এসো – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

কমলিকা

……..সতেরাে-আঠারাে বছরের ছেলেরা নিজেদের থেকে বেশি বয়েসের নারীদের দেখেই মুগ্ধ হয়। অর্থাৎ যাদের শরীর পূর্ণ বিকশিত। রবীন্দ্রনাথ যদিও পঞ্চদশী মেয়েদেরই পূর্ণিমায় পৌঁছে দিয়েছেন, কিন্তু অধিকাংশ বাঙালি মেয়েরই শরীর বাইশ-তেইশ বছরের আগে পুর্ণিমায় পৌঁছয় না।

সেই জন্যই ওই বয়সের ছেলেরা নিজের মা আর দিদি-টিদিদের বাদ দিয়ে, অন্য সব একটু বেশি বয়েসি নারীদের শরীরের আনাচে-কানাচে দৃষ্টি হেনে নারীত্বকে খোঁজে। এমনকী মাসি-পিসি স্থানীয়দেরও বাদ দেয় না। আমার এক মাসির দৈবাৎ বুকের আঁচল সরে গেলে তার সুডৌল স্তনের দিকে তাকিয়ে আমার বুকের মধ্যে একটা ঝড় টের পেতাম।……..

……….মিনির সঙ্গে এমনিতে গল্প করা যায় না। কোনাে বিষয়েই সে একটা-দুটোর বেশি কথা বলতে জানে না। আমি তাকে এমনই বললাম, অ্যাই মিনি, তুই নতুন কী ছবি আঁকলি, আমাকে দেখালি না তাে? এ কথার উত্তর না দিয়ে মান বুক থেকে আঁচলটা সরিয়ে পট পট করে ব্লাউজের টিপ বােতাম খুলে পেল।

আমি চমকে উঠলাম বললে কম বলা হয়। আঁতকে উঠলাম প্রায়। এ কি! এখন ফ্রক ছেড়ে মিনি সদ্য শাড়ি পরছে। প্রায়ই আঁচল-টাচল ঠিক রাখতে পারে না। কিন্তু তবু আমি, অন্য বন্ধুরাও কেউ তাকে একটা মেয়ে হিসেবে পাত্তাই দিইনি। সেই সময় আমি তাে গল্প-উপন্যাস পড়েই অনেক কিছু শিখছি।…….

…….কিন্তু ব্লাউজের বােতাম খুলে সে আমাকে দেখাল তার স্তন। মসৃণ বেগুনের মতন। সেদিকে তাকিয়ে তাে আমি চোখ ফিরিয়ে নিতে পারলাম না। বকুনিও দিতে পারলাম না তাকে। আমার শরীর হঠাৎ তপ্ত হয়ে উঠল। মিনির এর পরের ব্যবহার আরও অদ্ভুত। একেবারে আমার কাছ ঘেঁসে এসে সে বলল, খাবে? খেটে ইচ্ছে করছে? খাও না? মেয়েদের স্তন যে খাবার জিনিস তাও তাে জানি না তখন। দু-একবার হাতটাত লেগে গেলে বেশ শিরশিরে ভাব হয়। আমি তখনও সাহস পাচ্ছি না দেখে মিনি নিজেই তার একটা স্তন চেপে ধরল আমার ঠোটে।

সবটাই মিনির নামে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এরপর আমি নিজেই…. মিনিট দশের পর নীচ থেকে হাসিদি মিনির নাম ধরে ডাকতেই সে ঝট করে সরে গেল। আঁচল-টাচল গুছিয়ে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। এ রকম আরও একদিন হয়েছিল।

এ কথা আমি বন্ধুদেরও জানাইনি। তবে সেই প্রথম নারীশরীর সম্পর্কে আমার কিছুটা দীক্ষা হয়েছিল।…….

…..ও মেয়েটিই তাে মিনি! তার সাজপােশাক বদলে গেছে। একেবারে, চেনাই যায় না! সবচেয়ে দ্রষ্টব্য তার স্তন দুটি, একেবার উত্তুঙ্গ যাকে বলে। সেটা তাে আমার চোখে পড়বেই।…….

