অনুবাদঃ সাদেকুল আহসান কল্লোল
………আদেশের সুরে বলে, মেয়েটাকে নগ্ন কর। কশাঘাত শুরু করা যাক। মেয়েটাকে যে প্রহরীরা ধরে রেখেছিল তারা সামনের দিকে ধাক্কা দিয়ে জোর করে তাকে হাঁটু ভেঙে বসতে বাধ্য করে এবং রুক্ষভাবে তাঁর রেশমের অন্তর্বাস খুলে নেয় এবং সুক্ষ মসলিনের তৈরি লম্বা চুড়িদার পাজামার কাপড় টেনে ছিড়ে ফেলে এবং পাজামা বাধার মুক্তাখচিত বেণী করা ফিতে ছিড়ে গিয়ে পুরাে আঙিনায় সেগুলাে ছড়িয়ে যায়। মেহেরুন্নিসার পায়ের কাছে এসে একটা থামে। প্রহরীরা নগ্ন অবস্থায় তাকে টেনে হিচড়ে কাঠের কাঠামােটার কাছে নিয়ে যেতে শুরু করতে মেয়েটা চিৎকার করতে শুরু করে, তার দেহ ধনুকের মত বাঁকা হয় আর টানটান হয়ে যায় এবং সে ধ্বস্তাধ্বস্তি করতে থাকলে তার ভারি স্তন আন্দোলিত হতে থাকে কিন্তু প্রহরীদের পেশী শক্তির সাথে তার তুলনায় চলে না এবং তারা অনায়াসে কাঠামাের নিচের প্রান্তের সাথে তার গােড়ালী আর উপরের প্রান্তের সাথে তাঁর দুই কজি জোড়া করে চামড়ার শক্ত সরু ফালি দিয়ে বেঁধে দেয়। মেয়েটার লম্বা চুলের গােছা তার নিতম্বের বেশ নিচে পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রহরীদের একজন তার কোমর থেকে খঞ্জর বের করে গলার কাছে ঘাড়ের ঠিক উপর থেকে কেটে দেয় এবং চকচক করতে থাকা পুরাে গােহাটা মাটিতে কুণ্ডলীকৃত অবস্থায় পড়তে দেয়। ………..
…….ফাতিমা বেগম তাকে বাজারের সব কথাই বলেছেন কিন্তু সবকিছু তার পছন্দ হয়নি এবং এমন কিছু তিনি বলেছেন মেহেরুন্নিসা অবশ্যই যা তার ভাস্তির সামনে বলতে পারবে না। মিনা বাজার আসলে একটা মাংসের বাজার—এর বেশি কিছু না। আকবর এটা শুরু করেছিলেন কারণ তিনি নতুন শয্যাসঙ্গিনী,পছন্দ করার একটা সুযােগ চেয়েছিলেন। কোনো কুমারী মেয়ে যদি তাঁর চোখে ধরতাে তাহলে তার মনােরঞ্জনের জন্য মেয়েটাকে প্রস্তুত করতে তিনি খাজাসারাকে আদেশ দিতেন। ……..
………সে তার গােলাকৃতি সুন্দর মুখশ্রী, মেয়েটার নধর, ইন্দ্রিয়পরায়ণতার দিকে। চোখ নামিয়ে আনে যে গত ছয়মাস ধরে তার আনন্দসঙ্গী। সে বাজারের পরুষ আবহাওয়া বেশ উপভােগ করে এবং মেয়েরা—এত মুক্ত আর সাবলীল মনে হয় আগ্রা দূর্গে খাজাসারা তার জন্য যেসব রক্ষিতাদের হাজির করতে পারবে তাদের চেয়ে অনেক কম ভীতিকর যেখানে সবসময়ে অসংখ্য চোখ তাকে লক্ষ্য করছে। জামিলা তাকে রতিকর্মের খুটিনাটি শিখিয়েছে। সে আগে ছিল অতিশয়-ব্যগ্র, এক আনাড়ি কিন্তু জামিলা তাকে শিখিয়েছে কীভাবে একজন নারীকে তৃপ্তি দিতে হয় এবং আনন্দদান কীভাবে তার নিজের তৃপ্তি বর্ধিত করতে পারে। মেয়েটার উষ্ণ সুনম্য দেহ, তার উদ্ভাবন কুশলতা তাকে বিমুগ্ধ করতাে। কিন্তু এখন সেসব অতীত। ……….
