অনুবাদঃ ভৈরবপ্রসাদ হালদার
…………গ্রামের লােকের দেওয়া নাম শুনে যুবক হাসল। তাকাল কিশােরীর দিকে। অবাক হয়ে দেখল, কিশােরী এর মধ্যেই ত পুরাে যুবতী। ছােট ছােট কঠিন দু’টো স্তন। পানপাতার মতন মুখের ডৌল, গভীর কালাে দুটো চোখ। আর রসে টসটসে পাকা ফলের মতন এক জোড়া পুরন্ত ওষ্ঠ। কিশােরীর পরণে ছাইরঙ সার্ট আর কালাে পশমের জ্যাকেট। মাথায় একটা গােল টুপি।রােদে-পােড়া দেহের রঙ তামাটে-হলুদ।………
………রঙ্গিনী মেয়েটা এখন শ্যামলা-রঙ যুবতীতে পরিণত হয়েছে। সুন্দর মুখের ডৌল, দৃঢ় একজোড়া স্তন, নারীদেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পেলব এবং সুঠাম। দিনে দিনে সে হয়ে উঠল অপচয়ী ছিনাল, দেহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করলেও সারা অঙ্গে গন্ধসার ঢালতে ভুলত না। ওদিকে বয়ঃসন্ধিক্ষণে পৌছেছে হােরদিকুইন:বয়স এখন পঞ্চাশ। ছিনাল যুবতী এখন পুরােপুরি তাকে অধিকার করেছে। মানুষ যেমন খাদ্য আর মদের জন্য ক্ষুধার্ত হয় সে এখন তেমনি জ্যাকুলিনের দেহ উপভােগ করার জন্য কাম ক্ষুধায় ক্ষুধার্ত। তাকে যখন মনে ধরে তখন যুবতী তাকে বিড়ালীর মতন জড়িয়ে ধরে আদর করতে থাকে এবং শরম-হীন, নীতিজ্ঞানশূন্য উপায়ে তার দেহে উপগত হতে কর্তাকে বাধ্য করে, কোন ব্যাপারে তার ঘৃণা হয় না এবং সাধারণ যুবতীরা যা সাহস করে না তাও সে করে। ঘণ্টা খানেক এমনিভাবে শৃঙ্গার করলেই কর্তা অবশ হয়ে পড়ে তাকে থাকবার জন্য অনুরােধ করে•••সুরু হয় বিবাদ এবং মন কষাকষি। কর্তা শেষে তাকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়।……
…..হােরদিকুইনের মাথা দেখা গেল। একই সাথে হােরদিকুইন দেখল, একট। মরদের পলায়মান দেহের ছায়া আর মাগিটার উলঙ্গ উদর ‘জ্যাকুলিন তখনও চিৎ হয়ে পা ছড়িয়ে খড়ের গাদায় শুয়ে আছে। জ্যাকুলিন উঠে বসল। হােরদিকুইন এমন রেগে গেল যে নীচে নেমে দেখতে ছুটল না, মাগির পলায়মান নাগটি কে! বরং কষিয়ে দিল জ্যাকুলিনের গালে এক চড়.. এমন চড়ে বলদও পড়ে যায়।
‘বেশ্যা মাগি কোথাকার!
……তাকে আঘাত দিতে চাইল না জ্য তাই জুলির পাশে কুলগাছ তলায় বসে পড়ল। সে দেখল, পাছা আকাশ-মুখী কবে কোমব নুইয়ে লিসা আবার আগাছা তুলছে। স্কার্ট উচু হওয়ায় তার পুরুষ্টু জানুযুগল চোখে পড়ছে আব মাইদুটো যেন লুটিয়ে পড়েছে মাটিতে।
জ্য বলল-“সত্যি তােমার দেহ বড় সুগঠিত। খুব ভাল এটা।
কথাটা শুনে লিসা গর্ব অনুভব করল। এবং হেসে ধন্যবাদ জানাল। তাকে একজন মরদের মতন সুস্থ দেহে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখে জ্য-ও তাকে হেসে প্রশংসা করল। পাছা আকাশমুখী, হাঁটু ইয়ে কাজ করছে তাই দু পায়েব গুলী দুটো যন্ত্রণায় টাটিয়ে উঠেছে। গরমে ঘর্মাক্ত জানােব দেহেব মত তার ঘামে-ভেজা শরীবে গন্ধ। তবু জর মনে কোনও অসম্মানজনক ইচ্ছা হচ্ছে না।…….
