শায়াটা হাঁটুর ওপর উঠে গিয়েছে। একটা পায়ের উরু পর্যন্ত দেখা যায়। ব্লাউজের নিচের বােতামটা খােলা, রেণুর ঝােলা স্তন দেখা যাচ্ছিল। স্তনের বোঁটায় শ্বেত অশ্রুর মতাে জমাট দুধ। রেণুর স্তন ও ঊরুর রঙ একই রকম, বিজন লক্ষ্য করে দেখল। ঘুমন্ত শশকের গায়ে যেন হাত রাখছে, বিজন ওর খােলা ঊরুতে হাত রাখল। সেদিন তাকে চলে যেতে হয়েছিল, আজ সুদে-আসলে উসুল করবে, এই জন্যেই ত সে এসেছে। এই নিয়ে তিন দিন এল, অথচ এখানো ওর ব্লাউজের সবকটি বােতাম সে খুলতে পারেনি। রাস্তার দড়ির আগুনে যখন সিগারেটটা ঠেকিয়েছিল, বিজন সেই মুহুর্তের মতাে উত্তেজিত হবার চেষ্টা করতে লাগল।……….

ক্রীতদাস ক্রীতদাসী

………আমি কারাে চোখের দিকে আজ পর্যন্ত চাই নি। পরিচিত, অর্ধপরিচিত, অপরিচিত, অনেকের দিকে চেয়ে দেখেছি। কারাে কারাে ঠোট, নিতম্ব, স্তন, কারাে-বা নগ্ন হাত আমার ভাল লেগেছে। কারাে নীরবতা মনে আছে, কারাে অভিমান, মনে আছে কোনও হাঁটার ভঙ্গি। একজন গায়িকার গ্রীবা মনে পড়ে। কোনও চোখ মনে পড়ে না।……

…………..কিছুক্ষণ পরে শুধু ফুলের গন্ধ পেলুম। চেনা ফুল। এক ভদ্রমহিলা, বছর তিরিশ, পাতলা গড়ন, কিশােরী মেয়ের মতাে ছােট ছােট স্তন, শরীর ধসে যায়নি, বহু বছরের দাম্পত্য সত্ত্বেও, দেখে আমি প্রীত হয়েছিলুম। ভদ্রমহিলা স্বামীকে নিচু গলায় কী বললেন, তারপর আঁচলের গিট খুলে ফুলঅলার কাছ থেকে কিনলেন ফুলের মালা।…….

কয়েকটি শিরােনামা-১

সুধা ও অন্যান্য বেশ্যা, ও চামেলি

……..একদিন বিকেলবেলা জেঁকে বৃষ্টি এসে গেল। সুধা শার্শিগুলাে বন্ধ করে লেপের মধ্যে এলে তাকে জড়িয়ে ধরলুম। সুধা কাপতে ভালবাসত। সুড়সুড়ি দিতে বলত পিঠে। বলল, “বেশ ত হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলেন পিঠে। কী হল?” লজ্জা হয় তাকে বলতে, সেই নির্লজ্জাকে। তবু আপত্তি সে করতে পারে না। হায়, তার অধিকার নেই।……