………‘অনুগ্রহ করে কাপড় খুলে রাখুন,’ খাজাসারা বলে। মেহেরুন্নিসা বিস্মিত চোখে অপলক তাকিয়ে থাকে। ‘হেরেমের প্রচলিত নিয়মরীতির কারণে আমরা এই নিভৃতস্থানে পৌছাবার পূর্বে আপনাকে কিছু জানানাে থেকে আমায় বিরত রেখেছিল, কিন্তু সম্রাট আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। আজ রাতে আপনি যদি তাকে প্রীত করতে পারেন তাহলে আপনি তার সাথে একই শয্যায় শয়ন করবেন। কোনাে তর্ক করা চলবে না। আমি যা বলছি আপনাকে তাই করতে হবে।’ মেহেরুন্নিসা এতটাই বিস্মিত হয় যে পরিচারিকার দল তার দেহ থেকে পােষাকের আবরণ সরিয়ে নিয়ে তাকে নগ্ন করতে থাকলে সে বাধা না দিয়ে পাথরের মত দাঁড়িয়ে থাকে। তারা প্রথমেই তার পালিশ করা গােলাপি স্ফটিকের টুকরাে বসানাে কলাই করা পরিকরের মুক্তাখচিত টাসেল খুলে দেয় তার পরনের গােলাপি রেশমের আলখাল্লা সরিয়ে দিয়ে তাঁর অন্তর্বাস খুলে নেয় এবং তার পা থেকে রেশমের তৈরি চটিও তাঁরা সরিয়ে নেয়। সে কিছু বােঝার আগেই সে দেখে পুরােপুরি নগ্ন অবস্থায় সে ছােট আঙিনায় নেমে আসা উজ্জ্বল সূর্যালােকে দাঁড়িয়ে রয়েছে আর খাজাসারা কাবুলের দাসবাজারে তার দেখা দাস ব্যবসায়ীদের মত নিরাসক্ত চোখে তাকে খুটিয়ে দেখছে। নিজের ঘন কালাে চুল ঝাকিয়ে সে চেষ্টা করে নিজের স্তনযুগল আড়াল করতে এবং ঘুরে দাঁড়ায়, সে এখনও মালা একটু আগে যা বলেছে সেটাই বুঝতে চেষ্টা করছে। জাহাঙ্গীর অবশেষে তাহলে তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন কিন্তু মনে হচ্ছে তিনি তাকে আর নিজের স্ত্রী করতে চান না। মামুলী একজন রক্ষিতার মত তাকে তার শয্যার জন্য উপযােগী করা হচ্ছে। চলুন,’ খাজাসারা উন্মুক্তস্থানটার দিকে ইশারা করে তাকে হাম্মামে প্রবেশ করতে বলে। ভেতরে, গরম পাথরের উপরে প্রবাহিত সুগন্ধি পানির স্রোত থেকে উষ্ণতা নির্গত হচ্ছে যা মার্বেলের সংকীর্ণ ঢালু পথ দিয়ে নিচে নামছে তার চোখ জ্বালা করে এবং সে টের পায় তার ত্বক ঘামতে শুরু করেছে।………
………..‘অনুগ্রহ করে আপনার আলখাল্লাটা খুলেন,’ সে আবারও বলে। সে তারপরেও যখন স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, তখন সেই তাঁর দিকে ঝুঁকে এসে তাঁর মসলিনের আলখাল্লার গলার নিচে হাত ঢুকিয়ে আলতাে করে সেটা তার কাঁধের উপরে তুলে নিয়ে আসে যতক্ষণ না তার স্তনযুগল অনাবৃত হয়। তারপরে, শক্ত করে ঠোট চেপে রেখে সে তার স্তনবৃন্তে তুলির অগ্রভাগ আলতাে করে ছুইয়ে সেগুলােকে আরও গাঢ় করে তুলতে তুলির স্পর্শে তার স্তনবৃন্ত শক্ত হয়ে যায় এবং এসব কিছুই লক্ষ্য না করে লােকটা তার স্তনবৃন্তের চারপাশের আপাত ধুসর ত্বকে ছােট ছােট ফুলের নক্সা আঁকতে থাকে। তার কাজ শেষ হতে সে পুনরায় তার আলখাল্লাটা জায়গামত নামিয়ে দেয় এবং চিৎকার করে বলে, ‘খাজাসারা মালকিন প্রস্তুত।’……..
