মিস্ট্রেস অব দ্য গেম – সিডনি শেলডন

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

কাহিনীবিন্যাসঃ টিলি ব্যাগশ
অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু

……..চোখ বুজল হত ব্ল্যাকওয়েল, এমন কিছু কল্পনা করার চেষ্টা করল যাতে তার রেতঃপাত হয় ।
ভালাে লাগছে, বেবি? মজা পাচ্ছ তাে? কিথ ওয়েবস্টার, তার স্বামী, ঘামে ভিজে সপসপে শরীর, মহা উত্তেজিত টেরিয়ার কুকুরের মতাে পেছন থেকে চড়াও হয়েছে। জোরে জোরে ধাক্কা মারছে। ইভ গর্ভবতী হলেও প্রতিদিন তার ওটা করা চাই । ইভের ডেলিভারির সময় ঘনিয়ে আসছে, পেট এমন স্ফীত যে পেছন থেকে কুকুর স্টাইলে উপগত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে ইভ এতে খুশিই কারণ কিথের দুর্বল, সরু ছুঁচো মুখটা তাকে দেখতে হচ্ছে না। প্রতিবার যৌন মিলনের সময় উত্তেজনায় কিথের চেহারা দুমড়ে মুচড়ে এমন কিম্ভুত আকার ধারণ করে যে ওদিকে তাকাতেই বিশ্রী লাগে ইভের।

অবশ্য এটাকে যদি যৌন মিলন বলা যায় । কিথের পুরুষাঙ্গটি এতই ছােট যে ইভের জন্য তা রীতিমতাে বিরক্তিকর। তবু সে নকল রাগমােচনের ভঙ্গি করল।……….

……ধাক্কার বেগ বাড়িয়ে দিল কিথ ওয়েবস্টার, উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছে, সে পেছন থেকে হাত বাড়িয়ে স্ত্রীর বড় বড় বক্ষজোড়া চেপে ধরল। ‘ওহ, ক্রাইস্ট ইভ, আই লাভ য়ু! আয়াম কামিং বেবি, আয়াম কামিং!…..

……মেয়েটির মাথার চুল লাল । ছাগলের লােম দিয়ে তৈরি আঁটসাঁট সােয়েটার ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইছে পুরুষ্ট দুই বক্ষ। পরনের মিনি স্কার্টটি এতই ছােট যে তার সাদা কটন প্যান্টির গায়ে আঁকা ফুলেল প্যাটার্ন পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছে রােবি ।……

……কোমর পর্যন্ত নগ্ন মরিন সােয়ানসন হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে এলাে ওর দিকে। গরুর পালানের মতাে স্ফীত দুই স্তন ঝুলে আছে। প্যান্ট খুলে ফেলল সে। চমৎকার করে ছাঁটা লালচে যৌনকেশ, পচা মাছের গন্ধ আসছে।………

……….কটমট চোখে রােবির দিকে তাকাল মরিন। রােবির নেতানাে পুরুষাঙ্গ হাতের তালু দিয়ে ঘষছে।

‘তুমি সমকামী নাকি? এখনও শক্তই হওনি দেখছি।’

‘আমি অবশ্যই সমকামী নই, অবশেষে গলায় রা ফুটল রােবির। আ…আমি মানে আমার শরীরটা ঠিক ভাল্লাগছে না।’

শরীর খারাপ লাগছে, অ্যা? সে দেখা যাবে। এখন চুপচাপ শুয়ে পড়ে চোখ বােজো

প্রতিবাদ করে লাভ নেই জেনে মরিনের আদেশ মেনে নিল রােবি । পরমুহূর্তে টের পেল ওর দুই ঊরুর ফাঁকে মরিনের উষ্ণ, ভেজা জিভ। রােবির নিস্তেজ পুরুষাঙ্গকে চাঙা করে তােলাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে মরিন।…..