……..পলমায়রি শেষ আঁটিটা ছুড়ে দিল। ঘাসের গাদার মাথায় দাড়িয়ে আছে ফ্রানকয়েস অস্তগামী সূর্যের বিবর্ণ রক্তিম রােদে তাকে দীর্ঘদেহী মনে হচ্ছে। সে একদম হাঁপিয়ে পড়েছে, ঘামে-ভেজা তার দেহ কাপছে। চুলগুলাে গায়ের চামড়ায় লেপটে আছে। ছােট আর দৃঢ় স্তনযুগলের উপর বডিসটা বাধন খুলে ঝুলছে। স্কার্টের আঙটা খুলে একেবারে পাছার উপর নেমে এসেছে।……….
…….নীচে দাড়িয়ে জ্য উত্তেজিত হয়ে উঠল, উপরে তাকাতে মেয়েটি সুডৌল দু খানা পা নজবে পড়ছিল। ওকে অত উচুতে নাগালের বাইরে দেখে তার উত্তেজনা বাড়ছিল। এবং অবচেতনভাবে ওর পুরুষ মনে ইচ্ছা জাগল মেযেটিকে নীচে নামিযে বুকে জড়িয়ে ধরতে।………
……….ঘাসের গাদার কাছে দাড়িয়ে সে হাত উচু করল যাতে ফ্রানসেস তার বুকে এসে পড়ে। এবং তারপর মন স্থির করে ফানকসেস চোখ বন্ধ করল এবং গড়িয়ে পড়ল। গানে গাদার পাশ দিয়ে সহসা পড়ে দু’পায়ে জঁ-কে জড়িয়ে ধরল। দু জনেই জড়াজড়ি করে মাটিতে পড়ে গেল। মাটিতে পড়াব সময় তার স্কার্ট মাটিতে বসে পড়ল। সে হাসতে লাগল। হাসতে হাসতে তার দম বন্ধ হয়ে গেল। বলল যে, তার দেহে কোথাও আঘাত লাগে নি। কিন্তু তার বামে-ভেজা, উষ্ণ দেহের চাপ মুখেব কাছে পড়তেই জাঁ তাকে দু’হাতে জড়িযে ধরল। নারী দেহের তিক্ত উগ্র গন্ধ আর নতুন ঘাসের সেঁদালি সুবাসে সে মাতাল হল এবং কষ্ট, কাম-লালসা তার দেহের প্রতিটি মাস পেশী টান-টান হয়ে উঠল। ……….
………নারী পুরুষের প্রেম নিবেদনের কোনও পরিবেশ ছিল না এ বাড়ীতে। তাকে কেউ বিরক্ত করবার ছিল না। কিন্তু এখন এ বাড়ীতে একজন মরদের আবির্ভাব ঘটেছে•••একজন সত্যিকারের জানােয়র মরদ, সে খাদের মধ্যে মেয়েদের টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করত, লিসার সাথে সেই মরদটা যখন শৃঙ্গারে রত হয় তখন বাড়ীখানার ভিতরের কাঠের দেওয়াল কাপতে থাকে এবং কাঠের ফাঁক-ফোকর দিয়ে যৌন সঙ্গমেব দৃশ্য নজরে পড়ে। জন্তু জানােয়ারদের মিলন দৃশ্য দেখে নারী-পুরুষের যৌন-মিলন সম্পর্কে সব কিছুই ফ্রানকয়েস জেনেছে, কিন্তু তবু এদের মিলন-দৃশ্য নজরে পড়লে তার মন তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠে।……
……ফসল কাটার মজুররা আসতে আরম্ভ করেছে•••ওদের দলে একটা যুবতীকে জা চিনতে পারল, বছর দুয়েক আগে ওই যুবতীকে সে ধর্ষণ করেছিল, তাকে নিয়ে বিছানায় শুয়েছিল। যুবতীটি তখন ছিল একটা বাচ্চা মেয়ে। এক সন্ধ্যে বেলায় তার কাম-লালসা এত তীব্র হয়ে উঠেছিল যে, সে চুপিচুপি ভোরে খোয়াড়ে ঢুকে যুবতীর পা ধরে টেনেছিল। যুবতী শুয়েছিল তার স্বামী আর ভাইয়ের মাঝখানে পুরুষ দু’জন হাঁ করে নাক ডাকাচ্ছিল। একটু প্রতিবাদ করল না যুবতী, তার কাছে ধরা দিল। শ্বাসরােধকারী অন্ধকার। চষা মাটির উপর খড় বিছানাে। সেই রাতে ওরা পরস্পরের সঙ্গে দুরন্ত কাম-কেলিতে রত হল। ……….. এরপর তিন সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতে এই যুবতীর সঙ্গে সে কাম-ক্রীড়া করল। ……..