………জাহাঙ্গীর নিজের আলখাল্লাটা খুলে ফেলে এবং অবহেলা ভরে সেটাকে মাটিতে ফেলে দেয়। মৃদু আলােতে তাঁর তৈলাক্ত, পেষল দেহ চিকচিক করে। মেহেরুন্নিসা যখন ধীরে ধীরে নিজের বসন ত্যাগ করে আপন নগ্নতা প্রতিভাত করতে তখন সে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখে। তিনি যদি জোর করে তাকে নিজের বাহুর ভেতর টেনে আনতেন তার স্বামী শের আফগান মেসটা করতে পছন্দ করতাে তারচেয়ে তার দেহের প্রতিটা বাক, প্রতিটা ফাটল চোখে পড়তে জাহাঙ্গীরের চোখে ফুটে উঠা চাঞ্চল্য অনেকবেশি উত্তেজক। অচিরেই যা ঘটতে চলেছে সেটা একটা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে সূচনা করবে নাকি তাদের জীবনের কেবলই স্বল্পকালস্থায়ী একটা অধ্যায় মেহেরুন্নিসার নিজের ভেতরে উপচে উঠা শারীরিক চাহিদার তুলনায় সহসাই গুরুত্বহীন হয়ে উঠে। সে এতদিন বিশ্বাস করে এসেছে যে মন দেহকে নিয়ন্ত্রণ করে কিন্তু এখন সে বুঝতে পারে ব্যাপারটা সবক্ষেত্রে সত্যি নয়। জাহাঙ্গীর কিছু বলবে সেজন্য অপেক্ষা না করে সে নিজেই ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে যায় এবং নিজের হাত উঁচু করে সে নিজের সুরভিত দেহ দিয়ে তার দেহকে প্রবলভাবে আঁকড়ে ধরে। সে অনুভব করে তার স্তনবৃন্ত জাহাঙ্গীরের বুকের কাছে শক্ত হয়ে উঠেছে এবং তার কামােত্তেজনাও কম প্রবল নয়। সে দু’হাতে তার নিতম্ব আঁকড়ে ধরতে সে সহজাত প্রবৃত্তির কারণে সাথে সাথে বুঝতে পারে সে তার কাছে কি চাইছে। সে তার কাঁধ শক্ত করে আঁকড়ে ধরে, সে দু’পায়ে তার কোমর সাপের মত পেঁচিয়ে ধরে। জাহাঙ্গীর তার ওজন সামলাতে গিয়ে আরও জোরে তার নিতম্ব চেপে ধরে এবং নিজের ভেতর সম্রাটের প্রবল উপস্থিতি অনুভব করে সে কেঁপে উঠে এবং চাপানউতোের শুরু হয়। সে যতই তার গভীর থেকে গভীরতর অংশে প্রবিষ্ট হয় ততই তার পিঠ ধনুকের মত বেঁকে যায় আর শীৎকার শুরু করে, তার নখ জাহাঙ্গীরের ত্বক খামচে ধরে তাকে আরাে প্রবল হতে উৎসাহিত করে।
‘সােনা অপেক্ষা করাে,’ সে ফিসফিস করে মেহেরুন্নিসার কানে কানে বলে। সে তাকে বিছানার কাছে নিয়ে এসে তাকে সেখানে শুইয়ে দিয়ে আপাতনের ছন্দপতন না ঘটিয়ে তার উপরে টানটান হয়ে শুয়ে পড়ে। তার মুখ এখন তাঁর ডান স্তনবৃন্তে, তাঁর জীহ্বা সেটাকে উত্তেজিত করে আর তার দাঁত এর চারপাশের নরম জায়গাগুলাে ঠোকরাতে থাকে। তাদের দুজনের শ্বাসপ্রশ্বাসের বেশ জোরালাে হয়। সে টের পায় জাহাঙ্গীরের পিঠ টানটান হয়ে উঠেছে। সে শীর্ষানুভূতির চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছে কিন্তু কোনােমতে নিজেকে প্রশমিত করে, অপেক্ষা করে সঙ্গীর সহচর্যের। সে শেষ একটা প্রবল অভিঘাতে মেহেরুন্নিসাকেও সেখানে উঠিয়ে আনে। মেহেরুন্নিসা তাদের দু’জনের সম্মিলিত শীৎকারের শব্দ শুনতে পায় যখন তার ঘামে ভেজা দেহটা ভগ্নস্তুপের মত তার উপরে নেমে আসে আর তারা দু’জন পরস্পরকে জড়িয়ে শুয়ে থাকে, অর্থপতে বডের মাতম। তাকে আপত করে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া অনুভূতি ধীরে ধীরে প্রশমিত হতে শুরু করতে সে নিজের আরুক্তম মুখ দিয়ে তার বুকে ঘষতে থাকলে জাহাঙ্গীরের আঙুল তার লম্বা চুল নিয়ে খেলতে থাকে।……….