……..ফোন আসার সময় ফুকেটের পতিতালয়ে ছিল সে, এগারাে বছর বয়সী দুই যমজ | বােনের সাহচর্য উপভােগ করছিল। এদের যােনি এত টাইট, ফাটা হ্যাজেলনাটের মতাে, জিভ জোড়া এত দক্ষতা এবং আগ্রহ নিয়ে কাজ করছে যে কোনাে প্রাপ্তবয়স্ক বেশ্যারাও এত আনন্দ দিতে পারে না।

থাইদেরকে সে খুব পছন্দ করে। একদম সংস্কারমুক্ত লােকজন।

মেয়েগুলাে জিভ আর আঙুল দিয়ে তার শরীর যেন লুটেপুটে নিচ্ছে। আরামে আর উত্তেজনায় চোখ বুজল সে। বাড়িতে সে বেশ্যাদেরকে স্কুল ড্রেস পরায়। তবে আসল জিনিসের সঙ্গে কিছুর তুলনা হতে পারে না মসৃণ ত্বক, শক্ত কুঁড়ির মতাে স্তন, দুই পায়ের ফাঁকে লােমশূন্য স্বর্গ… | থাই যমজ বােনদের একজন তার পায়ুপথের চারপাশে জিভ ঘােরাচ্ছে জোরেকজন মুখ হাঁ করে তার অণ্ডকোষ দুটো উষ্ণ, নরম ভেজা গুহার মধ্যে পুরে নিল।…….

………লেক্সি নিজেকে কলেজ সেক্সের মধ্যে ছুড়ে দেয়, প্রতিটি ছাত্রের সঙ্গে ও বিছানায় গেছে। প্রতিটি লেভেলেই শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে হার্ভার্ডে দিনেরবেলা জ্যামিতুির আঁক কষাে আর রাতেরবেলা উন্মাতাল যৌনতায় ভাসিয়ে দাও নিজেকে। সেক্সেৰ্বসন্ত দিক আছে সব উপভােগ করতে চেয়েছে লেক্সি । পৃথিবী এবং নিজের কাছে প্রমাণ করতে চেয়েছে সে কারও ভিক্টিম নয়, যে শুয়ােরটা ওকে পরাজিত করতে পারেনি। ক্যাম্পাসে এটা ওপেন সিক্রেট ছিল যে HBS-এ সেরা শয্যাসঙ্গিনী হলাে লেক্সি টেম্পলটন । ……..

……থাইল্যান্ড পছন্দ নয় টমি কিংয়ের। এখানে উপভােগ করার মতাে এশীয় যােনির ছড়াছড়ির অভাব নেই। তবে আপনি যখন প্রথম দেখেন শত শত মেয়ে তাদের পাছার ফাক দিয়ে পিং পং বল বের করছে, যােনিতে সিগারের ধোঁয়া নিচ্ছে এবং এছাড়াও আরও নানান উদ্ভট যৌনলীলা চলছে হরদম, তখন বিরক্তি ধরে যাবে। ……

…….টমি কিংয়ের দরকার একটি বিগ ম্যাক, মানডে নাইট ফুটবল, ফক্স নিউজ এবং ত্রিশাের্ধ কোনাে শ্বেতাঙ্গ রমনীর সঙ্গে যৌনলীলা যার পোঁদটি হবে এক্সিট, এন্ট্রাস নয়।…….

……‘ও একটা বেশ্যা!’ বেঁকিয়ে উঠল ইভ। প্রতিদিন ভাের পাঁচটায় পাছা দুলিয়ে ও নাইট ক্লাব থেকে বেরােয়।’ কথাটি মােটেই সত্যি নয়। লেক্সি নির্বিচার যৌনতা করতে পারে, পার্টিতেও যায় তবে নিজের পাবলিক ইমেজ নিয়ে সে যথেষ্ট সচেতন।…….

……….আবার চুমু। এবারে ম্যাক্সের বরফশীতল হাত লেক্সির জামার ভেতর দিয়ে ঢুকে ওর বুক চেপে ধরল । লেক্সির নারীসুলভ প্রবৃত্তি ওকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিতে চাইল কিন্তু শরীরের জেগে ওঠা কামনা ওকে বাধা দিল। ম্যাক্সকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার বদলে সে ম্যাক্সের সুয়েটার মাথার ওপর টেনে তুলে খুলে ফেলল এবং জিনসের বেল্টের বাকলমুক্ত করার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠল।

