এই আমি রেণু – সমরেশ মজুমদার

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…….চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দেবার মতাে রেণু ওর কপালে, চোখের পাতায়, গালে, চিবুকে এখন সারা মুখে ছােট ছোট চুমু খেয়ে যাচ্ছে শুধু নিষিদ্ধ করে রাখছে ঠোটটা। সমস্ত শরীর শক্ত হয়ে গেল সুমিতের, বুকের বাতাস এত ভারী কেন? শেষ পর্যন্ত তিন বছর না খাওয়া কোনও ভিখারির মতাে ঝাঁপিয়ে পড়ল রেণুর ঠোটে। দুটো নরম উষ্ণ অথচ সিক্ত জবাফুলের মতাে ঠোঁট পাগলের মতাে নিতে চাইল নিজের | মতাে করে। অস্ফুট আওয়াজ করল রেণু, উঃ, এক্কেবারে রাক্ষস, লাগে না বুঝি।’ একটু থমকে গেল।

সুমিত, মুখ তুলে দেখল রেণু হাসছে, “উম, আমাকে নাও, নাও, নাও।’  একটা ঝড়াে বাতাসের মতাে সুমিত রেণুকে বুকে তুলে নিল। ওর অগােছাল বিছানায় রেণুকে শুইয়ে দিল যত্ন করে। ছেলেমানুষের মতাে রেণু ওকে দেখছিল। খাটের পাশে হাঁটু গেড়ে বসে সুমিত রেণুর হাতে মুখ রাখল। কী নরম জলের মতাে গন্ধ রেণুর হাতে, সমস্ত ছেলেবেলা মনে করিয়ে দেয়। আস্তে আস্তে মুখ নামাল ও হাতের ওপরের দিকে, বাজুতে। রেণুর বুকের কাছে মুখ রেখে ও কৃপণের মতাে চুপ করে বসে থাকল খানিক। আজ অবধি কোনও যুবতী মেয়ের বুক দ্যাখেনি ও রেণুর বুক কী রকম?

একটা হাত সুমিতের মাথায় রেখেছে রেণু, আঙুলগুলাে ওর চুলের ভিতরে খেলা করছে। রেণুর বুকের মধ্যে থেকে মন কেমন করা সুবাস উঠে আসছে ওর নাকে। এই জামা এবং অন্তর্বাসের আড়াল | খুললেই রেণুর সমস্ত যৌবনটা ওর সামনে এসে দাঁড়াবে–অথচ ওর খুলতে কেমন ভয় হচ্ছিল। একবার আড়াল ঘুচে গেলেই সব যে দিনের আলাের মতাে পরিষ্কার হয়ে যাবে। পরিষ্কার যা তা কি সাদামাটা নয়? ও আস্তে আস্তে মুখ নামাল নীচে, রেণুর কোমর পেট কী নরম—আঃ। রেণু চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে, এখন ওর ঠোটদুটো ঈষৎ ভােলা। চিকচিকে কুন্দ ফুলের মতাে সাদা দাঁত দেখা যাচ্ছে। জিভের ডগা দাঁতের গায়ে সামান্য নড়ছে, “এই, শােন।’ রেণু ডাকল।………..

Leave a Reply