বাদাম রঙের পর্দা

………এ খবর শুনে তার রাগও হয়নি, ঈর্ষাও হয়নি। তাপস বেশ যৌনকাতর, বিয়ে করা ছাড়া তার আর উপায় কী? তাপস যে বলেছিল, যে-কোনও মেয়ের সঙ্গে ওই ব্যাপারটা করার সময় সে বন্দনার মুখটাই ভাবে, এখনও কি তাই হয় ? কিংবা সেটা কি সত্যি ছিল? অচেনা একটি মেয়ের সঙ্গে তাপস ওই ব্যাপারটায় নিরত, একঝলক এই দৃশ্যটা মনে পড়ল তার। কিন্তু তিনি নিজের শরীরে, দুই উরুর মাঝখানে কোনওরকম শিরশিরানি বােধ করলেন না।

তবে কি তার নিজের শরীরের রসও কমে আসছে ক্রমে ? অন্ধকারেও বন্দনা যেন দেখতে পেলেন বাদামি রঙের পর্দাটাকে। তিনি | উপুড় হয়ে শুলেন। একটু একটু কঁপতে লাগল তাঁর শরীর।…..

ছুটতে ছুটতে ট্রেন মিস করা

……..নােভার মতন জিক্স ও গেঞ্জি পরা পেটের কাছে অনেকটা ভােলা, নাভি দেখা যায়, সেরকম মেয়ে কি চুমু খাওয়ার জন্য ভাড়া নৌকোয় চাপবে? ওদের কোনও আড়াল খোঁজারই দরজার হয় না, নিজের বাড়ির পড়ার ঘরেই বন্ধুকে চুমু-টুমু ইত্যাদি। আমার সঙ্গে নােভার সম্পর্ক এখনও চুমুর খিদে পাওয়ার মতন পর্যায়ে পৌছােয়নি। সুতরাং কোনও টেনশনও নেই।……..

তিনজন সুকুমার

……..রমণীটি সুকুমারে কাছে সরে এল। সে একটা লাল পাতলা সিল্কের শাড়ি পরেছে। সিল্কের শাড়ি পরলে মেয়েদের শরীরের স্বাদ বদলে যায়, সুকুমার জানে। সে এসে সুকুমারের কাধে হাত রাখল। আর তার ডানদিকের পুষ্ট, দৃঢ় স্তনটি চেপে ধরল সুকুমারের গায়ে। তার গা দিয়ে বাসি চাপা ফুলের গন্ধ আসছে, চোখের কোল দুটো কার্বন পেপারের উলটোদিকের মতাে খসখসে কালাে, ঘাড়ের ওপর খোঁপার নীচে অনেকখানি ময়লা। তা হােক। মেয়েটি রূপসী সন্দেহ নেই, সুকুমার ভালাে করে চেয়ে দেখল।…….

…….সুকুমারের আর প্রতিবাদ করার কিছু নেই, সে চুপ করে বসে রইল। নিজের কৃতিত্বে, আনন্দে চামেলি তার একটা ভারী, মাংসল উরু তুলে দিয়েছে সুকুমারের পায়ে। আস্তে আস্তে সুকুমারের শরীর গরম হয়ে আসছে।……

…….ভারী সুন্দর দেখতে মেয়েগুলিকে। নানা রঙের জামাকাপড় পরেছে। প্রত্যেকেরই আঁচল দিয়ে পুরু করে একটা স্তন ঢাকা, আর একটা স্তন একেবারে উন্মুক্ত। সত্যি, কী সুন্দর বুক সকলের! এরা চিৎকার করে হাসছে। এমনভাবে সুকুমার কোনওদিন তার চেনা মেয়েদের হাসতে শোনেনি।……

দুটি অতৃপ্তি

……….ইচ্ছে করছে, তুমি একবার এসে এই জানলার কাছে, খুব কাছে এসে দাঁড়াবে। আমি তাে গরাদের এপাশে। তাই আমি যেন একটা কয়েদি। একবার জিভ দিয়ে তােমার নাভিটা ছোঁবাে। তােমার নাভিতে আমি কখনও চুমু খাইনি।………..

Leave a Reply