…….বুতে তখন ফ্রানকয়েসের পরণের স্কার্ট পাছার উপর টেনে তুলেছে। ‘খাসা মাদী হস তুমি। একবার দাও লিসা, জানতেও পারবে না। পাওয়ার কামনায় সে পাগল, কত জরতপ্ত জাগব রাত কাটাচ্ছে সে।……
…………ওর দেহ ঘেঁষে ও শুয়ে পড়ল, প্রথমে ওর একখানা হাত সে হাতে তুলে নিল। তারপর দু খানা হাত নিয়ে সজোরে পিষল। কিন্তু ওকে চুম্বন করার সাহস তার হল না। হাত দুখানা কিন্তু টেনে নিল না ফ্রানকয়েস। ভারি চোখের পাতা খুলে তাকাল। মুখে হাসি নেই, দু’চোখে শূন্য দৃষ্টি। লজ্জাহীন মুখে বিব্রত ভাব। তার নীরব প্রায় দুঃখ-ম্লান দৃষ্টি সহসা জাকে নিষ্ঠুর করে তুলল। সে তার জামার নীচে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে তার জানু স্পর্শ…ঠিক এমনটাই একটু আগে করেছিল অন্য মরদটা।
তােতলাতে লাগল ফ্রানকয়েস-না না, এমন নােঙরা কাজ করাে না।
কি নিজেকে সে প্রতিবােধ করতে চাইল না। একবার যন্ত্রণায় সে ককিয়ে উঠল। অনুভব কবল যে, তার পিঠের নীচে মাটি নেমে যাচ্ছে এক তার আচ্ছন্ন অবস্থায় মনে করতে পারল না সেই আগের মরদ ফিরে এসেছে কিংবা আসেনি। সেই একই ধরনের পুরুষতা, একই রকম মরদ দেহের তীব্র গন্ধ, রােদে হাড়-ভাঙা খাটুনির দরুণ দামের কটু ঝজি। সজোরে চোখ বন্ধ করে রাখল ফ্রানকয়েস, যেন উজ্জ্বল অন্ধকারে তার সব কিছু গােলমাল হয়ে যাচ্ছে। তাই এক সময় তােতলাতে তােতলাতে বলল-ওগাে দেখ, আমি বাচ্চা চাই না। এবার থাম | এ তাকে সজোরে ছেড়ে দিয়ে সরে গেল। নিশানাভ্রষ্ট পুরুষ-বীর্য নষ্ট হল। ছিটকে পড়ল শুকনাে শস্যের গাদায়, মাটিতে। এই সেই মাটি যে কোনদিন অস্বীকার করে না বীজ ধাবণ করতে, সদা সর্বদা নগ্ন হয়ে শুয়ে আছে। চিরন্তন তার উৎপাদিকা শক্তি, সব রকমের বীজ ধারণের শক্তি রয়েছে এই মাটির।…….