…………চামেলির বিয়ে হয়েছিল কাছেই, তখন স্কুলমাস্টারি করত আলমবাজারে, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের গরম চাতালে বসে দুপুরবেলায় তাকে প্রেম নিবেদন করতেও খুবই লজ্জা হয়েছিল, ও ৮বছর সময় লেগেছিল। মানুষের এ-রকম সময় লাগে বা লজ্জা হয়। দক্ষিণেশ্বর শিবমন্দিরের ভিতরে গিয়ে গলায় আঁচল জড়িয়ে বিগ্রহের সামনে নত হবার সময়ই সহসা তার বিশাল পাছার উথান আমি দেখি, তার জমা ও কুন্তল ও স্তন ও নিতম্ব ও গ্রীবা মুহূর্তে একাকার হয়ে যায়, তার জঙ্কুন্তলস্তননিতম্বগ্রীবা ও আমার ধর্মাধর্মবােধের বিপুল ধাক্কা ও উপযুপরি ফাটার শব্দে আমার শরীরময় সমস্ত জীবন বিধ্বস্ত হতে থাকে, তার জয়া ও তার কুন্তল ও আমার ধর্ম ও আমার অধর্ম ও তার স্তন ও তার নিতম্ব ও আমার যৌনবােধ ও তার গ্রীবা—আমার এতদিনের এইসব আমার চোখের সামনে একাকার হয়ে যেতে দেখে নতজানু হয়ে ভেঙে পড়ে তার বিস্তীর্ণ শ্রোণি আমি দুহাতে জড়িয়ে ধরি, উজ্জ্বল প্রদীপের চচ্চড় শব্দের মধ্যে আমাদের প্রগাঢ় যৌনচুম্বন তাকে টেনে তােলে, ঠোট ছিড়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আমার বুকে সেও উপযুপরি চুম্বন করতে থাকে, তার জমা কুন্তন স্তন নিতম্ব ও গ্রীবা আমার বুকের ওপর সমূলে ভাঙতে থাকে। শাস্তির পরিমাণ দেখে আজ বুঝি একদিনে পাপ কত বেশি হয়েছিল, পুলিসে পিছু নিয়েছিল বলে মন্দিরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে চুম্বন করা কি ঠিক হয়েছিল? | ঠিক হয় নি, ঠিক হয় নি, ঠিক হয় নি। পাপ হয়েছিল।….

……….সুধার অঙ্গে হাত দিয়ে আজ চামেলির অঙ্গের কর্কশ চুলগুলি মনে পড়ে। সুধার একতাল মােটা কোমর আমি ভাল করে জড়িয়ে ধরি। দর্শকের মতাে সে চেয়ে চেয়ে দ্যাখে। আমার চোখের ভিতর দিয়ে চেয়ে থাকে।

বাইরে বৃষ্টির শব্দ ক্রমশ আর শােনা যায় না। তার কষ্ট হচ্ছিল। যৌনকষ্ট তার পাবার কথা না, তার অভ্যাস আছে। অপমানিতও সে হতে পারে না। তবে?

সে এক-একবার বলছিল, ‘উঃ, কী হাড় আপনার গায়ে। ফুটছে, মাংসর ভিতর বিধে যাচ্ছে। কী গরম, জ্বর হয় নাকি আপনার ?” অবশেষে বলেছিল, “খাওয়া হয় নি কিছু দুপুরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তারপর আপনি এলেন—উঃ-খাওয়া হল না—উঃ–আমার খাওয়া হয় নিউঃ -” এইসব সে বলছিল। অনেকদিন পরে জানতে পারি সে তখন গর্ভবতী ছিল।………

আত্মবিজ্ঞপ্তি

……যােনিহীন নারী হলে বড় ভাল হত। শুধুই আদর করার জিনিস হলে। কিন্তু এ যে আরও মারাত্মক!
এ-ও ভাবি, জীবনে নারীসংক্রান্ত সমস্ত দাবি ছেড়ে দেব কী করে?………..

নিদ্রিত রাজমােহন

………গেল-বছরে আমরা একটাও চুমু খাই নি অথচ যৌনাঙ্গদুটি ব্যবহার করে গেছি, এই আমাদের প্রবলেম, তাহলে? সন্দেহ নেই যে তাহলে রমার দাদা বিনা পারিশ্রমিকে তাও সম্ভ করে দিতেন। খাও নি কেন? কেন যৌনাঙ্গদুটি শুধু? কে দায়ী? দুজনেই সমানভাবে? বেশ—কিন্তু কে শুরু করেছিল?………..