লেক্সির পাজামার বােতাম খুলতে খুলতে ওকে পাঁজাকোলা করে বেডরুমে নিয়ে চলল ম্যাক্স। বিছানার ওপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে লেক্সির আফ্রিকা সফরের জামাকাপড়। ওগুলাে সরানাের তর সইল না ম্যাক্সের । সে বিছানার ওপর ছুড়ে ফেলে দিল লেক্সিকে, ফাক করে ধরল দুই পা তারপর নিজের মাথাটা নামিয়ে এনে ওর দুই উরুর মাঝখানে, পিচ্ছিল ভেজা জায়গাটায় ইল মাছের মতাে জিভ দিয়ে হামলা চালাল। গুঙিয়ে উঠল লেক্সি । টের পেল ওর শরীরের পেশিগুলাে শক্ত হয়ে গেছে, বাঁকা হয়ে যাচ্ছে পিঠ। অসহায়ভাবে মােচড় খেতে খেতে ম্যাক্সের মাথাটা ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল । কিছুই আমার দ্রুত রেতঃপাত হওয়া যাবে না। বুঝতে দেওয়া যাবে না ওকে আমি কী সাংঘাতিকভাবে কামনা করছিলাম।

……..কিন্তু লাভ হলাে না। নিজের শরীরের ওপর লেক্সির যেন কোনাে নিয়ন্ত্রণ নেই। চরম আনন্দে ওর পিঠ বাঁকা হয়ে গেল, একের পর এক ঘটতে লাগল রাগমােচন।

লেক্সির রেতঃপাত শেষ হওয়ার পরপরই ম্যাক্স ওর প্যান্ট খুলে ফেলল, হামাগুড়ি দিয়ে উঠে এলাে বিছানায়। লেক্সির মুখের সামনে এখন তার মুখ। লেক্সি ওর চোখে চোখ রাখল। ওখানে সে উত্তেজনা, কামনা এবং আনন্দ দেখতে চাইল ।

ম্যাক্স বুঝতে পারছিল লেক্সি ওর মনের ভেতরটর পড়ার চেষ্টা করছে, বুঝবার চেষ্টা করছে আসলে সে কে। সে উপুর করে শুইয়ে দিল লেক্সিকে যাতে ওর চেহারাটা দেখতে পারে। তারপর পেছন থেকে প্রবেশ করল তার বিরাট পুরুষাঙ্গ নিয়ে, লেক্সিকে সম্পূর্ণ ভরে দিল, অবশেষে তৃপ্ত করল ওকে।

প্রবল আনন্দে শিউরে শিউরে উঠল লেক্সি।

এর নাম সেক্স । সেক্সের মজা এরকমই হওয়া উচিত।

তারপর শরীর জুড়ে শুধু অবিশ্বাস্য সুখের বুদ্বুদ ছাড়া আর কিছু অনুভব করল না লেক্সি । ম্যাক্সও আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছিল না। লেক্সির বুকজোড়া তার কাছে তার মায়ের বুকের মতাে মনে হচ্ছিল। লেক্সির চুল, ত্বক সবকিছু ইভের মতাে। এ কাজটা সে করেছে তার মায়ের জন্য। সবকিছুই ইভের তরে। তবু খালাতাে বােনের নগ্ন পিঠের ওপর জানােয়ারের মতাে চড়াও হয়ে নিজেকে ম্যাক্সের অবিশ্বস্ত এবং নােংরা মনে হচ্ছিল।

ওর মজা পাওয়া উচিত হচ্ছে না। লেক্সির সঙ্গে নয়। ম্যাক্স লেক্সিকে ঘৃণা করে। আমি তােমাকে ঘৃণা করি। ম্যাক্সের বীর্যপাত হতে শুরু করল। সে তার মায়ের নাম ধরে চিৎকার করছে। কিন্তু লেক্সি ওর চেহারা দেখতে পাচ্ছে না বলে কিছুই শুনতে পেল না ।…….

………লেক্সি যে প্রশ্ন কোনােদিন করেনি তার সমস্ত জবাব মিলেছে ম্যাক্সের কাছে। ওর প্রবল যৌনাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে নিজের রতি ইচ্ছা কেবল মিলেই যায়নি ম্যাক্স যেরকম হিংস্র ও বেপরােয়া ভঙ্গিতে প্রেম করে তা ওকে রুদ্ধশ্বাস করে স্কেলে এবং আরও সেক্স চালিয়ে যাওয়ার জন্য ভিখারিনীর মতাে সে ওর কাছে আকুল আর্তি জানায়। ….