………জাহাঙ্গীর তাদের বিয়ের পরের দিন সকালে অলসভাবে আড়মােড়া ভাঙে তারপরে তার পাশে নিরাভরণ হয়ে শুয়ে থাকা মেহেরুন্নিসার দিকে মাথা ঘুরিয়ে তাকায়। তার ত্বকের মুক্তোর মত আভা দেখে তার দিকে আড়াআড়িভাবে ঘুরে থাকা তার কোমর স্পর্শ করতে তার খুব ইচ্ছা হয় কিন্তু সে তার ঘুম ভাঙাতে চায় না। ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর—নিটোল স্তনের উঠা নামা, পুরু ঐ ঠোট, ছােট খাড়া নাক আর চওড়া ক্ৰ যুগল দেখতে তার ভালােই লাগে। সে নিশ্চিত, তাঁর কমনীয় মুখশ্রী দেখতে তার ভিতরে কখনও বিরক্তি উদ্রেক হবে না। সে নিশ্চিত, দ্বিতীয়বারের মত খসরুর বিদ্রোহ প্রচেষ্টা দমন আর মা বাঈয়ের মৃত্যুর ঠিক পরপরই, তাঁদের বিয়েটা অবশ্যই তার জীবন আর তার রাজত্বকালের একটা নতুন সূচনার স্মারক হয়ে থাকবে। সে তার নিজের এবং তাঁর সাম্রাজ্যের জন্য যত স্বপ্ন দেখেছে সবকিছু সে তাকে পাশে নিয়ে সফল করবে।……….
……..মেহেরুন্নিসা জাহাঙ্গীরকে তার শক্তি আর নিঃশ্বাসের সৌরভের কারণে প্রশংসা করেছে তখন সে তীক্ষ কণ্ঠে আম্মিজানকে বলতে শুনেছে যে বহুভােগ্যা একজন রমণীর পক্ষেই কেবল এমন তুলনা করা সম্ভব। ………
………একজন পরিচারিকা অবশেষে হেঁচকা এক টানে পর্দা সরিয়ে দেয়। আরজুমান্দ গজদন্তবর্ণের রেশমের একটা তাকিয়ায় একেবারে নিরাভরণ হয়ে শুয়ে রয়েছে, তার লম্বা চুল কাধের উপরে খােপা করে বেঁধে দেয়া হয়েছে। তার দেহ সুগন্ধি তেলের কারণে মৃদু দীপ্তি ছড়ায় যা তাঁর ত্বকে মালিশ করা হয়েছে—এই আনুষ্ঠানিকতা উদ্দেশ্য কেবল নববধূকে তার স্বামীর কাছে আকর্ষণীয় করে তােলাই সয় সেই সাথে রতিক্রিয়ার জন্য তাকে প্রস্তুত আর উত্তেজিত করে তোেলা। হেরেমের পরিচারিকারা নিজেদের কাজ বেশ ভালােভাবেই সম্পন্ন করেছে। খুররম তার নিটোল স্তনযুগলের উঠা নামা, কিশমিশের মত ছােট স্তনবৃন্তের টানটান আকর্ষণ এবং তার চোখের দ্যুতিময়তা লক্ষ্য করে। ‘আমাদের একা থাকতে দাও, সে পরিচারিকাদের আদেশ দেয়ার সময় ঠিকই বুঝতে পারে যে তাঁরা তাঁদের পাতলা নেকাবের ভিতর দিয়ে কৌতুকপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। সে তারপরে ধীরে শয্যার দিকে এগিয়ে যায় এবং আলখাল্লার পরিকরের বাধন খুলে সেটাকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেয়। সে তার নবপরিণীতা বধূর পাশে শােয়,…………