অংশু সম্পর্কে ২টো-১টা কথা যা আমি জানি

………..অংশুর যা মনে নেই যে তার মনে নেই যে তার মনে নেই, তা হল, তারপর খাটের নিচে থেকে অতি সন্তর্পণ সে টেনে এনেছিল কৌমার্যহারা তার রাঙাবউদির বিবাহের ট্রাঙ্ক, আঙটা খুলতেই চাপে লাফিয়ে ওঠে ডালাটি এবং ঠাসা জামা-কাপড়ের ওপর বিছানাে বিবাহের জোড়ের ওপর কয়েকটি চকচকে বই তার চোখে পড়ে। যার মধ্যে, কিছু না-বুঝে, ক্লাস-নাইনের ফার্স্টবয় অংশু অতি অবােধভাবে তুলে নেয় মারি স্টোস-এর ‘বিবাহ ও জীবন’ নামে অনূদিত বইটি এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গে রাঙাদা এসে কান মুলে বইটা তার হাত থেকে কেড়ে নেয় এবং পুনরায় ট্রাঙ্কের ভেতর রেখে এবার চাবি দিয়ে দেয়। কিন্তু ইতিমধ্যেই বইটা আন্দাজে খুলে বিনা আয়াসে অংশু পেয়ে গিয়েছিল প্রয়ােজনীয় পাতাটি, সত্যত, বইটির শেষাশেষি বাঁদিকের পাতার মাঝ বরাবর অবশ্যম্ভাবী কটি পঙক্তিই কেবল টেনে নিয়েছিল তার চোখের তারা যা কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সে অবিলম্বে পড়ে ফ্যালে সঙ্গমের পর পুরুষের উচিত, সে পড়েছিল, তার পুরুষাঙ্গ নারী-শরীরের মধ্যে রেখে এবং নারীর উচিত পুরুষাঙ্গ তার শরীরের অভ্যন্তরে নিয়ে ও রেখে, আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় ঘুমিয়ে-পড়া। এতে করে, শ্ৰীমতী স্টোপস দেখেছেন, ‘গভীরতর রাতে তাদের একসঙ্গে নিঃশ্বাস নিতেও প্রশ্বাস ফেলতে দেখা যায়। এটুকু পড়েই ঝপ করে অংশু বইটি বন্ধ করে ফেলে। এর মানে কী?………

বড় দুঃসময়

……….দু-একদিন অন্তর সপ্তাহে অন্তত বারদুই পূরবী এঘরে আসেই, শাড়ি ছাড়ে ও ব্লাউজ খােলে; তারপর পেটিকোট ও ব্রেসিয়ার গায়ে মশারি ছােট্ট করে তুলে স্মার্টলি ঢুকে পড়ে। মহেন্দ্রকে ডিঙিয়ে বাঁ দিকে শােয়। ডান হাতে পাকড়ালে মহেন্দ্রর জোর বাড়ে।

চারটি সিঁড়ির ব্যবধান রেখে সে ঐখানে নতজানু বসে পড়ে। আশার হাতে মােমবাতি ধরিয়ে দিয়ে পূরবী দুটি সিঁড়ি নেমে যায়। আশা সেই থেকে মােম ধরে আছে। আঙুলের ডগা দিয়ে পূরবী তার পুরু ঠোট ছোঁয়। নাকের পাটা কাঁপিয়ে সে ফেঁস করে একটি নিঃশ্বাস ফ্যালে। তার নিঃশ্বাস থেকে নেবুফুল ও মধু মেশানাে এক তীব্র কামনাময় সুগন্ধ ভেসে আসে। আশার মনে হয়, সে তার দিদিমণির হাত চুমায় চুমায় ভরিয়ে দিচ্ছে। প্রতিদানে পূরবী তার ককুদে হাত বুলিয়ে দেয়। তার গলা দিয়ে তৃপ্ত, সুখী, মৃদু ঘড়ঘড় শব্দ বেরুতে থাকে।…….

আলমারি

……….রাত্রে, বিনা আমন্ত্রণে উমা এল সেই মুগা-ডুরে পরে। কী না-ভেবে যে! কল্পনাশক্তিহীন অন্ধকার নারীশরীরের চেয়ে কাম্য আর কী। এই ক’ঘণ্টায় সে কত সাফসুফ, ঝরঝরে আর হাল্কা হয়ে গেছে। বিয়ের আগে ফ্লার্ট করার দিনগুলােয়—কবেকার সেই একদিন সন্ধ্যায়—উমা গলি থেকে বেরুতেই হু-হু কালবােশেখি, পূর্বদিক থেকে এত জোরে ছুটে আসছে, গলিতে বােঝাই যায় নি। একটু পিছিয়ে পড়া পুষ্পেন গলির মুখে দাঁড়িয়ে উমাকে দেখেছিল লােকজনের ছুটোছুটির মধ্যে হাওয়ার দিকে চকিতে ঘুরে দাঁড়াতে; তার আঁচল উড়ছে, বব-করা চুল উড়ছে, সাদা লিনেনের শাড়ি লেপ্টে গিয়ে রেখায়িত করে তুলেছে তার বাহুল্যবর্জিত তলপেট, স্তনদুটি বায়ুচাপে একটু বসে গিয়ে আবার ফুলে উঠছে যেন। ঋতুসম্মত বৃষ্টি-ফেঁাটায় ধুয়ে স্মিত মুখের ওপর চকচক করছে তার ছােটখাটো তীক্ষ্ণ নাক। এমন কি, সেদিনের মতাে আজও, তার কানের রিঙগুলি টিংটিং করে সমানে বেজে চলেছে। আজ সন্ধ্যা থেকে যেমন, সেদিন তারা একটাও কথা বলে নি। শুধু হেঁটেছিল।…….