………তার ভয়ানক মানসিক দৃঢ়তা এবং তার পুরুষ মনের অতৃপ্ত রিরিংসা যা ফ্রানকয়েসের প্রতিরােধে যৌন-লালসায় পরিণত হয়েছে। তার স্ত্রীর দেহ দিন দিন একটা মাংসের ডেলায় পরিণত হচ্ছে, এখনও সে লরাকে মাই খাওয়ায় তাই সারাক্ষণ বাচ্চাটা তার বুকে লেপটে থাকে। আর এই যে কুমারী কন্যা, তার শালী-তার সারা অঙ্গে নবীন নারীত্বের সুবাস, বাচ্চা বকনা বাছুরের বাটের মতন তার স্তন দুটো দৃঢ় এবং নমনীয়। দু জনের কাউকে সে অবহেলা করে না। এমনটা হলে সে দু জনকেই দখল করতে পারবে ••একজন মােটাসােটা আর একজন কঠিনদেহী, প্রত্যেকেই নিজ নিজ বিশেষত্বে আকর্ষণীয়। দুটো মুরগীর পক্ষে সক্ষম মােরগ সে, এবং নিজেকে সে পাশার মতন মনে করে -দু’জন নারী তার সেবা করবে, আদর করবে, কামক্রীড়ায় আনন্দ দান করবে।………
………বুতাের আচরণে ফ্রানকয়েসের মনে অস্থিরতা দিন দিন বাড়ছিল, যখনই বুতে তার দেহ স্পর্শ কবে তখনই নিজেকে তার কাছে দান করনি, লালসার বিরুদ্ধে তার মননশক্তি বিরােধিতা করে, নইলে অনেক আগেই সে যৌন-সঙ্গমে রাজী হত। এর জন্য নিষ্ঠুভাবে সে নিজের মনকে শাসন করে এবং সহজ বিবেক-বুদ্ধিকে আকড়ে ধরেসে কাউকে কিছু দেবে না এবং কারাে কাছ থেকে কিছু নেবেও না। তার দিদির নিজস্ব একজন মরদ আছে তাই দিদিকে সে মনে মনে হিংসা করে, কিন্তু নিজের মনের এই হিংসা সে ঘৃণা করে কেননা বরং সে কামনার জালায় শুকিয়ে মরবে তবু মদের ভাগ নেবে না। তাই বুতাে যখন তার পরনের প্যান্ট নামিয়ে, ভুড়ি বাড়িয়ে ফ্রানকয়েসকে তাড়া কবে তখন সে তার পুরুষ অঙ্গের | উপর থুতু ছিটিয়ে দেয় এবং অমনি থুতু-মাখা পুরুষ-অঙ্গ নিয়ে তার বউয়ের কাছে তাড়িয়ে দেয়। এতে তার অতৃপ্ত কামনা কিছুটা সােয়ান্তি লাভ করে, সে অনুভব করে যে, সে থুতু ছিটিয়েছে তার দিদির মুখে যে কাম-ক্রীড়ার সে সঙ্গিনী নয় সে কাম-ক্রীড়ার আনন্দের প্রতি তার ঘৃণা সে প্রকাশ করছে। লিসা নিজে অবশ্য ঈর্ষান্বিতা নয় একেবারেই, কেননা বুতাে এই যে চিৎকার করে বলছে যে, সে দুটো মেয়ের সঙ্গেই শােয় এটা তার দম্ভোক্তি।……..
…….কিন্তু বুতাে এর মধ্যেই মেয়েটার স্কার্ট টেনে ধরেছে। তার রাগ সব সময় আকস্মিকভাবে ফ্রানকয়েসের দেহ উপভােগের কামনায় রূপান্তরিত হয়। সে মেয়েটাকে ঘাসের উপর ঠেসে ধরতে চেষ্টা করল এবং তার সারা মুখমণ্ডল বাড়তি রক্ত চাপে সিদুর হয়ে উঠল।
চাপা কণ্ঠে বুতে গজরাল—‘বেশ্যা মাগি ! এবার তােকে আমি ঠিক বাগে পেয়েছি, পড়ুক মাথায় আকাশ ভেঙ্গে, তবু একটু আগে ভাের নাগর যেখানে ঢুকিয়েছিল এবার আমিও সেখানে ঢােকাব! | সুরু হল দারুণ ধ্বস্তাধ্বস্তি! অন্ধকারে বুড়াে ভাল দেখতে পাচ্ছিল না, কিন্তু বুঝল যে, লিসা পাশে দাড়িয়ে দেখছে এবং একাজ করতে দিচ্ছে। তার মর মেয়েটার বুকের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছে আর মেয়েটা তাকে পাশে ফেলে দিচ্ছে প্রতি মুহূর্তে, এবং বুতে তার উদ্দেশ্য কিছুতে সফল করতে পারছে তবু যেখানে হােক একটা জায়গায় আনন্দ করতে পারলেই হল। সব শেষ হতেই মেয়েটা তার হাত ছাড়িয়ে উঠে পড়ল।
ফ্রানকয়েস হাঁপাতে হাঁপাতে তােতলাতে লাগল—“শুয়ােরের বাচ্চা! তবু তুই পারিস নি! ওতে কিছু এসে যাবে না। ও আমি গ্রাহ করি না। তবে কোনদিন তুই আমার ভিতরে ঢােকাতে পারবি না।…….