……ছিল না লেক্সির । সাধারণ জীবনে, বাের্ডরুমে সে মিস্ট্রেস অব দা গেম । কিন্তু ম্যাক্স তার চেতনার আরেকটি দিক উন্মােচন করে দিয়েছে। প্রথমে খেলাটা শুরু হয় কোমলভাবে ম্যাক্স বিছানার ওপর ওর হাত দুটো ধরে রাখে অথবা সেক্স করার সময় নিতম্বে হালকা টোকা মারে । কিন্তু লেক্সির প্রতিক্রিয়া যখন প্রখরতর হয়ে ওঠে, ম্যাক্স তখন বিকৃত যৌনতার চরমে পৌছে যায় । ওকে নিয়ে। এর কোনাে সীমা-পরিসীমা থাকে না।………

……..তােমার টি-শার্টের আড়ালে বন্দী ভরাট বুক দুটোর চেয়ে নিশ্চয় মনােমুগ্ধকর নয়।….

……..অ্যানাবেলও মা হতে চায় তবে ভিন্ন কারণে। কিন্তু বিয়ের ছয় মাস পার হওয়ার পরেও ম্যাক্স তার সঙ্গে মিলিত হলাে না বলে এক রাতে নিজেই আগ্রাসী হয়ে উঠল অ্যানাবেল । ম্যাক্সের আপত্তি না শুনে সে স্বামীর নিস্তেজ পুরুষাঙ্গে আদর করতে লাগল । কিন্তু ঘটল না কিছুই। ‘আমি তােমার স্ত্রী, ম্যাক্স । আমি একজন নারী । এটা আমার ভেতরে ঢােকাও।’ ‘স্টপ ইট!’ প্রেমময়ী স্ত্রীকে এ ভাষায় কথা বলতে শুনে গর্জে উঠল ম্যাক্স । না, আমি থামব না। যথেষ্ট হয়েছে।’ ক্রাইস্ট অ্যানাবেল । আমি বললেই ওটা দাঁড়াবে না । ঠিক আছে?……

…….লেক্সির সঙ্গে ম্যাক্সের সেক্স ছিল লাগামছাড়া। সে যখন লেক্সির সঙ্গে সেক্স করত তখন লেক্সি এবং ইভকে একই সঙ্গে কল্পনা করত সে, দুই নারী মিলে এক হয়ে যেত। ম্যাক্স তার সমস্ত রাগ এবং হতাশা লেক্সির শরীরে ঢেলে দিত। এবং ম্যাক্সের জংলী মনােভাবটা জানত বলেই লেক্সিও ওভাবে সেক্স করতে চাইত। লেক্সির সঙ্গে ভেতরের জানােয়ারটাকে রাক্ষসের মতাে খেতে দিত সে। কিন্তু ম্যাক্স কখনাে চায়নি এই জানােয়ারটার পরিচয় জেনে যাক অ্যানাবেল। তার চোখে অ্যানাবেল পবিত্র এবং খাঁটি। তাকে কলুষিত করতে চায়নি ম্যাক্স। কিন্তু আজ যখন অ্যানাবেল ওর পুরুষাঙ্গ মুখে নিয়ে চুষতে আরম্ভ করল, অনিচ্ছাসত্ত্বেও উত্তেজিত হতে লাগল ও। তার মা এবং লেকির যত ছবি, আজেবাজে চিত্র সব তার মনের মধ্যে নর্দমার স্রোতের মতাে প্রবেশ করতে লাগল। প্লিজ থামাে।’ বলল ও। কিন্তু অ্যানাবেল থামল না। ম্যাক্সের দুই পা ফাক করে নিজের দুই উরুর মাঝে ওর পুরুষাঙ্গটি ঢুকিয়ে নিল । তারপর চাপ দিত কেবল। কিছুক্ষণ পরে গুঙিয়ে উঠল ম্যাক্স । তার বীর্যস্খলন ঘটেছে। সে এতে আরও কয়েকবার অ্যানাবেলের বাহুডােরে বাঁধা পড়ে গােঙাল ম্যাক্স। অ্যানাৱেই রাতেই বুঝতে পারল ম্যাক্স আসলে অসুস্থ । এবং সে রাতেই সে যমজ সন্তান কনসিভ করল।…….

Leave a Reply