হ্যা, প্রিয়তমা

……..কোম্পানির ‘মেড ফর ইচ আদার’-এর বিজ্ঞাপন নিবে থাকার পর, এই সময় ৫ সেকেন্ড ধরে জ্বলে থাকে ও তার এ্যাসিড-রু নীলে সে বীথিকে বেশ দেখতে পায়। সার্টিনের কালাে শায়া পরা আঁটসাট নিম্নাঙ্গের ওপর বীথির ফর্শা বলশালী টোরসাে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত। নারীর পক্ষে অতি-প্রশস্ত, তার আউট-সাইজ বক্ষপটে ফুলে-ফুলে ওঠা ফর্সা স্তনদ্বয়ের ওপর দুখণ্ড রুবির মতাে এখন-শক্ত বৃন্তদুটি ধ্বকধ্বকিয়ে জ্বলছে।……..

রুবির সঙ্গে হীরা বন্দরে

……….গত চার বছর ধরে রুবির সঙ্গে শুধু দেখা-সাক্ষাৎই হচ্ছে। সিনেমা, রেস্তোরাঁ— কেবিন-চুমু, মাংস ঘাঁটা—বিশেষত বুকের—এইসব। সেক্স হয় নি।……..যেতে যেতে খালি পেয়ে তারই একটিতে বসে, ইং-পিং স্পেশাল ছাউ-মিয়েন’ দু-ভাগ করে খেতে খেতে, কাঁটা-চামচ প্লেটে রেখে আমি রুবির বুকে হাত ডােবাই ও তাকে সস্নেহে বলি, ‘রুবি, আর সব মেয়ের বুকে মাংস। তারা মেয়েছেলে। শুধু তুমি নারী। শুধু তােমার বুকে আমি আতরের গন্ধ পাই।’……..

……..একটা সাঁওতাল বৌকে রাখা হল। তার বুকে খুব দুধ। এই গােলগাল আর মােটাসােটা ছিলুম ছােটবেলায়, জানাে। পরে তার কুষ্ঠ হয়। আচ্ছা নিল কী মেমব্রেন? তা, আমাকেও তুমি কম চোষােনি বাপু। ওখানে।……….

শেষ মেট্রো

……….আমি রঞ্জনকে দেখি নি। আমার ধারণা রঞ্জন যেদিন প্রথম ওর হাত ধরবে, যদি রেস্তোরাঁর কেবিনে হয়, সেদিনই সে ওকে চুমু খাবে এবং তা আমার মতন খুব সযত্ন ও সপ্রেম চুম্বন নাও হতে পারে। আর ব্যাপারটা যদি কোনও ঘরে শুরু হয়—হােটেল হােক, গেরস্তবাড়ি হােক—বিছানা থাক বা না থাক, প্রথম দিনেই তা সঙ্গমে পর্যবসিত হবে। কেননা, শেলীর যত প্রতিরােধ সব যুক্তি আর ভাবনায়। দেখেছি তাে, ওর শরীর ভাবতে জানে না। বাধা দিতে জানে না। প্লাস্টিকের স্বচ্ছ বয়েমের মধ্যে ও বােধ হয়ত বন্দি মৌমাছির বোঁ-বো।……….

……..‘বলবে। ওটা মেয়েরা বুঝতে পারে, যে কে বলবে আর কে শেষ পর্যন্ত বলবে না। সবাই কি তােমার মতন?’ এত বলে সে তার দক্ষিণ স্তন থেকে আমার হাত সরায়, ‘আমার ফিগার ভাল, রঞ্জন বলেছে।………..

Please follow and like us:

Leave a Reply