………‘অভিশপ্ত কুঁড়ের মতন দাড়িয়ে থেক না! ওভাবে কেবল দাড়িয়ে থেকে লাভ কি হবে? ওই কাজটা যদি আমাকে করতেই হয় তবে সাহায্য কর, মাগির ঠ্যাঙ দুখানা চেপে ধর।
গজ দশেক দূরে লিসা নিথর দেহে পাড়িয়েছিল। একবার দিগন্তের দিকে আর একবার ওদের দিকে নজর ফেরাচ্ছিল। তার সারা মুখমণ্ডল ভাবলেশহীন। তার স্বামী যখন ডাকল তখন আর সে দ্বিধা করল না। এগিয়ে এল, বােনের বাম পা চেপে ধরল, টেনে ফাক করে পায়ের উপর দেহের সব ভার রেখে চেপে বসল। মাটির উপর কীলক-বিদ্ধ হয়ে যেন পড়ে রইল ফানকয়েস••এখন সে পঙ্গু, তার স্নায়ুতন্ত্র ছিন্ন-ভিন্ন, দু’চোখ বন্ধ। তবু সে সচেতন। বুতে তার সঙ্গে সঙ্গমে রত হতেই আনন্দের শিহরণ অনুভব করল ফানকয়েস এবং দুহাতে সজোরে তাকে জড়িয়ে ধরল। তীব্র দীর্ঘ কান্নার স্বর ফুটল তার কণ্ঠে। আর তার সেই কান্নার আওয়াজে মাথার উপর উড্ডীয়মান কাকগুলাে ভয় পেল। খড়ের গাদার ওপাশ থেকে বুড়ো ফৌআন উকি দিল…ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্যে সে অনেকক্ষণ ওখানে বসে আছে। সে সব কিছু দেখছে এবং সে ভয় পেল। তাই খড়ের গাদার আড়ালে আবার আত্মগােপন করল। | বুতাে উঠে দাড়াল, লিসা স্বামীর দিকে তাকিয়ে রইল। কেবল একটা ব্যাপার জানার জন্যই সে ব্যগ্ৰ•••বুতে প্রয়ােজনীয় সব কিছু করেছে কি-না এটাই সে নিশ্চিতভাবে জানতে চায়। মরদটার মন এত তন্ময় ছিল যে, সে আসল করণীয়গুলাে গেছে ভুলে। ভুলে গেছে ক্রশ-চিহ্ন আঁকতে এবং বিপরীত প্রক্রিয়ায় সঙ্গম করতে। এবার লিসার মন ভেঙ্গে পড়ল। তাহলে বুতাে নিজের আনন্দ উপভােগের জন্যই এই সঙ্গম করল।
তাকে বােঝবার সময় না দিয়ে ফ্রানকয়েস তাকে ছেড়ে দিল। ভীষণ সঙ্গমানন্দে আপ্লুত হয়ে সে কয়েক মুহূর্তের জন্য মাটিতে নিথরভাবে পড়ে রইল—এমন আনন্দ সে এর আগে কখনও উপভােগ করে নি। সহসা সত্য তার সামনে উদঘাটিত হল•••সে বুতােকে ভালবাসে, এমনভাবে সে আর কাউকে ভালবাসে নি, এবং ভালবাসবেও না।……..